ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন পরিবেশমন্ত্রীর
দেশের প্রতিটি পরিবারকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সরকার সহায়তা করছে মন্তব্য করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তরুণদের স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এটি ভূমিকা রাখছে। সরকারের এ কর্মসূচি সফল করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সবুজবাগ বৌদ্ধ মন্দির অডিটোরিয়ামে ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার তরুণ-তরুণীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় প্রথমে ঢাকা-৯ নির্বাচনী এলাকার তিন থানার ৭৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সফলভাবে সমাপ্তকারীদের ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। তবে ল্যাপটপ গ্রহণকারীদের ১০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, পরে পর্যায়ক্রমে ১ হাজার তরুণকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সাবের বলেন, ঢাকা-৯ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কেও এক নম্বর মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস, নকরেক আইটির সিইও ও ফ্রিল্যান্সার সুবীর নকরেক প্রমুখ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে প্রতারণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আসে—ফ্রিতে শেখানো হবে ফ্রিল্যান্সিং। শেখার পর দিনে আয় করা যাবে ১০ থেকে ৪০ ডলার। ফ্রিতে প্রশিক্ষণটি হবে অনলাইনে। আর প্রতি ব্যাচে থাকবে ৩০০ জন। প্রশিক্ষণ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই জানানো হয়—উপার্জনের জন্য লাগবে প্রিমিয়াম সফটওয়্যার। রাশিয়ান এই সফটওয়্যারের জন্য জনপ্রতি দিতে হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা। পেমেন্ট হবে বিকাশে। টাকা নেওয়ার পর প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়া হয় ফ্রি কিছু সফটওয়্যার। যেগুলো ব্যবহার করে আয় তো হয়ই না, উল্টো সফওয়্যার আপডেটের জন্য কেটে নেওয়া হয় টাকা। হাজারো প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপস্পট একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তারা হলো শামীম আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম, মাহিদুল হক মাহাদী, আশরাফুল ইসলাম, এহসান মাশফী ও রনি সরদার। তাদের কাছ থেকে ছয়টি এসএসডি কার্ড, চারটি হার্ডডিস্ক, চারটি ট্যাব ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। এটিইউর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ওয়াহিদা পারভীন জানান, দুই বছরে আপস্পট একাডেমি সিপিএ মার্কেটিংয়ের ওপর এভাবে ১৫৬ ব্যাচের ট্রেনিং করিয়েছে, যার প্রতিটিতে প্রায় ৩০০ জন করে অংশগ্রহণকারী ছিল। প্রতারণামূলকভাবে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করলেও প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ থেকে কিছুই আয় করতে পারেনি। এ ছাড়া প্রিমিয়াম টুলস দেওয়ার নামে ২ হাজার ৫০০ টাকার অফারের মাঝে কেউ প্রথমে পুরো টাকা না দিয়ে আংশিক পেমেন্ট করলে তাকে অনলাইন ক্লাস থেকে ব্লক করে দেওয়া হয় এবং সেই প্রদত্ত টাকা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আর ফেরত দেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমেও তারা হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কী পরিমাণ টাকা আপস্পট একাডেমি হাতিয়ে নিয়েছে, তা তদন্তাধীন।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

অসীম সম্ভাবনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আমাদের জনশক্তি
প্রচলিত ক্যারিয়ারের জন্য অপেক্ষা না করে দেশের তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে নিচ্ছে। এ খবর নতুন কিছু নয়। কমবেশি সব নিউজ আউটলেট অনেকটা রুটিন করে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা ফ্রিল্যান্সিং সফলতার গল্পগুলো তুলে ধরছে প্রতি সপ্তাহে। যে স্বপ্ন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা ভাবা হয়েছিল, তার সবচেয়ে বড় সুফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আমাদের ফ্রিল্যান্সিং রেভল্যুশন। এখন প্রশ্ন হলো, আপাতভাবে সীমাহীন এ সম্ভাবনার ঠিক কতটুকু আমরা ধরতে পেরেছি? ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় হলেও উপার্জনের দিক থেকে আমরা বেশ পিছিয়ে। তবে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এ দৃশ্যপট বদলে দিতে পারি। প্রথমত, দেশের যে কোনো ক্লাসরুমে ঢুকে প্রথম সারির ছাত্রছাত্রীদের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় যে, তাদের টপ ক্যারিয়ার চয়েস কী, তাহলে উত্তর হিসেবে পাওয়া যাবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি বা করপোরেট জব। ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ সবার তলানিতে। এই প্রথা আমাদের পরিবর্তন করতেই হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো হাই-ডিমান্ড ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের জায়গা দখল করতে হলে দেশের সবচেয়ে ট্যালেন্টেড জনশক্তিকে এখানে যুক্ত করতে হবে। বিনিময়ে আমাদের দেশের চাকরির বাজার থেকে যেমন চাপ কমে আসবে তেমনি তুলনামূলকভাবে একজন ফ্রিল্যান্সারের আয় দেশে কর্মরত ব্যক্তির চেয়ে বহুগুণ বেশি। তা ছাড়া একজন সফল ফ্রিল্যান্সার অচিরেই নিজের টিম তৈরি করে আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি করার সক্ষমতা রাখে। এজন্য ফ্রিল্যান্সিংকে যে একটি স্থায়ী ও মানসম্পন্ন ক্যারিয়ার সেটি সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংকে একটি প্রথম সারির ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার এরই মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সরকার পরিচিতি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেই কার্ড ইকোসিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং, লোন, ক্রেডিট কার্ডসহ যেসব সুবিধা ফ্রিল্যান্সাররা একসময় উপার্জনের প্রমাণের অভাবে পেত না সেগুলো এখন সহজলভ্য হয়ে গেছে। পুরোপুরি না হলেও সামাজিকভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সফলতার গল্পগুলো আরও ভালোভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে এ সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন আরও দ্রুত করা সম্ভব। দ্বিতীয়ত, মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে কম খরচে কাজ করে দেওয়ার যে লজ্জাজনক পরিচিতি আমরা পেয়ে গেছি, সেখান থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। আন্ডার বিডিং করে কাজ পাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আমাদের কাজের কোয়ালিটি দিয়ে ক্লায়েন্ট পেতে মনোযোগ দিতে হবে। কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে সহজ ও লো-টেক স্কিলের পরিবর্তে সফিস্টিকেটেড ও ইমার্জিং স্কিলগুলোতে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এমনও দেখা গেছে যে, একজন ফ্রিল্যান্সার শুরুতে ৩ ডলারে কাজ করার জন্য কোনো ক্লায়েন্টের সঙ্গে চুক্তি করেছেন অথচ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ৩ ডলার রেট পরিবর্তন করার সাহস করে উঠতে পারেন না। আবার অনেকে কোনো একটা স্কিল শিখে সেটা ব্যবহার করে সফলতার মুখ দেখলে নতুন কিছু শিখতে চান না। কিন্তু টেক রিলেটেড স্কিলগুলো এত দ্রুত পরিবর্তন হয় যে, আপনি নতুন নতুন অ্যাডভান্স স্কিল আয়ত্ত না করতে পারলে একসময় আর কাজ পাবেন না। তাই নিজের প্রয়োজনেই নিজের স্কিলসেট সবসময় আপডেট রাখা লাগবে। তৃতীয়ত, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের প্রতি মানুষের আগ্রহ যে হারে বাড়ছে, ঠিক তেমনি এটাকে ঘিরে সমান গতিতে বাড়ছে প্রতারণা। রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পনজি স্কিমকে ফ্রিল্যান্সিং বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। পাশাপাশি নিম্নমানের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অফার করে বাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। নিজে ফ্রিল্যান্সিং করে ১ ডলার উপার্জন না করা ব্যক্তি হাজার জনকে ট্রেনিং দিচ্ছেন কীভাবে অনলাইনে আয় করা যায়। এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে আমরা যারা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করছি তাদের। ফ্রিল্যান্সিং কী ও এই সেক্টর সফল হতে হলে কতটা পরিশ্রম করে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়, সেই বাস্তবতা সবার সমানে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই। মানসম্পন্ন ট্রেনিং নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারের নিবন্ধন ও তাদের ট্রেনিংয়ের মান অনুসারে বাৎসরিক গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এটা ভালো ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে যেমন উৎসাহ জোগাবে তেমনি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সঠিক ট্রেনিং সেন্টার বাছাই করা সহজতর হবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকেন্দ্রিক প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে আরও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ থাকলেও ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক সফলতা ও সম্ভাবনা অনেক বেশি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে কর্মসংস্থান হবে স্মার্ট। সেই স্মার্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ফ্রিল্যান্সিং অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে আরও বেশি বেশি করে আইডিয়া ও স্কিল শেয়ার করি। এ সেক্টরের সম্ভাবনার কথা সবার সামনে তুলে ধরি। একা একা কাজ না করে নিজের টিম গড়ে তোলার চেষ্টা করি। বিলুপ্তির পথে ধাবমান স্কিলগুলোকে আঁকড়ে ধরে না থেকে আগামীর হাইটেক স্কিলগুলোর পেছনে ছুটি। কারণ অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর ১ নম্বর ফ্রিল্যান্সিং জনশক্তির দেশে পরিণত হওয়ার টার্গেট কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়। লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি
১৭ অক্টোবর, ২০২৩

আইটি ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে কোনো উৎসে কর কাটা যাবে না
বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে কোনো উৎসে কর কাটতে পারবে না। রোববার (১ অক্টোবর) এক সার্কুলারে এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ কর্তৃক ২৭/০৯/২০২৩ তারিখে জারিকৃত এফই সার্কুলার লেটার নং-১৪ স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে জানানো যাচ্ছে, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১২৪ ধারা-এর (২) (আ) এবং ষষ্ঠ তপশিলের অংশ ১-এর দফা ২১ অনুযায়ী আইটি ফ্রি ল্যান্সিং খাত থেকে কোনো উৎসে কর কর্তন করা যাবে না। গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকেও বলা হয় ফ্রিল্যান্সারদের বিদেশি আয় বা রেমিট্যান্সের বিপরীতে কোনো উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য নয়। এর আগে, গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে জারি করা সার্কুলারে আয়কর আইন অনুযায়ী, সেবা চার্জ বা রেভিনিউ শেয়ারিং থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়। ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের কথা বলা হয়নি। এখানে সেবা খাত বলতে বিদেশি পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশের শিপিং লাইন থেকে অর্জিত আয় ও ইনডেন্টিং ব্যবসার আয়কে বোঝানো হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সের ওপর কর আরোপ করা হয়নি। 
০২ অক্টোবর, ২০২৩

গাজীপুরে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের উদ্বোধন
শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ও ২০০ জনকে চাকরি দিতে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে ১৮টি জেলায় ফ্রি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে আমরা ৬ লাখ ফ্রি ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। যারা ৫০০ মিলিয়ন বিদেশি ডলার উপার্জন করেছে। ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য আমরা নতুন প্রজেক্ট নিয়েছি। ভবিষ্যতে সারা দেশে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আজকের জব ফেয়ারে ২০০ জনকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওয়াহিদ হোসেন। পরে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে ফ্রি ল্যান্সারদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। চাকরি মেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। আয়োজকরা জানান, মেলায় ২ হাজার জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেছেন, যেখান থেকে বাছাই করে ২০০ জনকে চাকরি দেওয়া হবে।
২৮ জুলাই, ২০২৩
X