খাবার খেয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক পোশাক শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় দুই শতাধিক শ্রমিক ফুড পয়জনিংয়ে অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাৎসরিক অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইপিক গার্মেন্টস কারখানার বাৎসরিক অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা জানান, গার্মেন্টসের ভেতরে শ্রমিকদের নিয়ে বাৎসরিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে দুপুরের খাবারের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় কারখানায় দেওয়া রান্না করা খাবার, বিরিয়ানী খেয়ে অনেকে অসুস্থ হতে থাকে। পরে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসক মোকসেদা খাতুন জানান, একটি গামের্টস কারখানায় খাবার খাওয়ার পর নারী, পুরুষ ও শিশুসহ বুমি, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উত্তরায় সহকর্মীর মারধরে পোশাক শ্রমিক নিহত
রাজধানীর উত্তরার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সহকর্মীর মারধরে সজীব (১৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ৪ নম্বর সেক্টর বটতলা এলাকায় এস এ ফ্যাশনের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সজীব ওই কারখানায় হেলপার ছিলেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখান মুন্সি মার্কেট এলাকায় থাকত। সজীবের মা সোলেমা বেগম জানান, সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়, ছেলেকে কারা যেন মারধর করেছে। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে সজীবকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। সহকর্মী মো. সবুজ জানান, সকালে গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে আরেক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে পালিয়ে যায়।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

উত্তরায় সহকর্মীর মারধরে পোশাক শ্রমিক নিহত
রাজধানীর উত্তরার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় সহকর্মীর মারধরের সজীব (১৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর বটতলা এলাকায় এস এ ফ্যাশন নামে এক পোশাক তৈরি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সজীব ওই পোশাক কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখান মুন্সি মার্কেটে এলাকায় থাকতেন। তার বাবা শাহেদ আলী রিকশাচালক এবং মা সোলেমা বেগম অন্যের বাসায় কাজ করেন। সজীবের মা সোলেমা বেগম জানান, সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন দিয়ে তাকে জানানো হয়, কারা যেন তার ছেলে সজীবকে মারধর করেছে। পরে তিনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সজিবের সহকর্মী মো. সবুজ জানান, সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে তাদের এক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে সজীব আচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তার সহকর্মীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দক্ষিণখান থানার ৪ নম্বর সেক্টর থেকে এক পোশাক শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজন ও সহকর্মীরা অভিযোগ করেন মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজীপুরে বাসচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার সালনা এলাকার (বিআরটিসি) সামনে বাসচাপায় আবুল হাসান নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা  ঘটে। নিহত আবুল হাসান (২৭) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় টিএম ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই প্রসেসিং লিমিটেড কারখানায় ওয়েট প্রসেস অপারেটর পদে চাকরি করতেন। বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, দুপুরে খাবার বিরতি শেষে বাইসাইকেলযোগে কারখানায় যাচ্ছিলেন আবুল হাসান। মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী দ্রুতগতির সাদিয়া পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজীপুরে গুলিতে পোশাক শ্রমিক নিহত
টঙ্গী ও সাভার প্রতিনিধি বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে রাসেল হাওলাদার নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসন সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পোশাক শ্রমিক রাসেলের সহকর্মীদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন রাসেল। তবে পুলিশের দাবি, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। অন্যদিকে সাভারের আশুলিয়ায় সড়কে নেমে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন কয়েকটি কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় অনন্ত গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কারখানার ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন দেন। নিহত রাসেল হাওলাদার (২৬) বাসন থানা এলাকার ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেডের ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার খাঘুটিয়া গ্রামের হান্নান হাওলাদারের ছেলে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাসেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো গতকাল সোমবারও গাজীপুরে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে ভোগড়া বাইপাসের আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উত্তেজিত একদল শ্রমিক একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভের মুখে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে রাসেল হাওলাদার আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেলের একাধিক সহকর্মী অভিযোগ করেন, তাদের ছুটি হয়ে গিয়েছিল। দোকানের সামনে থেকে রাসেলকে ধরে নিয়ে হাতে ও বুকে গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ইব্রাহিম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, দুপুর ১টায় তায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাছা থানায় ফোন করে বলা হয়, সেখানে গার্মেন্ট শ্রমিক রাসেল অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি আছেন। পুলিশ সেখানে গেলে চিকিৎসক জানান, তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তাকে টঙ্গী আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এদিকে গতকাল টঙ্গী-আশুলিয়া ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ছয়তলা পর্যন্ত কয়েকটি কারখানার শ্রমিক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েকবার তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও ফের তারা সড়কে নেমে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-১-এর শতাধিক সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কয়েকটি কারখানার শ্রমিক সড়কে নেমে আসেন। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে তুলে দিতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর শ্রমিকরা আবারও ছত্রভঙ্গ হয় যান। পরে সকাল ১০টার দিকে আবারও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন এবং সড়কে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শ্রমিকরাও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি। আশুলিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, সড়কে যেন সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, সেটাই নিশ্চিত করছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক, কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। কারখানায় আগুন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় পাশেই অনন্ত গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল থেকেই দফায় দফায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৫০-৬০ জন যুবক পাশের কারখানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। কারখানাটির নাম এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড। কোনাবাড়ী থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, ওই যুবকরা কারা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শুভ মণ্ডল (১৯) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের ভরত মণ্ডলের ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে সে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। নিহতের ভাই সনৎ কুমার মণ্ডল বলেন, শুভ দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি আসছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমার দুই ভাই শুভ মণ্ডল ও কাজল মণ্ডল মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। শুভ মোটরসাইকেলের পেছনে বাসা ছিলের। মোটরসাইকেলের গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শুভ গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুখলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুভ মারা যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কাজল মণ্ডল। বালিয়াকান্দি থানার জামালপুর ইউনিয়নের বিট পুলিশের এসআই মো. টিটুল হোসেন জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ করেনি।
২২ অক্টোবর, ২০২৩

গাজীপুরে বাসচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় বাসচাপায় মুসা শেখ (২৮) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, মো. মুসা সিরাজগঞ্জ সদর থানার চরখোসা বাড়ি গ্রামের মজিদ মন্ডলের ছেলে। তিনি স্থানীয় এম অ্যান্ড জে জেনেসিস ফ্যাশন্স কারখানার সুইং কোয়ালিটি বিভাগের অডিটর হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে কারখানার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন মুসা। তিনি নাওজোড় এলাকায় পৌঁছে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক পারাপার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুত গতির একটি তাকওয়া পরিবহনের বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়। বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, তাকওয়া পরিবহনের বাসচাপায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X