শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অস্থায়ী বঙ্গবাজার
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হওয়ার পর এবার ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়।  গণমাধ্যমকে ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের জানান, নতুন করে মার্কেট করার লক্ষ্যে এসব অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। উল্লেখ, গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। এরপর সেখানে অস্থায়ীভাবে বসে দোকান। এবার ঈদে খুব একটা বেচাবিক্রি না হলেও পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা। আজ তা ভেঙে দেওয়া হলো।  জানা যায়, পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারকে আধুনিক রূপদান এবং সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান। ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট ৮টি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে ৮টি লিফট, এর মধ্যে ৪টি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি ৪টি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য।  এ ছাড়া থাকছে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। দোকান ভেঙে ফেলার বিষয়ে সেখানের ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে, তারা পরিবার নিয়ে চিন্তিত। এই ব্যবসা কোথায়, কীভাবে করবেন, তা তারা এখনো জানেন না।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘ঈদের পরেই বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু’
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের পরপরই পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৩ মার্চ) সেগুনবাগিচা কমিউনিটি সেন্টারে ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উদ্যোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মেয়র তাপস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটসহ অবকাঠামো উন্নয়নে এই ওয়ার্ডে (২০ নং ওয়ার্ড) আমাদের ৬০০ কোটি টাকার বেশি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, আগামী ঈদ-উল-ফিতর পর্যন্ত বঙ্গবাজারে সেভাবেই ব্যবসা পরিচালিত হবে। ঈদের পরেই আমরা সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণ কাজে হাত দিব। দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ। সেখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা আবারও তাদেরকে সেখানে উঠিয়ে দিতে পারব। আশা করছি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের পাশে আছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আগলে রেখেছেন এবং এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয় সব ক্ষেত্রেই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কী প্রয়োজন, কী চাহিদা, তিনি সেগুলো বিবেচনা করেন। এক কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে তিনি ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে চলেছেন। এভাবেই সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে তিনি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছেন এবং তা চলমান রেখেছেন। এর আগে মেয়র গোলাপ শাহ মাজার থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস মার্কেট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী প্রমুখ।
১৩ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবাজার এলাকায় আগুন, ৩০ মিনিটেই নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর বঙ্গবাজার সংলগ্ন বরিশাল প্লাজা মার্কেটের পশ্চিম পাশের ভবনের ৪ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।  ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের খবর পায়। পরে ৮টা ৪১ মিনিটেই ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। প্রায় আধাঘণ্টা প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।  এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি পরে জানাবেন বলে জানানো হয়।  চলতি বছরের ৮ এপ্রিল বরিশাল প্লাজার ৪র্থ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট পৌনে ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ৪ এপ্রিল ভোরে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটল রাজধানীর বঙ্গবাজারে। এ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার দোকান। ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকার। এখনো আগুনের ঝুঁকিতে আছে ঢাকার এক হাজার ৩০০টি শপিংমল।  
২১ আগস্ট, ২০২৩
X