বাস্কেটবল প্রশিক্ষণে আমেরিকা যাচ্ছে চাঁদপুরের ৩ শিক্ষার্থী
বাস্কেটবল স্পোর্টস্ ভিজিটর প্রোগ্রাম-২০২৪ এর আওতায় দেশি বলার্স-এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ হতে ৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাস্কেটবল খেলার উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্যে আমেরিকা যাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু। তিনি বলেন, দেশের এই ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জনই চাঁদপুর জেলার শিক্ষার্থী। তারা চাঁদপুর সদরের বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন একাদশ শ্রেণির সুমাইয়া আক্তার, এসএসসি ব্যাচ-২০২৪ এর ইতি আক্তার এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার। সম্প্রতি তাদের ইউএস অ্যাম্বাসির ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, বীরপ্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উপজেলা, জেলা, কুমিল্লা উপ-অঞ্চল, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

শত বাধা পেরিয়ে জাবি বাস্কেটবল দলের অভাবনীয় সাফল্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) জিমনেসিয়ামে বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মতো কোর্ট নেই। তবে অনুশীলনের জন্য যে কোর্ট রয়েছে তার রঙ উঠে যাওয়ায় লাইনগুলো বোঝা যায় না। বৃষ্টি হলেই জিমনেসিয়ামের ছাদ থেকে পানি পড়ে। একমাত্র ব্যায়ামাগারেরও শোচনীয় অবস্থা। খেলোয়াড়রা পান না তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা। এসব সমস্যাও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল দলের সাফল্যের পথে কাঁটা হয়ে উঠতে পারেনি। বছরের পর বছর সাফল্য নিয়ে আসছে বাস্কেটবল দলটি। গত ১০-১৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা ২০২৪ এ ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে জাবি বাস্কেটবল দল। এর আগে ২০১৯ সালে ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টার-ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’ এ স্বর্ণ জয়ের গৌরব অর্জন করে জাবি বাস্কেটবল দল। একই বছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় রানারআপ, ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টার-ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২’ এ রানারআপ হয় তারা।  জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকারিং বাজেট হিসেবে বার্ষিক মোট ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার টাকা বাস্কেটবলের জন্য বরাদ্দ। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়া বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের তুলনায় যা বেশ অপ্রতুল। ফলে প্রতিযোগিতা চলাকালে খেলোয়াড়দের মানসম্মত ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা সম্ভব হয় না। আবার দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলোয়াড় কোটায় পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। যারা ভর্তি হন তাদেরও নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা থাকায় অনুশীলনে অতিরিক্ত সময় দিতে পারেন না। ফলে খেলোয়াড়রা অধিক সুযোগ-সুবিধার আশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাস্কেটবল দলের ফরোয়ার্ড এবং দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহানুর রহমান সজিব বলেন, দলের সাফল্যের পেছনে আমাদের কোচ-ম্যানেজারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তবে অবকাঠামোগত দুর্বলতা থাকায় আমাদের পক্ষে নিয়মিত অনুশীলন করা সম্ভব হয় না। ব্যায়ামের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নেই। এ ছাড়া বিভাগ থেকে খেলোয়াড়দের বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। অনুশীলনের কারণে নিয়মিত ক্লাসে যেতে না পারলে উপস্থিতির নম্বর কাটা হয়। যারা ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে অনুশীলন করে তাদের উপস্থিতি নম্বর ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে হয়। এভাবে তো পাস করাই কঠিন হয়ে যায়।’ দলের কোচ এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. আজমল আমিন টুটুল বলেন, বাস্কেটবল দল ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়ে আসছে। তবে আমাদের কোর্টের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সেভাবে সংস্কারও করা হয়নি। এ ছাড়া বিকেএসপি কোটার শর্ত থাকায় আমরা বাইরের ভালো প্লেয়ার ভর্তি করাতে পারি না। এসব বিষয় ভালোভাবে বিবেচনা করা জরুরি। এ ছাড়া খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরস্কৃত করা গেলে খেলোয়াড়রা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবে। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক বেগম নাছরীন বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ের বর্তমান জিমনেসিয়াম একটি পরিত্যক্ত ভবন। আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতার সময় শুধু কোর্ট রং করা হয়। আর কোনো সংস্কার করা হয় না। আর ব্যায়ামাগারের যন্ত্রপাতির বিষয়টি দ্রুতই সমাধান হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেটি হস্তান্তর করা হলে অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। আর কোটায় খেলোয়াড় ভর্তির বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
১৪ মার্চ, ২০২৪

টুকরো খবর / ঢাবি আন্তঃবিভাগ বাস্কেটবল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা আজ ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বক্তব্য দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাবিতে আন্তঃবিভাগ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বক্তব্য রাখেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন, সুস্থ মন এবং সুস্থ শরীর বজায় রাখতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত খেলাধুলা করে, তারা পড়াশোনাতেও ভালো করে। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সহশিক্ষা কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে স্বচ্ছতা ও সততার সাথে সব খেলায় অংশগ্রহণ করে মেধা-মননের বিকাশ ঘটানোর জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, উদ্বোধনী ম্যাচে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ এবং ফিন্যান্স বিভাগ অংশ নেয়।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

জামাদ ফিন / বোরকা পরে আমেরিকার বাস্কেটবল কোর্টে
প্রতিভা হচ্ছে সাধনা, পরিশ্রম এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তির সমন্বয়ে গড়া সেই মানসিক ও শারীরিক শক্তি, যা দিয়ে মানুষ অনেক কঠিন থেকে কঠিনতর কাজ সহজেই করে ফেলতে পারে। আর এই প্রতিভা থেকেই সৃজনশীলতার জন্ম হয়। প্রতিভা কখনো লুকিয়ে বা আটকে রাখা যায় না। কোনো না কোনোভাবে তা বেরিয়ে আসবেই। আর কখন কীভাবে তা পথ খুঁজে নেবে, সেটা কেউ বলতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে একটি স্কুল বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে জামাদ ফিন নামে ২৩ বছরের মুসলিম কন্যা বাস্কেটবল কোর্টে নেমে প্রতিভার ঝলক দেখাচ্ছেন। বোরকা পরে কোর্টে নেমে একের পর এক বল বাস্কেট করছেন তিনি। তা দেখে হতবাক সবাই এবং প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন—কোথায় ছিলেন তিনি এত দিন? রক্ষণশীল পরিবারের মুসলিম কন্যা, তাও আবার বোরকা পরে, সবার সামনে খেলবে, লাফাবে—কারই বা পছন্দ হয়। আমেরিকায় বড় হওয়া এই সোমালিয়ান পাশে পেয়েছেন তার পরিবারকে। তাই তো মনের আনন্দে খেলে চলেছেন। এমনকি পুরুষদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে কোর্টে নেমে বাস্কেট করছেন সহজাত ভঙ্গিতে। জামাদ ফিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তার ভাতিজা। মুহূর্তের মধ্যে সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে পড়ে সেই ভিডিও। এতে প্রকাশ পায় জামাদের প্রতিভা। তার বাসার সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন গণমাধ্যমকর্মীরা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মুসলিম নারী হিসেবে বাস্কেটবল খেলা তার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই বাস্কেটবল পছন্দ করি। কিন্তু একজন মুসলিম নারী হিসেবে এই খেলার চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে পরামর্শ নেব, এমন কেউ ছিল না আমার পাশে। তাই সবকিছু আমাকে করতে হয়েছিল। তবে বড় কথা, আমার পরিবার আমার সঙ্গে ছিল। তাই মাথার স্কার্ফ পরে বাস্কেটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ আমার ভালোবাসার জিনিসটাকে ছাড়তে চাইছিলাম না। তিনি চান বিশ্বের বাকি নারীদেরও তাকে দেখে ভয় কেটে যাক, ‘আমাকে দেখে বিশ্বের বাকি নারীদের মধ্য থেকে আশা করি ভয় কেটে যাবে। আমি যদি পারি, তাহলে অন্যরা কেন পারবে না। আমি তো গঁৎবাধা জীবনের বাইরে গিয়ে সবার সামনে খেলতে পারছি, অন্যদের উৎসাহিত করতে পারছি, তা হলে অন্যরাও পারবে।’ সবচেয়ে বড় কথা, মুসলিম নারীদের সংস্কৃতি বজায় রেখে খেলে চলেছেন জামাদ। এমনকি তিনি মুসলিম ভাবধারাকে অসম্মান করেননি। জামাদ প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায়। এমনকি বোস্টনে চালু করেছেন নিজস্ব বাস্কেটবল ক্লিনিক। সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেন নারীরাও। এটাকেই নিজের সার্থকতা হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘এটাই সার্থকতা। আমার দেখাদেখি ইমানুয়েল কলেজে বহু মুসলিম মেয়ে বাস্কেটবল ছাড়াও নানা খেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ভালো লাগছে, আমার লড়াই অবশেষে সার্থকতা পেয়েছে।’ জামাদ আরও জানান, স্বভাবগতভাবে তিনি লাজুক। কিন্তু তিনি আরও বিখ্যাত হতে চান। তবে অবশ্যই তা মুসলিম রীতি মেনেই।  
২৩ জুন, ২০২৩
X