মানবসম্পদ গড়তে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : প্রতিমন্ত্রী রিমি
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, একটি দেশ গঠনে দক্ষ জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ জনশক্তির ওপর ভিত্তি করে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। রোববার (১৯ মে) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ইউসেপ বাংলাদেশ আয়োজিত ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  প্রতিমন্ত্রী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং দেশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকতে হবে।  সাবেক এমপি এবং ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ইউসেপের সদস্য ড. ওবায়দুর রব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নেসার ইজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।  একইদিন বিকেলে প্রতিমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ অভিযানের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। রাউৎকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিওিপ্রস্তর স্থাপন ও পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -০৩ শীর্ষক প্রকল্পের নারী কর্মীদের জমাকৃত সঞ্চয়ী টাকার চেক ও সনদ হস্তান্তর করেন। একইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
১৯ মে, ২০২৪

বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করল আ.লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটি
পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার মজমপুর বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার চাঁপার নির্দেশে এই সহায়তা বিতরণ করা হয়। এদিন বিকেলে অসহায় বৃদ্ধাদের হাতে চাল, ডাল, তেল, সেমাই, চিনিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপকরণ এবং ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।   এ সময় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটির সদস্য সচিব বেগম শামসুন নাহার চাঁপার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নূরজাহান শারমিন, বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আফরোজা রহমান মিষ্টিসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।  এর আগে ২২ মার্চ ধানমন্ডি ৩/এ-তে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অসহায়, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে ইফতার এবং সেহরির খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এরপর ২৪ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোমিন মসজিদ ও মাদ্রাসার এতিমদের মধ্যে সেহরির জন্য চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
৩০ মার্চ, ২০২৪

মানবসম্পদ পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ দিল ফোকাস অন গ্লোবাল লিমিটেড
ফোকাস অন গ্লোবাল লিমিটেড বাংলাদেশের উদ্যোগে মানবসম্পদ পেশাজীবীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মানবসম্পদ পেশাজীবীদের প্রতি প্রধান নির্বাহীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের ৬০ জনেরও বেশি নেতৃত্বস্থানীয় মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত পেশাজীবীরা অংশ নেন। পেশাজীবীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ফোকাস অন-এর এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী মানবসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিদেশি প্রশিক্ষকরা। কর্মকর্তাদের আলোচনায় ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডাটা অ্যানালিটিক্স এবং নেতৃত্বের উন্নয়নের মতো বিষয় উঠে আসে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়াভিত্তিক স্যান্সি গ্লোবাল সলিউশনের প্রধান নির্বাহী সৌমেন চ্যাটার্জি। ফোকাস অন গ্লোবাল লিমিটেড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিক ব্রহ্মচারী বলেন, ‘নিয়োগ, মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল সেবা এবং ভাষাগত পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সেবার মতো আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশনের মতো কার্যক্রম বাংলাদেশে আনতে পেরে আমরা গর্বিত।’ অনুষ্ঠানে ফোকাস অন গ্লোবাল লিমিটেড বাংলাদেশের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও ঘোষণা করা হয়।
১২ মার্চ, ২০২৪

নারীকে বাদ দিয়ে শুধু পুরুষ দিয়ে মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয় : ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, নারীকে বাদ দিয়ে শুধু পুরুষ দিয়ে মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নারীদের এগিয়ে নিয়ে আসছেন। আমরা জেন্ডার, আইন, বিচার, রাজনীতি, সামাজিক ক্ষেত্রে সবাই সমান। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গেড়ে তুলব। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পুরুষ শাসিত সমাজে নারী জাতি নির্যাতন হতো। বঙ্গবন্ধু নারীর উন্নয়নের পথ খুলে দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে পুরুষদের একটু শিক্ষা দিবেন। নারী সমাজের অন্তর্ভুক্তি গণতন্ত্রকে সুসংহত করে, অর্থনীতিকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শামসুল হক টুকু বলেন, নারী ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানাবিধ কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন প্রণয়ন করছিলেন। এখন সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যার সংখ্যা ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে বাড়বে। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এতে করে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই শিক্ষিত হয়ে উঠবে। কারণ বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ জাতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘৭৫-এর পর শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন একেবারে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নেতৃত্ব প্রদানের কাজ করছেন। তাছাড়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্ররা যখন তৎপর হয়ে ওঠে, তখন সরকারের জন্য তা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই চ্যালেঞ্জ শুধু সরকারকেই নয়, অভিভাবকদেরও তা মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন নারী-পুরুষের সম্মিলিত সমাজ, সে সমাজে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলায় সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেই সমঅধিকারের পাশাপাশি আরেকটু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে নারীকে। চাকরি ক্ষেত্রে কোটা, পার্লামেন্টে ১৫টি সংরক্ষিত নারী আসন। যা বাড়িয়ে ৫০ এ উন্নীত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ মিলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। হুইপ সানজিদা খানম বলেন, অনেক পুরুষ রয়েছেন আজকের দিনে নারীদের অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা দেয়। কিন্তু ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। নারী দিবস উদযাপনের দিন আমার একটাই অনুরোধ থাকবে নারীরা যেন ঘরে সম্মান পায়। মিট দ্য প্রেসের কনভেনর জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়রসহ সভাপতি হাসান হাফিজ প্রমুখ।
০৯ মার্চ, ২০২৪

যুগচাহিদা সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে : ভিসি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (এমআইবি) এর উদ্যোগে দুই দিনের সম্মেলনের সমাপনী পর্বে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়  শিক্ষক, মার্কেটিং পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীগণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান।  মার্কেটিং ডে'র আলোচনা অনুষ্ঠানে টেকসই মার্কেটিং এবং একাডেমিয়া- ইন্ডাস্ট্রি সংযোগ সাধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। সম্মেলনের সমাপনী প্যানেল আলোচনা সভায় মডারেটর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম।  চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নতুন কারিকুলাম প্রবর্তনসহ আমাদের যে বিষয়ে পাঠদান চলছে সেগুলোর কনটেন্ট পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নতুন কনটেন্ট এডপ্টের ক্ষেত্রে, যুগচাহিদা, দেশ ও বিদেশের বাজার ব্যবস্থা প্রভৃতির প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার। এই কাজটি করা গেলে, শিক্ষিত বেকারের হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে এবং কোম্পানিগুলোর যে হতাশা, তাও কমবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  যে মৌলিক বিষয়গুলো পেশাগত কাজের জন্য প্রথমিকভাবে প্রয়োজন হয়, যেমন, কমিউনিকেশন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা এবং অ্যানালিটিক্যাল স্কিলসহ সফ্ট স্কিল, তা কীভাবে গ্রাজুয়েটগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন থেকে আয়ত্ব করতে পারে সে বিষয়গুলোর প্রতি সম্মিলিতভাবে মনোযোগ দেয়া দরকার। ব্যবহারিক শিক্ষা রয়েছে এমন ধরনের কোর্সের প্রবর্তন ও চর্চা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত একাধিক কোর্স ক্যারিকুলামে যুক্ত করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এই প্যানেল আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনের প্রতি। প্রথাগত মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে দক্ষতা অর্জন ও বাস্তব প্রশিক্ষণ এবং ইনটার্নশিপ এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়।  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে ইন্টার্নশিপ প্রদান করে তার গুণগত মানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুযোগ তৈরি করা উচিত। সে ক্ষেত্রে মার্কেটারস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ এবং সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। জাতীয়ভাবে ইন্টার্নশিপ প্রদান এবং ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থাপনার সহায়ক নীতিমালাসহ এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি উল্লেখ করেন। এটি সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প করেছেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট নাগরিক, বাংলাদেশের সুযোগ্য জনসম্পদ, তৈরির যে সংকটটি অনুমিত হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। ১২ অক্টোবর মার্কেটিং ডে উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলী আনন্দ উদযাপন, কেক কাটা ও শোভাযাত্রা করে উদযাপন করেন। এছাড়াও সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সমন্বয়ে চারটি আঞ্চলিক, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চল, এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল, অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এই ওয়েবিনারসমূহ আধুনিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রযুক্তিগত ও শিক্ষাদানের পদ্ধতিগত ধারণা বিনিময়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মার্কেটারস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (এমআইবি)-এর পক্ষে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মার্কেটিং ডে'র উৎসব ও সেমিনার আয়োজনে সমন্বকের দায়িত্ব পালন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। মার্কেটারস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ -এর সভাপতি ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন যথাক্রমে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম দুলু।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে হবে : রবীন্দ্র উপাচার্য
কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে  যুগচাহিদাসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম। এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি ওই কথা বলেন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের (এমআইবি) উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) এর সমাপনী পর্বে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মার্কেটিং পেশাজীবীরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান। এতে মডারেটর হিসেবে মতামত দেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম।  চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নতুন কারিকুলাম প্রবর্তনসহ আমাদের যে বিষয়ে পাঠদান চলছে সেখানের কনটেন্টগুলোর পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নতুন কনটেন্ট এডপ্টের ক্ষেত্রে যুগচাহিদা, দেশ-বিদেশের বাজার ব্যবস্থা প্রভৃতির প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার। এই কাজটি করা গেলে, শিক্ষিত বেকারের হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।’ এতে কোম্পানিগুলোর যে হতাশা, তা কমবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, ‘যে মৌলিক বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হয় যেমন বিশেষ দক্ষতা, নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা এবং এনার্জি দক্ষতা এই বিষয়গুলোর প্রতি সম্মিলিতভাবে মনোযোগ দেওয়া দরকার। তার সঙ্গে ব্যবহারিক শিক্ষা রয়েছে এমন ধরনের কোর্সের প্রবর্তন করা উচিত ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্সগুলো যুক্ত করা প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যে শিক্ষাদান পদ্ধতি তার পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’ এই প্যানেল আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনের প্রতি। প্রথাগত মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে দক্ষতা অর্জন ও বাস্তব প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে ইন্টার্নশিপ প্রদান করে তার গুণগত মানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার কথা তিনি উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুযোগ তৈরি করা উচিত। সে ক্ষেত্রে মার্কেটার ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এবং সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। জাতীয়ভাবে ইন্টার্নশিপ প্রদান এবং ইন্টার্নশিপের বিষয়ে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প করেছেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট নাগরিক, বাংলাদেশের সুযোগ্য জনসম্পদ তৈরির যে সংকট তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। ১২ অক্টোবর মার্কেটিং ডে উপলক্ষে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনন্দ উদযাপন, কেক কর্তন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সমন্বয়ে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চল এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ- এই চারটি জোনে ভাগ করে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারগুলোতে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম এবং মার্কেটিং ডের নেতৃত্ব প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন শরিফুল ইসলাম দুলু।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

মানবসম্পদ উন্নয়নে ৩৩ লাখ ডলার দেবে জাপান
মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৪৭২ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন বা প্রায় ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার অনুদান দেবে জাপান সরকার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট এবং অনুদান চুক্তি সই হয়েছে। গত সোমবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার ইচিগুচি তোমোহিদে বিনিময় নোট ও অনুদান চুক্তি সই করেন। ইআরডি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ (জেডিএস) শীর্ষক প্রকল্পে জাপানিজ অর্থবছর ২০২৩-এর জন্য এ অনুদান দেবে জাপান। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রকল্পটি ২০০১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদে চলমান রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তা, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাগণকে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের লক্ষ্যে বৃত্তি প্রদান।
১৯ জুলাই, ২০২৩
X