যে কারণে স্মরণীয় থাকবে ২০২৪ বইমেলা 
মেলা মানেই বাঙালির জন্য উৎসব। সেটা হোক বইমেলা কিংবা বাণিজ্য মেলা। সেজেগুজে মেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পুরোটাই ঘোরা চাই সতীর্থের হাত ধরে। বই কেনা হোক বা না হোক, মেলার স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে ভোলেন না আগন্তুকরা। বইমেলায় চোখে পড়ে স্থিরচিত্র ধারণের এমন অনেক দৃশ্য। এতে মেলার সৌন্দর্য বাড়ে বৈ কমে না। তবে এবারের মেলা যেসব কারণে আলোচিত, তা ভালো কোনো বই বা প্রথিতযশা লেখকের কারণে নয়। মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে করে বরাবরাই আলোচিত খন্দকার মোশতাক। জেল খেটে আইডিয়ালের পদ হারিয়ে বইমেলায় হঠাৎ লিখে ফেললেন বই। নাম দিলেন ‘তিশার ভালোবাসা’; বইটি কে লিখেছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাতারাতি জনপ্রিয়তায় বাদ সাধে কতিপয় বিদ্রোহী যুবক। নানা কুটূক্তি দিয়ে মেলা থেকে বের করে দেয় তিশা ও মুশতাককে। আরেক আলোচিত লেখিকা ডা. সাবরিনা। করোনার সময় পরীক্ষা না করিয়েই রিপোর্ট দিয়ে যে অপরাধ করেছিলেন তার প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন কারাবাস করে। সম্প্রতি জামিন পান তিনি। জামিন পেয়েই রাতারাতি লিখে ফেলেন বই। জেল জীবনের ঘটনা নিয়ে তিনিও লিখেছেন ‘বন্দিনী’ নামের একটি বই। কান্নাকাটি করে বই বিক্রির ছবিও প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে। তিশা-মোশতাকের পথ ধরেই ডা. সাবরিনাকের বের করে দেওয়া হয় বইমেলা থেকে। আলোচিত হকার লেখক টিপু সুলতান। নিজে ততটা জ্ঞানী না হলেও তরুণ-তরুণীদের অযথা বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ জানতে চেয়ে বিব্রত করেন তিনি। শেষে তাকেও বিব্রত অবস্থায় মেলা ছেড়ে যেতে হয়। সর্বশেষ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও বইমেলা থেকে বের করে দেয় কথিত বিপ্লবীরা। তবে ডিবি অফিসে গিয়ে নালিশ করে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে, লজ্জার মাথা খেয়ে আবারও বইমেলায় ফিরেছেন হিরো আলম। ফিরেছেন ডা. সাবরিনাও। এসব সমালোচিত লেখকদের বই প্রকাশ করে যারা বইমেলার পরিবেশ নষ্ট করল, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? না তারা আছেন বহাল তবিয়তেই। লেখক হতে চাওয়া সমালোচিত এসব ব্যক্তিদের বইমেলা থেকে বের করে দিল তারাই বা কারা? তারা কি আসলে পাঠক? না তারা পাঠক নয়, বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তারা আসলে মেলায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। একজন জানাল তারা আসলে তিশাকে দেখতে এসেছিল। তিশা আর মেলায় না আসায় হতাশ তারা। আরেকজন সরল বললেন- মেলায় মেয়েরা আসে সেজেগুজে তাদের সঙ্গে ভাব জমাতেই আসেন মেলায়। গত মেলায় একজনের সঙ্গে প্রেম হয়েও গিয়েছিল, সেই প্রেম বেশি দিন টিকেনি। এবারো সেই আশাতেই এসেছে। এবারের মেলায় বখাটেদের উৎপাতে প্রকৃত পাঠকরাও ছিল তটস্থ। কী চায় তারা বইমেলায়? প্রতিভা প্রকাশের প্রকাশক কবি মঈন মুরসালিন জানান, এবার বখাটেদের উৎপাত অতীতের তুলনায় বেশি মনে হয়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল। তবে যাদের দেখার কথা, তারা চোখ বুঝে আছে মনে হয়। মেলার এমন বিশৃঙ্খলা দেখে এক পাঠক জানান, এসব উটকো ঝামেলা এড়াতে অন্তত ২শ টাকার টিকিট করা জরুরি। তবে মেলায় বই কিনলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া বা বইয়ের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয়ের প্রকাশক শ্যামল পাল বলেন, এটা সত্যি এবারে প্রচুর দর্শনার্থী মেলায়। তবে পাঠক তুলনামূলক কম। ভুঁইফোঁড় লেখক আর বখাটে আগন্তুকদের উপদ্রবে এবারের মেলায় যেমন আতঙ্কিত ছিল লেখকরা তেমনি পাঠকরাও। মেলার পরিবেশ নষ্ট করতে যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নেবে জানতে চায় প্রকৃত লেখক ও পাঠকরা।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলা ঘিরে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ ঘিরে যানজট এড়াতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর ফলে নির্ধারিত এলাকায় বাসিন্দাসহ বইমেলায় আসা দর্শনার্থীরা যানজট এড়াতে পারবেন।  ডিএমপি থেকে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোর বিকেলে এবং অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় মেলায় বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। এর ফলে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অত্যধিক যানবাহনের চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সময়ে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিহার করে নির্দেশিত ট্রাফিক রুট অনুসরণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। নির্দেশনায় বলা হয়, যে সমস্ত যানবাহন ব্যবহারকারী ভিআইপি রোড ব্যবহার করে মতিঝিল, গুলিস্তান অথবা পুরান ঢাকার দিকে যেতে চান তারা বিকল্প রোড হিসেবে শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (সাতরাস্তা-মগবাজার-কাকরাইল মসজিদ) ব্যবহার করতে পারবেন। বলা হয়, যে সমস্ত যানবাহন ব্যবহারকারী মিরপুর রোড-এলিফ্যান্ট রোড ব্যবহার করে মতিঝিল, গুলিস্তান অথবা পুরান ঢাকার দিকে যেতে চান তারা মিরপুর রোডে নিউমার্কেট-আজিমপুর-পলাশী-চানখাঁরপুল এলাকা ব্যবহার করে গন্তব্যে যেতে পারবেন। এ ছাড়াও বলা হয়, যে সমস্ত যানবাহন ব্যবহারকারী পুরাতন হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর হয়ে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট, আজিমপুর অথবা এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যেতে চান তারা সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল–নিমতলি-শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং-শহীদ মিনার-পলাশী হয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় নির্ধারিত পার্কিং এলাকা ছাড়া যানবাহন পার্কিং নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-রমনা বিভাগ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে বলেও জানানো হয়। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪
তোমার ঘরে বসত করে ক’জনা–হাসনাত আবদুল হাই; আগামী। পানিডাঙা গ্রামে যা কিছু ঘটেছিলো–আকিমুন রহমান; খড়িমাটি। পরানচুল্লি–মোহিত কামাল; বিদ্যাপ্রকাশ। অন্যতমা অন্যদিকে যায়–নাসরীন জাহান; অন্যপ্রকাশ। বাংলাদেশের প্রথম হাসপাতাল–সুলতানা কামাল; বেহুলাবাঙলা। জীবনানন্দ জসীমউদ্দীন এবং –বিশ্বজিৎ ঘোষ; অনন্যা। গোয়েন্দা হেমিংওয়ে ও তাঁর প্রেমিকাদের খোঁজে–ফারুক মঈনউদ্দীন, প্রথমা। মরা মানুষের হাত–ডিউক জন; প্র। পাতলাদা গল্পসমগ্র–মনি হায়দার; পাঞ্জেরী। সুখী অ্যাসপারাগাস–খালিদ মারুফ; আগামী। শাহ্ মজিরউদ্দিন আহমদ রচিত তত্ত্বগ্রন্থ ভেদ জহুর–নাগরী থেকে লিপ্যন্তর: মকদ্দস আলম উদাসী–শব্দার্থ টীকা ও সম্পাদনা: মোস্তাক আহমাদ দীন; চৈতন্য। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে–রেজাউদ্দিন স্টালিন; কথাপ্রকাশ। চাষার কাম–মাসুদ পথিক; ছিন্নপত্র। লোপা ও লিলিথ–লোপা মমতাজ; সংবেদ। 
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X