এবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় আসবে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন
লোকসান মাথায় নিয়েই আগামী ১০ জুন থেকে ফের চালু হচ্ছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো এই ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় আসবে। গতকাল শনিবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। রাজশাহী বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় আম পরিবহন নিয়ে এ সেমিনার হয়। এতে প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মো. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিভিন্ন জেলার প্রশাসক ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেমিনারে জানানো হয়, ছয়টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে আম পরিবহন করা যাবে ২৮ দশমিক ৮৩ টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এই ট্রেন। পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সোয়া ২টায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি আম পরিবহনে ভাড়া লাগবে ১ টাকা ৪৭ পয়সা, রাজশাহী থেকে ১ টাকা ৪৩ পয়সা, পোড়াদহ থেকে ১ টাকা ১৯ পয়সা, রাজবাড়ী থেকে ১ টাকা ৭ পয়সা, ফরিদপুর থেকে ১ টাকা ১ পয়সা এবং ভাঙ্গা থেকে ৯৮ পয়সা। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছরে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে ৩ হাজার ৯৯৫ টন আম পরিবহন করা হয়েছে। এ থেকে রেল পেয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা। গত চার বছরে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় যাওয়া-আসা করতে তেল খরচ হয়েছে ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ফলে এ কয়েক বছরে ট্রেনের লোকসান হয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৬০ টাকা। তবে আম ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলেন, ট্রেনে প্রতি কেজি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় পাঠাতে খরচ হয় ১ টাকা ৩২ পয়সা। ট্রেনে খুব কম খরচে আম পরিবহন করা গেলেও বারবার ওঠানামা করার কারণে ঝামেলা বেশি হওয়ায় সড়কপথ ও কুরিয়ারকে বেছে নেন ব্যবসায়ীরা। সেমিনারে রেলমন্ত্রী বলেন, আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে রেলপথে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে করে আমের গুণাগুণ ঠিক রেখেই সব চেয়ে কম খরচে আপনাদের এই আম দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যায়। পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলওয়ের লোকসান হলেও আমচাষি, ব্যবসায়ী ও খামারিদের সুবিধার্থে এ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, স্থানীয় আম চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে ট্রেনে আম পরিবহনের মাত্রা বাড়ানো গেলে কমে আসবে লোকসানের পরিমাণ। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে সাধারণত ছয়টি ওয়াগন থাকে। আমরা এবারও আমচাষি এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব।
১২ মে, ২০২৪

পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল এক বছর
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রকল্পটি শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। কিছু কাজে নকশা পরিবর্তন এবং বাকি কাজের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগ কমিশনে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠায়। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারায় ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকা-মাওয়া ও ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব এবং ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তর। এ ছাড়া তুলারামপুর ও টিটিপাড়া পয়েন্টে লেভেল ক্রসিংয়ের পরিবর্তে রেলওয়ে আন্ডারপাস নির্মাণের মতো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, বাকি কাজ এ মেয়াদে শেষ হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতু পরিদর্শন করে মুগ্ধ ভুটানের রাজা
পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। গতকাল বুধবার সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে নান্দনিক এ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় চ্যালেঞ্জিং এ নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ হন রাজা। প্রায় আধা ঘণ্টার পরিদর্শন শেষে তিনি আবার একই পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন ওয়াংচুক। এ সময় তিনি অঞ্চলটি ঘুরে দেখেন এবং বাংলাদেশে এ অঞ্চলের ভূমিকা ও বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে জানেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। অঞ্চলটির গুরুত্ব অনেক বলে মূল্যায়ন করেন রাজা। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে ভুটান কী কী সুবিধা পাবে সেটি রাজাকে অবহিত করেন বেজা কর্মকর্তারা। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ, আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহসহ অনেকে ছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের রাজা। আজ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়বেন ওয়াংচুক।
২৮ মার্চ, ২০২৪

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণাবাসীর ঋণ শোধ হয়েছে : বদিউজ্জামান সোহাগ
বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কারণে দক্ষিণাবাসীর ঋণ শোধ করার জন্য শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, সবাই মিলে একসাথে কাজ করব। সেখানে যদি কেউ ঐক্য বিনষ্ট করে, কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সে যতই আমার কাছের মানুষ হোক না কেন আমি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব।  সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, বদিউজ্জামান সোহাগের হাতে নেত্রী নৌকা তুলে দিয়েছেন। আমরা দলীয় শিষ্টাচার মেনে সকলকে নিয়ে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করব।  রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান জমাদ্দার বাদলের সভাপতিত্বে নির্বাচনী পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আকবর, নির্বাহী সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন। আরও উপস্থিত ছিলেন, শরণখোলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, সহসভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রায়হান উদ্দিন শান্ত, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম টিপু, সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম কালাম, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, আব্দুল হক হায়দার, মেজবাহ উদ্দিন খোকন, চল কর্মকার, হাসানুজ্জামান পারভেজ, জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিন, ইমরান হোসেন রাজিব, রিনা প্রমুখ। 
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস
পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো বেনাপোল থেকে ঢাকায় এলো যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। যাত্রাপথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে শেষ গন্তব্যস্থল ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। রেল সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশন থেকে ৩০০ এবং অন্যান্য স্টেশন থেকে আরও ৫০ যাত্রীসহ মোট ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে। এর আগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করত। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলো। অন্যদিকে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৮০, এসি চেয়ারের ভাড়া ৯২০, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১০৪ এবং এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৬৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে পেরে যাত্রীরা উচ্ছ্বসিত। প্রথম দিনের ট্রেনযাত্রার সাক্ষী হতে পেরে আবেগাপ্লুত যাত্রী ও চালক। তবে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকার রেল প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে পাল্টে যাবে বেনাপোল বন্দরের চিত্র। মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। বেনাপোল স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন দৈনিক কালবেলাকে বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ টেনটি রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোলের উদ্দেশে ছাড়বে। সপ্তাহে বুধবার ছাড়া ছয় দিনই চলাচল করবে এ ট্রেনটি।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা গেল সুন্দরবন এক্সপ্রেস, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা
খুলনা থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় গেল সুন্দরবন এক্সপ্রেস। বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে খুলনা রেলস্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঢাকায় ট্রেনটি আনুমানিক পৌঁছবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের অন্তত ২ ঘণ্টা সময় কমবে। খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম যাত্রায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ট্রেনের যাত্রীরা। প্রথম ট্রেনটির যাত্রী কুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সুন্দরবন ট্রেনে করে ঢাকায় অনেকবার গিয়েছি। আগে সময় অনেক বেশি লাগত। পদ্মা সেতু হওয়াতে ঢাকায় যেতে আমাদের কম সময় লাগবে। এখন ট্রেনযাত্রা আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে গেছে। আজকে প্রথম যাত্রায় যাত্রী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’ আরেক যাত্রী খুলনা টিএন্ডটি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাব কখনো কল্পনাও করিনি। অনেক ভালো লাগছে। নিজের দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে পরিবহন এবং নিচ দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে। আর এত সুন্দর কোচ কখনো দেখিনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেসটি রুট পরিবর্তন করে পোড়াদাহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। নতুন এই রুট পরিবর্তনের ফলে পূর্বের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। একইসঙ্গে সময় কমবে অন্তত ২ ঘণ্টা। আজ ২২৫ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা ছেড়েছে ট্রেনটি। তিনি জানান, খুলনা থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অপরদিকে ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনায় এসে পৌঁছাবে। নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচলের খবরে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। এদিকে খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া (ভ্যাট ছাড়া) ধরা হয়েছে- শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৫০০ টাকা, প্রথম সিট শ্রেণির ভাড়া ৬৬৫ টাকা, প্রথম বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৮৩০ টাকা, এসি সিট শ্রেণির ভাড়া ৯৯৫ টাকা ও এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ১৪৯৫ টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনের ভাড়া কমল, চলবে কাল থেকে
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেলপথ দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) থেকে বাণিজ্যকভাবে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। শুরুতে চলবে দুটি ট্রেন। ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। বর্তমান সময়ের দুই ঘণ্টা বেশি সময় আগে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। এদিকে তীব্র সমালোচনার মুখে শুরুতে এ রুটের নির্ধারণ করা ভাড়া শেষ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া প্রথমে বাসের চেয়ে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া আগের চেয়ে কমছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তকর্তারা। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নতুন রুট (বেনাপোল- যশোর-খুলনা-পোড়াদহ-কুষ্টিয়া কোর্ট-রাজবাড়ি-ফরিদপুর-পদ্মা সেতু-ঢাকা কমলাপুর) দিয়ে যাতায়াত করবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা। এই পথে আন্তঃনগর ট্রেনে (নন-এসি) ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। তা কমিয়ে ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ভাড়া কমল ১১৫ টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙ্গা পথে রেল চলাচল উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের ফলে ঢাকা-খুলনা রুটের দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের জন্য ২৯টি স্টেশনের এবং বেনাপোল ও মধুমতি এক্সপ্রেসের জন্য ২৮টি স্টেশন ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ভাড়া কমানোর পর যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে টিকিট বিক্রিতে বেশ সাড়া মিলেছে বলেও জানান তিনি। রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। অন্যদিকে গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা। আন্তনগর ট্রেনে নন-এসি শ্রেণির কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা, কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা। রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভাড়া কমানো হয়েছে। শুরুতে চলবে দুটি ট্রেন- সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এর মধ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও যশোর হয়ে খুলনায় যাবে। অন্যটি একই পথ ধরে যাবে বেনাপোল পর্যন্ত। নভেম্বরের শেষ দিকে ট্রেন আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। ট্রেনের টিকিটের সাতটি শ্রেণি আছে। প্রত্যেক শ্রেণিতেই ভাড়া কমানো হয়েছে। শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া ছিল ৫৬৫ টাকা, যা এখন ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা পথে ৬১৫ টাকার জায়গায় ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে যাত্রীদের। রেলওয়ের সূত্র বলছে, ভাড়ার এই ছাড় সাময়িক। ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন তৈরি হচ্ছে। সেটা চালু হতে পারে আগামী বছর জুনে। তখন এই পথে রেল চলাচল শুরু হলে খুলনা ও বেনাপোল পর্যন্ত দূরত্ব কমবে। তখন ‘পন্টেজ চার্জ’ আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু করা হয়। দ্বিতল এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর ভেতরে রয়েছে ট্রেন চলাচলের পথ। পদ্মার দুই পাড়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে নেওয়া হয় আলাদা প্রকল্প, যা পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প নামে পরিচিত। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের সময় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায়। চীনের অর্থায়নে ওই দেশেরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেলপথ নির্মাণের কাজটি করছে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরুর তারিখ ঘোষণা
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেলপথ দিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রোববার (২৯ অক্টোবর) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে শুরুতে নির্ধারণ করা ভাড়া কমিয়ে এ যাত্রাপথের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে অনলাইন ও কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।  রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নতুন রুট (খুলনা-পোড়াদহ-কুষ্টিয়া কোর্ট-রাজবাড়ী-ফরিদপুর-পদ্মা সেতু-ঢাকা কমলাপুর) দিয়ে যাতায়াত করবে।  ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, গতকাল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ভাড়া কমানোর পর যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ইতোমধ্যে টিকিট বিক্রিতে বেশ সাড়া মিলেছে বলেও জানান তিনি।  রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব ধরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুকে ১৫৪ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। অন্যদিকে গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের প্রতি কিলোমিটারকে ধরা হয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ কিলোমিটার উড়ালপথকে ১১৫ কিলোমিটার রেলপথ ধরা হয়েছে। বর্তমানে দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তঃনগর- এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। লোকাল ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৩৯ পয়সা। আন্তঃনগর ট্রেনে নন-এসি শ্রেণির কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১ টাকা ১৭ পয়সা, কিলোমিটার প্রতি এসি শ্রেণির ভাড়া ১ টাকা ৯৫ পয়সা।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

পদ্মা সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে ১ নভেম্বর
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের ফলে ঢাকা-খুলনা রুটের দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এতে দক্ষিণের যাত্রীদের রাজধানীর সঙ্গে দ্রুত যাতায়াতের পথ সুগম হতে যাচ্ছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বুধবার খুলনা থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও পরদিন ২ নভেম্বর বেনাপোল থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে। সেইসঙ্গে খুলছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ভাগ্যের চাকা। তারা বলছেন, বেনাপোল দিয়ে ভারতগামী যাত্রীরা অল্প ভাড়ায় ট্রেনে যাতায়াত করার সুযোগ পাবেন। রাতে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে সকালে গন্তব্যে পৌঁছাবে। ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দুটি ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যারা ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে চান—এমন যাত্রীরা অল্প টাকায় বেনাপোল পর্যন্ত যেতে পারবেন। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ বিন সারোয়ার কালবেলাকে বলেন, আশা করি, এই রুটে দিন দিন যাত্রী বাড়বে। যারা সড়কপথে দীর্ঘ সময় কষ্ট করে দক্ষিণের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতেন, তারা এখন রেলপথ ব্যবহারে উৎসাহী হবেন। খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নতুন এই রুটে যাত্রীদের আগ্রহও বেশি। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকায় ট্রেনে যাত্রা করার জন্য খোঁজ নিতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন নতুন রুটে যাত্রা শুরু করবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল। তিনি বলেন, ‘ওই দিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে, ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে ট্রেনটি। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গার্মেন্টসহ রপ্তানি পণ্য পরিবহনে সুবিধা বেড়েছে। রেল যোগাযোগ চালু হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গত এক বছরে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বেড়েছে দ্বিগুণ। ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কম খরচে মালপত্র বহন করা যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শাকসবজি, ফুল ও মাছ দ্রুত সময়ে ঢাকায় পৌঁছানো গেলে উপকৃত হবেন লাখ লাখ কৃষক। বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা। পর্যায়ক্রমে এই রুটে পাঁচটি ট্রেন চালু করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

পদ্মা সেতু রুটে যেসব জায়গায় থামবে সুন্দরবন-বেনাপোল এক্সপ্রেস
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতিমধ্যে যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করা খুলনা ও বেনাপোল রুটের ২টি ট্রেন রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চালাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  নির্দেশনা পাওয়ার পর ট্রেন ২টি নতুন রুটে কোথায় কোথায় যাত্রাবিরতি করবে এবং কখন কখন ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল থেকে ছাড়বে তা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক দপ্তারাদেশে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালিত হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ‌‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ নতুন রুটে যাত্রা শুরু করবে। ওইদিন ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ঢাকা থেকে ফিরতি পথে ট্রেনটি ভাঙ্গা জংশন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জংশন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া এবং দৌলতপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। অন্যদিকে আগামী ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নতুন রুটে যাত্রা শুরু করবে। ওইদিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। সুন্দরবন ও বেলাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিদ্যমান রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন বিন্যাস বলবৎ থাকবে বলেও ওই দপ্তরাদেশে জানানো হয়।
২০ অক্টোবর, ২০২৩
X