নতুন বিনিময় পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
খুব অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার(৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিসক্যাল অ্যান্ড মনিটারি পলিসিস ইন দ্য ইভলভিং ইকোনোমিক অর্ডার: রিস্ক, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড সলিউশন ‘ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এবং বাংলা দৈনিক ‘বণিক বার্তা’র যৌথ আয়োজনে ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স, ঢাকা’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারের সঙ্গে একটি মুদ্রাকে হারের একটি ব্যান্ডের মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে স্থির বিনিময় শাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ভাসমান বিনিময় হার শাসনের নমনীয়তা ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থ সচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি এবং ব্যাংক ও অধিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু বিষয় শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে তারা স্বাধীন নীতি প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত নীতির অগ্রাধিকারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি গত ৫০ বছর ধরে একটি ফাঁদে পড়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণের প্রবাহ বাড়ানোর নীতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতের বিশেষ করে আর্থিক খাতের তথ্যের মান উন্নত করতে হবে। তিনি সরকারের সমস্ত অফিস ও বিভাগকে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পরামর্শ দেন, কারণ ছোট ব্যয়গুলো সামগ্রিকভাবে একটি বড় পরিমাণে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি আর্থিক হিসাবের ঘাটতি সৃষ্টি করে। তিনি মুদ্রাবাজারে উচ্চক্ষমতার মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস করার পরামর্শ দেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তোলে।
০৬ মে, ২০২৪

ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
অবশেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  রোববার (৫ মে) মালিকপক্ষে প্রতিনিধি খলিলুর রহমানকে প্রধান করে ১০ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।  আগের পর্ষদের পারভিন হক শিকদারসহ অধিকাংশ পরিচালকই বাদ পড়েছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে আরও শক্তিশালী করতে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিকে চেয়ারম্যান করে পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। যাতে ব্যাংকটিতে সুশাসন নিশ্চিত হয়। জানা গেছে, গতকালই এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ ( ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৪৭ (১) এবং ৪৮ (১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিআরপিডির (ব্যাংকিং প্রবিধি ওনীতি বিভাগ)  আদেশের মাধ্যমে অবিলম্বে কার্যকর করে বাতিল করা হয়েছে।  চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে।  নতুন পর্ষদে আগের পর্ষদের অধিকাংশ সদস্যই বাদ পড়েছেন। একসময় ব্যাংকটিতে শিকদার পরিবারের কর্তৃত্ব থাকলেও বর্তমান পর্ষদে সেই পরিবারের কাউকে রাখা হয়নি। বাদ পড়েছেন পারভিন হক শিকদারও।  নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক আলহাজ্ব খলিলুর রহমান। এ ছাড়া পরিচালক হিসেবে রয়েছেন– ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রতিনিধি পরিচালক লে.জে. মো.সফিকুর রহমান (অব), প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধি পরিচালক এরশাদ মাহমুদ, প্রতিনিধি পরিচালক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট  এহসানুল করিম, প্রতিনিধি পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক। এ ছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ড. রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদা।  এর আগে, ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর নিয়ম ও বিধি ভাঙাসহ বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে নানা অনিয়মে ধুঁকতে থাকা বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এবার কেন আবার পর্ষদ ভাঙা হয়েছে- এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।  তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে মার্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক বর্তমানে ভালো কাজ করছে। ফলে তারা এখনই মার্জ হতে চায় না। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান  ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের এমন বক্তব্যের পরই বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে।  এই বিষয়ে ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিচালক কালবেলাকে বলেন, আমরা ন্যাশনাল ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়নে এবং ব্যাংকটিকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে কাজ করছি। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নিরলসভাবে পরিশ্রম করছে। তারপরও আমাদের কাজে বাধা তৈরি করায় গত বৃহস্পতিবার পর্ষদের অধিকাংশ পরিচালক পদত্যাগ করেছি। 
০৫ মে, ২০২৪

সেবা প্রদানে ব্যর্থ দুদক বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর
দেশের জনগণকে সেবা প্রদানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হয়েছে। বৈষম্যহীন প্রাতিষ্ঠানিক সেবার বদলে সেবাদানের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয় বিবেচনা করা হয়। একদিকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। অবস্থাটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এসব প্রতিষ্ঠানকে মানুষ আর বিশ্বাস করে না। গতকাল রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘ইজ দ্যা বাংলাদেশ প্যারাডক্স সাসটেইনেবল?’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং গবেষকরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বক্তারা বলেন, জনগণের সেবায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক ভিত্তিক সংস্কার প্রয়োজন। প্রভাবশালী রাজনীতিক, দুর্নীতিবাজ আমলা ও অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারণে সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এ চক্রটি সংস্কারের পক্ষের শক্তির চেয়ে শক্তিশালী। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেন, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমার মতে, ভালো কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও চিহ্নিত করা দরকার। বাংলাদেশের সুশাসন আর উন্নয়নের সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয়। আমরা পূর্ব এশিয়ার মডেলগুলো ফলো করার চেষ্টা করি; কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার নীতি আমরা নিতে চাই না। সেদিকে তাকাইও না। দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের সফলতা শুধু তাদের ভালো নীতির কারণে। সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, স্থিতিশীল দুর্নীতির জায়গা এখন বাংলাদেশ। এখানে এখন সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু যখনই সংস্কারের উদ্যোগ আসে, তখনই এর বিপক্ষে একদলের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। তারা এগুলো হতে দেয় না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমরা যখনই ব্যাংকের অদক্ষতা নিয়ে কথা বলতে চাই, তখনই সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল স্বায়ত্তশাসন। এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ ও ফিন্যান্স বিভাগের ব্যাংক খাতে সংশ্লিষ্টতাও ব্যাংকের দুর্বলতার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এখন আলোচনায় থাকা ব্যাংক খাতের একীভূতকরণটি মূলত সুদের নিরাপত্তার জন্য। এখানে রাজনৈতিক ইচ্ছাই বেশি। দুর্নীতি, খেলাপি ঋণ, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও সুশাসনের অভাব প্রসঙ্গে বিভিন্ন বক্তার সমালোচনা প্রসঙ্গে ড. মসিউর রহমান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। তবে রাতারাতি সব সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আগের তুলনায় খেলাপি ঋণের সংখ্যা কমলেও পরিমাণে বেড়েছে, যা ব্যাংক খাতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

২৫ কেজি সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল। বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রি করা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। বুধবার (৩ এপ্রিল) সব প্রক্রিয়া শেষে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে এই সোনা বিক্রির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম সোনা বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের শুরুর দিকে তিন ধাপে আরও ২৫, ২১ ও ২০ কেজি বিক্রি করা হয়। তবে হট্টগোল ও আশানুরূপ দরদাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন নিলাম ডাকা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের রিজার্ভের পরিমাণ জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।  এতে বলা হয়, গত ১ সপ্তাহে সোয়াপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দিয়ে টাকা নিয়েছে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক। সেই সঙ্গে রেমিট্যান্সপ্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। তাতে বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ছিল ২৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় যা স্থির হয় ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে। এ ছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।  
১৪ মার্চ, ২০২৪

এবার ব্যাংক পরিচালকের বয়স নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
এখন থেকে ৩০ বছরের নিচে কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গঠন এবং পরিচালকদের দায়িত্ব ও কর্তব্যসংক্রান্ত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।  সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো পরিপত্রে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালক হতে ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে। এর আগে এমন কোনো সীমা ছিল না। এতে আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য অন্তত ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা অন্য কোনো পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে, ১৮ বছর বয়সের আগের কোনো কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০ জন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হবে তিনজন। তবে ২০ জনের নিচে পরিচালক হলে স্বতন্ত্র পরিচালক দু'জনের বেশি হতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোনো একক পরিবার হতে তিনজনের বেশি সদস্য পরিচালক হতে পারবে না।  ব্যাংক–কোম্পানির পরিচালকদের যোগ্যতা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হতে পারবেন না কিংবা কোনো জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বা জড়িত নন, এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তার সম্পর্কে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকতে পারবে না; আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধিমালা, প্রবিধান, নীতিমালা বা নিয়মাচার লঙ্ঘনের কারণে দণ্ডিত হওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানিতে কোনো পদে চাকরিরত থাকলে চাকরি অবসায়নের পাঁচ বছর অতিক্রম না হলে সেই ব্যক্তি ব্যাংক–কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন না। কোনো ব্যাংক–কোম্পানি কর্তৃক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩–এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে সেই তালিকা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পাঁচ বছর না পেরোলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন না।  স্বতন্ত্র পরিচালকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব শর্ত ছাড়াও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালা পরিপালিত হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মুদ্রানীতি ঘোষণার তারিখ জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডলার সংকট। সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ থেকে ছাড়ছে ডলার। বেশ কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে থাকায় ধার করে চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ওইদিন বিকেল ৩টায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। রোববার (১৪ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় মুদ্রানীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  বোর্ড সভা সূত্রে জানা গেছে, এবার ঘোষণা দেওয়ার পরও ডলারের দর বাজারভিত্তিক হচ্ছে না। ডলার সংকট সহনীয় পর্যায়ে না আসায় আসন্ন মুদ্রানীতিতে মুদ্রার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। এ জন্য চলমান সব ধরনের নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো চলমান থাকবে।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মুদ্রানীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মুদ্রানীতি সম্পর্কে এখনি বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এটি ঘোষণা করা হলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মুদ্রানীতির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম ৬ মাসের মুদ্রানীতিতেও নীতি সুদের হার আরও বাড়িয়ে টাকার অবমূল্যায়ন কমানো হবে। এতে সুদহার বেড়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। মূলত নীতি সুদহারসহ ব্যাংক ঋণের সব রকম সুদ আরও বাড়িয়ে সংকোচনমুখী ধারা অব্যাহত রাখা হবে। বাকি নীতি চলবে আগের মতোই।  বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু কোনো মাসেই এই খাতের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এমনকি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের ৫ মাসই প্রবৃদ্ধি ছিল এক অঙ্কের ঘরে। শুধু গত অক্টোবরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ হয়েছিল। মুদ্রানীতির খসড়ায় মুদ্রানীতি কমিটিতে গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রয়েছেন অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমীন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভাঙল বাংলাদেশ ব্যাংক
নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন থেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নতুন করে ৭ পরিচালক দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই ন্যাশনাল ব্যাংকের সুশাসন প্রতিষ্ঠানে প্রশ্ন ছিল। তাই ন্যাশনাল ব্যাংকে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটিতে সুশাসন ফিরে আসবে বলেও মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই শীর্ষকর্তা। নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সৈয়দ ফরাদ আনোয়ার। যিনি এখন বর্তমানে মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পরিচালক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভিন হক সিকদার, শফিকুর রহমান এবং মোয়াজ্জেম হোসেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদে স্থান পেয়েছেন আগের পরিচালনা পরিষদের তিনজন পরিচালক। বাকি পরিচালকদের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ৮ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ছিল ন্যাশনাল ব্যাংকের। সে পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, মনোয়ারা শিকদার।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করতে ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন সুদহারের এই সীমা বা স্প্রেড ছিল ৪ শতাংশ। এখন থেকে এর কোনো সীমা থাকবে না। ফলে ব্যাংকগুলো চাইলে আমানতে সুদ কম দিতে পারবে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতদিন যে নিয়ম ছিল সে অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক আমানতের ওপর যদি ৫ শতাংশ সুদহার দিতো তাহলে ওই ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নিতে পারত। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ঋণ-আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে কোনো সীমা থাকবে না। তিন শতাংশে আমানত নিয়েও ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ আমানতের সুদহার যাই হোক ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) এর সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩
X