ধামরাইয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে তালা দিলেন আ.লীগ নেতা
ঢাকার ধামরাইয়ে আনারস মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোটরসাইকেল সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মেছের আলীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে মোটরসাইকেল সমর্থিতরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসুঙ্গর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরসুঙ্গর বাজারের পশ্চিম পাশে একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে আনারস মার্কার প্রার্থীর নেতাকর্মীরা নির্বাচনী ক্যাম্প করেন। সেই ক্যাম্প মোটরসাইকেল মার্কার নেতাকর্মীরা ও স্থানীয় কিছু লোকজন ভাঙচুর করে ঘরটি তালা দিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী আব্দুল লতিফ সেখানে যান। ভাঙচুর করা ক্যাম্প পরিদর্শন করে স্কুলের মাঠে বক্তব্য দেওয়ার সময় একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফকে ধাওয়া দিলে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ বলেন, আজ দুপুরে চরসুঙ্গর বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন একই এলাকার মেছের আলী ও তার ভাই মো. আক্কাছ আলীসহ তাদের লোকজন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার দাবি করছি। আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে ভাঙচুর করা নির্বাচনী ক্যাম্প পরিদর্শন করতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল প্রার্থীর নেতাকর্মীরা আমার গাড়িবহরে ধাওয়া করে। আমি আমার নেতাকর্মীদের কোনো রকম সংঘর্ষে জড়াতে মানা করে সেখান থেকে চলে যাই। মোটরসাইকেল প্রার্থীর কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মেছের আলী বলেন, আজ চরসুঙ্গর বাজারে আনারস মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আনারস মার্কার প্রার্থী আব্দুল লতিফ না জেনে আমাকে ও আমার ভাইকে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙার অপবাদ দেয়। সেই জন্য আমার লোকজন লতিফ ভাইকে এমন বক্তব্য দিতে মানা করে। কিন্তু সে তা না মেনে বক্তব্য দেয়। এই জন্য এলাকার লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়ে সেখান থেকে যেতে বলে। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও আনারস প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল লতিফকে ধাওয়া হয়েছে এই ধরনের একটি ফোন পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। সঠিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও প্রার্থীকে ধাওয়ার বিষয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। আমি প্রার্থী লতিফকে লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মে, ২০২৪

ঝালকাঠিতে পথসভায় হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে কীর্তিপাশা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন সুলতানসহ ২০ জন। এ ছাড়া তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সুলতান হোসেনের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কীর্তিপাশা মোড়ে তার একটি নির্বাচনী পথসভা চলছিল। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সেখানে কে বা কারা হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতানকে, এরপর চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশি পাহারায় সুলতানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাইম জানান, সুলতান হোসেন বাঁ কাঁধ ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম জানান, পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
১৫ মে, ২০২৪

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত ৫
পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( সুজানগর সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, বুধবার ভোটগণনা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। আনারস প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন পরাজিত হন। বুধবার ভোটগণনাকালেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা।  এ সময় তারা মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া, সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি, গোবিন্দপুর, শ্রীপুর, দুর্গাপুর, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া, আহম্মদপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর সোনাতালা, বাদাইসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত অর্ধশত বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।  একই রাতে আহম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণচর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের বাড়িতেও হামলা করে এবং তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরাজিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো আমার সমর্থকদের শতশত বাড়ি-ঘরে হামলা করা হয়েছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। তারা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও হত্যাচেষ্টা করেছে। আমার পরাজয় নিয়ে বা নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই কিন্তু আমার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে এসব নারকীয় তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত আইনে আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আমি কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেছি এবং তাদের বলেছি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে। অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মে, ২০২৪

প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গিমাডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনে দায়িত্বরত এসআই বদিউজ্জামান দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে- এমন অভিযোগ করে আনারস মার্কার সমর্থকরা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আনারস মার্কার সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআই বদিউর রহমানের ১টি বেসরকারি পালসার মোটরসাইকেল ও টুংগীপাড়া থানার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ডিউটি তদারকির দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং ঘটনাস্থল থেকে আনারস মার্কার ৬ জন সমর্থকে আটক করে পুলিশ।  আটককৃতরা হলেন, উপজেলার গেমাডাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে আশিক, শহীদ ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ আলী, বাবর শেখের ছেলে আকাশ শেখ, দুলাল শেখের ছেলে ইয়াসিন সেখ, ফায়েক মোল্লা ছেলে আশিকুর রহমান ও শাহাজান মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা। পরবর্তীতে বিজিবি ও র‍‍্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই বদিউজ্জামান ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার স্বপন কুমার বালাকে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। বিক্ষুপ্ত জনতা পুলিশের গাড়িতে  ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করেছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ মে, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় বিয়ের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বউ ও বরযাত্রীবাহী প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন বখাটে। এ ঘটনায় তাদের বহনকারী গাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বউ ও বরযাত্রীরা। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুমারখালী উপজেলার গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার বরযাত্রীরা জানান, বিকেলে কুমারখালীর জিলাপীতলা এলাকা থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যদুবয়রা ইউনিয়নের চৌরঙ্গী এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই বউ বহনকারী প্রাইভেট কারের সামনে এসে দাঁড়িয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে বখাটেরা। পরে পেছনে থাকা বরযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাসেও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে কুমারখালী থানায় জানানো হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ৪ জনকে আটক করে।  তবে এ ঘটনায় জড়িতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে বরযাত্রী বহনকারী গাড়িচালক রাশেদ ও রফিকুল জানান, সেতুর ওপর দিয়ে তাদের গাড়ি বেশ ধীরেই চলছিল। সেতুর ঠিক মাঝখানে পৌঁছাতেই ১০ থেকে ১২ জন বখাটে তাদের পথরোধ করে। এরপরই শুরু করে হামলা-ভাংচুর। এ সময় চাঁদাও দাবি করা হয়। ঘটনাস্থলে আসা কুমারখালী থানার এসআই রিপন আলী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, ঠিক কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে পূর্বের কোনো বিরোধে এমন কিছু ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
০৬ মে, ২০২৪

ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর
নোয়াখালীর মাইজদীতে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী ও নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো.হারুনের মেয়ে। শনিবার (৪ মে) বিকেলের দিকে মাসহ নবজাতকের এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং রোডের মাইজদী আধুনিক হসপিটালে ভুল চিকিৎসার এ অভিযোগ উঠে। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় হসপিটালে ভাংচুর চালিয়ে নিহতের স্বজনরা। নিহতের চাচাতো ভাই মো.নাঈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সীমার স্বজনরা তাকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে নিয়ে যান। এ সময় দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির তাকে সিজার করেন। সিজার করার সময় তার ভুল অপারেশনে জরায়ুর রক্তনালী কেটে যায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। কিন্ত ডাক্তার তাৎক্ষণিক বিষয়টি গোপন রাখে। পরে একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছলে বিকেল পৌনে ৬টার টার মা ও বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটের দিকে চট্রগ্রামের একটি হসপিটালে নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হসপিটালে ভাঙচুর চালায়। মাইজদী আধুনিক হসপিটালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়না।   সুধারাম থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈম জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৫ মে, ২০২৪

রাতের আঁধারে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে রাতের আঁধারে দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের পাইকারপাড়া ভদ্রকালী মন্দির এবং একই ইউনিয়নের শালমারাপাড়া কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সকালে মন্দিরের সামনের রাস্তায় চলাচলকারী এক স্কুল শিক্ষার্থী ভাঙা প্রতিমা পড়ে থাকতে দেখে মন্দির কমিটিকে জানালে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। সরেজমিন দেখা যায়, পাইকারপাড়া ভদ্রকালী মন্দিরের কালীমূর্তি, শিবমূর্তি ও সন্ন্যাসী ঠাকুরের মূর্তি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। বাঁশ ও টিন দিয়ে তৈরি এই মন্দিরটির দরজা সামনে পড়ে আছে। অন্যদিকে শালমারাপাড়া কালীমন্দিরটি আধাপাকা ঘর। মন্দিরটির গেট খোলা রয়েছে এবং সিমেন্ট দিয়ে বানানো কালীমূর্তির মাথার মুকুট, মুখমণ্ডল ও গলার মালা ভেঙে পড়ে আছে। শালমারা মন্দির কমিটির সভাপতি মাধব চন্দ্র রায় বলেন, শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সকালে এসে মন্দিরের গেট খোলা ও প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। এদিকে প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চিশতি, সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীগঞ্জ সার্কেল) মোছা. রুনা লায়লা, দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র রায়। এ ঘটনায় এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায় বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি। প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, মন্দির কমিটি চাইলে মামলা করতে পারে। এ ঘটনায় আমরা কোনো অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পারিনি, তবে তদন্ত করছি।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

রামপুরায় বারে ভাঙচুর ,পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই
রাজধানীর রামপুরায় ক্যান্টন রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বারে ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। পুলিশ এসে একজনকে আটক করলে তাদের ওপরও চড়াও হন ভাঙচুরকারীরা। হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন তারা। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাতিরঝিল ও রামপুরা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের মামলায় আটক তিনজন ছাড়াও আরও ১১ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. রফিক, মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহম্মেদ বাবু। অন্য আসামিরা হলেন সাজ্জাদ চৌধুরী, বায়োজিদ, জাহিদ, জনি, নোহা রনি, রহমান, বাবু অরফে কালা বাবু, রমজান, কাদের, বাবু ও রোমান ওরফে নোমান। থানা পুলিশ ও বার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্যান্টন বারে মদ খেতে যান সাজ্জাদ, বায়োজিদ ও তার দুই বন্ধু। বারে তাদের বিল আসে চার হাজার টাকা। তবে বিল না দিয়েই তারা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন কর্মচারী নুরুল ইসলাম। বাধা দেওয়ায় গালাগাল শুরু করেন সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে সাজ্জাদ চেয়ার দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায় তার। মুহূর্তেই উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম বারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একজনকে আটক করে। বাকি তিনজন পালিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজন পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সাজ্জাদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন এসে দেশি অস্ত্র, রড, হকিস্টিক নিয়ে বারে হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে ভাঙচুর চালায় বারটিতে। এ সময় পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তারা। হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, এ হামলায় তিনিসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতিরঝিল থানারও ওসি আওলাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাতকানিয়ায় মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাসন্তী পূজা চলাকালে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শহীদুল। তবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় হামলা চালিয়েছে শহীদুলসহ একটি চক্র। গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জলদাস পাড়া শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে বাসন্তী পূজার আরতি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার সহদেব জলদাসের স্ত্রী কৃষ্ণা জলদাস (৩২), অর্জুন জলদাসের ছেলে সুজন জলদাস (২৫) ও তার ভাই শিপন জলদাস (১৭) আহত হন। শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি কৃঞ্চ জলদাস বলেন, আমাদের কয়েকজন লোকের সঙ্গে শহীদ নামে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শহীদ তার বাহিনী নিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে। খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, জলদাসপাড়ার একটি অংশে নিয়মিত মদ বিক্রি হয়। এলাকাটি মূলত চন্দনাইশের বৈলতলীর সীমানাবর্তী। মন্দিরে যে পূজার অনুষ্ঠান চলছে তা মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করেনি। পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়নি। শহীদ নামে ছেলেটি মদ খাওয়ার জন্য জলদাসপাড়া এলাকায় গেলে কয়েকজন স্থানীয় মদ বিক্রেতা তাকে মারধর করে। এরপরে শহীদ মন্দিরের হামলা করেছে বলে শুনেছি। আমরা অভিযুক্ত শহীদকে খুঁজছি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস। তিনি কালবেলাকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্যে সম্ভাব্য সব জায়গায় পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এদিকে খাগরিয়া ইউনিয়নে বাসন্তী পূজায় হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগতভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সাতকানিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, মদ্যপান নিয়ে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে যাওয়ার পথে দুটো প্রতিমা সামান্য ভাঙচুর করা হয়েছে। একজনকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা অনেককে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। তবে ভিন্ন কথা বলছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় তিনি কালবেলাকে বলেন, শহীদ মূলত একজন চাঁদাবাজ। সে প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় থাকে। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলে। এ মন্দিরেও চাঁদা চাইতে আসে। কিন্তু মন্দির সংশ্লিষ্টরা তা দিতে অস্বীকার করায় তাদের ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করেন প্রতিমা। একজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যারা ওই মন্দিরের পুরোহিত কিংবা পূজা, অর্চনা করেন তারা খুবই আতঙ্কে আছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা চাই। এদিকে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা রাজিব ধর, রাজু দাম, টিটু তালুকদার, শুভাশীষ ভট্টাচার্যও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে সাতকানিয়াবাসী দেখেনি। গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার। ক্যাপশন: সাতকানিয়ায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মদ বিক্রেতার হামলায় আহত হয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
মদ বিক্রেতাদের হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। শুধু প্রতিমা ভাঙচুর নয়, তার হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।  এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন শহীদুল। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় এমন হামলা চালিয়েছেন শহীদুল ইসলামসহ একটি চক্র।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জলদাসপাড়া শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে বাসন্তী পূজার আরতি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন ওই এলাকার সহদেব জলদাসের স্ত্রী কৃষ্ণা জলদাস (৩২), অর্জুন জলদাসের ছেলে সুজন জলদাস (২৫) ও তার ভাই শিপন জলদাস (১৭)।  শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি কৃষ্ণা জলদাস বলেন, শহীদুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের কয়েকজন লোকের কথাকাটাকাটি হয়। সেই ঘটনার জের ধরে শহীদ তার বাহিনী নিয়ে আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে আমাদের ওপর হামলা করে।  খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, জলদাশ পাড়ার একটি অংশে নিয়মিত মদ বিক্রি হয়। এলাকাটি মূলত চন্দনাইশের বৈলতলীর সীমানাবর্তী। মন্দিরে যে পূজার অনুষ্ঠান আছে সেটি মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করেনি। পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়নি। শহীদ নামের ছেলেটি মদ খাওয়ার জন্য জলদাশ পাড়া এলাকায় গেলে স্থানীয় মদ বিক্রেতাসহ কয়েকজন মিলে শহীদকে মারধর করে। পরে শহীদ মন্দিরে হামলা করেছে বলে শুনেছি। আমরা অভিযুক্ত শহীদকে খুঁজছি। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য সব জায়গায় পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এখানে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এলাকার মানুষ বিষয়টিকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রোশ হিসেবে মূল্যায়ন করছে।  এদিকে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নে বাসন্তী পূজায় হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগতভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, পারিবারিকভাবে প্রতিমা নিয়ে পূজোর কাজ চলছিল। মদ্যপান নিয়ে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে দুটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একজনকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা অনেককে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। তবে ভিন্ন কথা বলছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, মূলত শহীদুল ইসলাম একজন চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে প্রায় সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলেন। এই মন্দিরেও তিনি চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু মন্দিরের সংশ্লিষ্টরা তা দিতে অস্বীকার করায় তিনি তাদের ওপর হামলা চালান। ভাঙচুর করেন প্রতিমা। একজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেন তিনি। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যারা ওই মন্দিরের পুরোহিত কিংবা পূজা অর্চনা করেন তারা খুবই আতঙ্কিত। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের ইউএনও, থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।  এদিকে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নেতা রাজিব ধর, রাজু দাম, টিটু তালুকদার, শুভাশীষ ভট্টাচার্যও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে আর সাতকানিয়াবাসী দেখেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এর ফলাফল না দেখতে পাব আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারছি না।  এর আগে বিকেলে ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকারসহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নেতাকর্মীরা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X