সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিন উপজেলায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তথ্যে গরমিল থাকায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। গতকাল রোববার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের চেয়ারম্যান প্রার্থী এএসএম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, হলফনামায় মামলা-সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করায় বেগমগঞ্জের চেয়ারম্যান প্রার্থী এএসএম সেলিমের মনোনয়ন বাতিল হয়। আর কোম্পানীগঞ্জের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর হোসেন মাসুদ ও মনির হোসেনের মনোনয়নও বাতিল করা হয়। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন হবে।
০৬ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহে উপজেলা নির্বাচনে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঝিনাইদহের শৈলকুলা ও হরিণাকুণ্ডুতে ২ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই উপজেলা থেকে মোট ৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মনোনায়ন প্রত্যাহারের দিনে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন, হরিণাকুণ্ডু থানা আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, আ. লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র জাহিদ হাসান। এ তিন প্রার্থী মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী থাকল তিনজন। তারা হলেন, হরিণাকুন্ডু পৌর আ. লীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ ও মো. সাইফুল ইসলাম টিপু। অন্যদিকে শৈলকুপা উপজেলা থেকে কেউ মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সেখানে বৈধ রইল শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা, শৈলকুপা আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আ.লীগের মনোনয়ন চাইলেন দুলাল বিশ্বাস
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়ার আশায় দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন তিনি। একই দিন দলীয় মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জুন। এ লক্ষ্যে গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ। এই আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে ২৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী ঝিনাইদহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সেলিনা পারভীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য পারভেজ জামান, শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আলম। আরও রয়েছেন ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন জোয়ার্দার, শৈলকুপা উপেজলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, শৈলকুপা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা বুলবুলি, যুব মহিলা লীগের সদস্য কামরুন্নাহার, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আবেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ইফতেখারুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফেরদৌসী খাতুন, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সদস্য লিটন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক বাদশা আলম, যুবলীগের উপ-আইন সম্পাদক ইনামুল হোসাইন প্রমুখ। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে আব্দুল হাইয়ের কাছে হেরে যান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন / দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে উপনির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ। আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত (প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা) পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।  দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা প্রদান করতে হবে। এর আগে গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা যান। তিনি লিভার সিরোসিস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) স্বজনদের অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থারও কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়ে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সে অনুযায়ী, নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও এমপিদের বিষয়টি অবগত করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ২৬ তারিখে কর্মসূচির নামে যাতে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে কারণেই মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের আগে রাজধানীতে দুদলই একইদিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। তাই ২৬ তারিখও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পথেই থাকবে আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন জামায়াতের তিন প্রার্থী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতা। সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার এবং সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা জামায়াতের তিন প্রার্থীরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার ইসলাম উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমার মো. সুলাইমান হোসেন ও বিশ্বনাথের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী। জামায়াতের কিন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ছাড়াও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ফখরুল ইসলাম সাইস্তা নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিশ্বনাথ উপজেলায় একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া বিশ্বনাথে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আরও এক প্রার্থী। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মনোনয়নপত্র বাতিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সাইস্তা। যার শুনানি হবে মঙ্গলবার। বিষয়টি ফখরুল ইসলাম সাইস্তা নিশ্চিত করেছেন।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মনোনয়ন প্রত্যাহারে তৎপর বিএনপি
বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিলেও এরই মধ্যে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারীরাও চেয়ারম্যান কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এই তালিকায় আছেন বিভিন্ন কারণে বহিষ্কৃত অনেক নেতাও। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলটির অন্তত ৪৫ নেতাকর্মী। এর পরই অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। সেইসঙ্গে দল সংশ্লিষ্ট সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর পরও ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন অনেক প্রার্থী। জয়ের সম্ভাবনা থাকায় তারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত ভোট করতে আগ্রহী। এ অবস্থায় সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে দলীয়ভাবে তৎপরতা বাড়িয়েছে বিএনপি। অবশ্য গতকাল রোববার পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি বলে জানা গেছে। আজ সোমবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নীতিগত কারণে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর অবস্থানে বিএনপির হাইকমান্ড। এজন্য যারা দলীয় পদে থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা প্রার্থীদের দলের চূড়ান্ত বার্তা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটে গেলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলে জানানো হয়। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ও ভোটমুখী নেতাদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকায় সে সময় শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, ‘উপজেলাসহ বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেও বিএনপির যেসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। দল যেখানে নির্বাচনে যাবে না, সেখানে তারা যেন নির্বাচন থেকে সরে আসেন এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলেন এমন বার্তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, প্রথম ধাপের নির্বাচনে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তা প্রত্যাহার করে নেবেন। অন্যথায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।’ জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে পরবর্তী ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যাতে দলীয় কোনো নেতা অংশ না নেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজও শুরু করেছেন। একই সঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচন হতেও বিরত থাকা এবং বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করবে বিএনপি। ইতোমধ্যে লিফলেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে বিএনপি কেন ভোট বর্জন করছে—সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘অবৈধ সরকারের নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার অবস্থান থেকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’ জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান মিলে অন্তত ৪৫ জন নেতা প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বিএনপি দলীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এ বার্তা এরই মধ্যে সাংগঠনিকভাবে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর পরও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নেতাদের একটি বড় অংশ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকছেন। তবে অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে এখনো দোটানায় আছেন। আজ সোমবার জানা যাবে চূড়ান্তভাবে বিএনপির কারা কারা ভোটে থাকছেন। কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ভোটে তাদের ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। গাজীপুর সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও এবারের প্রার্থী বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ ইজাদুর রহমান মিলন বলেন, ‘যদি সুস্থ থাকি আর বড় কোনো বিপদ না হয় তাহলে আমার সঙ্গে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’ এ কারণে দল যা-ই করুক না কেন—তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলে আভাস দেন। একই ধরনের কথা বলেছেন আরও কয়েকজন প্রার্থী। এ অবস্থায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় না দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলে। পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক পদধারী নেতাদের দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। একই সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যাতে ক্ষমতাসীন সরকারের ‘পাতানো ফাঁদে’ বা প্রলোভনে পড়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেজন্য তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে কিংবা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া কালবেলাকে জানান, তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, কুমিল্লার মেঘনা ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় তিনজন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা নির্বাচনে থেকে সরে দাঁড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল সম্পন্ন
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। রোববার (২১ এপ্রিল) ছিল মনোনয়ন জমা দানের শেষ দিন। এ দিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়ন জমাদানের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো অংশগ্রহণ না করায়, অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম, শিল্পপতি আলহাজ গাউসুল হোসেন রাজ।  পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অসিম চক্রবর্তী, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রাশেদ সারোয়ার শেলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আসমাউল হোসাইন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি সাহেব আলী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা পারভীন, সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগে মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা মেহেরুন্নেছা ও সদ্য সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মারুফা খাতুন।  আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলী সোহাল জুয়েল মনোনয়ন দাখিলের বিষয় বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল রোববার। সে পর্যন্ত আমরা অনলাইনের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনের মনোনয়ন জমা পেয়েছি। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীদের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ও আগামী ২ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

লুৎফুল হাবিবকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ
প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা শেষে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সিনিয়র সহসভাপতি ও চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ। সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে তাকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে লুৎফুল হাবিব বলেন, সভাপতি আমাকে ফোন করে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাব বলে তাদের জানিয়েছি। এ ছাড়া প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন, সংগঠন থেকে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলার নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে গতকালের সভায়। গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা এবং তার দুই সহযোগীকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পাশার ভাই মুজিবুর রহমান নাটোর সদর থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার দুই আসামিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি গতকাল জব্দ করা হয়েছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল বাধ্যতামূলক
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। আর এ জন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রথম ধাপে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। তাই কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে এর আগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে।  প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে। দেশে মোট ৪৯৫টি উপজেলার প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে ৮ মে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ১৫২ উপজেলার মধ্যে ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। প্রথম ধাপের পর ২৩ মে দ্বিতীয়, ২৯ মে তৃতীয় এবং ৫ জুন শেষ ধাপের ভোট হবে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই নির্বাচন হয়ে থাকে।  এবার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা কোনো প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেবে না। এটা তারা আগেই নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে উপজেলা নির্বাচনে এবার প্রার্থী অনেক বেশি হবে। এরইমধ্যে ওই প্রার্থীরা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আর অন্যান্য দল থেকেও একাধিক প্রার্থী হবে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। 
২৫ মার্চ, ২০২৪
X