বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সুখকর হবে না : চরমোনাই পীর
জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের নির্দেশে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে। সরকার দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের জন্যই খোড়া অজুহাতে ব্য়াতুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। বায়তুল মোকারম মসজিদ গেটে যে সকল ইসলামী দল মিছিল মিটিং করেন, তারা মূলত মসজিদের সম্মান রক্ষা করে এবং মুসল্লিদের যেন কোন সমস্যা না হওয়া সেদিকে সুদৃষ্টি রেখেই মিছিল মিটিং করে থাকেন। কাজেই নামাজে আসা মুসল্লিরা আতঙ্কিত হওয়ার অজুহাতে জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার পর সরকার বিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরকার জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলসহ ইসলামী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে সরকার। ঐতিহাসিক প্রাণকেন্দ্র জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা সফল হবে না। রাজনীতি, মিছিল মিটিং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ৪১ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনও ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; (খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ- সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজেই মুসল্লিরা ভয় পান, আতঙ্কিত হন এই অজুহাতে মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের এখতিয়ার কারো নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণরোষ সৃষ্টি হবে। কাজেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বায়তুল মোকাররম মার্কেটে যুবদলের লিফলেট বিতরণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক রুহুল ইসলাম মনি, কেন্দ্রীয় সদস্য কাউছার সরকার মামুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম সাগর, লোকমান হোসেন, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলম মাতবর ও আবদুস সোবহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল নেতা মো. সাইফুল ইসলাম হাওলাদার, মো. জহিরুল ইসলাম রনি, শফিকুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন, মনির হোসেন মনজু, মো. আবিদ আশরাফ ও মো. খোকন মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ জনগণকে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, এবারের নির্বাচনকে দেশের সকল রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করেছে। ইতোমধ্যে গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। সুতরাং প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের উচিত আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪
X