বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল শনিবার ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রপ্তানির তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিফ ও রবি মৌসুমে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বাড়ায় পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত এ পণ্য রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার মধ্যেই গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল ভারত। পরে নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর এখন এই ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দিল দেশটি। যেসব দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোয় পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশ-ভুটানসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত সরকার। নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়। যার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্বের  নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ভারত সরকার। ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়। যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে। গত শুক্রবার রাতে দেশটির সরকার এক আদেশ জারি করে জানায়, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। দিল্লির এ সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামলেও বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে হু হু করে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানি ঠেকাতে ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ ভারত সরকারের
ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন থেকে কোনো পেঁয়াজ তাদের দেশের বাইরে রপ্তানি করতে হলে সরকারকে ৪০ শতাংশ শুল্ককর দিতে হবে।  এ কারণে রোববার (২০ আগস্ট) থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সকাল থেকে কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। এদিকে হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ভারত সরকারের শুল্ককর বৃদ্ধিতে দেশে পেঁয়াজের বাজার ঊধ্বগতির আশঙ্কা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জানা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। যা ঘোষণার পর থেকেই কার্যকর হবে। শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সূত্র মতে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রবের যে কোটা চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা অনেকটা কাটবে। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে বাড়তি এ শুল্ক আরোপের পথে হাঁটল প্রতিবেশী দেশটি। ভারতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ, টমেটোসহ বেশি ব্যবহার হয় এমন প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বাড়ছে। গত কয়েক মাসে এসব সবজির দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত জুলাইতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে, যা ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের মাসে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগস্টের বড় সময়জুড়ে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হয়েছে দেশটিতে। সবজি উৎপাদনেও এর প্রভাব পড়ছে। এতে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। অন্যদিকে ভালোমানের পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় এমন কিছু এলাকা জুলাইয়ে বন্যার কারণে রান্নার নিত্য ব্যবহারের এ পণ্য ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।  তারা জানান, অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। তবে নিজেদের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখাই শুল্ক বাড়ানোর কারণ বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।  বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের জানিয়েছেন, সে দেশের নাসিক প্রদশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় এবং সেগুলোর জাতও অনেক ভালো। এবার ওই এলাকায় বন্যা হওয়ায় তাদের পেঁয়াজের উৎপাদনও মজুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক, আব্দুল লতিফ জানান, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা যখন বৃদ্ধি পায় তখন ভারত সরকার শুল্ক আরোপ করাসহ নানা উপায় বের করে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে করে আমদানিকারকরা অনেকটাই বিপাকে পড়ে। এ বিষয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক উজ্জল বিশ্বাস বলেন, হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক করাদি আরোপ করায় আমরা আমদানিকারকরা এই পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এ প্রসঙ্গে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্টবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে যে শুল্ককর বৃদ্ধি করেছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাবে। কারণ এই টাকাটা বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে থেকেই যাবে। যাতে করে বাণিজ্যিক সিন্ডিকেটরা আরও শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে দেই দেশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে পেঁয়াজ আমদানিকে সহজ করা যায় কী করে সে দিকে লক্ষ্য করতে হবে। শনিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হওয়ার পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমদানিকারকদের। তাছাড়া হঠাৎ ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। 
২০ আগস্ট, ২০২৩
X