পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ
পাকিস্তানের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দুদিন পরও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল আসেনি। ফল প্রকাশে দীর্ঘ বিলম্বকে অস্বাভাবিক বলেছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি এ বিলম্বের কারণে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। রোববার (১১ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের (হাউস অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স) চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান সদস্য মাইকেল ম্যাককল নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানিদের জনগণের প্রশংসা করেছেন।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি বা দুর্নীতির যেকোনো অভিযোগের অবশ্যই পূর্ণ তদন্ত করতে হবে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।  তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের জনগণের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অধিকারকে সমর্থন করে, যা আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।   এর আগে পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ নোবেলজয়ী বলেন, পাকিস্তানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোটগণনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। আমি বরাবরের মতো আজও বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই ভোটারদের সিদ্ধান্তকে অনুগ্রহের সঙ্গে মেনে নিতে হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ নোবেলজয়ী বলেন, আমি আশা করি আমাদের নির্বাচনী কর্মকর্তারা পাকিস্তানের জনগণের জন্য সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবেন, চাই তারা সরকারি বা বিরোধী দলেরই হোক না কেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন। এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে এখনো অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ইমরান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে পিছিয়ে থাকলেও জোট করে সরকার গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি। দল দুটি নির্বাচনে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের অনুমোদন দিল প্রতিনিধি পরিষদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন তদন্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ২২১-২১২ ভোটে পেয়ে এই তদন্ত অনুমোদিত হয়েছে। খবর রয়টার্সের। মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ৫৩ বছর বয়সী ছেলে হান্টার বাইডেনের বৈদশিক ব্যবসা থেকে অন্যায়ভাবে কোনো সুবিধা নিয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। তবে ডেমোক্র্যাট এই নেতার বিরুদ্ধ এখন পর্যন্ত কোনো অন্যায়ের প্রমাণ খুঁজে পায়নি রিপাবলিকানরা। বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যাখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউস। অবশ্য প্রতিনিধি পরিষদের এই তদন্ত নিয়ে বাইডেনের মাথাব্যথার তেমন কারণ নেই। প্রতিনিধি পরিষদে তিনি অভিশংসিত হলেও মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে খালাস পেয়ে যাবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। কেননা অভিশংসনের মাধ্যমে মার্কিন কোনো প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হতে হয়। আর এই সিনেটের নিয়ন্ত্রণ (৫১-৪৯) রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রতিনিধি পরিষদে এখন পর্যন্ত মোট তিন জন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছেন। অ্যান্ড্রু জনসন (১৮৬৮ সাল) ও বিল ক্লিনটন (১৯৯৮ সাল) ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদের মধ্যে শুধু ট্রাম্প দুবার অভিশংসিত হয়েছেন (২০১৯ ও ২০২১ সাল)। তবে তাদের তিন জনের কেউ সিনেটে দোষী সাব্যস্ত হননি।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
X