উৎসবের আমেজে ধোয়া হলো পবিত্র কাবা
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী এ বছরও মহররম মাসের ১৫ তারিখে পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে মহররম মাস ছাড়া বছরের অন্য সময়ও কাবাঘর ধৌতকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। গতকাল বুধবার ফজর নামাজের পর কাবাঘরের ভেতরের অংশে ধোয়ামোছার কাজ করা হয়। এজন্য জমজম পানি, খাঁটি গোলাপজল এবং উন্নত মানের সুগন্ধি ‘উদ’ ও কস্তুরি ব্যবহার করা হয়। ধোয়ার জন্য কাবার ভেতরে প্রবেশের আগে বা পরে একবার নফল তাওয়াফ এবং দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। প্রথমে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়, তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কারের পর মেঝে ও দেয়াল কোমল সাদা কাপড় এবং উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা রাখা হয়। মূলত প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুস্মরণে এ পবিত্র কাজটি বড় উৎসব হিসেবে পালন করা হয়। ৬৩০ সালে যখন রাসুল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর পবিত্র ঘর ধৌত করেছিলেন। কাবার গায়ে নতুন গিলাফ পরানো হয় মহররম মাসের শুরুতে। এবার মক্কা-মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ানের পক্ষে মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান পবিত্র কাবা ধোয়া অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন। বেশ কয়েকজন রাজপুত্র, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ নাগরিকরাও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ ছাড়া মসজিদুল হারামের গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান আল সুদাইস, ধর্মীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিশেষ জরুরি বাহিনীর প্রধান এবং হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ও অন্য নিরাপত্তারক্ষীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাইরে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় ছিল।
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X