সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
মাছের প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামীকাল সোমবার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। রোববার (১৯ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে গত ২৪ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে বলেও এতে জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙর স্থলে আবদ্ধ রাখা হবে। এতে জানানো হয়, মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌপুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে ও বেতারে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ৩টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

তিন মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব নিয়োগ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নতুন তিন সচিবকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদায় নিযুক্ত বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মোহা. বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে নতুন বাণিজ্যসচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আর সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিদায়ী সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
১৭ মে, ২০২৪

৬০০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চ থেকে ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিম বিক্রি করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা এবং প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হবে। সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে খাদ্য ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রশাসকদের অধিবেশন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান তিনি। তিনি বলেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। এ ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, প্রথমে ঢাকা শহরের ৩০টি স্পটে পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। এটা হলো আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে। এটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। ঢাকার বাইরে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রমুখ।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X