হঠাৎ তিন দিন বন্ধের ঘোষণা দিল বুড়িমারী স্থলবন্দর
ভারতের জলপাইগুড়িতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে হঠাৎ তিন দিনের আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের মানুষের যাতায়াতে বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের স্থলবন্দরের পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল বন্ধ করে দেয়। বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বিভিন্ন রাজ্যে সাত দফায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫৪৩টি আসনে এ নির্বাচন হবে। তাই বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন আমদানি-রপ্তানি ও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে এ পথে যথারীতি দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। পাসপোর্টধারী এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গাইবান্ধা থেকে এসেছি। ভারতে যাব চিকিৎসার জন্য। আমার টিকিট কাটা রয়েছে। এখানে এসে শুনি যে ভোটের কারণে ইমিগ্রেশন বন্ধ। আমার শরীর ফুলে যাচ্ছে। আমার অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ মুহূর্তে কোথায় যাব আমি। রংপুর থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী স্টালিন বলেন, আমি ভারতের কলকাতায় যাব চিকিৎসার জন্য। আমার মতো আরও অনেকে এসেছে যারা ভারতে যাবে চিকিৎসার জন্য। আমরা জানি না, যেতে পারব কি না। আমারা যে টিকিট কেটেছি আমাদের সেই টিকিটের কী হবে? আমি যে ডাক্তারের অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়েছি এর কী হবে? বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আহসান হাবিব সরকার পলাশ বলেন, হঠাৎ করে আজ সকাল ৯টায় আমাকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করে। আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা অবাধে চলাচল করতে পারবেন। এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো লিখিত চিঠি পাইনি।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বুড়িমারী স্থলবন্দর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে। শবেকদর, ঈদদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলে মোট ১০ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, ৭ এপ্রিল শবেকদর, আগামী ১০-১২ এপ্রিল (সম্ভাব্য) পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ এবং ছুটির তারিখের আগে ও পরে শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি বন্ধ হওয়ায় মোট ১০ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বুড়িমারী কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) এসোসিয়েশন। তবে পুলিশ অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) চৌকি খোলা ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। উল্লিখিত সোমবার (১ এপ্রিল) বন্ধ ঘোষণা করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস কর্তৃপক্ষ), বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী বিজিবি কমান্ডার, পুলিশ ইমিগ্রেশন ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ও ভুটান স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস্, চ্যাংরাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনকে দিয়েছে বুড়িমারী সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। ১৫ এপ্রিল যথা নিয়মে ব্যবসায়ী কার্যক্রম সচল করা হবে বলে জানায় তারা (বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন)। বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আহসান কবির সরকার পলাশ বলেন, ‘সাধারণত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা কার্যক্রম বন্ধ রাখলে স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে বন্ধের সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পথ দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।’ বুড়িমারী কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) এসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সায়েদ বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সবার সিন্ধান্ত মোতাবেক শবেকদর, ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ উল্লিখিত তারিখ অনুযায়ী ১০ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ১৫ এপ্রিল এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগের নিয়মে চালু করা হবে।’ এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান ‘ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে এ স্থল শুল্ক স্টেশন ১০ দিন বন্ধ রাখার চিঠি পেয়েছি বলে জানান।’ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মেহেদী হাসান বলেন, ‘শবেকদর, ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং সচল করার ব্যাপারে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

তিন দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বুড়িমারী স্থলবন্দর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিনের ছুটিতে যাচ্ছে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর। এ সময় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পুলিশ অভিবাসনচৌকি (ইমিগ্রেশন) খোলা থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিঅ্যান্ডএফের সভাপতি বলেন, বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর এবং ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৮ জানুয়ারি বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালু করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬ থেকে ৭ জানুয়ারি ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখবে সে দেশের ব্যবসায়ীরা।  নির্বাচন উপলক্ষে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উল্লিখিত দুইদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধের একটি চিঠি এরই মধ্যে উভয় দেশের স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস কর্মকর্তা, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুর হাসান কবির বলেন,  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুইদিন বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বুড়িমারী অভিবাসন চৌকি হয়ে পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে। বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বুড়িমারী স্থলবন্দর ছেড়ে গেল আটকা পড়া দুই শতাধিক ট্রাক
বিএনপির ডাকা গত দুই দিনের অবরোধে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকা পড়া দুই শতাধিক ট্রাক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে এসব ট্রাক ছেড়ে যায়। এদিকে অবরোধে ট্রাক সংকটে পড়েন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। ভারত, ভুটান, নেপাল থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের মালামাল ট্রাকের অভাবে পড়ে থাকে বন্দরে। এসব আজ ট্রাকে লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনটি দিয়ে পাথর আমদানি হয়। কয়েক দফার অবরোধ, ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করায় এবং এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ না থাকায় রাজস্ব আয় কমে গেছে। ভুট্টা, গম, ডলোচুন, ভুসি, খৈল, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ভারত থেকে আগের মতো আসছে ট্রাক। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় বেশির ভাগ মালামাল বিভিন্ন গুদামে রাখা হয়। বুড়িমারী স্থলবন্দরে কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ারডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর প্রাণচঞ্চল ছিল। হঠাৎ করে অবরোধের কারণে ঢাকা, পাবনা, বিভিন্ন রুটের ট্রাক চলাচল করছে না। এর ফলে আমদানিকারকরা আসতে না পাড়ায় ব্যবসার নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাক ভাড়া বেশি। দূরপাল্লার কোনো ট্রাক যেতে চাচ্ছে না।’ বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিনের অবরোধে বুড়িমারী স্থলবন্দরের অনেক শ্রমিক কাজ না পেয়ে বাড়িতে বসে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেশের অবরোধ মানে শ্রমিকদের কষ্ট।’ ট্রাকচালক বাবলু মিয়া বলেন, ‘অবরোধের কারণে কোনো ভাড়া পাইনি। প্রায় ১০ দিন ধরে গাড়ি বসা। এই অবরোধে গাড়ি বের করতে সাহস পাই না। সব মিলে আমরা ট্রাকচালকরা খুব কষ্টে আছি।’ তবে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলিম বলেন, ‘বুড়িমারী স্থল বন্দরের চলতি বছরের অক্টোবরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। চলতি ১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। অবরোধের প্রভাব ও রাজস্ব আয় কমার বিষয়টি এখনো আমরা বুঝতে পারিনি।’ বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘চলমান অবরোধে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। স্থলবন্দরের সব কিছু সচল করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।’
১৬ নভেম্বর, ২০২৩
X