নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা মামলার ৩ পরিকল্পনাকারী ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) হত্যা মামলার আসামি মূল পরিকল্পনাকারী স্বামীসহ শাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা জেলার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তাররা হলেন, ধামইরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২) ও দেবর শাকিল হোসেন (২২) এবং শাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা সবাই ওই গৃহবধূ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের গত ১২ মার্চ ভোর রাতে ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদের স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে একটি আমগাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তাদের অভিযোগ মৃত আয়না আক্তারের সঙ্গে শাশুড়ি, স্বামী ও দেবর প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারি ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকত। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসতবাড়ির আমগাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের স্বজনরা। পরে মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ভাতিজি আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল ও আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ-এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার রুজু হওয়ার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিলকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা জেলার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার আসামিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।   র‌্যাব প্রাতিষ্ঠানিক সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২৭ মার্চ, ২০২৪

জাবিতে গণধর্ষণের পরিকল্পনাকারী সেই মামুন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলরুমের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামুনের সহযোগী মুরাদকেও গ্রেপ্তার করেছে বাহিনীটি। তাকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত মামুনুর রশিদ মামুন। 
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পদের লোভে নাশকতা পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে ‘দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে’ বিভিন্ন এলাকায় বোমা তৈরির বিস্ফোরক পাউডার সরবরাহ করতেন মুগদার যুবদল নেতা বাবুল মিয়া। আরও বড় পদ পাওয়ার আশায় বিস্ফোরক পাউডার সংগ্রহ করে সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল কালভার্ট রোড এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা বাবুল মিয়া ও কর্মী মাসুদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩। গতকাল বুধবার দুপুরে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৬ কেজি ১০০ গ্রাম বিস্ফোরক পাউডার, ১৫৭ বোতল ফেনসিডিল, একটি ডিজিটাল পালা, ১০টি মোবাইল ফোন এবং ২২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। কর্নেল আরিফ আরও বলেন, বাবুল মুগদার ৭২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা। তিনি থানা যুবদলের পদপ্রত্যাশী। নাশকতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলে উচ্চপদ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় দলের ওপর মহল থেকে। র‌্যাব জানায়, বিস্ফোরক মজুত করতেন বাবুল। বিভিন্ন সময় হাইকমান্ডের নির্দেশে নেতাকর্মীদের কাছে তিনি বিস্ফোরক সরবরাহ করতেন। গ্রেপ্তার মাসুদ যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা বিস্তারের জন্য বছরখানেক ধরে বাবুলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। মুগদা এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার পর পালিয়ে ফকিরাপুলের কালভার্ট রোডে মাসুদের বাসায় আত্মগোপন করেন বাবুল। মাসুদ টাকা-পয়সা দিয়ে তাকে সহায়তা করেন। পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য নিজের বাসায় লুকিয়ে রাখতেও সহায়তা করেন। ২৮ অক্টোবর নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের একজন গ্রেপ্তার: গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তার শামিম ঘটনার দিন পল্টনে দলীয় কার্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দীন। শামীমকে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শামীম ২৬ অক্টোবর থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করে। ২৮ অক্টোবরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নাশকতা চালাতে সে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ঢুকেছিল। ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে পল্টন ও রাজারবাগে কয়েক দফা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ছাড়া ওইদিন ভোরে পল্লবীর ১১ নম্বর ওয়ালটনের গলিতে পার্ক করে রাখা বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খ. মহিদ উদ্দীন জানান, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে বাসে আগুন দেয় সে। এ জন্য তাকে তিন হাজার টাকাও দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে। এক হাজার টাকার বিনিময়ে বাসে আগুন রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে মামুন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এক হাজার টাকার বিনিময়ে সে এ কাজ করেছে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. মাহফুজুল হক ভূঞা। তিনি জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে আসাদগেট এলাকায় প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে পালানোর সময় মামুনকে আটক করে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক হাজার টাকার বিনিময়ে বাসে অগ্নিসংযোগের কথা স্বীকার করে মামুন। রিকশাচালক মামুন রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা। বাসে আগুন রোধে মাইকিং বিরোধী দলগুলোর চলমান অবরোধে বাসে আগুন দেওয়া ঠেকাতে মাইকিং করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর বিভিন্ন থানার আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে পুলিশের এমন উদ্যোগ দেখা গেছে। বাসে যাত্রীদের গতিবিধি নজর, সন্দেহজনক কিছু দেখলে চালককে জানানো এবং জানালা বন্ধ রাখার বিষয়ে সচেতন করা হয়। মাইকিংয়ে বাসচালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের চারটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলা হয়। সেগুলো হলো—গাড়ি চালানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন, পেছনের দিকে লক্ষ্য রাখা, সম্ভব হলে নিজস্ব লোক দিয়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাত্রীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা এবং স্টপেজ থেকে বাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের ছবি তুলে নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করা।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

২৮ অক্টোবরে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তীতে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। গ্রেপ্তার এই ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টন পার্টি অফিস এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ।  গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) শামীমকে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ড. খ. মহীদ উদ্দীন। শামীমকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দীন বলেন, শামীম গত ২৬ অক্টোবর থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যার বাস্তবায়ন করেছিল ২৮ অক্টোবর। সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সে পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিল। ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে সে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।  তার দলীয় পরিচয় পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নাম্বার যুগ্ম আহবায়ক। শামীমের কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী সমাবেশের আগে দনিয়া ফুটওভার ব্রিজের নিচে গিয়ে মারুফ নামের একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। সেটি এনে রিয়াদ নামের একজনের কাছে নয়া পল্টনে পৌঁছে দেবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা করাও হয়। ২৮ তারিখে সে কাজগুলো তারা করতেও পারে সফলভাবে। ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদিহি গ্রিন মডেল টাউনের ভিতরের শেষ মাথায় খালপাড়ে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করছে। পাশেই সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুস্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, একটি পেট্রলবোমা, দুইটি ২৫০ মিলি প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মিলি পেট্রল, একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল, একটি লাল রংয়ের হেলমেট। সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা শামীমকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়া বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর ১১ নাম্বার ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা অবস্থায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গেপ্তার করেছে পুলিশ। মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে এই বাসে আগুন দেয়। এই কাজের জন্য তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে। বিএনপির তালাবদ্ধ অফিসের চাবি পুলিশের হাতে দলটির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. খ মহিদ উদ্দীন বলেন, এর আগে একাধিকবার বলেছি বিএনপির অফিসের চাবি তাদের হাতে। একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছি এই চাবি তো আমাদের হাতে নয়।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

কর কর্মকর্তাকে অপহরণ / পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বামী এখনো অধরা
রাজধানীর বেইলি রোড এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার মাসুমা খাতুনকে তার সাবেক স্বামী হারুন-অর রশিদের পরিকল্পনায় অপহরণ করে বরখাস্ত গাড়িচালক মাসুদ। তাকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। তবে অপহরণে জড়িত সাবেক স্বামীকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। র্যাব বলছে, এজাহারে সাবেক স্বামীর নাম নেই। তবে তদন্ত সংস্থাকে এ তথ্য জানানো হবে। তারা ব্যবস্থা নেবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে শুক্রবার রাতে মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণের মামলাটি তদন্ত করছে রমনা থানা পুলিশ। পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বামীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—এ বিষয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রমনা থানার ওসি আবুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বলতে পারব না। আসামি তো আমরা গ্রেপ্তার করিনি। আমরা এখনো আসামি পাইনি। আগে আসামি পাই, জিজ্ঞাসাবাদ করি, তারপর…। তদন্তাধীন বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’ তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগীর সাবেক স্বামী গ্রেড-১-এর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। যে কারণে এখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। গত ১৭ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে মাসুমা খাতুনকে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে অপহরণ করা হয়। এর ১৮ ঘণ্টা পর ১৮ আগস্ট মাদারটেক থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে সে সময় মাসুদসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে মাসুম ওরফে মাসুদ, তার দুই সহযোগী আব্দুল জলিল ওরফে পনু ও হাফিজ ওরফে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের বরাতে র্যাব জানায়, মাসুদ ১১ জুলাই ভিকটিমের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি নেয়। এরপর ওই নারীর সঙ্গে তার বর্তমান স্বামীর মনোমালিন্য হয়। ৩১ জুলাই মাসুদকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে সেখানে চাকরি সূত্রে মাসুদের সঙ্গে ওই নারীর সাবেক স্বামীর পরিচয় হয়। তাকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করত মাসুদ। চাকরি যাওয়ায় তার কথা অনুযায়ী মাসুদ চক্রের অন্য সদস্যদের নিয়ে মাসুমাকে অপহরণ করে। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, ভিকটিমকে উচিত শিক্ষা দেওয়া এবং আগের স্বামীর কথা অনুযায়ী একটি বাসায় তাকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল মাসুদের। যে কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে মাসুদকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিল মাসুমার সাবেক স্বামী। এই ৭০ হাজার টাকার পাশাপাশি কাজ শেষ করার পর মাসুদকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়ারও প্রলোভন দেখান তিনি। র্যাবকে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণের পরই বিষয়টি প্রথম স্বামী হারুনকে জানায় মাসুদ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাসুমাকে হাতিরঝিলের একটি বাসায় নেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু ওই বাসায় রাতে ঢুকতে সমস্যা হওয়ায় অন্যত্র নিয়ে রাখার জন্য মাসুদকে নির্দেশ দেন হারুন। সে অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গাড়িটি ঘুরিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। রাত ১২টার দিকে কাঁচপুর এলাকায় পরিচিত একটি গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় ওই নারীকে নির্যাতন করা হয়, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার কাছে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। রাতভর ওই গ্যারেজে রাখার পর ১৮ আগস্ট সকালে মাদারটেক এলাকায় গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করে মাসুদ ও তার সঙ্গীরা। সেখানে জুমার নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার নির্দেশনা ছিল। মাদারটেকে অবস্থান করাকালীন মাসুদ ভুক্তভোগীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে। তিনি জুমা নামাজের পর হাতিরঝিলের সেই আগের বাসায় নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুপুরে খাবার সময় হলে মাসুদ, রাজু ও সাব্বির খাবার আনতে যায় এবং পনু, সাইফুল ও শান্ত গাড়ি বাহিরে পাহারায় থাকে। এ সময় সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে সাইফুল, সাব্বির ও রাজুকে আটক করে। মাসুদ, পনু ও শান্ত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ভুক্তভোগীকে হেফাজতে নেয় এবং সাইফুল, সাব্বির ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক স্বামী হারুনের অবস্থান সম্পর্কে মঈন বলেন, তিনি মগবাজারের বাসাতেই অবস্থান করছেন বলে জেনেছি। অপহরণের প্রথম স্বামীর সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ প্রসঙ্গে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ভুক্তভোগী যে এজাহার করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে যারা অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাদের আমরা দ্রুততম সময়ের ভেতরে আইনের আওতায় এনেছি। তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক কিছু বের হয়ে আসতে পারে। যেটার জন্য ন্যূনতম সময়ের প্রয়োজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করছে।
২৭ আগস্ট, ২০২৩

মানিক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিচার সালিশের কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিচ্চি মানিক নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানি কমান্ডার এম এম মাহমুদ হাসান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার শরীফ, নাঈম ও শান্ত এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা এবং মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। পূর্বশত্রুতার জেরে বিচার সালিশে মীমাংসার কথা বলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী পিচ্চি মানিককে গত ২৪ জুলাই রাতে ফোন করে চাঁদমারি মাউরাপট্টি এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় শরীফ। এরপর শরীফ ও তার সহযোগীরা মিলে তাকে একটি অটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতের স্ত্রী ডালিয়া বেগম ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তবে মামলার পর থেকেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিরা পালিয়ে ছিল। রোববার রাতে র‌্যাব সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী শরীফ ও তার দুই সহযোগীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার করে শরীফ ও তার দুই সহযোগী নাইম এবং শান্তকে। সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উল্লেখ করে র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার এম এম মাহমুদ হাসান আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যসহ পিচ্চি মানিক হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।
০১ আগস্ট, ২০২৩
X