চীনে ভয়াবহ তুষারধসে ১ হাজার পর্যটক আটকা
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের একটি পর্যটন গ্রামে ভয়াবহ তুষারধস হয়েছে। তুষারধস ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গ্রামটির সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানে প্রায় এক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। তুষারধস হওয়া গ্রামটির নাম হেমু। গ্রামটি চীন, কাজাখস্তান, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া—এই চার দেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সীমান্তবর্তী এই গ্রামটি নৈসর্গিক হওয়ায় সারা বছর সেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেন। বেশ কয়েক দিন ধরে জিনজিয়াংয়ের আলতাই প্রিফেকচারের হেমু গ্রামে ভারী তুষারপাত হচ্ছে। প্রবল তুষারপাতে বেশ কয়েক বার তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। অনেক সড়কে সাত মিটার পুরো তুষারের আস্তরণ পড়েছে। এসব কারণে গ্রামের সব সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক থেকে তুষার সরিয়ে নেওয়ার কাজ গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকজন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হেয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হয়। এ জন্য উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় খুব কম। মঙ্গলবার সকালে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে সেখানে আঠা ও জ্বালানির মতো জরুরি ত্রাণসহায়তা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। উদ্ধার ও ত্রাণসহায়তা কাজের জন্য ৫৩ জন কর্মী এবং ৩১ সেট যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা জানিয়েছে আলতাই মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির প্রধান ঝাও জিনশেং সিসিটিভিকে বলেছেন, এই তুষারধসের ঘটনাটি তুলনামূলক নতুন। আমরা এর আগে ভারী তুষারপাত দেখেছি। তবে এত বেশি তুষারধস দেখিনি।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আবারও জাহাজ চলাচল বন্ধ, ৩০০ পর্যটক আটকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দ্বীপটিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকালেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে প্রতিবন্ধকতা যাছাই করতে পরীক্ষণমূলকভাবে ‌‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত সাত দিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সাত দিনে জাহাজটি চলাচলে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাই চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতি না থাকলে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো বাধা নেই। এ কারণে পরীক্ষণমূলক চলাচলের অনুমতি পাওয়া ‘এমভি বার আউলিয়া’ ওই নৌপথে নিয়মিত চলাচল করবে। তবে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের সাপেক্ষে চলতি মৌসুমে ওই জাহাজটিসহ অন্য জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান মো. আদনান চৌধুরী। ইউএনও আদনান বলেন, মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ জাহাজটিতে করে সেন্টমার্টিনে তিন শতাধিক পর্যটক বেড়াতে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি টেকনাফ ফিরে এলেও আগের দিনগুলোতে রাত্রিযাপনের জন্য দ্বীপে অবস্থান নেওয়া পর্যটকরা ফেরেননি।  তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

উত্তাল সাগর, সেন্টমার্টিনে ২ শতাধিক পর্যটক আটকা
বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আসা দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সেখানে অন্তত ২০০ পর্যটক আটকে থাকতে পারেন।  মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী আরও বলেন, দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে। শনিবার সকালেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, গত বুধবার থেকে তিন দিনে প্রায় ২ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে এলে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সিকিমে পাহাড়ধস ২৩ বাংলাদেশি পর্যটক আটকা
ভারতের উত্তর সিকিমে কয়েক দিন ধরে ভারি বর্ষণ চলছে। বৃষ্টির কারণে একাধিক পাহাড়ি সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। এতে সেখানে ভ্রমণে যাওয়া প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ বাংলাদেশিও আছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। পাহাড়ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ। ভারি বর্ষণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের মংগন জেলার লাচুং ও লাচেন এলাকা। ওইসব এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। কর্মকর্তরা জানান, এখনো অন্তত ২ হাজার ৪৭৫ জন পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন হোমস্টে এবং হোটেলে আটকে আছেন। আটকে পড়াদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২৩ জন। এ ছাড়া ১০ জন যুক্তরাষ্ট্র ও তিনজন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। আটকে পড়াদের মধ্যে একটি কলেজের ৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সিকিম সরকারের কুইক রেসপন্স টিম, সিকিম পুলিশ, জিআরইএফসহ সেনাবাহিনী। পর্যটকদের উদ্ধারে ১৯টি বাস এবং ৭০টি ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, সিকিম সরকার একদিকে যেমন পর্যটকদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি আমরাও বিভিন্ন হোমস্টে এবং হোটেলে পর্যটকদের খোঁজখবর নিচ্ছি। সবাই সুস্থ রয়েছেন।
১৮ জুন, ২০২৩
X