২০১৯ সালে ব্যাংকটির নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩২ হাজার ৫৩ জনে উন্নীত হয়। তবে চলতি বছর নানা কারণে দেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধনেও পড়েছে। তা সত্ত্বেও এ বছর শুধু প্রিমিয়ার ব্যাংক একাই ১৭ হাজার ৫৮৩ হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, যা যে কোনো ব্যাংকের থেকে বেশি।
ব্যাংকিং সেবার শুরু থেকেই প্রিমিয়ার ব্যাংক হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে হজ নিবন্ধন ও হজ সম্পর্কিত সেবা সার্ভিসে অনেক ব্যাংকের চেয়েই এগিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক। প্রতি বছরের মতো এবারও বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটি হজযাত্রীদের জন্য বেশ কিছু সেবা দিচ্ছে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে—সরকার নির্ধারিত কোটা এবং দর অনুযায়ী হাজিদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্থাৎ ডলার বা সৌদি রিয়াল সরবরাহ করা। কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই হাজিদের পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করা। সরকার নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী, হজ কার্ড বা ট্রাভেল কার্ড সরবরাহ এবং হজ চলাকালে বিশেষ বুথ স্থাপনের মাধ্যমে সপ্তাহের প্রতিদিনই ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের তথ্য সেবা ও সহযোগিতা প্রদান।
এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাংকটি রাজধানীর আশকোনায় এক সপ্তাহের জন্য হজ ক্যাম্প চালু করতে যাচ্ছে, যা আগামী বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হবে। এ ক্যাম্পের মাধ্যমে হাজিদের প্রযুক্তিনির্ভর হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে, যা হজযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এর ফলে হজ কেন্দ্র করে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব হবে।
এ ধরনের সেবা ও সহযোগিতার কারণে প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৮৮৬ জন। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩২ হাজার ৫৩ জনে উন্নীত হয়। তবে চলতি বছর নানা কারণে দেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় তার প্রভাব প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিবন্ধনেও পড়েছে। তা সত্ত্বেও এ বছর শুধু প্রিমিয়ার ব্যাংক একাই ১৭ হাজার ৫৮৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, যা যে কোনো ব্যাংকের থেকে বেশি।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর কালবেলাকে বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সেবা নিয়ে হাজিরা আস্থার সঙ্গে হজ আদায় করতে পারছেন। হজ সেবায় আগে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ছিল। ব্যাংকিং সেবার প্রসারে সেটা অনেকটাই কমেছে। আগামীতে অন্যান্য ব্যাংক এ সেবায় আরও এগিয়ে এলে সেটা আরও কমে যাবে।