সীতাকুণ্ডে দুই কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হলেও অধরা কারবারিরা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২ কেজি অ্যামফিটামিন (ইয়াবা তৈরির উপাদান) উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইয়াবা তৈরির এ দামি উপাদান পাচারে কাউকে আটক করা যায়নি। একরকম অধরা রয়ে গেছে মাদক কারবারিরা। বিজিবির একটি প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এই উপাদানগুলো বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পুলিশের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুষ্টিয়া থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে মাদক আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারি এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসকে বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর রানির সহায়তায় একটি ব্যাগ থেকে প্রায় ২ কেজি ইয়াবা তৈরির অ্যামফিটামিন উদ্ধার করা হয়। বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী কালবেলাকে , চলতি বছরে সীতাকুণ্ডের মধ্যে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার মধ্যে হিরোইন, ক্রিস্টাল মেথ, ইয়াবা তৈরির উপাদানসহ মোট ৮ কেজি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। প্রথম অভিযানে ৩ জনকে গ্রেপ্তার ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। বাকি ছয়টি অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তিনি আরও বলেন, কাউন্টার থেকে বাসে উঠার ক্ষেত্রে প্রতিটি যাত্রীকে যদি তল্লাশির মাধ্যমে বাসে উঠানো হয় তাহলে অনেকটা মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

কুষ্টিয়ায় গত এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ মাদক উদ্ধার
মাদকের সাম্রাজ্য বলে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থানা পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে গত সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদেরও আটক করা হয়েছে। গত দুই মাসে দৌলতপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেনসিডিল, গাজা, ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, অস্ত্র ও গুলি। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে গত ১ বছরে সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার ও মামলা হয়েছে। দৌলতপুর থানা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে উদ্ধার হয়েছে হেরোইন- ৩৫ গ্রাম, ফেনসিডিল- ৩৬৬ বোতল, গাজা- ৩১২ কেজি (গাজার ২০টি গাছসহ), ইয়াবা- ২৪০ পিচ, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট- ৬২০ পিচ, মদ- ০৩ বোতল। মাদক মামলা হয়েছে ৩৭টি এবং আসামি আটক হয়েছে ৩৭ জন। এ ছাড়াও ০২টি পিস্তল, ০২টি ওয়ান সুটারগান এবং ০৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া গত আগস্ট মাসে উদ্ধার হয়েছে হেরোইন- ০১ গ্রাম, ফেনসিডিল- ২০৬ বোতল, গাজা ৮ কেজি ৬০০ গ্রাম, গাজার গাছ- ১০টি (ওজন-৯২ কেজি), ইয়াবা ট্যাবলেট- ১৯২৫ পিচ, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট- ১৬৩৪ পিচ, মদ ৭০ বোতল। মাদক মামলা হয়েছে ২৭টি এবং আসামি আটক হয়েছে ৩৪ জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলাটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী হওয়াতে এখানে মাদকের বিস্তার অনেক বেশি। বিশেষ করে এই উপজেলার তেকালা, ধর্মদহ, প্রাগপুর, মহিষকুণ্ডি, জামালপুর, রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর, মরিচা, সাদিপুর, কল্যাণপুর, জয়রামপুর, খলিসাকুণ্ডি, উপজেলা পরিষদ পাড়া, দৌলতখালী, গাছের দিয়াড়, শেরপুর, মৌবাড়িয়াতে মাদকদ্রব্য কেনা-বেচা হয়।  দৌলতপুর থানার ওসি বলেন, ‘মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সংশ্লিষ্টদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে।’  এ বিষয়ে ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। আপনারা জানেন গত ১ বছরের ভিতরে (সেপ্টেম্বর) মাসে সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার ও মামলা হয়েছে দৌলতপুর থানায়। সেই সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।’
০৬ অক্টোবর, ২০২৩
X