কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী নৌকা ডোবার ঘটনায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্য ও তার পরিবারের সন্ধান এখনো মেলেনি। এতে উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে স্বজনদের।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
নিখোঁজ সোহেল রানা (৩৫) ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত।তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুলও (৫) নিখোঁজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে ভৈরব সেতু এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ছাড়ে। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌপুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুর্বণাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তোফাজ্জল হক (২২) নামে এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে শনিবার আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রানা জানান, আজ সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ডুবুরি দল এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন