অনলাইনে আবেদন করে সার্টিফিকেট তুলতে পারবে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
দেশে প্রথমবারের মতো ই-স্বাক্ষরযুক্ত স্মার্ট সার্টিফিকেট চালু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সার্টিফিকেট তুলতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ই-স্বাক্ষরযুক্ত সার্টিফিকেটের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সেক্টরের মতো আমরা সার্টিফিকেট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করেছি। এখন থেকে ই-স্বাক্ষরযুক্ত স্মার্ট পদ্ধতিটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের সার্টিফিকেট পাবে। কোনো শিক্ষার্থী চাইলে দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনো জায়গা থেকে ভোগান্তি ছাড়া সার্টিফিকেট তুলতে পারবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন ও রিলিফ ভ্যালিডেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
১০ মে, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপণ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ১৩ মার্চ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে, সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপধারা-২ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এর অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হন না কেন, আগামী ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। ঘোষিত প্রজ্ঞাপন শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখ্যান করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানায় শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিয়ে বলেন, সর্বজনীন বলতে আমরা বুঝি সবার জন্য, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের ওপর যে স্কিম চালু করা হচ্ছে এটা খুবই বৈষম্যমূলক। এ প্রজ্ঞাপন অতি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তা ছাড়া তিনি আগামী ১৩ মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এটম বোমার প্রয়োজন হয় না, শুধু শিক্ষকদের সুবিধাবঞ্চিত করাই যথেষ্ট। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে শিক্ষকদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে যার ফলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। মেধাবীরা দেশে থাকুক এটা হয়তো একটা শ্রেণি চাচ্ছে না এবং এদেশে শিক্ষকদের কদর করা হয় না বলেই তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
১০ মে, ২০২৪

নোবিপ্রবিতে সি ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) নোবিপ্রবির বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সি ইউনিটে ১,৪৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১,৩০৪ জন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৮.৪৭ শতাংশ। পরীক্ষা চলাকালীন নোবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম কেন্দ্রসমূহ ঘুরে দেখেন। এ সময় নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পরীক্ষা পরিচালনা ও আসন বিন্যাস উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিয়া ইসলাম জুইনসহ নোবিপ্রবি বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম সাংবাদিকদের বলেন, জিএসটি গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষার আজ শেষ দিন। আগের দুই ইউনিটের ধারাবাহিকতায় আজও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশের মতো নোয়াখালীতেও তীব্র দাবদাহ হ্রাস পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম তথ্য সেবা ও মেডিকেল টিমের সদস্যসহ ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটির সদস্য, নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, নোয়াখালী পৌরসভা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিকসহ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
১০ মে, ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা / ‘সি’ ইউনিটে পাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৩.১৮ শতাংশ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৩৩৮ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সে হিসেবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন ও প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষা খুবই সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ পাবনাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।
১০ মে, ২০২৪

মধ্যরাতে ছাত্র হলে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রলীগ নেত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী মধ্যরাতে ছাত্র হলের গেস্ট রুমে গিয়ে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর নাম সাবিহা সায়মন পুষ্প। তিনি শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, বুধবার (৮ মে) শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প ছাত্রদের আবাসিক হল শাহ পরাণের সামনে যান। পরে সেখান থেকে অন্যান্য নেতাকর্মীর সঙ্গে শাহ পরাণ হলের ভেতরে গেস্ট রুমে গিয়ে কেক কেটে সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। শুভেচ্ছা জানানো শেষে সেখান থেকে তিনি ছাত্রী হলে ফিরে যান। ছাত্র হলে প্রবেশ করতে পারেন কি না এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প জানান, তিনি অপরিচিত কাউকে তার কোনো পারসোনাল তথ্য দিবেন না। মধ্যরাতে ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাহ পরাণ হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ছাত্র হলে প্রবেশের বিষয়টা আমি বেশ পরে জেনেছি। এ বিষয়ে দুই হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হলেও তিনি প্রভোস্টের সহযোগিতায় এখনো হলে থাকেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
০৯ মে, ২০২৪

শাবির স্পোর্টস সাস্ট’র সভাপতি মাসুদ সম্পাদক আইয়ুব
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একমাত্র ক্রীড়াবিষয়ক সংগঠন ‘স্পোর্টস সাস্ট’র ১৯তম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।  নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রসায়ন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আইয়ুব হোসাইনকে  মনোনীত করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে ১৮তম কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং ১৯তম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সদ্যবিদায়ী কমিটির সভাপতি শাইখ হাসান দিপ্ত। এদিন রাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. নাইমুর রহমান, সহসভাপতি রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম ও আবিদ হাসান নাইম, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে জয় চৌধুরী, মো. ফারহান তামিম ভুইয়া, সহসাধারণ সম্পাদক হাসিন আবরার, সাজ্জাদুর রহমান শিহাব, মোস্তাহাসান সিয়াম, তানজিদ রহমান অপুর্ব, ইয়াসিন বাশার, রেদুয়ানুল করিম, স্পোর্টস সাস্ট স্কুল পরিচালক মো. জুবায়ের হোসাইন সালমান, সহ-স্পোর্টস সাস্ট স্কুল পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, রায়হান ফেরদৌস, সাজিদুল সাজিদ, গণসংযোগ সম্পাদক আহমেদ নাইম, সহগণসংযোগ সম্পাদক তানবির শাহরিয়ার, নিবির আহমেদ ও মুহই সারদ। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সাজ্জাদুর রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমাম হোসাইন নয়ন, দুর্জয় বনিক, মো. আব্দুল খালেক জিসান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাকি এ কাউসার, সহ-কোষাধ্যক্ষ, এস এম তৌহিদুর রহমান, শাহরিয়ার মুসতাক মাহি, প্রিয়ব্রত দাস পার্থ, মো. রাজু ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আরিফ জাওয়াদ, সহপ্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসাইন, কাউসার আহমেদ হৃদয়, মুসলিম উদ্দিন, নিয়ামুল হাসান সাজিন, আসিফ আদনান, প্রচার সম্পাদক ইমামুল হোসাইন পিয়াস, সহপ্রচার সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান জয়, মো. ইমরান হোসাইন বাপ্পি, আরিফ সরকার, ইফতেকার সাকিব, আকিফ জামান আলভি, হাসান শাহরিয়ার, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ রহমান শাহিল , সহদপ্তর সম্পাদক এস এম নাঈম, সায়েদ সাইদুল ইসলাম কামরুল, মুবাস্বিরুল ইসলাম বেগ, অনুরাগ সাহা, মো, আব্দুল হাসিব মনোনীত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ‘কম্পিটিশন ফর দ্য কম্পোজিশন অব লাইফ’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে শাবিপ্রবির একমাত্র ক্রীড়াবিষয়ক সংগঠন স্পোর্টস সাস্ট। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
০৬ মে, ২০২৪

এক দিনে পাবিপ্রবিতে দুই আগুন
এক দিনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভিন্ন ভিন্ন দুটি স্থানে আগুন লেগেছে। রোববার (৫ মে) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের এসি থেকে এবং আবাসিক হলে ছাত্রদের ফেলা সিগারেটের আগুন থেকে পানির পাইপে পৃথক এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটান ঘটে। ফার্মেসি বিভাগের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শরিফুল হক নিশ্চিত করেছেন। অন্য ঘটনায় হলের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শরিফুল হক জানান, সকাল ১১টার দিকে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের এসিতে আগুন লাগে। তবে ঘটনার সময় আমি পরীক্ষা সংক্রান্ত মিটিংয়ে থাকায় বিভাগে ছিলাম না। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।  পরে এসে অফিস স্টাফদের কাছে ঘটনা শুনতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ইইই) মো. রিপন আলী জানান, আগুন লাগার ঘটনা শুনে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের লুজ কানেকশন থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ মে, ২০২৪

পাবিপ্রবির আবাসিক হলে সুপেয় পানির সংকট
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছেলেদের একমাত্র আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রায় ৬০০ ছাত্র রয়েছে। তবে এত শিক্ষার্থীর বিপরীতে খাবার পানির জন্য আছে মাত্র দুটি টিউবওয়েল। যার একটি টিউবওয়েল গত দুই সপ্তাহ যাবৎ নষ্ট এবং তীব্র গরমের কারণে অন্যটির পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ অবস্থায় খাবার পানি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য হলে দুটি ব্লকে প্রতি তলায় সুপেয় পানির ফিল্টার লাগানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, হলে দীর্ঘদিন ধরে খাবার পানির জন্য মাত্র একটি টিউবওয়েল ছিল। নতুন হল প্রভোস্ট আসার পর খাবার পানির সংকটের কথা জানালে রমজানের আগে ওই টিউবওয়েলের পাশে নতুন আরেকটি টিউবওয়েল স্থাপন করেন। কিন্তু নতুন ওই টিউবওয়েলে পানি লবণাক্ত ও পানির সঙ্গে ময়লা ওঠাতে শিক্ষার্থীরা খাবার কাজে সেটি ব্যবহার করেননি। তখন টিউবওয়েলের সমস্যার কথা ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে জানানো হলে তারা জানিয়েছিলেন কিছুদিন পানি তুললে এই সমস্যা হবে। কিন্তু ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা ওই টিউবওয়েলটি ব্যবহার করতে গেলে দেখে পানি উঠছে না। অন্যদিকে গরমের কারণে হলের পুরাতন টিউবওয়েলটির পানির স্তর নেমে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের এখন দ্বিগুণ কষ্ট করে ওই টিউবওয়েল থেকে পানি তুলতে হয়। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পুরাতন টিউবওয়েলটি ছাড়া হলের অন্য কোথাও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নাই। ডাইনিংয়ে যে পানি খাওয়ানো হয় সেটি আসে হলের ট্যাংকি থেকে। ট্যাংকির পানি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাবমারসিবল লাইন থেকে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে পানির লাইন ও ট্যাংকিগুলো পরিষ্কার করা হয় না। এতে করে এই পানি পান করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। ডাইনিংয়ের পানি পান করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় পেটের অসুখের খবর শোনা গেছে। তাদের দাবি, খাবার পানির ভোগান্তি কমানোর জন্য ডাইনিংসহ হলের দুই ব্লকের প্রতি তলায় তলায় বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার বসানো হলে ভোগান্তি কমবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা যেমন নিরাপদ পানি পাবে তেমনি তাদের শ্রম ও সময় বাঁচবে। নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত হাসান মিলন বলেন, ‘প্রতিদিন খাবার পানি আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়। বেশির ভাগ সময়েই পানির জন্য লাইন ধরতে হয়। পাঁচ তলা থেকে পানি নেওয়ার জন্য ওঠানামা কষ্টের কাজ। আবার টিউবওয়েল মাঝে মাঝে নষ্ট হয়ে যায়। যদি প্রতি তলায় তলায় ফিল্টার বসানো হয় তাহলে আমাদের কষ্ট কমে যাবে।’ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন, ‘হলে পুরাতন টিউবওয়েলটিই বিশুদ্ধ পানির উৎস। এটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াতে এখন আমরা ভোগান্তিতে আছি। নতুন টিউবওয়েলটি বসানোর পর সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় আমাদের জন্য নিরাপদ খাবার পানি ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম মিরু কালবেলাকে বলেন, ‘আমি আসার পরপরই নতুন একটি টিউবওয়েল বসিয়েছি। কোনো কারণে সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরকে অতি দ্রুত পানির সমস্যা সমাধান করতে বলেছি, সমস্যার সমাধান না হলে আমরা বিকল্প কিছু চিন্তা করব।’ ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ফরিদ আহমেদ বলেন, টিউবওয়েলের সমস্যার কথা আমি আজকে জেনেছি। আমরা এটি মেরামত করার ব্যবস্থা করব। আর নিরাপদ পানির জন্য হলে আমরা পানির ফিল্টার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই নিরাপদ পানির সমস্যার সমাধান হবে।’
০৪ মে, ২০২৪

নিয়োগ-পদোন্নতিতে রুয়েট কর্মকর্তার ভয়াবহ জালিয়াতি
ক্ষমতার দাপট ও তৎকালীন প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবের চাপে ফেলে নিয়োগের শর্ত শিথিল করে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ২০১১ সালের ৩০ মে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরিতে প্রবেশ। অনুমোদনহীন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদের (সহকারী রেজিস্ট্রার) বিপরীতে নিয়োগ পেয়ে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘অবৈধভাবে’ দীর্ঘ ১৩ বছরের চাকরি জীবনে সেই মুফতি মাহমুদ রনি এখন রুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের ‘গায়েবি ‍সৃষ্ট’ অতিরিক্ত পরিচালক পদে কর্মরত। তবে এই পদে তিনি এমনিতেই আসেননি। এই অতিরিক্ত পরিচালক পদে আসতেও তাকে ধাপে ধাপে আশ্রয় নিতে হয়েছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, প্রতারণা আর জালিয়াতির। রুয়েটের ‘প্রভাবশালী’ এই কর্মকর্তার নিয়োগসহ পদোন্নতির প্রতিটি পদে পদে ভয়াবহ জালিয়াতি এবং একাডেমিক বিভিন্ন সনদপত্র, থিসিস জালিয়াতি নিতে নানা ‘কুটকৌশল’ কালবেলার দীর্ঘ অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে সহকারী রেজিস্ট্রার (সপ্তম গ্রেড) পদের জন্য ২৬ অক্টোবর আবেদন করেন রনি। রুয়েটের চাকরির নীতিমালায় এই পদের ন্যূনতম যোগ্যতা সরকারি/আধাসরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক/একাডেমিক/পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তিনি সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরিতে প্রবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপে ফেলে ওই সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত শিথিল করে যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে (সরকারি/আধাসরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত উল্লেখ ছিল না) প্রশাসনিক কাজে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করিয়ে চাকরিতে আবেদন করেন। এই সুযোগে তিনি চাকরির আবেদন ফরমে ‘এস.এম. এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের (বেসরকারি) লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে ৬ বছর ৫ মাস ১১ দিনের (২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই) অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেন। অথচ বিধিমালা অনুযায়ী, এস.এম. এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড একটি ঠিকাদারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ওই পদে চাকরির জন্য রনির আবেদন করার যোগ্যতাই ছিল না। কিন্তু তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ‘লিয়াজোঁ’ ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে অবৈধভাবে তিনি বাগিয়ে নিয়েছেন সপ্তম গ্রেডের এই চাকরি। শুধু তাই নয়; ৬ বছর ৫ মাস ১১ দিনের ‘লিয়াজোঁ অফিসার’ পদে যে সনদ দেখিয়ে তিনি সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরিতে ঢুকেছেন ওই সময়ের মধ্যে তার (রনি) আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানে (আর.এম সলিউশন, আব্দুর রহিম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস এবং রেডিয়েন্ট পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং) কাজ করার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। অবৈধভাবে চাকরি নিয়েই থেমে থাকেননি রুয়েটের এই ‘অবৈধ’ কর্মকর্তা। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে তিনি উপ-পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) পদে আবেদন করেন।  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও রুয়েটের চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী, এই পদে ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল গবেষণা সম্প্রসারণ/ প্রশাসনিক কাজে সরকারি/ আধাসরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। এর মধ্যে সহকারী পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) বা সমমানের পদে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। অথচ এই পদের জন্য আবেদনপত্রে তিনি সরকারি/ আধাসরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুয়েটে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরিরত ৪ বছর ৮ মাসের (৫ বছর হয়নি) অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। আর এই পদে নিয়োগের জন্য সরকারি/ আধাসরকারি/ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণে তিনি আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতিত দ্বিতীয় নিয়োগপ্রাপ্তিতেও কথিত সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের (এস.এম. এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড) ভুয়া সনদটিই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৮০তম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি উপ-পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) পদে ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগ পান। এখানেই থেমে থাকেনি ‘অবৈধ’ এই কর্মকর্তার অনৈতিক পদোন্নতির লালসা। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষতি এক চিঠিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে চতুর্থ গ্রেডভুক্ত পদ হিসেবে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/সমমানের পদ সৃষ্টি প্রসঙ্গে একটি চিঠি ইস্যু হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থ ও হিসাব এবং লাইব্রেরি- এই চার দপ্তরে চতুর্থ গ্রেডভুক্ত পদ থাকবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় বেতনস্কেল-২০১৫-তে বর্ণিত গ্রেড-৪ এর পূর্ণ বেতন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম চাকরির যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোনোক্রমেই শিলিথযোগ্য নয়। এ ছাড়া চতুর্থ গ্রেডভুক্ত উল্লেখিত পদে জনবল সর্বদা উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে; পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন/পর্যায়োন্নয়ন দেওয়া যাবে না। কিন্তু এই কর্মকর্তা প্রশাসনকে জিম্মি করে বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর চতুর্থ গ্রেডভুক্ত অতিরিক্ত পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) পদে আপগ্রেডেশন/পর্যায়োন্নয়ন পান। এ ছাড়া চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী, এই পদের জন্য সরকারি/আধাসরকারি কিংবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে ১৩ বছরের অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও মাত্র ১০ বছরের অভিজ্ঞাতেই তিনি অতিরিক্ত পরিচালক বনে যান। শুধু তাই নয়; রুয়েটের অর্গানোগ্রামে গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরে অতিরিক্ত পরিচালকের কোনো পদের অস্তিত্ব নেই। অথচ তিনি আবারও তৎকালীন প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ‘অস্তিত্ববিহীন’ এই পদেই বর্তমানে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এত গেল রুয়েটের এই কর্মকর্তার চাকরিপ্রাপ্তি ও পদোন্নতির অনিয়ম-জালিয়াতির খতিয়ান। নিজের একাডেমিক কাজেও তিনি আশ্রয় নিয়েছেন নানা অনিয়ম-জালিয়াতির। ২০১১ সালে রনি যখন সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চাকরিতে প্রবেশ করেন তখন তার চাকরির আবেদনে রুয়েটে এম.এসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেননি। অথচ চাকরি পাওয়ার পর তিনি ২০১১ সালের ১২ জুলাই এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন। রুয়েটে চাকরিরত অবস্থায় এমএসসি কোর্স সম্পন্নের জন্য আবেদন করলেও একই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে (রুয়েটে এম.এসসি ও রাবিতে এমবিএ) অধ্যয়নরত থাকায় রাবিতে এমবিএ কোর্স করার বিষয়টি গোপন রাখেন রনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত না করেই শেষাবধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ পরীক্ষার সনদপত্র পেয়ে যান তিনি। এমবিএ করার বিষয়টি গোপন রাখলেও শেষ পর্যন্ত এমবিএ’র সদনপত্র চাকরির ব্যক্তিগত নথিতে নথিভুক্ত করতে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন ভিসি বরাবর তিনি আবেদন করেন। এভাবে রনি একদিকে রুয়েটের চাকরির বিধি ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত না করেই অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন; অপরদিকে চাকরিরত অবস্থায় একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকায় তিনি শিক্ষা সনদের বিধিও চরমভাবে লঙ্ঘন করেন। এতেই থেমে থাকেনি রনি। এই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির (রোল: ০৮০৪২০২০০১) অংশ হিসেবে যে থিসিস করেছেন সেখানেও করেছেন ভয়াবহ জালিয়াতি। তিনি ০৭২০৯৯ রোল নম্বরধারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও ০৭২০৬২ রোল নম্বরধারী কামরুন নাহার নামের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের দুই শিক্ষার্থীর যৌথ থিসিস পেপার নকল করে নিজের পেপারস জমা দিয়েছেন বলেও বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জালিয়াতির বিষয়ে অভিযুক্ত রুয়েট কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ রনি কালবেলাকে বলেন, ‘নিয়োগের সকল শর্ত পূরণ করেই ২০১১ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে প্রশাসন আমাকে চাকরি দেয়। পরবর্তী নিয়োগ (উপ-পরিচালক) ও পদোন্নতিও ( অতিরিক্ত পরিচালক) নিয়োগের শর্ত, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে দিয়েছে। আমার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন নিয়োগ ও পদোন্নতি দিল? চাকরিরত অবস্থায় একইসঙ্গে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অধ্যয়নরত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রুয়েটে এমএসসি করার জন্য অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু রাবিতে এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্স করেছি। কিন্তু সেখানে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’ থিসিস জালিয়াতির বিষয়ে মুফতি মাহমুদ রনি বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষার্থী বিএসসির থিসিস করেছে। আর আমি করেছি এমএসসির থিসিস। কিন্তু আমাদের একই শিক্ষক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। থিসিস করার সময় তাদেরকে আমার সঙ্গে কাজ করতে বলে। সঙ্গত কারণে থিসিসের কিছু বিষয় একই ছিল। এটি কোনো জালিয়াতি বা কপি করার ঘটনা নয়।’ জানতে চাইলে রুয়েটের তৎকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. সিরাজুল করিম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘আজ থেকে ১৩ বছর আগের কথা। ওই সময় নিয়োগে কী শর্ত চাওয়া হয়েছিল সেগুলো তো মনে নেই। আমি ভিসি ছিলাম। এ ছাড়া নিয়োগ বোর্ডের ৬-৮ সদস্য ছিল। চাকরি প্রার্থীকে পরীক্ষা-ভাইভা ফেস করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট ছিল কি না, আমি মনে করতে পারছি না। অফিসের ফাইল ও রেকর্ডপত্র দেখলে বোঝা যাবে আসলে কী হয়েছে না হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগে চাপ তো ছিলই, স্থানীয় নেতারা নিয়োগের সময় অনবরত ফোন করতেই থাকে। এটি সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।’   ২০১৬ এই কর্মকর্তা যখন উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পান তখন রুয়েটের রেজিস্ট্রার ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। কীভাবে যোগ্যতা ছাড়াই এই পদে চাকরি পেলেন তা জানতে তিনি বলেন, ‘আসলে অনেক আগের বিষয়। ফাইল না দেখে তো বলতে পারব না।’ বিস্তারিত জানতে তিনি বর্তমান রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। যখন তিনি অতিরিক্ত পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) পদে নিয়োগ পান তখন রুয়েটের ভিসি ও রেজিস্ট্রার ছিলেন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ ও অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। যোগ্যতা না থাকা এবং রুয়েটের অর্গানোগ্রামে এই পদের কোনো অস্তিত্ব না থাকার পরও তিনি কীভাবে উক্ত পদে নিয়োগ পেলেন তা জানতে ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। রুয়েটের বর্তমান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘তৎকালীন প্রশাসন তাকে কোন ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে চাকরি দিয়েছেন তা আমার জানার কথা নয়। ফাইল দেখতে হবে। আর ফাইলপত্র ঘেটে দেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই কর্মকর্তা জালিয়াতি করেই থাকে তাহলে সেই বিষয়ে সিন্ডিকেট কিংবা ফাইলে নোট দিতে হবে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘চাকরিরত অবস্থায় অন্য কোথাও অধ্যয়নরত থাকলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আর যদি সে থিসিস জালিয়াতি করে থাকেন তাহলে সে ফৌজদারি অপরাধ করেছে।’ রেজিস্ট্রার আরও বলেন, ‘কারও থিসিসের সঙ্গে যদি ৩০ শতাংশের মিল পাওয়া যায় তাহলে সেটি অপরাধ এবং বাতিলযোগ্য।’
০৪ মে, ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে পাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৪.২১ শতাংশ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ।   শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  যেখানে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার ৮৪০ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সে হিসেবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৪.২১ শতাংশ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষা খুবই সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ পাবনাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন ও প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন,শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক'সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ’বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।   প্রসঙ্গত, আগামী  শুক্রবার (১০ মে) ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এরই মধ্যে দিয়ে এ বছরের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরিক্ষা শেষ হবে।
০৩ মে, ২০২৪
X