৬/৯ না থাকলে ব্যাংকিং খাত খুঁজে পাওয়াযেত না- অর্থমন্ত্রী
দেশে আজ যে ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি, তার নেপথ্যে অর্থমন্ত্রীর ৬/৯ স্তরে সুদহার দীর্ঘদিন ধরে রাখার জেদকেই দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এ দাবির পক্ষে ভিন্নমত পোষণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের মন্তব্য, ৬/৯ স্তরে সুদহার সরকারের একটি রাজনৈতিক অবস্থান, যা প্রথম দিকে সঠিক থাকলেও সেটি লম্বা সময় ধরে রাখা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত—অর্থমন্ত্রী এই দাবিকেও উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্টো তিনি দাবি করেছেন, ৬/৯ না থাকলে আজ দেশের ব্যাংকিং খাত খুঁজে পাওয়া যেত না। মানুষ খাবার খেতে পারত না। দেশে খেলাপি ঋণের মাত্রা আরও বেড়ে যেত। গতকাল রোববার সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জমা পড়া চাঁদার টাকা বিনিয়োগ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কালবেলার এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থে কেনা ট্রেজারি বন্ড আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান। এ সময় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফাসহ অর্থবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পেনশনের টাকা বিনিয়োগ হলো ট্রেজারি বন্ডে: জাতীয় পেনশন স্কিম নিরাপদ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষের চাহিদার অনেকটাই মেটাতে পারবে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং সবাই এতে উপকৃত হবেন। তিনি জানান, সর্বজনীন পেনশন এখন পর্যন্ত জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি। এ অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নিরাপদ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ উৎসে বিনিয়োগ করবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ট্রেজারি বন্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথমবারের মতো তহবিলের ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, আমরা এ পর্যন্ত ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রায় ১৫ হাজার জন রেজিস্ট্রেশন করে চাঁদা দিয়েছেন। তার মধ্যে থেকে প্রথমে আমরা বড় অংশ দিয়ে ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X