ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাবিতে বৃক্ষরোপণ
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের সামনে ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের সামনে ১০০টি গাছ রোপণ করা হয়। এ গাছগুলোর মধ্যে ছিল তেঁতুল, আম, বাদাম, মেহগনি, বটসহ দেশীয় বিভিন্ন ফলদ গাছ। কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘চলমান তাপপ্রবাহ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করছে। এ রকম পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলা করতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিবছরই লক্ষাধিক গাছ রোপণ করে আসছে।  তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনের প্রয়াসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে প্রথমদিনে ১০০ বৃক্ষ রোপণ করেছি। এ ছাড়া জুন মাস থেকে সামনের দিনে আরও ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিবস বিভিন্ন হলের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বৃক্ষরোপণের ঘোষণা দেওয়া হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবির জসীম উদদীন হলে ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ
দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। এই দাবদাহ হতে দেশবাসীকে রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের (এসডিজি) লক্ষ্যে সারা দেশে ১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নিজেদের হলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হলের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ করেছে হল ছাত্রলীগ। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সময় উপস্থিত ছিলেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেদায়েতুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. সুমন আলী, সহসম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, কর্মসূচিবিষয়ক উপসম্পাদক তাহমিদ ইকবাল মিরাজ, সহসম্পাদক এস.এম. রাহাত বিন আলীমসহ উপস্থিত ছিলেন হল ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী। কর্মসূচি সম্পর্কে কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি ও এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগ হলের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। আসুন আমরা সবাই বৃক্ষ রোপণ করি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষে ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ  কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আংশগ্রহণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নানা  প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। রোপণ করা বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে- আম, চালতা, লিচু পেয়ারা, আমড়া, সফেদা, জামরুল ও কামরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ।  এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আহ্বায়ক ড. মো. মোকাররম হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বৃদ্ধি একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি  আমাদের দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদার জন্য অধিকসংখ্যক ফলদ গাছের  প্রয়োজন। এজন্য দেশীয় জাতের  ফলদ গাছ আবাদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ গাছ যেমন ফল প্রদান করে তেমনি ছায়া প্রদান করে উষ্ণতা রোধে সহায়তা করে। আশা করছি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে গাছ লাগানোর একটি সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’ এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান শায়লা আক্তার বলেন, ‘গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। আমরা সবসময় ভালো কাজের পাশে থাকতে চাই।’ এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিউর  রহমান বলেন, গাছগুলো লাগিয়ে আমাদের অত্যন্ত আনন্দ লাগছে। আমরা যদি সবাই এভাবে গাছ লাগাই, দেশের আবহাওয়ার মধ্যে একটা পরিবর্তন সম্ভব। আমরা চাই সবাই এ কাজে এগিয়ে আসুক।  বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক  রাশেদ মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান, সহকারী অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম খলিল, প্রভাষক এস এম ইশমাম আলম এবং বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশ 
তীব্র দাবদাহ প্রশমন ও ক্যাম্পাস সবুজায়নের লক্ষ্যে দেশের সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।  রোববার (২৮ এপ্রিল) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। তীব্র দাবদাহের প্রভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র দাবদাহের সংকট মোকাবিলায় অন্যতম নিয়ামক বৃক্ষরোপণ। এতে আরও বলা হয়, তীব্র দাবদাহ প্রশমন ও মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের লক্ষ্যে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ষায় দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ করবে ছাত্রদল
প্রাণ, প্রকৃতি রক্ষা ও তীব্র তাপের থেকে মুক্তি মিলতে আষাঢ় থেকে বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বৃক্ষরোপণের প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাছ লাগিয়ে ফটোবাজি নয়, গাছের যত্ন নিতেও আমরা কাজ করব। ছাত্রদলের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃষ্টিহীন এই তীব্র রোদের সময় গাছ রোপণ করা হলেও সেগুলো বাঁচবে না। এই খরার মাঝে কৃত্রিমভাবে পানি সরবরাহ করেও গাছ বাঁচানো অসম্ভব কাজ। দেশের গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা যখন ৩০-৩২ ডিগ্রি ছিল, তখনই নতুন গাছ বাঁচত না। এখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি। তাই দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আসন্ন বর্ষায় সারা দেশে বৃক্ষরোপণ করবে ছাত্রদল। নাছির বলেন, ছাত্রদল বিশ্ব পরিবেশ দিবস, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীসহ নানা উপলক্ষে অতীতেও সফলভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে । এ বছর আরও বড় পরিসরে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করব।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বৃক্ষরোপণ করে পুরস্কারের বদলে সাবেক এক ইউএনও পেলেন ‘তিরস্কার’
২০১৯ ও ২০২০ সালে হাটহাজারী উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন ব্যক্তিগত খরচে বিভিন্ন স্কুল ও সড়কের পাশে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করেন; যা সে সময় দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়। পরে ২০২১ সালে এই দম্পতিকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনীত করা হলেও পরে তাদের বাদ দিয়ে এ পদক দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা পরিষদকে।  এমন পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে ২৮ মে পুরস্কারের জন্য তাদের আবেদন প্রত্যাহার করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে সময় ফলাও করে প্রচার হয়। ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর বৃক্ষরোপণের জন্য প্রশংসিত হাটহাজারীর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে ‘তিরস্কার’ এর শাস্তি প্রদান করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়!  মোহাম্মদ রুহল আমীন এখন বাংলাদেশ চা বোর্ড, চট্টগ্রামে সচিব (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রুহুল আমীন ২০২২ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলার প্রাক্কালে হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ও আইনসম্মত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।’ যদিও ওই প্রজ্ঞাপনে রুহুল আমিনের বাগান সৃজনের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রুহল আমীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি বেশ কয়েকটি বাগান সৃজন করে জনস্বার্থের জন্য ইতিবাচক কাজ করেছেন বিধায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তাকে সর্বনিম্ন দণ্ড ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হয়।’ সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এই দণ্ড প্রদানের কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে   বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য আবেদন করেছেন।’ একইভাবে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এই দণ্ড প্রদানের আরেকটি কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ না থাকায় মিথ্যা তথ্য ও জাল কার‌্যবিবরণী সহকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর গত ২৮ মে ২০২২ পুরস্কারের আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এবং অনুরুপ মিথ্যা তথ্য ও জাল দলিল সরবরাহ করে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করানোর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’ তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপন দেখে হতবাক হয়েছেন হাটহাজারীর তথা চট্টগ্রামের মানুষ। যে ব্যক্তির দক্ষতায় হাটহাজারীর দুর্গম মনাই ত্রিপুড়া পল্লী, বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীর সুরাক্ষায় যার অবদান ছিলো সর্বজন প্রশংসিত। যিনি নিজ উদ্যোগে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করে সুশোবিত করেছিলেন হাটহাজারী উপজেলা, সেই কর্মকর্তার উল্টো শাস্তির মুখে পরার ঘটনা তারা মেনে নিতে পারছেন না। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বলেন, ‘রুহুল আমিন সাহেব একজন সাহসী এবং সৎ মানুষ। তিনি দুর্নীতি মুক্ত ছিলেন। ওনি যা করেছেন নিজের জন্য নয়, এলাকার জন্য করেছেন। মূলত ভালো কাজ করলে অনেকে তাকে পছন্দ করেন না।’ তবে হাটহাজারীর সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ডিগ্রি নিতে বৃক্ষরোপণ বাধ্যতামূলক দেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্নাতক ডিগ্রি পেতে বাধ্যতামূলক ন্যূনতম পাঁচটি বৃক্ষরোপণের নিয়ম করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ।  এ অনুষদের অধীনে একমাত্র বিভাগ ইংরেজি বিভাগের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনের জন্য এখন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এ বৃক্ষরোপণ করতে হবে। গত ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৫৩তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এর জন্য কোনো ক্রেডিট বা নম্বর বরাদ্দ না থাকলেও, বিভাগ থেকে এ বিষয়ে ছাড়পত্র প্রেরণ না করলে কোনো শিক্ষার্থী তার সনদ উত্তোলন করতে পারবে না।  ফলে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সের অধীনে বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে, রাস্তার ধারে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বা যে কোনো উপযুক্ত জায়গায় প্রতি বছর কমপক্ষে ২০০ বৃক্ষরোপণ করবে। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, কয়েক বছর ধরে বিরূপ আবহওয়ার প্রাদুর্ভাব, তীব্র দাবদাহ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশগত দূষণ এবং বিপর্যয় প্রশমনের অংশ হিসেবে যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি অনুষদীয় সভার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে প্রেরণ যা পরবর্তীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণ ফোরাম, রিজেন্ট বোর্ডের ৯৪তম সভায় ও অনুমোদিত হয়। এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মুনিবুর রহমান বলেন, আমরা সবাই ধরিত্রী মাতার সন্তান। অথচ এ সর্বংসহা ধরিত্রীকে আমরা নানাভাবে লুণ্ঠন করেছি, বাস্তুতন্ত্র বিপর্যস্ত করেছি এবং পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছি। ভবিষ্যতে মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই পৃথিবীকে সারিয়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। যদি পৃথিবী বাসযোগ্যই না থাকে, তাহলে আমাদের সব জ্ঞান ও অর্জন কোনো কাজেই আসবে না। কিন্তু, শুধু ইংরেজি বিভাগের এ উদ্যোগ গোটা দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। তবে, আমরা বিশ্বাস করি, ধরিত্রী মাতাকে সারিয়ে তোলার তাগিদে যবিপ্রবির অন্যান্য বিভাগসহ বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক দিন এগিয়ে আসবে; ধরিত্রী মাতা আবার সবুজ-শ্যামলিমায় সুন্দরী ও বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থী অর্থাভাবে পাঁচটি বৃক্ষের চারা ক্রয় করতে না পারে, তাহলে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুদানে পরিচালিত কল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্য করা হবে। এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বারই উন্মোচন করে না, তাদের সমাজ ও দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। ইংরেজি বিভাগের এ সিদ্ধান্তটি সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রতিপালন এবং পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শুধু বৃক্ষরোপণ নয়, আরও সমাজসেবামূলক কাজে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। আমার অনুরোধ থাকবে, আগামীতে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি সাক্ষরতা অভিযান, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখাসহ সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ যেন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমার বিশ্বাস, আগামীতে যবিপ্রবির এ দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের  সব প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে। একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য, সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে বৃক্ষ রোপণের কোনো বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় যবিপ্রবি শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের উদ্যোগে এসব আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনার ম্যুরালের সামনে কেক কাটেন এবং গাছের চারা রোপণ করেন। এ উপলক্ষে শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় উন্নতমানের খাবার। এর আগে শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার সম্মাননা তুলে দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে আলোচনাসভায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার সামনে শত শেখ হাসিনা উপস্থিত আছে। আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা থাকলে যেভাবে আমাদের সাহস বাড়ে, শেখ হাসিনা থাকলে যেভাবে মানচিত্রকে হায়েনারা খামচিয়ে ছিঁড়ে ফেলতে পারে না, এই শত শত শেখ হাসিনা যখন শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবে, তখন এই দেশে কোনো হায়েনার দল থাকবে না। শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুশির দিন। কারণ এই দিনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেন। এই দিন না আসলে ১৫ আগস্টের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের সমাপ্ত হতো এবং বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হতো পাকিস্তানের মতো। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ফাতেমা-তুজ-জোহরার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট ইসরাত জাহান, কানিজ ফাতেমা কানন, হুমাইরা আঞ্জুমী, নাজিয়া নওশাদ লিনা, শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাজমুস সাকিব, সাংগাঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয়, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আসমা সাদিয়া শুচি। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের উদ্যোগে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমিন মোহাম্মদ সিটিতে বৃক্ষরোপণ উৎসব চলছে 
গত ২৬ আগস্ট থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে আমিন মোহাম্মদ সিটি প্রকল্পে বৃক্ষরোপণ উৎসব চলছে । আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের এই প্রকল্পটি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। ঢাকা-মাওয়া ৪০০ ফুট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথেই আধুনিক নগর জীবনের সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠেছে এ সর্ববৃহৎ আবাসন প্রকল্প। ‘সবুজেই হোক নতুন ঠিকানা’ এই স্লোগানে উদ্দীপ্ত হয়ে গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণ উৎসব উদ্বোধন করেন আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক (মার্কেটিং) সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়াসিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ইনচার্জ রুনা লায়লা তমা, মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) মো. ইউসুফ খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রতি বছরের ন্যায় ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি তিন ধরনের বৃক্ষরোপণ করা হবে।
২৯ আগস্ট, ২০২৩

জাতীয় শোক দিবসে বৃক্ষরোপণ করলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন। দোয়া মাহফিলে মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, সকাল ৯টায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সমাজকসেবা অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভোর সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এদিকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।  
১৫ আগস্ট, ২০২৩
X