শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
নানা আয়োজনে গজারিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
১ ঘণ্টা আগে
১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী, পালালেন তারিকুল
১ ঘণ্টা আগে
চেয়ারম্যানের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত
২ ঘণ্টা আগে
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ড. ইউনূসের অফিস দখল নিয়ে যা জানাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ফের ড. ইউনূস প্রসঙ্গে উঠেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। এর আগে তার মামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও এবার প্রশ্ন উঠেছে গ্রামীণ কল্যাণের অফিস দখল নিয়ে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ অফিস দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে এমন একটি সংবাদের বরাত দিয়ে প্রশ্ন করা হয় ম্যাথু মিলারকে। জানতে চাওয়া হয় এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। জবাবে, মিলার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বিচারকাজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি (স্থানীয় সময়) পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূসকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ড. ইউনূসের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করব, এটাই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) আশা করি। কারণ, (শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায়) আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। বেদান্ত প্যাটেলকে করা প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর আরেক ব্যক্তি। আদালতের আরেকটি আদেশে তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা সীমিত করছে সরকার। ১২৫ জন নোবেলজয়ীসহ ২৪৩ জন বিশ্বনেতাদের একটি জোট মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর সব হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে? ওই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র আরও বলেন, অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) উদ্বেগ প্রকাশ করছি, ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর উপায় হিসেবে এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করছি, এসব মামলা ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমরা চিন্তিত যে শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আপিল চলমান থাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করি।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই নীতি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার কেন্দ্রে থাকবে এই নীতি। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন। দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই এবং আমাদের নীতি এটিই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটিই আমাদের মূল বিষয় হিসেবে রয়েছে।’ নির্বাচন নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনুমান করতে যাচ্ছি না। আমরা বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে থাকব।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
ডোনাল্ড লুর চিঠি নিয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
সংলাপ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সাংলাপের চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার এ চিঠির বিষয়ে নিজেদের বক্তব্যও স্পষ্ট করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি স্পষ্ট করেন। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলগুলো মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় কোনো সংলাপ কীভাবে হবে? আমি অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে, সরকারি ক্র্যাকডাউনের শিকার হওয়ায় বিরোধীদের কে বা কারা (ডোনাল্ড লুর) চিঠি গ্রহণ করেছে? সরকার বিরোধীদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে—তো এই পরিস্থিতির মধ্যে সংলাপ কীভাবে হতে পারে? এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে মুখপাত্র মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করায় সাংবাদিকদের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং আমি তা করা থেকে (বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি) বিরত থাকব। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো পক্ষ নেবে না। আমরা দেশের কোনো একক দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। দিল্লিতে ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বৈঠকের বিষয়ে ইঙ্গিত করে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সব প্রধান রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে কেন মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? এটা কি ইঙ্গিত করে না যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আমাদের দেশকে ইতিমধ্যে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে? যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বাস করে যে, ভারতীয়রা বাংলাদেশে যা খুশি তাই করতে পারবে? এ বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, আমি আগেও যা বলেছি এখনও তাই বলছি। আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি যে বাংলাদেশের সরকারের ভবিষ্যৎ দেশের জনগণের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত। অপর এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীদের মধ্যকার ২ + ২ বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় ও বাংলাদেশি গণমাধ্যমে। এ বিষয়ে ম্যাথিউ মিলার স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারবেন কি না? জবাবে মিলার বলেন, বৈঠকে কি আলোচিত হয়েছে তা আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে থাকাকালীন বিবৃতিতেও বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। সুতরাং এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট করে বলার কিছু নেই।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩
পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি নিয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি নিয়ে কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা বিষয়টিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক নেতা। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের পাওয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন? জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এ ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তারা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গত সোমবার এক সমাবেশ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেওয়া হয়। যে বক্তব্যটি ফেসবুক লাইভেও প্রচার করা হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যা বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। এ নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রায় সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে খালেদা জিয়া মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নিতে অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাবে কি না, বর্তমানে জন হপকিন্সের তিন চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার মামলার বিচারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এসব বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মিলার বলেন, আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অবস্থা মনিটরিং করছি। আমরা সরকারকে তার আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের ব্যাপারে উৎসাহিত করছি। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচারিক আমাদের কিছু বলার নেই। উল্লেখ্য, বুধবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জন হপকিন্সের তিন চিকিৎসক ঢাকায় এসেছেন। তাদের মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর সাড়ে ১০টায় তারা এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কাজ শুরু করেন। রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেন অধ্যাপক হামিদ রব। মার্কিন এ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। পেটে পানি আসা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে তার শরীরে টিপস প্রতিস্থাপন করেন তারা। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি তাকে বিদেশ চিকিৎসার জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করা হয়। এর আগেও কয়েকবার তাকে বিদেশ চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হতে পারে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তার এ বক্তব্যটি সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে উঠানো হলে বিষয়টি স্পষ্ট করেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ায় দেশের রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন, আলোচনা। বাতাসে ভাসছে নানা কথা। অনেকের নাম আসছে আলোচনায়। সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলের রাজনীতিবিদরাও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা প্রকাশ করেনি দেশটি। এমন ঘোষণার পর রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, বাংলাদেশে আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে। তার এ বক্তব্যটি সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে উঠানো হলে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ভিসানীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এর আওতায় পড়বেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেয়ার জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই ভিসানীতি। আরেক প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দলটি ৪৮ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। তবে তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিলার। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই আইনটি ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই আইনের বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
০৮ আগস্ট, ২০২৩
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যে কোনো বিষয় বা ক্ষেত্র নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে যুক্ত হতে এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল এ কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর অজিত দোভাল জানিয়ে দেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এমন যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ আছে সেসব ইস্যু এবং ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধা করবে না।’ একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। তার এ সফরের আগে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানিয়ে দেন, সব দেশই ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর বিষয়ে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকবে, যা ওইসব দেশের জাতীয় স্বার্থের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভারতের কাছে এ ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকা অজিত দোভালকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চান ওই সাংবাদিক। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা দুটি বিষয় বলব। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র ওইসব ইস্যু এবং ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে এবং যুক্ত হতে কোনো দ্বিধা করবে না, যাতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। কিন্তু আমি আরও যে বিষয়টি বলব তা হলো আঞ্চলিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কাজে ভারত হলো আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশীদার। যেমনটা আমি বলেছি, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক সমুন্নত রাখতে আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছি। আমরা যৌথভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছি। এমন একটি বিশ্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, যা উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, স্থিতিশীল এবং স্থিতিস্থাপক এমন একটি অঞ্চলের জন্য আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ চালাতে চাই।’
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
আরও
X