দালাল চক্রের নিয়ন্ত্রণে ভেদরগঞ্জ ভূমি অফিস
সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী নন। তারপরও সখিপুর (ক) ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভেতরেই চেয়ার টেবিল নিয়ে বছরের পর বছর কাগজপত্র খারিজের কাজ করছেন আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে খাজনা-খারিজের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।  ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে শুধু আব্দুল খালেকই নন, তার মতো আরও চারজন ব্যক্তি রয়েছেন, যারা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমির খাজনা, খারিজ, নামজারিসহ যে কোনো কাজেই অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় এসব ব্যক্তিদের। একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন, খারিজ করতে বিল আসে ১ হাজার ১৬০ টাকা। অথচ সে কাজ করতে নেওয়া হয় প্রায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এ অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা টাকা লেনদেন না করলে কাজ করে না। আমরা দালালমুক্ত ভূমি অফিস চাই। তবে, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুদেব বাবুর অনুমতি নিয়েই সরকারি অফিসে কাজ করছেন বলে জানান অভিযুক্ত আব্দুল খালেক। অভিযুক্ত আব্দুল খালেক বলেন, ‌‘অফিসের সামনে আমার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সেই সুবাদে আমি এই অফিস যাতায়াত করি। আমি অফিস সহকারী হিসেবে অফিসের কাগজপত্র তৈরি করে দেই। আমার নিয়োগ নেই, তহশিলদার স্যারের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।’  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব অফিসে একই চিত্র। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এসব অনিয়ম বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এসব বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভূমি অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার না হন। এ বিষয়ে সখিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুদেব বাবু বলেন, আমার অফিসে কোনো দালাল নেই। আব্দুল খালেক আমাকে কাজে সহয়তা করে। আমার অফিসে চা আনা নেওয়ার কাজ করে। আমি ফোনে কথা বলতে চাই না। আপনি সরাসরি এসে দেখা করেন। এ ছাড়া তিনি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, আব্দুল খালেক নামে সখিপুর  ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কোনো কর্মকর্তা নেই। আমরা প্রতিনিয়ত দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তাছাড়া সরকারি নির্দেশনার বাইরে এক টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। যদি তিনি সরকারি নির্দেশনার বাইরে কিছু করেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩
X