শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যের লাঠির আঘাতে প্রতিবন্ধী এক মুদি দোকানি আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রায় আধাঘণ্টা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ঈদকে সামনে রেখে অনেক লোকের ভিড় থাকায় এ সময় ভোগান্তিতে পড়ে শহরে কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ মানুষ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহত বাবুল মিয়াকে চিকিৎসা দিতে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং দায়ী পুলিশ সদস্যের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। এতে আস্বস্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে কসবা এলাকার বাবুল মিয়া রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। রিকশাটি খরমপুর মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি মাইক্রোবাস তাদের ধাক্কা দেয়। বাবুল মিয়া এর প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে নেমে আসে এক পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যকে তিনি বলেন, আমরা কি মানুষ না, আমাদের মেরে ফেলতে চান? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে বাবুল মিয়াকে বেধড়ক পেটায় ওই পুলিশ সদস্য। লোহার পাইপের আঘাতে বাবুল মিয়ার মাথা ফেটে যায়। এতে তার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন'র শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আলম বলেন, এটা একটা অমানবিক কাজ। একজন প্রতিবন্ধী মানুষকে এভাবে নির্দয়ভাবে পেটানো ঠিক হয়নি। তার তিনটি সন্তান নিয়ে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেল। যদি মোবাইল কোর্টের কোনো কর্মকাণ্ডে সে বাধা হতো তাহলে কোনো কথা ছিল না। মোবাইল কোর্টের গাড়ি তার গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। এটার প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটানো হয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন