ধানক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করল বোন জামাই
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইউনুস আলী নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বোন জামাই মুক্তার শেখ ও তার লোকজন। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলেসহ চারজন। শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রামে মাঠে ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ইউনুস আলী শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ক্ষয়ক্ষতি ও হত্যাচেষ্টার কথা জানিয়ে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন ইউনুস আলী। মুক্তার শেখকে প্রধান করে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেন তিনি। এ ঘটনার একদিন পরেই মুক্তার শেখের হাতেই খুন হন ইউনুস আলী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে মুক্তার শেখের মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইউনুস আলীর ছেলের। এ সম্পর্কে মুক্তার শেখ ও ইউনুস আলী দুজনে বেয়াই। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সকালে ইউনুস আলী বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে মাঠে ধান কাটতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে মুক্তার শেখ। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।  কুমারখালী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সাইদ সাকিব বলেন, শনিবার সকালে শিলাইদাহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রাম থেকে কয়েকজন মারামারির রোগী এসেছিল। তার মধ্যে ইউনুস আলী হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছেন। আহত দুজন কুমারখালীতে চিকিৎসাধীন আছে এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সকালে ইউনুস আলী ধান কাটতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে মুক্তার হোসেনের লোকজন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

একজনকেই বিয়ে করেছেন জোড়া লাগা দুই বোন
বিয়ে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল। তবে তাদের স্বামী একজনই। মার্কিন সাময়িকী পিপল ম্যাগাজিন এ তথ্য জানিয়েছে।  সাময়িকী জানিয়েছে, এই দুই বোন তিন বছর আগে মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে গোপনে বিয়ে করেছেন। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিখ্যাত জোড়া মাথার জমজ বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল মিনেসোটার বাসিন্দা। বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় আছেন তারা। তাদের শরীর এক হলেও মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনা আলাদা। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাও আলাদা। হৃৎপিণ্ড, পিত্তশয় এবং পাকস্থলি আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা আলাদা সময়ে পায়। ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা এই জমজ বোনের বাবার নাম প্যাটি ও মায়ের নাম মাইক। জন্মের সময় জমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো যেত না। তাই অপারেশন করে তাদের আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেননি তাদের বাবা-মা। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কাভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।  
৩০ মার্চ, ২০২৪

দুই বোন বাঁচিয়ে রেখেছেন যে ভাষা
মৌলভীবাজার চা বাগানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতিসত্তা খাড়িয়াদের বসবাস। তাদের মাতৃভাষার নাম খাড়িয়া। চা শিল্পাঞ্চলে কর্মরত অসংখ্য খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রাণের ভাষা ছিল খাড়িয়া। কিন্তু সময়ের গতিধারায় চা বাগান থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ভাষাটি। বর্তমানে খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর আপন দুই বোন ৮০ বছর বয়সী ভেরোনিকা কেরকেটা ও ৭৫ বছর বয়সী খ্রিস্টিনা কেরকেটা আদি খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন। জাত-পাত, সংস্কৃতি, ভাষায় বৈচিত্র্যপূর্ণ বাংলাদেশের একটি ভাষার শেষ প্রতিনিধি তারা। এই দুজনের মৃত্যু হলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী ভাষাটি। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের বর্মাছড়ায় ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা দুই বোন খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাদের পরিবারের সদস্য ও খাড়িয়া সম্প্রদায়ের কোনো মানুষের ভাষাটি সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাদের মৃত্যুর সঙ্গে এ দেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রকৃত ভাষা খাড়িয়া। সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের রাজঘাট চা বাগানে ঘুরে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের দেখা মিললেও ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা ছাড়া আর কোথাও প্রকৃত খাড়িয়া ভাষায় কথা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি। অনেক সন্ধান করে বর্মাছড়া ভেরোনিকা কেরকেটার দেখা হলে এসময় তিনি খাড়িয়া ভাষা ও বাংলায় বলেন, ‘আমাদের মা-বাবা ভারতের রাচি থেকে এখানকার চা বাগানে আসেন। এখানে আমাদের জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা-মা খাড়িয়া ভাষা বলত। তাদের কাছ থেকে শেখা। বর্তমানে বাগানে অনেক ভাষার মিশ্রণে আমাদের সন্তানরা মাতৃভাষা বলতেও পারে না, এমনকি বুঝেও না। এই বাগানের মধ্যে আমরা দুই বোন খাড়িয়াতে কথা বলতে পারি। সুখ-দুঃখে আমরা আমাদের দুই বোনের মধ্যেই আমাদের ভাষায় কথা বলি। এতে আমাদের প্রাণ খুলে মনের ভাব প্রকাশ করি। পরিবারের অন্যরাসহ বাগানে কারও সঙ্গে আমরা দুই বোন প্রাণ খুলে মনের মতো করে কথা বলতে পারি না। এটাই আমাদের দুঃখ।’ সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলেও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খাসি, কোড়া, পাংখুয়া, খাড়িয়া, সৌরা, কোডা, মুন্ডারি, মালতো, কন্দ, খুমি, রেংমিতচা, খিয়াং, পাত্র ও লুসাই ভাষা সহ ৪৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। এসব ভাষাগুলো ব্যবহার করা লোকের সংখ্যা খুবই কম। সরকারিভাবে ২০১৯ সালে তৈরি করা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকায় খাড়িয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের মাতৃভাষার নিজস্ব বর্ণমালা থাকার পরও শুধু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খাড়িয়া ভাষা হারানোর পথে। খ্রিস্টিনা কেরকেটা বলেন, আমরা দুই বোন একই বাগানের পাশাপাশি সেকশনের কলোনিতে সপরিবারে বসবাস করি। এ ছাড়া আর কারও সঙ্গে খাড়িয়া ভাষায় খুব একটা আলাপচারিতা হয় না। এ কারণে খাড়িয়া ভাষাটি অনেকটা মৃত্যুর মুখে। মাংরা বস্তির খাড়িয়া সম্প্রদায়ে জহরলাল ইন্দোয়ার বলেন, খাড়িয়া ভাষা ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। ভারতের রাচিতে খাড়িয়া ভাষার বহুল প্রচলিত। আমাদের পূর্বপুরুষ যারা রাচি থেকে এদেশে চা বাগানে আসেন, সে সময়ে এই ভাষার ব্যাপক প্রচলন ছিল। চা বাগানগুলোর মধ্যে বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। লিজা ইন্দোয়ার, শ্রীমঙ্গল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সীমা ইন্দোয়ার বলেন, আমাদের মাতৃভাষা যে খাড়িয়া, তা বাপ-দাদার কাছে শুনেছি। কিন্তু শিখতে পারিনি। বাংলায় লেখাপড়া করি আর বাবা-কাকারাও বাংলা, দেশোয়ালি ও ভাষার সংমিশ্রণে এক ধরনের ভাষায় কথা বলে। যার কারণে আমরা আমাদের মাতৃভাষা এখন বলতে পারি না। এমনকি বুঝিও না। তবে মাতৃভাষা সংরক্ষণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আবশ্যক বলে দাবি তাদের। শ্রীমঙ্গলে রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে নিজস্ব ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে ৪৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। এর মধ্যে একটি ভাষা খাড়িয়া। তাই এটি সংরক্ষণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের দাবি জানান। মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, যেহেতু দুই নারী ছাড়া দেশে আর কেউ ভাষাটি জানেন না, বোঝেন না বা চর্চা করেন না; তাই সহজেই অনুমেয় যে, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে এ দেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ভাষা খাড়িয়া।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হাত-পা-মুখ বেঁধে শিশু হত্যা পালিয়ে বাঁচল বড় বোন
ফেনীর পরশুরামে হাত, পা ও মুখ বেঁধে এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই শিশুর ১২ বছরের বড় বোন পালিয়ে বেঁচে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম বাঁশপদুয়া গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন খান। নিহত উম্মে সালমা লামিয়া (৭) পৌরসভার কলাবাগান এলাকার নুর নবীর মেয়ে। তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানাকে নিয়ে ভাড়া থাকেন নুর নবী। সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়েও থাকত। মঙ্গলবার দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। এ সময় ঘরে থাকা ফাতেমা ও লামিয়া দরজা খুলে দিলে ঘরে ঢুকে দুই যুবক লামিয়াকে জাপটে ধরে টেপ দিয়ে মুখ, হাত ও পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তবে বড় বোন ফাতেমা কৌশলে পালিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনার সময় নুর নবী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফেনীতে অবস্থান করছিলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। নুর নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন আমার দুই সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। নুর নবী বলেন, প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ছোট মেয়েকে কারা যেন হত্যা করেছে। মেয়ে হত্যার বিচার চাই। ওসি শাহাদাত বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: রিহাব মাহমুদ
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হাত-পা বেঁধে শিশুকে হত্যা, পালিয়ে বাঁচল বড় বোন
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় হাত, পা ও মুখ বেঁধে এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পালিয়ে তার বড় বোন বেঁচে যায়।  মঙ্গলবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) পরশুরামের পৌর এলাকার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবক লামিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচে। বর্তমানে নিহতের বড় বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুই বোন স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। তবে ঘটনার সময় নুরুন্নবী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী শহরে ছিলেন।  এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লীবিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। ওই সময় দুই বোন দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভেতরে ঢুকে লামিয়াকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে হত্যা করে। এ সময় বড় বোন ফাতেমা পালিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহে এ ঘটনা ঘটতে পারে।  নুরুন্নবী পরশুরামের পৌর এলাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে বাঁশদুয়ার পশ্চিম পাড়া এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানাকে নিয়ে থাকতেন। নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তার অভিযোগ করেন, নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার (আয়েশার) সন্তান লামিয়াকে হত্যা করেছে। আয়েশা আক্তার এ ঘটনায় নূরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে দোষারোপ করেন। পরশুরাম থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএসএমএমইউতে সফল বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত এক রোগীর সফলভাবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে এখানে প্রথম একটি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়। তবে হেমাটোলজি বিভাগে নবনির্মিত বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি সেন্টারের এটিই প্রথম বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় হেমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন শাহ এ ট্রান্সপ্লান্টেশনের কারিগরি বিষয় উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রক্তরোগ মাল্টিপল মাইলোমায় আক্রান্ত ৬৩ বছর বয়সী এনামুল হক নামের ওই ব্যক্তির বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনে খরচ হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার টাকা। এখন স্বল্প খরচে নিয়মিত এ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে ২ বোন নিহত
ময়মনসিংহের ভালুকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মুরগিবোঝাই পিকআপ সংঘর্ষে দুই বোন নিহত হয়েছে। এ সময় আরও তিনজন আহত হন। নিহত দুই বোন হলেন- মোছা. আসমা খাতুন (৩০) ও মোছা. শিরিনা খাতুন (২৫)। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ভরাডোবা-ঘাটাইল সড়কে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়ন হাতিবেড় গ্রামের বঙ্গারভিটার মো. আসাদ আলীর মেয়ে। তারা ভরাডোবা নিশিন্দা পেট্রিয়ট স্পিনিং মিলসে চাকরি করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসমা খাতুন, শিরিনা খাতুন ও তাদের বোন অজুফা খাতুনসহ কয়েকজন মিলশ্রমিক অটোরিকশায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে ভরাডোবা-ঘাটাইল সড়কে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামের জাহিদ ট্রেডার্সের সামনে ঘাটাইলগামী একটি মুরগিবোঝাই মিনি ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আসমা খাতুন ও শিরিনা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ সময় তাদের অপর বোন অজুফা খাতুন, অটোরিকশাচালক জুলহাস (৩২) ও অপর যাত্রী মুর্শেদা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে বেশ কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে মাটি ফেলে রাখার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সরু হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহত দুই বোন মিলশ্রমিক ছিলেন। তাদের লাশ উদ্ধার এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জন্মদিনে মির্জা ফখরুলকে দেখতে কারাগারে স্ত্রী-মেয়ে ও বোন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ও দেখা করতে কারাগারে গিয়েছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি এবং বোন। কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান তারা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, প্রতি বছর মহাসচিবের জন্মদিনে প্রথম শুভেচ্ছা জানাতেন মেয়ে  শামারুহ মির্জা। কিন্তু এবার তিনি কারাগারে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এবার মহাসচিবের জন্মদিন কাটবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। তার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছেন বোন। তাকে নিয়ে সকালে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে কেরানীগঞ্জে গেছেন ভাবি ও ছোট মেয়ে।    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন আজ (২৬ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন বিএনপির এ নেতা। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। বর্তমানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

টিকটক নিয়ে বিরোধ, বোনের গুলিতে বোন নিহত
পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষ অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। টিকটকের জন্য ভিডিও বানানো নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছেন দুই বোন। এরপর একে অন্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন। অবিশ্বাস্য এমন এক ঘটনা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।  রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম এআরাইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, টিকটক ভিডিও নিয়ে ১৪ বছর বয়সী বোনের সঙ্গে অপর বোনের বিরোধ হয়েছিল। এর জেরে একে গুলি চালিয়ে অন্যজনকে হত্যা করেছেন অপর বোন। আর নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের গুজরাট জেলার সারাই আলমগীর জেলায়।  বিবাদে জড়ানো ওই দুই বোনের নাম সাবা আফজাল ও মারিয়া আফজাল। সামাজিকমাধ্যম টিকটকে ভিডিও বানানোর জন্য তাদের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর সাবা তার বোন মারিয়ার ওপর গুলি চালিয়ে দেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সাদ্দার পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।    পাকিস্তানের টিকটকের ভিডিওর জন্য প্রাণহানি নতুন নয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তিন কিশোর নিহত হয়েছিলেন।  ওই তিন কিশোর মোটরসাইকেলে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। এ সময়  বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সাথে সংঘর্ষে তারা নিহত হন।  সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, দেশটিতে অনৈতিকতার অভিযোগে ধর্মীয় আলেমরা বেশ কয়েকবার টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। এরপর আংশিকভাবে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এর আগে ২০২১ সালে দেশটির টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ পাঁচ মাস টিকটক বন্ধ করে দেন। ওই সময়ে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অনৈতিকতার বিস্তার ঠেকানোর নিশ্চয়তার ভিত্তিতে আবার এ মাধ্যম খুলে দেওয়া হয়।  
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দিনাজপুর-৫ আসনে বাবার জন্য নির্বাচনী মাঠে ২ বোন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। মেয়েরা বাবার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে উঠান বৈঠক, পথসভা করছেন।যাচ্ছেন ভোটরদের দ্বারে দ্বারে। এ আসনে ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ৮ বারের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের দুই মেয়ে ফারহানা রহমান মুক্তা ও ফারজানা রহমান শিমলা। শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি দুই উপজেলার স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন তারা। দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিশেষ করে এই দুই মেয়ের সরব প্রচারে এলাকায় জনসমাগম বাড়ছে। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এমপি কন্যা ফারহানা রহমান মুক্তা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও শান্তির প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে সবাইকে অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষা ভাতা। দেশের জন্য কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাই তার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বংলাদেশ বিনির্মাণে নৌকায় ভোট চান তিনি।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X