‘৩১ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।    মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতিতে আরও সমৃদ্ধি আসবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়াটার ওয়েকে আরও বেশি মসৃণ করতে পারলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আরও উপরে উঠে আসবে।  সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারা বড় ধরনের দুর্বলতা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরবর্তীতে ডিপিপি পরিবর্তন করা সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।  নদী খননের ড্রেজ মেটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এ জন্য বরাদ্দ পেয়েছে ১০,১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯,৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের  মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি, মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি প্রকল্প এবং নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্প।
১৯ মার্চ, ২০২৪

আইসিটি বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৯৯.৮৫%
২০২২-২৩ অর্থবছর অর্থছাড়ের ভিত্তিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল গেম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ, ডিজিটাল সিলেট সিটি, বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ই-মেইল, বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম শক্তিশালীকরণ, কানেক্টেড বাংলাদেশ, সিসিএ কার্যালয়ের সিএ মনিটরিং, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২-এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপনসহ অন্যান্য প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। গত অর্থবছর আইসিটি বিভাগের অধীন ২৮ প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ছাড় হয়েছে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ৪০ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫১৬ দশমিক ৫ কোটি টাকা।
০৭ জুলাই, ২০২৩
X