বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতির ঘটনায় ৪ কিশোর কারাগারে
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে  আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ৪ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আটককৃত কিশোরদেরকে  আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটকৃতরা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার টেতিগ্রামের কাজী আমির হোসেনের ছেলে কাজী সামির (১৫), একই গ্রামের কাজী আবুল কাসেমের ছেলে  কাজী আল আমিন (১৫), আবু হানিফের ছেলে শাকিবুল হাসান ফাহিম (১৪) ও আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন জিহাদ (১৩ )। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা পড়ুয়া।  লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৪ জনকে আসামি করে  লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১।  পরে অভিযান চালিয়ে তেলিগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় আগে কয়েকজন কিশোর রেললাইনের উপর ঘোরাঘুরি করতে থাকলে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে একটি স্কুল ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী  বিজয় ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত হয়।  পরে ফেলে রাখা স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ও ব্যাগের বিতর থেকে রেল লাইনের ৩টি বিয়ারিং প্লেট ও জন্মনিবন্ধের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  রোববার (১৭ মার্চ) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেল স্টেশনের  দক্ষিণে তেজের বাজার শিহর এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ১৮ বগির মধ্যে ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি 
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একটি বিভাগীয় উচ্চ পর্যায়ে অপর টি বিভাগীয় পর্যায়ের। উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রধান করা হয়েছে চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টকে (৪ সদস্য বিশিষ্ট), অপরটি ৫ সদস্যের।  রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জিএম নাজমুল ইসলাম জানান, এ দুর্ঘটনার দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. আবদুল হানিফ, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তা জাহেদ আরেফীন পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ ও ওয়াগন) সজীব হাসনাত। আনিসুর রহমান বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ সময়ে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কী কারণে ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হলো, তা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে।
১৭ মার্চ, ২০২৪

বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, তদন্ত কমিটি গঠন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে। পাঁচ সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. আবদুল হানিফ, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তা জাহেদ আরেফীন পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ ও ওয়াগন) সজীব হাসনাত। আনিসুর রহমান বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ সময়ে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। কী কারণে ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হলো, তা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে। এর আগে, রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এদিকে ট্রেনের বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-জামালপুর রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী ট্রেন একপাশ দিয়ে চলাচল করছে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ দুর্ঘটনায় কেউ তেমন গুরুতর আহত হননি বলেও জানান তিনি।
১৭ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার সংলগ্ন এলাকায়  এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকা লক ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে ট্রেনের বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-জামালপুর রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।   এ ছাড়া ঢাকা ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী ট্রেন একপাশ দিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট রেলের স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ দুর্ঘটনায় কেউ তেমন গুরুতর আহত হননি বলেও জানান তিনি।
১৭ মার্চ, ২০২৪

ময়মনসিংহে চলন্ত অবস্থায় খুলে গেল বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে জামালপুর চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সোমবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথিমধ্যে সোমবার রাতে ট্রেনটি জামালপুর-চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ট্রেনের সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ নম্বর বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেনের পরিচালক গৌরীপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় এসে টের পায়।  পরে ওই ট্রেনের পরিচালক উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি ট্রেনের সাথে যুক্ত করে নিয়ে গৌরীপুর স্টেশনে এসে যাত্রাবিরতি করে। পরে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় চলন্ত ট্রেনের দুটি বগির হুক খুলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেন থামানের পর উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি যুক্ত করে গৌরীপুর স্টেশনে নিয়ে আসি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহ থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ছাড়ার দাবিতে রেলপথ অবরোধ
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন আটকে এ বিক্ষোভ করেন তারা। নাগরিক সমাজের ব্যানারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছলে রেললাইনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা রেললাইনের ওপর শুয়ে ও প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহে বহাল রাখার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জানা গেছে, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়। এতে কমে গেছে টিকিট বরাদ্দ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ঘণ্টাখানেক পর চলাচল শুরু হয় জামালপুর-ময়মনসিংহ রেল চলাচল। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বুধবার ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহ থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ছাড়ার দাবিতে রেলপথ অবরোধ
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন আটকে এ বিক্ষোভ করেন তারা। নাগরিক সমাজের ব্যানারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছলে রেললাইনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা রেললাইনের ওপর শুয়ে ও প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহে বহাল রাখার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জানা গেছে, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়। এতে কমে গেছে টিকিট বরাদ্দ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ঘণ্টাখানেক পর চলাচল শুরু হয় জামালপুর-ময়মনসিংহ রেল চলাচল। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বুধবার ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ থেকেই ছাড়ার দাবি, রেলপথ অবরোধ
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের শুরুর পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। ময়মনসিংহ থেকেই ট্রেনটি ছাড়ার দাবিতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকেই ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের কাছে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। নাগরিক সমাজের ব্যানারে সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে পৌঁছলে রেললাইনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশনে এসে পৌঁছালে রেললাইনের ওপর শুয়ে এবং প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহে বহাল রাখার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।   জানা গেছে, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়। এতে কমে গেছে টিকিট বরাদ্দ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশ্বাসে ট্রেন ছেড়ে দিলে ঘণ্টাখানেক পর জামালপুর-ময়মনসিংহ রেল চলাচল শুরু হয়। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বুধবার ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এক প্রজ্ঞাপনে ১ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন জামালপুর রেলস্টেশন থেকে চলাচল করবে বলে জানানো হয়। এর প্রতিবাদে মাসখানেক ধরেই আন্দোলন করছে ময়মনসিংহের একাধিক সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩

অল্পের জন্য রক্ষা পেল বিজয় এক্সপ্রেস
ময়মনসিংহের নান্দাইলে অল্পের জন্য নাশকতা থেকে রক্ষা পেল বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। নান্দাইল উপজেলার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত ময়মনসিংহ-ভৈরব রেলপথের মোহনপুর নামক স্থানে রেললাইন কেটে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের কাছাকাছি দুই জায়গায় প্রায় ১৮ ইঞ্চির মতো অংশ কেটে দেয়।  কাটা অংশটুকু সরাতে না পারায় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবহিত হওয়ায় অল্পের জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতি কমিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় রেললাইনের ওই জায়গাটি অতিক্রম করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। পরে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের লোকজন রেলপথের কাটা অংশ মেরামতের কাজ করেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার মোহনপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রেললাইনের যে অংশটি কাটা হয়েছে সেখানে কোনো বাড়িঘর নেই। এ কারণে সেখানে কোনো লোক চলাচল নেই বললেই চলে। তাই জায়গাটি খুবই নির্জন। তাছাড়া এ লাইন দিয়ে সারাদিনে নাসিরাবাদ মেইল ও বিজয় এক্সপ্রেস নামে মাত্র দুটি ট্রেন চলাচল করে। বিজয় এক্সপ্রেক্স ট্রেনটি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ময়মনসিংহে ফিরে আসে।  গ্রামবাসীরা জানান, মোহনপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন খেলা দেখার জন্য রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখনই তারা রেললাইন কাটা দেখতে পান। পরে বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদুল ইসলাম ভূঁইয়াকে জানান। ইউপি সদস্য পরে বিষয়টি নান্দাইল থানায় অবহিত করেন। এরপর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কৃষ্ণ পাল, রেলওয়ের পিডব্লিউআই রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে যান।  নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পাল জানান, রেললাইন কেটে ফেলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। এতে ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
১১ নভেম্বর, ২০২৩

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদ
ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন করে জামালপুর নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। এ সময় তারা বলেন, রেলপথে মাথা দেব, দেহ দেব, প্রাণও দেব। তবুও ময়মনসিংহের একমাত্র ট্রেন বিজয় এক্সপ্রেসের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন করতে দেব না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রেলপথে অবস্থান, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা। প্রতীকী অনশনে রেলপথে শুয়ে পড়েন অনেকে। বিক্ষোভকারী আলী ইউসুফ বলেন, ময়মনসিংহবাসীর একমাত্র ট্রেনটি কেড়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা জীবন দিয়ে হলেও এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব। ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন না করার দাবি জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ গত ২৯ অক্টোবর রেলমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠান।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩
X