খোলাবাজারে পাওয়া যাচ্ছে না ডলার
ক্রলিং পেগ ঘোষণা করে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আবারো খোলাবাজারে ডলার নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই খোলাবাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে ডলার। তবে দুই-একটি মানি চেঞ্জারে পাওয়া গেলেও গুণতে হচ্ছে ১২৬-১২৮ টাকা। রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও গুলশান এলাকার মানি চেঞ্জারগুলো ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য বলছে, গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ওই সময়ও খোলাবাজারে ডলারের নির্ধারিত দর ছিল ১১৬ টাকা। যদিও ব্যবসায়ীরা ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা ডলার বিক্রি করছিল। কিন্তু ব্যাংক রেট ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরই খোলাবাজারে ডলারের সংকট তৈরি হয়। এতে ডলারে দর এক লাফে বেড়ে ১২৬ থেকে ১২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যদিও মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিন সিকদারের দাবি ডলার দর ১২১-১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, খোলাবাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট ছিল না। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত দরেই ডলার বিক্রি করতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ডলারের দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ায় একটু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এক সঙ্গে এতে টাকা বৃদ্ধি না করলে ভালো হতো। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলার দর খুব বেশি বেড়ে না যায়। এদিকে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় ডলার কিনতে আশা রফিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪টি মানি চেঞ্জারে গিয়েও ডলার পাইনি। তারা বলছে ডলার নেই। অন্য জায়গায় যোগাযোগ করেন।  আর দিলকুশা এলাকার একটি মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তার কাছে গ্রাহক সেজে দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে ডলার নেই। তবে ব্যবস্থা করে দিতে পারব। সে ক্ষেত্রে দাম দিতে হবে ১২৮ টাকা করে। অপর একজন দর ১২৬ টাকা জানিয়েছেন। অন্য আরও কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলেও তারা ডলার নেই বলে জানিয়েছে।
২৮ মিনিট আগে

ব্যাংক ঋণের সুদহার হলো বাজারভিত্তিক
অবশেষে ঋণের সুদহার ‘বাজারভিত্তিক’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরাই বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। এতে ঋণের সুদহার আরও বাড়বে। অন্যদিকে নীতি সুদহারও ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়েছে, যা ঋণের সুদ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। এসব এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন কলাকৌশল ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে সফররত প্রতিনিধিদলের শেষ দিনে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে এমন পদক্ষেপ নিতে অর্থনীতিবিদরা আহ্বান জানালেও তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এসব শর্ত মানতে বাধ্য হয়েছে তারা। এ নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর পৃথকভাবে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দুটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করে কমিটি। চ্যালেঞ্জ দুটি হলো মূল্যস্ফীতির অব্যাহত উচ্চহার ও বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ক্রমাগত অবক্ষয়। কমিটি আরও জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মুদ্রা সংকোচন নীতিমালা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে যোগ দেন ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ,বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. এজাজুল ইসলাম। এ ছাড়া ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ ও পূর্বাভাস নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতি, ব্যাংকিং খাতের মুদ্রা ও তারল্য পরিস্থিতি, সুদহার করিডোরের অবস্থা, বহিঃস্থ খাত থেকে আসা চাপ এবং বিনিময় হার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। দুটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে এমপিসির বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার মূল্যস্ফীতি কমানো, বিনিময় হার স্থিতিশীল করা ও রিজার্ভের অবক্ষয় রোধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি অনমনীয়ভাবে উঁচুতে রয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার মজুত প্রত্যাশিত পর্যায়ে উন্নীত করা যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ডেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তাদের বলা হয়েছে, সুদ হার বাজারভিত্তিক করা হলেও তা যেন বর্তমানের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি না বাড়ে। গতকাল এসব সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও তাতে অংশ নেননি সাংবাদিকরা। কারণ, দেড় মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত হিসেবে আইএমএফ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় করার পরামর্শ দিয়ে আসছিল। আইএমএফের চাওয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যেন বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পথে এগোয়। সেইসঙ্গে ব্যাংক ঋণের সুদহারও যেন বাজারভিত্তিক করা হয়। বাজারভিত্তিক সুদহার: গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণের পদ্ধতি স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) চালু করলেও গতকাল তা প্রত্যাহার করেছে। তারা বলছে, ব্যাংক ঋণের সুদহার সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক খাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো ঋণের খাতভিত্তিক সুদের হার ঘোষণা করবে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহক ভেদে ঘোষিত হার অপেক্ষা ১ শতাংশের কম বা বেশি হারে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। ঋণ অনুমোদনের সময় সুদহার অপরিবর্তনশীল নাকি পরিবর্তনশীল, তা উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বৃদ্ধি করা হবে এবং উক্ত বৃদ্ধি কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, তাও ঋণে উল্লেখ থাকতে হবে। সেইসঙ্গে কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেই সময়ে চলমান বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণস্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। এ ছাড়া ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আরোপ করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ বা বিশেষ তহবিল বা পুনঃঅর্থায়ন বা প্রাক-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় প্রদত্ত ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। নীতি সুদহার বৃদ্ধি: নীতি সুদহারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রে বলা হয়েছে, গতকাল মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৮ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ঋণের সুদহার নির্ধারণের পদ্ধতি স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) প্রত্যাহার করেছে। তারা বলছে, সুদহার সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নীতি সুদের করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে সুদহার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে এবং নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে

সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
গত বছরের জুনে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু মাত্র ১১ মাসের মাথায় সে নীতি থেকে সরে আসা হয়েছে। এবার ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংকগুলো চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। সুদহার শতভাগ বাজার ভিত্তিক করতে ‘স্মার্ট’ ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো। এদিকে আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নীতি সুদহার বা রেপো রেট ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতি অনুযায়ী, ৯ মে থেকে রেপো রেট হবে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রজ্ঞাপনে নীতি সুদের করিডরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে সুদহার ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে এবং নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিক পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ব্যাংক ঋণের সুদহার আরো বাড়বে। গত মাসে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।   তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো। এক্ষেত্রে ব্যাংকখাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা মানতে হবে।   ক) ব্যাংকগুলো ঋণের খাতভিত্তিক সুদের হার ঘোষণা করবে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে ঘোষিত হার অপেক্ষা ১ শতাংশ কম বা বেশি হারে ঋণ প্রদান করতে পারবে। খ) ঋণের মঞ্জুরিপত্রে উক্ত ঋণের সুদহার অপরিবর্তনশীল (ফিক্সড রেট) বা পরিবর্তনশীল (ভেরিয়েবল রেট) তা উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বৃদ্ধি করা হবে এবং উক্ত বৃদ্ধি কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, তা আবশ্যিকভাবে মঞ্জুরিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। গ) কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, উক্ত সময়ে চলমান ঋণ বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণ স্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। ঘ) ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আরোপ বা আদায় করা যাবে না। ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ, বিশেষ তহবিল, পুনঃঅর্থায়ন বা প্রাক-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় প্রদত্ত ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি জারিকৃত বিআারপিডি সার্কুলার নম্বর-৪ এর নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট মাসের ৭ তারিখের মধ্যে উক্ত মানের ঘোষিত সুদহার বিবরণী ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ ডেটা ওয়্যারহাউজে (ইডিডব্লিউ) আপলোড চলমান থাকবে।   
২০ ঘণ্টা আগে

১৩৯ উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকছে আজ  
দেশের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যাংক এবং এর শাখা ও উপশাখা বন্ধ রয়েছে। সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক বুধবার (৮ মে) রংপুর বিভাগের ১৯টি, রাজশাহী বিভাগের ২৩টি, খুলনা বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ঢাকা বিভাগের ২৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৮টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তপশিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তপশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০৮ মে, ২০২৪

নিবন্ধনে এগিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক
২০১৯ সালে ব্যাংকটির নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩২ হাজার ৫৩ জনে উন্নীত হয়। তবে চলতি বছর নানা কারণে দেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধনেও পড়েছে। তা সত্ত্বেও এ বছর শুধু প্রিমিয়ার ব্যাংক একাই ১৭ হাজার ৫৮৩ হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, যা যে কোনো ব্যাংকের থেকে বেশি। ব্যাংকিং সেবার শুরু থেকেই প্রিমিয়ার ব্যাংক হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে হজ নিবন্ধন ও হজ সম্পর্কিত সেবা সার্ভিসে অনেক ব্যাংকের চেয়েই এগিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক। প্রতি বছরের মতো এবারও বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটি হজযাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সেবা দিচ্ছে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে—সরকার নির্ধারিত কোটা এবং দর অনুযায়ী হাজিদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্থাৎ ডলার বা সৌদি রিয়াল সরবরাহ করা। কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই হাজিদের পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করা। সরকার নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী, হজ কার্ড বা ট্রাভেল কার্ড সরবরাহ এবং হজ চলাকালে বিশেষ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে সপ্তাহের প্রতিদিনই ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের তথ্য সেবা ও সহযোগিতা প্রদান। এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাংকটি রাজধানীর আশকোনায় এক সপ্তাহের জন্য হজ ক্যাম্প চালু করতে যাচ্ছে, যা আগামী বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হবে। এ ক্যাম্পের মাধ্যমে হাজিদের প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে, যা হজযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এর ফলে হজ কেন্দ্র করে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব হবে। এ ধরনের সেবা ও সহযোগিতার কারণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩২ হাজার ৫৩ জনে উন্নীত হয়। তবে চলতি বছর নানা কারণে দেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধনেও পড়েছে। তা সত্ত্বেও এ বছর শুধু প্রিমিয়ার ব্যাংক একাই ১৭ হাজার ৫৮৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, যা যে কোনো ব্যাংকের থেকে বেশি। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর কালবেলাকে বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সেবা নিয়ে হাজিরা আস্থার সঙ্গে হজ আদায় করতে পারছেন। হজ সেবায় আগে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ছিল। ব্যাংকিং সেবার প্রসারে সেটা অনেকটাই কমেছে। আগামীতে অন্যান্য ব্যাংক এ সেবায় আরও এগিয়ে এলে সেটা আরও কমে যাবে।
০৮ মে, ২০২৪

অষ্টম শ্রেণি পাসে চাকরি দেবে কমার্স ব্যাংক
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করে তা প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডাকযোগে বা কুরিয়ারে পাঠাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড পদের নাম : ড্রাইভার আবেদনের বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৫০ বছর পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৬ মে, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম আবেদনের শেষ তারিখ : ২০ মে, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস অভিজ্ঞতা : বৈধ লাইসেন্সসহ দক্ষতার সাথে গাড়ি চালানোর ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অন্যান্য শর্তাবলি : প্রার্থীকে অবশ্যই কার/জিপ/মাইক্রোবাস চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দেশের যে কোনো স্থানে/অত্র ব্যাংকের যে কোনো শাখায়/অফিসে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। ফিল্ড/প্রাক্টিক্যাল/মৌখিক পরীক্ষার জন্য কোনো প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না। স্বল্পসংখ্যক প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেই আবেদনপত্র বাতিল করার ক্ষমতা ও অধিকার সংরক্ষণ করেন। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদপত্রসহ বিভাগীয় প্রধান, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়, ইউনুস ট্রেড সেন্টার (লেভেল-২২), ৫২-৫৩, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ বরাবর আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যান্য সুবিধা : বছরে ২টি উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা, ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্র্যাচুইটি ছাড়াও ব্যাংকের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রদান করা হবে। ঠিকানা : হেড অফিস, ইউনুস ট্রেড সেন্টার, লেভেল-২২, ৫২-৫৩ দিলকুশা সি/এ, ঢাকা-১০০০
০৭ মে, ২০২৪

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি
বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। গতকাল সোমবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিযুক্ত পর্ষদের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। যদিও নবনিযুক্ত পর্ষদের প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় দিতে পারেননি। এমনকি প্রতিনিধি পরিচালকদের মধ্যে কে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, তারও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার চাপের মুখে আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ চার পরিচালক পদত্যাগ করলে গত রোববার নতুন পর্ষদ নিযুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন বুঝি। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ও তাদের পাশে থেকে ন্যাশনাল ব্যাংককে একটি ব্যবসায়ীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এই অগ্রযাত্রায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে চাই। ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হচ্ছে না। তার পরই আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করব। পরে সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এর উত্তর দিতে পারেননি। প্রতিনিধি পরিচালকরা সরকারের পরিচালক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। আমাদের কোম্পানি সেক্রেটারি পরবর্তী সময়ে আপনাদের জানাবে। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদেরই নিজেদের পরিচয় দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তারা চেয়ারম্যানসহ স্থান ত্যাগ করেন।
০৭ মে, ২০২৪

ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি : চেয়ারম্যান
বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দখল হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। যদিও নবনিযুক্ত পর্ষদের প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। এমনকি কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রতিনিধি পরিচালকরাও। এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন চেয়ারম্যানসহ প্রতিনিধিরা।  সোমবার (৬ মে) ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিযুক্ত পর্ষদের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চাপের মুখে আগের পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ জন পদত্যাগ করলে গত ৫ মে নতুন পর্ষদ নিযুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি দখলে নিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন বুঝি। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ও তাদের পাশে থেকে ন্যাশনাল ব্যাংককে একটি ব্যবসায়ীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বন্ধ পরিকর। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও তার হারানো এতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি। ন্যাশনাল ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রায় আমরা সাংবাদিকদের পাশে চাই। ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত করা হবে না। তারপরই আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক উন্নতির শর্ত দিয়েছে। আমরা আগামী ১ বছরের মধ্যে ওই শর্ত পূরণ করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ যদি চায় তাহলে ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে। পরে সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এর উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, তারা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি তা লিখিত আছে। আমাদের সিএফও পরবর্তীতে আপনাদের জানাবে। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিনিধি পরিচালকদেরই নিজেদের পরিচয় দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তারা তাদের পরিচয় না দিয়ে চেয়ারম্যানসহ স্থান ত্যাগ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা আরও চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিনিধি পরিচালকদের পরিচয় জানতে চান। এ সময় তিনি প্রতিনিধি পরিচালকরা সরকারের পরিচালক বলে উল্লেখ করেন। এমনকি ব্যাংকটি কোনো গ্রুপ দখল করেনি বলেও উল্লেখ করেন।
০৬ মে, ২০২৪

বুধবার যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে
দেশের ১৪১টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ উপলক্ষে এসব এলাকায় তপশিলি ব্যাংক এবং এর শাখা ও উপশাখা ওই দিন বন্ধ থাকবে। সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ৮ মে রংপুর বিভাগের ১৯টি, রাজশাহী বিভাগের ২৩টি, খুলনা বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ঢাকা বিভাগের ২৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৮টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।   এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তপশিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।   এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তপশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০৬ মে, ২০২৪

নতুন বিনিময় পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
খুব অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার(৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিসক্যাল অ্যান্ড মনিটারি পলিসিস ইন দ্য ইভলভিং ইকোনোমিক অর্ডার: রিস্ক, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড সলিউশন ‘ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এবং বাংলা দৈনিক ‘বণিক বার্তা’র যৌথ আয়োজনে ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স, ঢাকা’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারের সঙ্গে একটি মুদ্রাকে হারের একটি ব্যান্ডের মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে স্থির বিনিময় শাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ভাসমান বিনিময় হার শাসনের নমনীয়তা ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থ সচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি এবং ব্যাংক ও অধিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু বিষয় শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে তারা স্বাধীন নীতি প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত নীতির অগ্রাধিকারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি গত ৫০ বছর ধরে একটি ফাঁদে পড়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণের প্রবাহ বাড়ানোর নীতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতের বিশেষ করে আর্থিক খাতের তথ্যের মান উন্নত করতে হবে। তিনি সরকারের সমস্ত অফিস ও বিভাগকে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পরামর্শ দেন, কারণ ছোট ব্যয়গুলো সামগ্রিকভাবে একটি বড় পরিমাণে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি আর্থিক হিসাবের ঘাটতি সৃষ্টি করে। তিনি মুদ্রাবাজারে উচ্চক্ষমতার মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস করার পরামর্শ দেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তোলে।
০৬ মে, ২০২৪
X