জানা গেল প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার (৬ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে আগামী ২২ মার্চের পরিবর্তে ২৯ মার্চ সকাল ১০ থেকে অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগওয়ারি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। আর দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ৬৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী।
০৬ মার্চ, ২০২৪

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ২০,৬৪৭ (বিশ হাজার ছয়শ সাতচল্লিশ) জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।  মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। চলতি (ফেব্রুয়ারি) মাসের ২ তারিখে ৩ বিভাগের ২২ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২০ মার্চ ২০২৩ এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নওগাঁয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
নওগাঁর বদলগাছীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়। এতে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, বিষয়ভিত্তিক কুইজ ও কাবিং প্রতিযোগিতা হয়। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কনা মণ্ডল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে  প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বলগাছী) আসনের এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম খাঁন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু খালেদ বুলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইমামুল আল হাসান তিতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবেল প্রমুখ।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিকে পিছিয়ে পড়ছে নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা
প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা গুণগত প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং গুণগত প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে বা ঝরে পড়ছে। দরিদ্রপ্রবণ প্রান্তিক অঞ্চলে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে আরও বিশেষ সহায়তা থাকার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। তাই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও পলিসি বাস্তবায়নকারীদের প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও দুর্গম চর এলাকার শিশুদের গুণগত শিক্ষা বিষয়ে দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। কর্মশালার আয়োজন করে জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা শাপলা নীড়। সহযোগিতায় ছিল গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও পাপড়ি। কর্মশালায় শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমোকো উচিয়ামা, ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  সভায় প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া ও নিজস্ব কমিউনিটির শিক্ষক না থাকার বিষয়গুলো বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আলোকপাত করা হয়। এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে সফলতা পেতে হলে প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও দুর্গম চরাঞ্চলের শিশুদের পেছনে রাখার সুযোগ নেই এবং শিক্ষা অধিকারে সম সুযোগ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সুযোগ দিতে হবে বলে সভায় আলোচনা করা হয়।  কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর বিশেষ করে সাঁওতাল, তুরি, মুশোহর নৃগোষ্ঠী এবং নরসিংদীর প্রান্তিক চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।  এতে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়- প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর বিশেষ করে সাঁওতাল, তুরি, মুশোহর নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য দিনাজপুর সদর উপজেলার ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০০ শিশুর জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ নেই। শুধু ওঁরাও শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় বইয়ের ব্যবস্থা থাকলেও কোনো আদিবাসী শিক্ষক নেই। এ ছাড়া, বর্তমানে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠদানের কারণে চাকরির জন্য বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন হবে। এদিক দিয়ে আদিবাসীরা অনেক পিছিয়ে। দ্বিতীয় প্রধান ভাষা হিসেবে তারা বাংলা পড়লেও এটি তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। পড়া বুঝে নিতে তাদের কষ্ট হয়। কিন্তু এসব জায়গায় শিক্ষকের সংকট রয়েছে। আবার বাঙালি শিক্ষকের সব পড়া তারা বুঝে না, নিজেদের ভাষা রপ্ত করার জন্য আদিবাসী কোনো শিক্ষকও নেই। যে কারণে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিও হারানোর পথে।  পাপড়ির পক্ষ থেকে বলা হয়, নরসিংদীর প্রান্তিক চরাঞ্চলে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষক রয়েছেন। তাই নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ২ হাজার ৫৯৩ জন শিশু। শিক্ষক স্বল্পতা পূরণে চর এলাকার যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন তাদের এখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়ে আসা যায়। আবার করোনাও একটি বড় ক্ষতি করেছে। এসব এলাকার বাবা-মায়ের অসচেতনতাও শিশুদের ড্রপ আউটের অন্যতম কারণ। এই এলাকার বিশেষ করে রায়পুরার মানুষ হানাহানিতে অভ্যস্ত হওয়ায় বাচ্চারা স্কুলে কম যায়।   সহায়ক সংস্থা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও পাপড়ির সহায়তায় শাপলা নীড় বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর শিশু ও নরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চাঁনপুর চরাঞ্চলের প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষা অধিকার বিষয়ে, অধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই ইস্যুতে বিভিন্ন অংশীজনদের যৌথ প্রয়াসে সমন্বিত শিক্ষা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রকল্পটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিকে দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন জেলাসমূহ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর ২য় গ্রুপের আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নিজ নিজ জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। প্রার্থীদের মোবাইলে ০১৫৫২-১৪৬-০৫৬ নম্বর হতে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হবে। আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে প্রার্থীরা admit.dpe.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। প্রার্থীকে অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন কপি সংগ্রহ করতে হবে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থী। এর আগে, গত বছর ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৯ জন এবং পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ৫৩৫টি। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। 
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিভাগীয় পদে আবেদনের শর্ত নিয়ে রুল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলার ২০ জন শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩-এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত নির্ধারণ কেন অবৈধ হবে না এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে বয়সসীমা শিথিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন পদে পিটিশনার এবং অন্যান্য শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, চেয়ারম্যান, বিপিএসসি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ছয়জনকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিটকারীদের দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ ১৬ হাজার শিক্ষকের পক্ষে আদালতে এ রিট করেন বিভিন্ন জেলার ২০ শিক্ষক। আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রিটকারীরা দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩ প্রণয়ন করেন, যেখানে প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি এবং সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদনের সুযোগ রাখা হলেও সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ (দশ) বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেখান পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক ২ (দুই) বছর চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদন করতে পারতেন এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও রাজস্ব খাতে সৃষ্ট পদে অন্যূন ২ (দুই) বছর স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে চাকরিরত থাকার পর বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রিটকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন দাখিল করলেও বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিটকারীরা এ রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ প্রদান করেছেন।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় পর্বের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই ধাপে পরীক্ষায় অংশ নেবেন ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) পরিচালক মনীষ চাকমা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগির আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।’ এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট) ১৮ জেলায় একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সুনামগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের চোখে দেখেন না। দাপ্তরিক থেকে ব্যক্তিগত সব কাজই করেন অন্যের সাহায্য নিয়ে।  সম্প্রতি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলার শিক্ষকরা দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষকরা জানান, নিজের সীমাবদ্ধতাকে পুঁজি করে অনুসারী শিক্ষকদের নিয়ে নানা দুর্নীতি আর অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল খায়ের। দৃষ্টিশক্তি না থাকায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারেন না অনেকেই। দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের কারণে কার্যালয়ে কর্মরত দুথজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে। বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনের কাজে তার সঙ্গে থাকেন শান্তিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল। সব পরিদর্শন প্রতিবেদনও তৈরি করেন প্রধান শিক্ষক তৈফুল। এ ছাড়াও সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে তিনি সব কাজ করেন নির্দিষ্ট কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে। শিক্ষকরা জানান, দৃষ্টিশক্তি না থাকায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কাজে তার সঙ্গে থাকেন প্রধান শিক্ষক তৈফুল। পরিদর্শন প্রতিবেদনও তৈরি করেন তিনি। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের কাজ বাদ দিয়ে অন্য বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন এবং প্রতিবেদন তৈরির বিষয়টি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। শুধু তাই নয় বিদ্যালয় পরিদর্শন খাতার লেখাও ওই প্রধান শিক্ষকের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩৪টি বিদ্যালয়ের বাস্তবায়িত বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থেকে ২ হাজার, ৮৮টি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত রুটিন মেইনটেন্যান্স পরিকল্পনা থেকে ২ হাজার, ৯টি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্র মেরামত থেকে ৪ হাজার করে টাকা নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। নিজে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এবং অনেক জায়গায় তার অনুগত শিক্ষকদের মাধ্যমে এ টাকা আদায় করেছেন। উজান তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মইনুল হক জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের উৎকোচের টাকার জন্য তার বিদ্যালয়ের বরাদ্দ আটকে রাখেন। পরে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে বিলে স্বাক্ষর করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর বড়দল ইউনিয়নের একজন নারী প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের নামে আসা বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়েছে। অথচ চাপের মুখে শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে ২ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।  ফয়েজ আহমদ শাহিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৯ নভেম্বর বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল। বিদ্যালয়ের পরিদর্শন খাতায় এক পৃষ্ঠার বেশি একটি মন্তব্য লিখেছিলেন তৈফুল।  এ ব্যাপারে শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুসেন আহমদ তৈফুল জানান, পরিদর্শনের সময় সবার সঙ্গে আলোচনা করেই খাতায় লেখা হয়। তবে সবসময় তিনি এসব লেখেন না। অন্যরা লিখে থাকেন। তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চোখে না দেখতে পারায় প্রাথমিক শিক্ষায় সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ছাড়া একজন শিক্ষকের নিজের কাজ ফেলে অন্য স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই আপত্তিকর। এদিকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের ও বিল আটকে রেখে এবং মেরামতের টাকা ছাড় দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।’ তবে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি ওই কর্মকর্তা।
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

প্রাথমিক শিক্ষকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিল অধিদপ্তর
প্রাথমিক শিক্ষকদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে এসে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কথাবার্তা বলছেন। অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন না প্রাইমারি শিক্ষকরা।  শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে জানিয়ে বলা হয়, এ নির্দেশনা মনিটরিং করতে দেশের সব আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত অক্টোবর মাসের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনো প্রকার রাজনীতিতে সংযুক্ত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

ভাঙ্গুড়ায় স্মার্ট প্রাথমিক শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট প্রাথমিক মেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হোসেন আলী অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও নাহিদ হাসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. বাকী বিল্লাহ, এসিল্যান্ড তামীয়া আক্তার রোজি, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ রঞ্জু, ভাঙ্গুড়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমানো আক্তার রেমি। সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
০১ অক্টোবর, ২০২৩
X