জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, নারীকে বাদ দিয়ে শুধু পুরুষ দিয়ে মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নারীদের এগিয়ে নিয়ে আসছেন। আমরা জেন্ডার, আইন, বিচার, রাজনীতি, সামাজিক ক্ষেত্রে সবাই সমান। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গেড়ে তুলব।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পুরুষ শাসিত সমাজে নারী জাতি নির্যাতন হতো। বঙ্গবন্ধু নারীর উন্নয়নের পথ খুলে দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে পুরুষদের একটু শিক্ষা দিবেন। নারী সমাজের অন্তর্ভুক্তি গণতন্ত্রকে সুসংহত করে, অর্থনীতিকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
শামসুল হক টুকু বলেন, নারী ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানাবিধ কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন প্রণয়ন করছিলেন। এখন সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যার সংখ্যা ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে বাড়বে। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এতে করে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই শিক্ষিত হয়ে উঠবে। কারণ বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ জাতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘৭৫-এর পর শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন একেবারে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নেতৃত্ব প্রদানের কাজ করছেন। তাছাড়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্ররা যখন তৎপর হয়ে ওঠে, তখন সরকারের জন্য তা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই চ্যালেঞ্জ শুধু সরকারকেই নয়, অভিভাবকদেরও তা মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন নারী-পুরুষের সম্মিলিত সমাজ, সে সমাজে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তোলায় সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেই সমঅধিকারের পাশাপাশি আরেকটু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে নারীকে। চাকরি ক্ষেত্রে কোটা, পার্লামেন্টে ১৫টি সংরক্ষিত নারী আসন। যা বাড়িয়ে ৫০ এ উন্নীত করা হয়েছে। নারী-পুরুষ মিলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
হুইপ সানজিদা খানম বলেন, অনেক পুরুষ রয়েছেন আজকের দিনে নারীদের অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা দেয়। কিন্তু ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। নারী দিবস উদযাপনের দিন আমার একটাই অনুরোধ থাকবে নারীরা যেন ঘরে সম্মান পায়।
মিট দ্য প্রেসের কনভেনর জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়রসহ সভাপতি হাসান হাফিজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন