শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
রাতের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয় রাজশাহী, রংপুর দিনাজপুর, বগুড়া, টাংগাইল, যশোর, কুষ্টিয়া এবং বরিশাল অঞ্চলসমূহের দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী শনিবার সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শুক্রবারের পূর্বাভাস বলছে, সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শনিবারের পূর্বাভাস বলছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এদিকে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে

রাতে ঢাকাসহ ৮ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা
রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ আট জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে আগামী ৩ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে সারা দেশেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশেই মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বুধবার (১৫ মে) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পর দিন বৃহস্পতিবারও (১৬ মে) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
১৪ মে, ২০২৪

সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
দেশের ৮ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারর অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।  এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে আগামী তিন দিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ মে) একই সময় পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগসমূহের অনেক জায়গায় এবং রংপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়েও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়াও, আগামী বুধবার (১৫ মে) রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।  আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বর্ধিত ৫ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
১২ মে, ২০২৪

রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশার, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ মে) আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (১১ মে) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় স্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
১০ মে, ২০২৪

সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারা দেশে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ মে) আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (১১ মে) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় স্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। 
১০ মে, ২০২৪

সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস
গত দুদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেই আরও তিন দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত কালবৈশাখীর সতর্কবাতায় এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।   এদিকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায়য় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।   এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

১৬ জেলায় তীব্র ঝড়ের শঙ্কা
ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) ভোরে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয় রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে টানা ৩৭ দিন পর তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশবাসী। এখন দেশজুড়ে ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে ১৪ মে পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবেলাকে বলেন, এখন যেমন বৃষ্টি হচ্ছে একইরকম বৃষ্টি থাকবে কয়েকদিন। আগামী ১১ মের পর বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেই বৃষ্টি ১৩-১৪ মে পর্যন্ত থাকবে। এরপর কমলেও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত থাকবে। আগামী ১৪ মের পর থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়বে। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩০ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৬, সিলেট বিভাগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩৩, চট্টগ্রামে বিভাগে সীতাকুণ্ডে ৩৪, খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার। ঢাকায় ২, ফরিদপুরে ৪, মাদারীপুরে ২৮, গোপালগঞ্জে ৫৫, রংপুর, সৈয়দপুর, রাজারহাট ও তেঁতুলিয়ায় ১, ডিমলায় ৬, চট্টগ্রামে ২১, সন্দ্বীপে ১৪, সীতাকুণ্ডে ১৩, রাঙামাটি ৬, কুমিল্লা ৮, চাঁদপুর ২৮, নোয়াখালীর মাইজিকোর্টে ৪৯, ফেনী ২০, হাতিয়ায় ২৪, কক্সবাজারে ২৯, টেকনাফে ১১, বান্দরবানে ৯, খুলনায় ৭৫, মোংলায় ২৯, সাতক্ষীরায় ৬৭, যশোরে ২৫, চুয়াডাঙ্গায় ২, কুষ্টিয়ায় ১, বরিশালে ৫৮, পটুয়াখালীতে ৪১, খেপুপাড়ায় ৭৫ এবং ভোলায় সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়া ও নেত্রকোনায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এপ্রিলজুড়ে তীব্র, কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এতে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল জনজীবন। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, যে তাপপ্রবাহ বয়ে গেল, তা অস্বাভাবিক ছিল। দেশের ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সাধারণত এপ্রিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার এপ্রিলে শুধু সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর ২ মে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টি সঠিক সময়ে আসেনি। এই বৃষ্টি অনেকটা অস্বাভাবিক। তিনি বলেন, বৃষ্টির এই যে অস্বাভাবিক প্রবণতা, তা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেরই প্রতিফলন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি। সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। আবার বৃষ্টির ধরনে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, যখন বৃষ্টি হচ্ছে, তখন বেশি বেশি হচ্ছে। এই প্রবণতাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানামুখী প্রভাব ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে। গত ৩০ এপ্রিলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৮ মে, ২০২৪

টানা বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে 
টানা তিনদিন সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির খবর জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি জানায়, বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়াগায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।  
০৭ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস
শুরুতেই একটা কথা বলা দরকার। ইদানিং আমরা অনেক ব্যাপারেই অনেক “পূর্বাভাস” বা “পরিসংখ্যান” কে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলি। অনেকে বলেন, মিথ্যা তিন প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও পরিসংখ্যান। তারমানে পরিসংখ্যানও মিথ্যা। সবকিছু তো আর অংক কষে প্রমাণ করাও যায় না। তাই ইদানিং অনেক গুণী ব্যক্তি পরিসংখ্যানকেও এক ধরনের মিথ্যাই বলেন। এই কথাটা মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখাতেও কিছু পরিসংখ্যান আসবে, সেইগুলি কতটা সত্যি, জানিনা। তবে এখনোও পরিসংখ্যানের একটা ভূমিকা আছে তা কম/বেশি যাইহোক। তা না হলে এটা থাকতোই না।  আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা রকম পরিসংখ্যান, আশঙ্কা, উৎসাহ, ভাবনা এবং আলোচনা সবকিছুই চলছে এখন। সম্প্রতি একটা জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জাতীয়ভাবে ডেমোক্রেটরা ৩৮ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। রিপাবলিকান দল এর চাইতে ২ পার্সেন্ট বেশি অর্থাৎ ৪০ পার্সেন্ট বা শতাংশ এগিয়ে আছে জনসমর্থনের দিকে। দুইদলের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একদিকে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুইজনের মধ্যে জনসমর্থনের ব্যবধান একের সাথে অন্যের মাত্র ৩-৫ পার্সেন্টের বেশিও না।  কিন্তু নির্বাচনে এক পারসেন্ট হলে সেটাও বড় ম্যাটার করে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অর্থাৎ সংখ্যা মান, না গুণগত বৈশিষ্ট্য। কোনটা দরকার। যাইহোক, এটা আরেক প্রসঙ্গ। পরের কোন আলোচনায় আলোচনা করা যাবে। লেটেস্ট সিচুয়েশন, বলতে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কিছু আশা- আশঙ্কার কথা। সেখানেই লিমিটেড থাকি।  এবার দেখা যাক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেট বা রাজ্যে দুই প্রধান দলের অবস্থান কি!  যেমন, অ্যারিজনা রাজ্যে, রিপাবলিকান এগিয়ে আছে ৪৩ শতাংশ, ডেমোক্রেটের জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ৩৮শতাংশে। জর্জিয়া রাজ্যে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৪৪ শতাংশে। জো বাইডেন ৩৮ শতাংশ। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন ৪২ শতাংশ সমর্থনে। প্রতিদ্বন্দ্বী মিস্টার জো বাইডেনের সমর্থন এই রাজ্যে এখনো ৪০ শতাংশের। পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন আছে ৪১ শতাংশের, রিপাবলিকান বা মিস্টার ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩%। নর্থ ক্যারোলিনায় মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, ৪৪ শতাংশ সমর্থনে, সেখানে ডেমোক্রেট সমর্থক এখনো ৩৮ শতাংশের। ফ্লোরিডায় রিপাবলিক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশের, ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন সেখানে এখনো ৩৮ শতাংশ।  এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে ডেমোক্রেট দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান থেকে। প্রায় ১০% সমর্থনে এই দুই রাজ্যে অগ্রসরমান ডেমোক্রেট এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে, এখনো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক মামলায় আসামি হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল না। তার জিতে যাবার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।  আমেরিকা ইউনিভার্সিটির একজন ডিসটিংগুইশ প্রফেসর, মিস্টার Allan Lichtman মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকটা বৈশিষ্ট্যের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন। তাঁর আলোচনা খুব গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচিত হয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৩ টি প্রধান বিষয় নির্বাচনের জয় পরাজয়কে নির্ধারণ করতে পারে। যেমন:  1. Party mandate 2. Contest 3. Incumbency  4. Third party 5. Short-term economy  6. Long long-term economy  7. Policy change  8. Social unrest  9. Scandal  10.Foreign and military affairs  11. Foreign and military success  12. Incumbent charisma  13. Challenger carishma উল্লেখিত ক্ষেত্র গুলি ছাড়াও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিস্টার জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বিশেষ করে বর্তমান চলমান দুইটি যুদ্ধের পরিণতি এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। প্যালেস্টাইন বা গাজা বনাম ইসরাইল। অন্যটা রাশিয়া ভার্সেস ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা। অন্য অনেক বিষয়ের আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও উল্লেখিত দুই যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বের ভূমিকা ও বিপুল অর্থ ব্যয়। এই কারণেও একটা বড় অংশের জনসমর্থন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূরে সরে গেছেন ইতিমধ্যে।  পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার সাধারণ মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটা ইমিগ্রান্ট ইস্যু নিয়ে ডেমোক্রেট দলের অতি উদারনীতি। কারিশমার প্রশ্ন নিয়েও যদি আলোচনা হয়, সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনেকটাই দুর্বল বলেই মনে হয়। বলা বাহুল্য যে, “কারিশমা” ব্যাপারটা অধিকাংশ সময় ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক দিকেই মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। কারিশমার ফলাফল খুব একটা জনকল্যাণের পক্ষে থাকে বলে মনে হয় না। মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এর এক বড় প্রমাণ ও বাস্তবতাও বটে।  ১৯৬০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং নিক্সন। তখন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কেস্ট্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেনেডি এবং নিক্সন। এই দুইজনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করেন বা সমর্থন করবেন। ক্যাস্ট্র বলেন, "It is not possible to make a comparison between two shoes that the same person wears. America is ruled by only one party, which is Zionist party, and it has two wings; the republican wing represent the hard line Zionist power, and the Democratic represent the Zionist soft power" এই কথা এখনো সত্যি। এর বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক পাঠক এই কথাগুলির গভীর অর্থ যেকোন ভাষায় ব্যাখ্যা করলেও বুঝতে পারেন।  বহু বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তবা দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামকে দেখবেন অত্যন্ত দাপট এবং একনায়ক রূপে হাজির হবেন হোয়াইট হাউসে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং মিথ্যাচারিতা পাশাপাশি অবৈধ অর্থ পরিচালনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের "বিচার" বিভাগ কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আইনের নানান গুপ্ত সুরঙ্গের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মাথা বের করে আছেন। তবে এটাও সত্য যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন শাস্তি বা জেলে নিলে তার সমর্থন আরো বেড়ে যাবে। যেকোনো নেতিবাচক ধারাকে জনপ্রিয় করার একটা ভিন্ন রকম “কারিশমা” আছে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিসেন্ট সময় আমেরিকার অন্য কোন প্রেসিডেন্ট তাঁদের কোন কারিশমার অপব্যবহার করেননি যতটুকু ইতিহাস পড়ে জানা যায়।  এটা উল্লেখ না করলে নয় যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এবং এই বছর ২০২৪ সালে আমেরিকাতে কয়েকটা উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত বই বেরিয়েছে যারা একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার অন্ধ সমর্থনে ছিলেন তাদের। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বইয়ের মধ্যে আছে, “The Room Where it Happned” by, John Bolton, একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে। ফর্মার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার অফ দা ইউনাইটেড স্টেটস।  “Oath and Honor” লিখেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস ওমেন রিপাবলিকান, লিজ চেনী। জানুয়ারি ৬, ২০২০ সালের দুর্ঘটনা বিষয়েও কংগ্রেস তদন্তে রিপাবলিকান দলের একজন অন্যতম সদস্য।  “Enough” এই গ্রন্থের গ্রন্থাকার, মিস Cassidy Hutchinson”। ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে একজন গুরুত্বপূর্ণ মেয়ে সদস্য। সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ Mark Meadows তাঁর প্রধান সহকারি হিসাবে। জানুয়ারি ৬, ২০২০ তদন্তে কেসিডি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর তৎকালীন সরাসরি বস, মার্ক মেডোজের অসংবিধান কাজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন।  সাথে আরেকটা বইয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বইয়ের নাম, “Age Of Revolutions, Progress and Backlash From 1600 to the Present” by Fareed Zakaria.  উল্লেখিত চারটা বইতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধান কাজের একাধিক দৃষ্টান্ত এবং বর্ণনা আছে সুস্পষ্টভাবে দলিল ও প্রমাণ সহ। কিন্তু সেইগুলি কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না জনসমর্থনে ট্রাম্পের ব্যাপারে। কারণ একটা তীব্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবোধ পাশাপাশি ডেমোক্রেট দলের বিগত চার বছরের পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্ষেত্রে চরম রকম ব্যর্থতা। এর এক বড় কারণ, যা সাধারণ মানুষকেও হতাশ করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে।  লেখক ও সাংবাদিক ফারিদ জাকারিয়া, তাঁর উল্লেখিত বইতেও ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাজনীতির অমোঘ কিছু নিয়ম এবং বাস্তবতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনও সরাসরি শিকার ক্ষমতাসিন কিছু মানুষের লোভ, হিংসা ও প্রতিহিংসার কাছে। এই সবকিছুর কিছু, কিছু সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ডেমোক্রেট দলের পক্ষে যাবে কিনা! সারা বিশ্বেই যে চলছে এখন একনায়কতন্ত্র, একদল ও এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। কোথাও ধর্মের নামে, কোথাও বর্ণের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যে গণতন্ত্র প্রচলন সেটাকেও পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। কারণ নির্বাচনে পপুলার ভোটের চাইতে গণনা হয় "ইলেক্ট্রোলার" মোট ৫৩৮ ভোটের ২৭০ ভোট। নির্বাচন শেষে যে ক্যান্ডিডেট এই ২৭০ electoral ভোট পান সে-ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যেমন, গত বছর এই ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  ২০২৪ সালের নির্বাচন যুদ্ধেও এই ২৭০ প্রার্থীর ভোট রায় দেবে কে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাই কোন উপসংহার টানা কঠিন। এখনো ৬ মাস হাতে আছে। উল্লেখিত আলোচনা কেবল এর পূর্বাভাস।  মাহমুদ রেজা চৌধুরী: সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস
শুরুতেই একটা কথা বলা দরকার। ইদানিং আমরা অনেক ব্যাপারেই অনেক “পূর্বাভাস” বা “পরিসংখ্যান” কে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলি। অনেকে বলেন, মিথ্যা তিন প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও পরিসংখ্যান। তারমানে পরিসংখ্যানও মিথ্যা। সবকিছু তো আর অংক কষে প্রমাণ করাও যায় না। তাই ইদানিং অনেক গুণী ব্যক্তি পরিসংখ্যানকেও এক ধরনের মিথ্যাই বলেন। এই কথাটা মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখাতেও কিছু পরিসংখ্যান আসবে, সেইগুলি কতটা সত্যি, জানিনা। তবে এখনোও পরিসংখ্যানের একটা ভূমিকা আছে তা কম/বেশি যাইহোক। তা না হলে এটা থাকতোই না।  আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা রকম পরিসংখ্যান, আশঙ্কা, উৎসাহ, ভাবনা এবং আলোচনা সবকিছুই চলছে এখন। সম্প্রতি একটা জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জাতীয়ভাবে ডেমোক্রেটরা ৩৮ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। রিপাবলিকান দল এর চাইতে ২ পার্সেন্ট বেশি অর্থাৎ ৪০ পার্সেন্ট বা শতাংশ এগিয়ে আছে জনসমর্থনের দিকে। দুইদলের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একদিকে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুইজনের মধ্যে জনসমর্থনের ব্যবধান একের সাথে অন্যের মাত্র ৩-৫ পার্সেন্টের বেশিও না।  কিন্তু নির্বাচনে এক পারসেন্ট হলে সেটাও বড় ম্যাটার করে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অর্থাৎ সংখ্যা মান, না গুণগত বৈশিষ্ট্য। কোনটা দরকার। যাইহোক, এটা আরেক প্রসঙ্গ। পরের কোন আলোচনায় আলোচনা করা যাবে। লেটেস্ট সিচুয়েশন, বলতে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কিছু আশা- আশঙ্কার কথা। সেখানেই লিমিটেড থাকি।  এবার দেখা যাক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেট বা রাজ্যে দুই প্রধান দলের অবস্থান কি!  যেমন, অ্যারিজনা রাজ্যে, রিপাবলিকান এগিয়ে আছে ৪৩ শতাংশ, ডেমোক্রেটের জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ৩৮শতাংশে। জর্জিয়া রাজ্যে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৪৪ শতাংশে। জো বাইডেন ৩৮ শতাংশ। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন ৪২ শতাংশ সমর্থনে। প্রতিদ্বন্দ্বী মিস্টার জো বাইডেনের সমর্থন এই রাজ্যে এখনো ৪০ শতাংশের। পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন আছে ৪১ শতাংশের, রিপাবলিকান বা মিস্টার ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩%। নর্থ ক্যারোলিনায় মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, ৪৪ শতাংশ সমর্থনে, সেখানে ডেমোক্রেট সমর্থক এখনো ৩৮ শতাংশের। ফ্লোরিডায় রিপাবলিক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশের, ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন সেখানে এখনো ৩৮ শতাংশ।  এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে ডেমোক্রেট দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান থেকে। প্রায় ১০% সমর্থনে এই দুই রাজ্যে অগ্রসরমান ডেমোক্রেট এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে, এখনো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক মামলায় আসামি হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল না। তার জিতে যাবার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।  আমেরিকা ইউনিভার্সিটির একজন ডিসটিংগুইশ প্রফেসর, মিস্টার Allan Lichtman মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকটা বৈশিষ্ট্যের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন। তাঁর আলোচনা খুব গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচিত হয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৩ টি প্রধান বিষয় নির্বাচনের জয় পরাজয়কে নির্ধারণ করতে পারে। যেমন:  1. Party mandate 2. Contest 3. Incumbency  4. Third party 5. Short-term economy  6. Long long-term economy  7. Policy change  8. Social unrest  9. Scandal  10.Foreign and military affairs  11. Foreign and military success  12. Incumbent charisma  13. Challenger carishma উল্লেখিত ক্ষেত্র গুলি ছাড়াও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিস্টার জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বিশেষ করে বর্তমান চলমান দুইটি যুদ্ধের পরিণতি এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। প্যালেস্টাইন বা গাজা বনাম ইসরাইল। অন্যটা রাশিয়া ভার্সেস ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা। অন্য অনেক বিষয়ের আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও উল্লেখিত দুই যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বের ভূমিকা ও বিপুল অর্থ ব্যয়। এই কারণেও একটা বড় অংশের জনসমর্থন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূরে সরে গেছেন ইতিমধ্যে।  পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার সাধারণ মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটা ইমিগ্রান্ট ইস্যু নিয়ে ডেমোক্রেট দলের অতি উদারনীতি। কারিশমার প্রশ্ন নিয়েও যদি আলোচনা হয়, সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনেকটাই দুর্বল বলেই মনে হয়। বলা বাহুল্য যে, “কারিশমা” ব্যাপারটা অধিকাংশ সময় ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক দিকেই মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। কারিশমার ফলাফল খুব একটা জনকল্যাণের পক্ষে থাকে বলে মনে হয় না। মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এর এক বড় প্রমাণ ও বাস্তবতাও বটে।  ১৯৬০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং নিক্সন। তখন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কেস্ট্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেনেডি এবং নিক্সন। এই দুইজনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করেন বা সমর্থন করবেন। ক্যাস্ট্র বলেন, "It is not possible to make a comparison between two shoes that the same person wears. America is ruled by only one party, which is Zionist party, and it has two wings; the republican wing represent the hard line Zionist power, and the Democratic represent the Zionist soft power" এই কথা এখনো সত্যি। এর বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক পাঠক এই কথাগুলির গভীর অর্থ যেকোন ভাষায় ব্যাখ্যা করলেও বুঝতে পারেন।  বহু বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তবা দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামকে দেখবেন অত্যন্ত দাপট এবং একনায়ক রূপে হাজির হবেন হোয়াইট হাউসে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং মিথ্যাচারিতা পাশাপাশি অবৈধ অর্থ পরিচালনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের "বিচার" বিভাগ কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আইনের নানান গুপ্ত সুরঙ্গের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মাথা বের করে আছেন। তবে এটাও সত্য যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন শাস্তি বা জেলে নিলে তার সমর্থন আরো বেড়ে যাবে। যেকোনো নেতিবাচক ধারাকে জনপ্রিয় করার একটা ভিন্ন রকম “কারিশমা” আছে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিসেন্ট সময় আমেরিকার অন্য কোন প্রেসিডেন্ট তাঁদের কোন কারিশমার অপব্যবহার করেননি যতটুকু ইতিহাস পড়ে জানা যায়।  এটা উল্লেখ না করলে নয় যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এবং এই বছর ২০২৪ সালে আমেরিকাতে কয়েকটা উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত বই বেরিয়েছে যারা একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার অন্ধ সমর্থনে ছিলেন তাদের। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বইয়ের মধ্যে আছে, “The Room Where it Happned” by, John Bolton, একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে। ফর্মার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার অফ দা ইউনাইটেড স্টেটস।  “Oath and Honor” লিখেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস ওমেন রিপাবলিকান, লিজ চেনী। জানুয়ারি ৬, ২০২০ সালের দুর্ঘটনা বিষয়েও কংগ্রেস তদন্তে রিপাবলিকান দলের একজন অন্যতম সদস্য।  “Enough” এই গ্রন্থের গ্রন্থাকার, মিস Cassidy Hutchinson”। ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে একজন গুরুত্বপূর্ণ মেয়ে সদস্য। সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ Mark Meadows তাঁর প্রধান সহকারি হিসাবে। জানুয়ারি ৬, ২০২০ তদন্তে কেসিডি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর তৎকালীন সরাসরি বস, মার্ক মেডোজের অসংবিধান কাজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন।  সাথে আরেকটা বইয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বইয়ের নাম, “Age Of Revolutions, Progress and Backlash From 1600 to the Present” by Fareed Zakaria.  উল্লেখিত চারটা বইতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধান কাজের একাধিক দৃষ্টান্ত এবং বর্ণনা আছে সুস্পষ্টভাবে দলিল ও প্রমাণ সহ। কিন্তু সেইগুলি কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না জনসমর্থনে ট্রাম্পের ব্যাপারে। কারণ একটা তীব্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবোধ পাশাপাশি ডেমোক্রেট দলের বিগত চার বছরের পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্ষেত্রে চরম রকম ব্যর্থতা। এর এক বড় কারণ, যা সাধারণ মানুষকেও হতাশ করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে।  লেখক ও সাংবাদিক ফারিদ জাকারিয়া, তাঁর উল্লেখিত বইতেও ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাজনীতির অমোঘ কিছু নিয়ম এবং বাস্তবতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনও সরাসরি শিকার ক্ষমতাসিন কিছু মানুষের লোভ, হিংসা ও প্রতিহিংসার কাছে। এই সবকিছুর কিছু, কিছু সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ডেমোক্রেট দলের পক্ষে যাবে কিনা! সারা বিশ্বেই যে চলছে এখন একনায়কতন্ত্র, একদল ও এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। কোথাও ধর্মের নামে, কোথাও বর্ণের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যে গণতন্ত্র প্রচলন সেটাকেও পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। কারণ নির্বাচনে পপুলার ভোটের চাইতে গণনা হয় "ইলেক্ট্রোলার" মোট ৫৩৮ ভোটের ২৭০ ভোট। নির্বাচন শেষে যে ক্যান্ডিডেট এই ২৭০ electoral ভোট পান সে-ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যেমন, গত বছর এই ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  ২০২৪ সালের নির্বাচন যুদ্ধেও এই ২৭০ প্রার্থীর ভোট রায় দেবে কে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাই কোন উপসংহার টানা কঠিন। এখনো ৬ মাস হাতে আছে। উল্লেখিত আলোচনা কেবল এর পূর্বাভাস।  মাহমুদ রেজা চৌধুরী: সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক 
৩০ নভেম্বর, ০০০১
X