কক্সবাজারে গাড়িতে গুলি, পুলিশ সদস্য আহত
কক্সবাজারের মহেশখালীতে টহলরত পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে একদল ডাকাত। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে উপজেলার মাতারবাড়ি-চালিয়াতলী সড়কের দারাখাল সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত মনির আহমদ (২৮) মহেশখালী থানার মাতারবাড়ি ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাতারবাড়ি ডিজিটাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ১০-১২ জনের বন্দুকধারী একটি দল মাতারবাড়ি-চালিয়াতলি সড়কের দারাখাল সেতুর পাশে ডাকাতি করছিল। তারা মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন মালামালের গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।  এদিকে ডাকাতির শিকার হওয়া মিজবাহ উদ্দীন মঈন, রহুল আমিন বলেন, ১০-১২ জন ডাকাত আমাদের বন্দুক দেখিয়ে নগদ টাকাসহ মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে ডাকাতি করেছে বলে শুনেছি। মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মাতারবাড়ি-চালিয়াতলি সড়কে ডাকাতির খবর পেলে টহলকারী পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতরা পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে তা লক্ষ্য গুলি করে। পরে তারা চিংড়ি প্রজেক্টের দিকে পালিয়ে যায়। এতে এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ডাকাতদের ধরতে চিংড়ি ঘেরসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। 
২২ ঘণ্টা আগে

৫৭ বছরে এসএসসি পাস, চিকিৎসক হতে চান পুলিশ সদস্য
৫৭ বছর বয়সী ট্রাফিক কনস্টেবল আব্দুস সামাদ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চাকরি জীবন শেষে অবসরে গিয়ে হোমিও চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে তার কার্যালয়ে মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পুলিশ সুপার বলেন, ‘৫৭ বছর বয়সে এসে এসএসসি পরীক্ষায় এমন ফলাফল করা সত্যিই প্রশংসার। ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আব্দুস সামাদের এই ফলাফল জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে পড়াদের অনন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তিনি নিজেই শুধু এই পরীক্ষায় বিজয়ী হননি, বরং জেলা পুলিশের আনন্দের একটি উৎস হয়ে উঠেছেন। সারা দিন কঠোর পরিশ্রমের পরও তিনি দমে না গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করেছেন। তার এই লড়াইকে আমরা সম্মান জানাই।’ আব্দুস সামাদ বগুড়ায় ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করেন। আর মাত্র তিন বছর পরই তিনি চাকরিজীবন থেকে অবসরে যাবেন। সেই ইচ্ছা থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন আব্দুস সামাদ। তার এই কৃতিত্বে পরিবারের সদস্যরা যেমন খুশি, তেমনি আনন্দে ভাসছে বগুড়া জেলা পুলিশ বিভাগ। এমন ফলাফল জানার পর জেলা পুলিশ সুপার তাকে ডেকে নিয়ে সংবর্ধিত করেছেন। আব্দুস সামাদ নাটোরের মহরকয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন তিনি। চাকরিজীবন শেষে অবসরে গিয়ে যেন তিনি হোমিও চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে পারেন এ জন্যই এই বয়সে লেখাপড়া শিখা। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ ১৯৮৭ সালে ৮ম শ্রেণি পাস করে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। ব্যক্তিজীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। বড় মেয়েকে লেখাপড়া শেষে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন; আর ছোট ছেলে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। আব্দুস সামাদ জানান, চাকরিজীবন প্রায় শেষ দিকে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে, এক ছেলে চাকরিতে, অন্যজন লেখাপড়া করছে। চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে তিনি কী করবেন ভাবনায় পরেন। তখন সময় কাটানোর জন্যও কিছু করা দরকার, আর সেটিও যেন হয় মানুষের জন্যই ভালো কাজ। সেই ভাবনা থেকেই হোমিও চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা জাগে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন এসএসসি পাস করে হোমিও কলেজে ভর্তি হয়ে ডিএইচএমএস কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। অথচ তিনি এসএসসি পাসই করেননি। ফলে হোমিও কোর্স করা নিয়েও পড়েন দোটানায়। পরে কয়েকজন সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ২০২২ সালে পুনরায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। নাটোর মহরকয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে সেখান থেকেই এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। সামাদ বলেন, ‘চাকরি করে যেটুকু সময় পেতাম, সেই সময়ে পরিবারের কাজ শেষ করে লেখাপড়া করতে হতো। পরীক্ষা দেওয়ার পর মনে হয়েছে পাশ করব। ফলাফল যা হয়েছে এতেই আমি খুশি। আর আমার পরিবারের সদস্যরাও পাশের খবরে খুব খুশি হয়েছে। আমি পাস করেছি শুনে স্যারেরা (পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) আনন্দে মিষ্টি এনে আমাকে খাইয়েছেন, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি পাস না করলে বুঝতেই পারতাম না তারা আমাকে এত পছন্দ করেন, ভালোবাসেন।’
১৩ মে, ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে পরিবারের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
ফেনীর সোনাগাজীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত কুয়েত প্রবাসী এক আসামিকে ধরতে গিয়ে আসামি ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল খায়ের ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ইয়াহিয়া দেশে ফিরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনটি মামলায় জামিন নেন। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে গেলে তাদের ঘরে ঢুকতে বাধা এবং পরিবারের সদস্যরা হামলা চালায়। হামলায় আহত উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার বলেন, চার মামলার পলাতক আসামি কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়াকে ধরতে গেলে মো. ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেসহ স্বজনরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। কিল-ঘুষি মেরে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে।  প্রবাসী ইয়াহিয়ার পরিবারের দাবি, পুলিশ সদস্যদের ওপর কোনো হামলা করা হয়নি। রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম সরকার বাদী হয়ে কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া ও তার তিন ছেলেকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া (৫৭) ও তার ছেলে মো. আবদুল আজিজকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনটি মামলায় জামিন নিলেও একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য গেলে তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় নিহত তিন পুলিশ সদস্য
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে আসামি ধরতে গিয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় শার্লট শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলার ঘটনার পর সন্দেহভাজন একজন হামলাকারীর মরদেহ উদ্ধার করে তারা। শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ বিভাগের প্রধান জনি জেনিংস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্দুক হামলায় নিহত তিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল টাস্কফোর্সের সদস্য। শার্লট পুলিশপ্রধান আরও জানান, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণে দোষী সাব্যস্ত এক অপরাধীর কাছে ওয়ারেন্ট নিয়ে গিয়েছিলেন হামলায় নিহত এসব কর্মকর্তা। সন্দেহভাজন ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছে এমন খবর পেয়ে তারা একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন।
০১ মে, ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ সদস্য
বান্দরবানের লামা উপজেলায় আসামি ধরতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সাবেক বিলছড়ি এলাকার পাহাড়ের উপরে এ ঘটনা ঘটে।  আহত পুলিশ সদস্যের নাম মুজিবুর রহমান (৪৬)। তিনি লামা থানার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন সাবেক বিলছড়ি এলাকার বৌদ্ধবিহারের পাশের পাহাড়ে অবস্থান করছে বলে গোপন তথ্য পায় পুলিশ। পরে থানা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সাদ্দাম হোসেন ও কনস্টেবল মুজিবুর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করতে পাহাড়ে যান। এ সময় তারা ছুরি দিয়ে পুলিশ সদস্য মুজিবুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লামা পৌর কাউন্সিলর মো. মমতাজ জানান, মেলা পরিচালনা কমিটি তাকে জানিয়েছে, বৌদ্ধবিহারের পাশের পাহাড়ে ইয়াবা সেবন করা হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ইয়াবা সেবনকারীদের আটকের উদ্দেশ্যে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।  এ বিষয়ে লামা থানার ওসি মো. শামীম শেখ বলেন, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ককটেল বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য আহত
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা ককটেলের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- বগুড়া সদর থানাধীন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ ও কনস্টেবল মাহবুব হোসেন। তাদের দুজনেরই পায়ে জখম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মিলাদুন্নবী বলছেনে, রাত ৮ টার দিকে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায় (ঘোনপাড়া) এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল মাহবুব হোসেন জানান, শহরের ঘোনপাড়ার এক নারী ৯৯৯-এ ফোন করে জানান তাকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এই খবর পেয়ে এএসআই আব্দুর রশিদ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় এক যুবক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে ওই যুবকের সাথে থাকা অপর দুজন পরপর দুইটি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তাদের নিক্ষেপ করা ককটেলের আঘাতে তিনি ও এএসআই রশিদ পায়ে জখমপ্রাপ্ত হন। পরে তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় তল্লাশী অভিযান শুরু হয়েছে। জড়িতদের সনাক্ত এবং আটক করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করেছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিবন্ধীকে বেধড়ক পেটাল পুলিশ সদস্য
শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে প্রতিবন্ধী এক মুদি দোকানি আহত হয়েছেন।  এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রায় আধাঘণ্টা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ঈদকে সামনে রেখে অনেক লোকের ভিড় থাকায় এ সময় ভোগান্তিতে পড়ে শহরে কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহত বাবুল মিয়াকে চিকিৎসা দিতে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং দায়ী পুলিশ সদস্যের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। এতে আস্বস্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে কসবা এলাকার বাবুল মিয়া রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। রিকশাটি খরমপুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি মাইক্রোবাস তাদের ধাক্কা দেয়। বাবুল মিয়া এর প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে নেমে আসে এক পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যকে তিনি বলেন, আমরা কি মানুষ না, আমাদের মেরে ফেলতে চান? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে বাবুল মিয়াকে বেধড়ক পেটায় ওই পুলিশ সদস্য। লোহার পাইপের আঘাতে বাবুল মিয়ার মাথা ফেটে যায়। এতে তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন'র শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আলম বলেন, এটা একটা অমানবিক কাজ। একজন প্রতিবন্ধী মানুষকে এভাবে নির্দয়ভাবে পেটানো ঠিক হয়নি। তার তিনটি সন্তান নিয়ে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেল। যদি মোবাইল কোর্টের কোনো কর্মকাণ্ডে সে বাধা হতো তাহলে কোনো কথা ছিল না। মোবাইল কোর্টের গাড়ি তার গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। এটার প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটানো হয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, চার পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
বগুড়ায় চোর সন্দেহে আটক দুই আসামি হাতকড়াসহ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পালানোর ঘটনায় চার পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পলাতক দুজনের  মধ্যে রোববার (২৪ মার্চ) রাতে পুলিশ একজনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্ত ৪ পুলিশ সদস্য হলেন বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সহকারী এএসআই সোহেল রানা, পুলিশ সদস্য মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন। সোমবার (২৫ মার্চ) গ্রেপ্তার হওয়া আসামিসহ দুজনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ মার্চ) ভোর রাতে এলজিইডি অফিসের সামনে জনগণের হাতে চোর সন্দেহে মোহাম্মদ আলী (২৮) ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুক (২২) নামের দুইজনকে আটক করা হয়। পরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, পুলিশ সদস্য একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানে দুই আসামিকে হাতকড়া লাগিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতকড়াসহ আটক দুই আসামি পালিয়ে যায়। পরে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদীঘি থেকে হাতকড়াসহ পুলিশ পুনরায় গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামি মিঠু মিয়াকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বগুড়া সদর থানার ওসি জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সুপারের আদেশে রোববার রাতে চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পলাতক মিঠু মিয়া ও পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলীর নামে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

ডাকাত কাঁধে নেওয়া সেই পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন পুরস্কার
পুলিশের এক সদস্য হাসিমুখে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তিকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন একটি ছবি স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ব্যাপক আলোচনা হয়। এবার সেই পুলিশ সদস্যসহ অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী কল্যাণ সভাতেই তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে জীবন মিয়া (৫০) নামের ওই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করেন। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারে নাসিরনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথের নেতৃত্বে অভিযান করা হয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। তখন পুলিশ সদস্যরা কৌশলে জীবনকে আটক করেন। কিন্তু জীবন পুলিশ সদস্যকে আঘাত করে ক্ষেতে নেমে পড়েন। এরপর পুলিশ সদস্যরা আবারও তাকে আটক করেন। কিন্তু জীবন কোনোভাবে হেঁটে আসতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ সময় এএসআই মো. কামরুল তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি ভালো ও প্রশংসা কাজে আমরা পুরস্কৃত করে থাকি। এই পুরস্কারে যেন অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অনুপ্রাণিত হন, তাই আমরা নাসিরনগরে ডাকাত ধরে প্রশংসিত হওয়া পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছি। আগামী কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে।’
২৫ মার্চ, ২০২৪

মেঘনা নদীতে নৌকাডুবি / এখনও খোঁজ মেলেনি পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রী-সন্তানের
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী নৌকা ডোবার ঘটনায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্য ও তার পরিবারের সন্ধান এখনো মেলেনি। এতে উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে স্বজনদের।   শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজ সোহেল রানা (৩৫) ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুলও (৫) নিখোঁজ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে ভৈরব সেতু এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ছাড়ে। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়।  এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌপুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুর্বণাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তোফাজ্জল হক (২২) নামে এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। এদিকে শনিবার আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রানা জানান, আজ সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ডুবুরি দল এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
২৩ মার্চ, ২০২৪
X