রুমা-থানচি সীমান্ত পরিদর্শন বিজিবি মহাপরিচালকের
বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন অপারেশন এবং সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার সকালে বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের আওতাধীন বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) পরিদর্শন ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বান্দরবান সেক্টরের অধীন ব্যাটালিয়ন, বিওপি ও ক্যাম্পসমূহে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যগণ ভিটিসি/ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এর পর মহাপরিচালক বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন। পরবর্তী সময়ে রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং এর অধীন দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শনকালীন বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা), বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার এবং বলিপাড়া, রুমা ব্যাটালিয়নের অধিনায়কগণসহ অন্য বিজিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তায় ৪১৮ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন
উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার থেকে আগামী শুক্রবার (১০ মে) পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। সোমবার (৬ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম ধাপে ৪১৮ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোট দানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রথম ধাপে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্ল্যাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্ল্যাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিরা (তিনজন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। তারা সবাই ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য ভোটের মাঠে মোতায়েন থাকবেন।
০৭ মে, ২০২৪

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা, উদ্ধারকাজে বিজিবি
গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ধার সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না। একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে। এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।
০৩ মে, ২০২৪

ইফতারের খরচ বাঁচিয়ে দুস্থদের পাশে বিজিবি
নিজেরা ইফতারের খরচ বাঁচিয়ে এলাকার দুস্থ রোজাদারের হাতে ইফতার ও ঈদসামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা‌। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রহনপুর ৫৯ বিজিবি‌ ব্যাটালিয়ানে আশপাশের গ্রামের দুস্থ রোজাদারের মাঝে ইফতারি ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইমরান ইবনে এ রউফ, রহনপুর ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) বিজিবিএম লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া ও ব্যাটালিয়ানের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ বিজিবির সব স্তরের সদস্যরা। প্রধান অতিথি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। রহনপুর ব্যাটালিয়ানের (৫৯ বিজিবি) সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইফতার পার্টি না করে বাঁচানো টাকা দিয়ে ইফতার ও ঈদসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে। বিজিবি সদস্যদের মানবিক কার্যক্রম আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। এর আগে তিনি রহনপুর ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মাদকবিরোধী অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণের উদ্বোধন করেন। মাদক ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহীদ, সোনা মসজিদ কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনার নূরু-উদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। এতে ১ মার্চ ২৩ হতে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত জব্দ হাওয়া প্রায় ৬৩ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করা হবে। এ সময় ১১৩ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ৫৯ বিজিবি।
৩১ মার্চ, ২০২৪

জাতীয় সাইক্লিংয়ে চ্যাম্পিয়ন বিজিবি
নড়াইলে অনুষ্ঠিত ৪৩তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এবারের আসরে বিজিবি ছাড়াও অংশ নিয়েছিল সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ ৩০ সংস্থা। ৬ স্বর্ণ, ১ রৌপ্য ও ২ বোঞ্জ পদক জিতে আসরের সেরা স্থানটি দখলে নেয় বিজিবি। প্রতিযোগিতায় ৬০ কিলোমিটার রোড টিম টাইম ট্রায়ালে ল্যান্স নায়েক সবুর হোসেন, ল্যান্স নায়েক রাজীব মিয়া, ল্যান্স নায়েক ছালাম মোল্লা এবং সিপাহি সুমন রেজা জিতে নেন স্বর্ণপদক। ১২০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্টে ল্যান্স নায়েক সবুর হোসেন এবং সিপাহি সুমন রেজা জিতেছেন স্বর্ণপদক; ৪০০০ মিটার ইনডিভিজুয়াল টাইম ট্রায়ালে ল্যান্স নায়েক সবুর হোসেন স্বর্ণপদক; ৪০০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে ল্যান্স নায়েক সবুর হোসেন, ল্যান্স নায়েক রাজীব মিয়া, ল্যান্স নায়েক ছালাম মোল্লা এবং সিপাহি সুমন রেজা স্বর্ণপদক; ৩০ কিলোমিটার মহিলাদের রোড ইনডিভিজুয়াল মহিলায় সিপাহি নিশি খাতুন জিতে নেন স্বর্ণ, মহিলাদের ৫০০ মিটার টাইম ট্রায়াল সিপাহি নিশি খাতুন স্বর্ণপদক; ১০০০ মিটার টাইম ট্রায়াল পুরুষ বিভাগে সিপাহি সুমন রেজা রৌপ্যপদক; ১২০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্ট মহিলা বিভাগে সিপাহি নিশি খাতুন, সিপাহি নাজনীন আক্তার ও সিপাহি সোনিয়া আক্তার ব্রোঞ্জ পদক এবং ২০০০ মিটার ইনডিভিজুয়াল টাইম ট্রায়াল মহিলা বিভাগে সিপাহি নয়ন মনি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
১৩ মার্চ, ২০২৪

ঢাকায় বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও আলোচনায় থাকছে সীমান্ত হত্যা ইস্যু। এ ছাড়া মাদক, অস্ত্র চোরাচালান বন্ধসহ দুই সীমান্ত বাহিনীর পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনাও রয়েছে সূচিতে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগরওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। এই দলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। বিজিবি জানিয়েছে, এবারের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন; আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড; সীমান্ত নদীতীর সংরক্ষণ; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ; দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় ও বিবিধ বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিএসএফ মহাপরিচালকের পত্নী এবং বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী স্মিতা আগরওয়াল তাদের সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বিজিবি মহাপরিচালকের পত্নী এবং সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নওরীন আশরাফের সঙ্গে মতবিনিময়সহ সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি, সীমান্ত অফিসার্স লেডিস ক্লাব ও চিলড্রেন ক্লাব আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। ৯ মার্চ সকালে যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে এবং একই দিন ভারতীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা ছাড়বে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

পিলখানায় ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজ আজ সোমবার পিলখানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত রয়েছেন। বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার ৪ ক্যাটাগরিতে পদকপ্রাপ্ত ৭২ বিজিবি সদস্যকে পদক পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় পিলখানায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭জন অফিসারসহ ৭৪জন জীবন হারায়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজন হারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি। বিজিবি বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক বাহিনী। এর কাজ হলো মূলত বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা করা। এর সদর দফতর ঢাকার পিলখানায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্‌স (ইপিআর)। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় 'বাংলাদেশ রাইফেলস' (বিডিআর)। ২০১১ সালে পুনরায় নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' (বিজিবি)। ২০১৬ সালে এই বাহিনীতে সর্বপ্রথম নারী সৈনিক যুক্ত হয়। 
০৪ মার্চ, ২০২৪

সাগরতীরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা, সতর্ক বিজিবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় আরাকান আর্মি ঢুকে পড়ায় জীবন বাঁচাতে তারা সাগরতীরে অবস্থান নিয়েছে। টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মিয়ানমারের সাগরের তীরে হাজার হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান দেখা গেছে। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা দেখা দেখতে পেয়েছেন তারা। সেসব নৌকায় করে এই পাড়ে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ভয়ে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না। এদিকে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলার শব্দে আতঙ্ক কমেনি। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে থেমে থেমে গোলার শব্দ ভেসে আসছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে গোলার শব্দ পায় সীমান্তের লোকজন। শনিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং কানজরপাড়া-খারাংখালী এলাকায় বিকট গুলির শব্দ শুনেছেন লোকজন। টেকনাফ সীমান্তে গতকাল সকালে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের এলাকায় আরাকান আর্মি ঢুকে পড়েছে। এতে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় তাদের অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তাই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বিলে, সাগরের তীরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা যে কোনো মুহূর্তে নাফ নদ পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারে। রাতের বেলায় তারা শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে তাদের ঠেকিয়ে রাখছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জলসীমাজুড়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক স্পিড বোট দিয়ে টহল দেওয়া হয়। কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শাহপরীর দ্বীপের মাঝি আবু বক্কর বলেন, ওপারে ২০ থেকে ২৫টি রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা দেখা গেছে। সেসব নৌকায় করে এই পারে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ভয়ে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না। সাগরতীরে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. তাওসিন রহমান বলেন, ‘অনুপ্রবেশ রোধে নাফ নদীতে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। আমরা জানুয়ারি ২৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ শতাধিক রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি। সর্বশেষ গতকাল (শনিবার) তিনজনকে শাহপরীর দ্বীপ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’ মিয়ানমারের মংডুর সিকদার পাড়ার রোহিঙ্গা সেলিম বলেন, ‘আমাদের তিনটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে চরে আশ্রয় নিয়েছি। সাগরে বাংলাদেশের বাহিনী বেশি থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করব সেখানে ঢোকার। না হলে বাঁচতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার থেকে বোমা মারছে। আমাদের কয়েকটি গ্রাম থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে মংডু কাদিরবিল, নুরুল্যাহ পাড়া, বাগগুনা, নর বাইন্যা, থানাশো। এসব এলাকা থেকে রোহিঙ্গা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।’ এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাইফুল বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের সীমান্তে দুই ঘণ্টা থেমে থেমে গোলাবর্ষণ চলছিল। ঠিক ওপারে বলিবাজারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীদের মধ্য চলমান যুদ্ধে এখনো চলমান রয়েছে। যার কারণে এপারে গোলার শব্দ পাওয়া যায়। আজ (গতকাল) সকাল থেকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, ‘রাতে গোলার শব্দ পাওয়া না গেলেও আজ (গতকাল) সকাল ৮টা থেকে মিয়ানমার সীমান্তের গোলার আওয়াজ বাড়ি পর্যন্ত পাওয়া গেছে। জীবনে এমন গুলির আওয়াজ কোনো দিন পাইনি। গোলার এমন ভয়ংকর আওয়াজ ছিল, আমার দেড় বছরের শিশুসন্তান ভয়ে ঘুম ভেঙে কেঁদে ওঠে।’ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, সাবরাং ও সেন্টমার্টিনের নাফ নদের বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তে। প্রতিদিনই এসব এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। যেসব স্থান থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে, সেখানে রাখাইন রাজ্যের মংডুর শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাঙ্গালা, নলবন্ন্যা, ফাদংচা ও হাসুরাতা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি)। সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এত দূর থেকেও গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে। সকালে (গতকাল) দুটি বিকট শব্দ পাওয়া গেলেও ৮টার পর নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।’ সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, নাফ নদের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শনিবারের তুলনায় গতকাল ভোর থেকে বেড়ে গেছে। এতে এপারে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ অন্যদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে প্রায় সময় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে নাফ নদ থাকার কারণে আমরা অনেকটা ‘সেফ জোন’ আছি। তবুও আমরা সীমান্তের বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় মিলেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে শনিবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় জানা গেছে। তিনি মিয়ানমারের নলবনিয়া এলাকার বাসিন্দা হাফেজ আহমদ উল্লাহর স্ত্রী সফুরা খাতুন। হাফেজ আহমদের বড় বোন রমজান বেগম টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আগে থেকেই বসবাস করেন। ওইদিন একটি নৌকা করে গুলিবিদ্ধ এক নারীসহ পাঁচজন শাহপরীর দ্বীপে এসে আশ্রয় নেন। রমজান বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই হাফেজের স্ত্রী সফুরা মিয়ানমারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সে শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফে আনা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সকালেই বদলে গেল নাফ নদীর সীমান্ত পরিস্থিতি, সতর্ক বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশের এলাকা আজ শনিবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) গুলি ও বোমার শব্দে কাঁপছে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির পর রাতভর শান্ত ছিল। এতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও সকালেই পরিস্থিতি বদলে যায়। টেকনাফের দক্ষিণাংশের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার রাতে তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা। বিকট শব্দে মাঝেমধ্যে মাটি কেঁপে উঠেছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুস সালাম বলেন, নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। যেসব স্থান থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে, সেখানে রাখাইন রাজ্যের মংডুর শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা, নল বন্ন্যা, ফাদংচা ও হাসুরাতা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকি রয়েছে। ইউপি সদস্য আবদুস সালাম আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডু শহরের আশপাশের প্রচুর গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। তবে রাতভর কোনো ধরনের শব্দ শোনা যায়নি। আজ শনিবার সকাল থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিকট শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। সেই সঙ্গে গোলাগুলির শব্দ কানে ভেসে আসে। এ জন্য স্থানীয় লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিকট শব্দ ও গোলাগুলি খবর পেয়েছেন তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দুটি গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক দিন ধরে টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন সীমান্তে থাকা বিজিবির সদস্যরা। সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না : বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের ইনানীতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি) সদস্যদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।  বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তরকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ দুই দেশের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের ইনানীতে এসে পৌঁছেন বিজিবিপ্রধান।  এদিকে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বিজিবির কঠোর পাহারায় ঘুমধুম থেকে ছয়টি গাড়িতে করে ১৬৪ জনকে ইনানী সৈকতে আনা হয়। অপর ১৬৬ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনা হয়। হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাহাজে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের আরকান রাজ্য দখল নিতে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিভিন্ন ব্যারাকে হামলা চালায় বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ)। বিদ্রোহীদের গুলির মুখে টিকে থাকতে না পেরে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি), সেনা, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি বাহিনীর ৩৩০ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X