সকল কর্মচারীর আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : মেয়র তাপস
করপোরেশনে কর্মরত সকল কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।  শেখ তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। বাসা বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যতদিন দায়িত্বে থাকব ততদিন দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দিব না। অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নীলপদ্ম-এ ৬৪ জন এবং ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস শাপলা, শালুক ও পলাশ-এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।  দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ প্রাপ্তির সকল মানদণ্ড পূরণ করেছে ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়। তন্মধ্যে পূর্বে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকি ২১টি বাসা আজ যোগ্যপ্রার্থীদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়।  করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
০৭ মে, ২০২৪

ডিএনসিসির একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কিন্তু সবাই সচেতন না হলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সোমবার (৬ মে) রাজধানীর কুড়িল প্রগতি সরণিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মশক নিধন অভিযান শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, রোদ ও বৃষ্টি এমন আবহাওয়ায় জমা পানিতে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই এই সময়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বর্ষা শুরুর আগে থেকেই আমরা একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছি। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছে, অভিযান করছেন। এডিসের লার্ভা পেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মেয়র বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ কিন্তু অনেক। একদিকে দাবদাহ, অন্যদিকে এডিস মশা, আরেক দিকে সিটি করপোরেশনের রোপণ করা গাছগুলোকে রক্ষা করা। আমরা মনে করি, কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না, যদি জনগণ আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসে। অফিস, দোকান ও যার যার বাসাবাড়ি যদি নিজেরা পরিষ্কার করি তাহলে এডিস মশা জন্মাবে না। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছে, লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি আমরা। এডিসের লার্ভা পেলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করছেন। আমাদের উদ্দেশ্য জেল-জরিমানা করা না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা। মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, খালের ও ড্রেনের ময়লা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা জন্মায়।  যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদিতে পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে সেসব দ্রব্যাদি সিটি করপোরেশন কিনে নিচ্ছে। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, দইয়ের কাপ এগুলো যত্রতত্র না ফেলে ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের কাছে জাম দিন নগদ টাকা গ্রহণ করুন। পুরোনো টায়ার, কমোড, রঙের কৌটা এগুলো ছাদে বা বারান্দায় না রেখে আমাদের কাউন্সিলরদের কাছে জমা দিয়ে টাকা নিন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ট্রাকে ওঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে জনগণকে সচেতন করেন এবং প্রগতি সরণি এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন পরিত্যক্ত জিনিসপত্র ক্রয় করেন মেয়র আতিক। কুড়িল ব্রিজের নিচে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ করেন মেয়র। পরে মেয়র কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মেয়রের উপস্থিতিতে একটি বাড়িতে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অন্য আরেকটি বাড়িতে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত।
০৬ মে, ২০২৪

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না : মেয়র তাপস
কামরাঙ্গীরচরে বসবাসরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি সেখানে বসবাসরত সবাইকে অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেছেন। রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে কামরাঙ্গীরচরকে নান্দনিক, বাসযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। শেখ তাপস বলেন, আপনাদের মধ্যে একটি শঙ্কা আছে যে, কামরাঙ্গীরচরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। আমি আগেও পরিষ্কার করেছি আবারও বলছি, সেখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আপনাদের জন্য। সেখানে আপনারা থাকবেন, আপনাদের পরিবার থাকবে, আপনাদের বংশধরেরা থাকবে। কিন্তু আপনারা অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। তিনি বলেন, আমরা পোস্তগোলা থেকে রায়ের বাজার পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড করছি। কামরাঙ্গীরচরবাসী সেই সড়কের সুফল ভোগ করবে। এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাউচর সড়ক ৬ সারিতে উন্নীত করার জন্য কাউকে উচ্ছেদের প্রয়োজনই হবে না। দ্বিতীয়ত, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর পাড় ঘেঁষে ৪ সারির যে সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন কারও কোনো এক ইঞ্চি জমিও পড়ছে না। তৃতীয়ত, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ সারির সড়ক প্রশস্ত করার জন্য মাত্র ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাকিটা পুরোটাই সরকারি জমি। সেই ৩.৪ একর জমিতে যাদের বাড়ি পড়বে আমরা তাদেরকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ তো দেবই। পাশাপাশি আমি আর কামরুল চাচা (অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম) তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। সুতরাং, অহেতুক শঙ্কার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। মেয়র তাপস বলেন, একটি বিষয় আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করবেন, আজ নতুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুরাতন ঢাকায় থাকেন না। তারা হয় নতুন ঢাকা নয়তো উত্তরার মতো জায়গায় বসবাস করেন। এর মূল কারণ হলো, পুরাতন ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের যে অবস্থা, তাতে সেখানে বাসযোগ্যতা হলো তিন লাখ মানুষের। কিন্তু আপনাদের কথামতো সেখানে বসবাস করে ২০ লাখ মানুষ। সুতরাং এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে কামরাঙ্গীরচরও অচিরেই বাসযোগ্যতা হারাবে। সেজন্যই আমাদের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, সেখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হবে না। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, উনি আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের মাঝে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ভীতি ছিল তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনটা সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সুতরাং, আমরা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছি। তারপরও আমি বলব, আমার নামে যে ১০৪ ফুটের সড়ক প্রশস্ত করা হবে তাতে ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেসব জমির মালিকদের সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কামরাঙ্গীরচরের অন্যান্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা যায় কিনা সেটা আপনি বিবেচনা করবেন। আমি আশাবাদী, আপনি সহযোগিতা করবেন। অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরবাসীর পক্ষে ঢাদসিক মেয়রের কাছে লিখিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মে, ২০২৪

টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র হয়ে বাসচালকের ছেলের চমক
টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র হয়েছেন সাদিক খান। এ জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। সাদিক খান লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালে প্রথম মেয়র হয়েছিলেন তিনি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের খবর হলো সাদিক খানের বাবা ছিলেন একজন বাসচালক। তিনি পাকিস্তানি বংশোউদ্ভূত।  রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে ৪৩ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩২ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট। তিনি নির্বাচনী ১৪টি এলাকার মধ্যে ৯টিতেই বিজয়ী হয়েছেন।  বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুক্রবার থেকে ভোটগণনা করা হয়। শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় সাদিক খান পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট।  সাদিক খান ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের দুই বছর আগে বাবা মা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বাবা ছিলেন পেশায় বাসচালক আর মা দর্জির কাজ করতেন।  সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।  আলোচিত এ রাজনীতিবীদ ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অল্প বয়সেই লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি।  মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৪ সালে লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ বারার কাউন্সিলর হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন  এবং টুটিং আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।  সাদিক খান ২০০৮ সালে গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি এবং পরে যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দল থেকে তিনি বিচারবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী, ছায়া অর্থমন্ত্রী ও লন্ডনবিষয়ক ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।  আলোচিত এ রাজনীতিবীদের খেলাধুলা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। ফুটবল ক্রিকেট এবং বক্সিং তার পছন্দের খেলা। ২০১৪ সালে তিনি লন্ডন ম্যারাথনের অংশ নেন। এছাড়া ২০১৮ সালের টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি। 
০৫ মে, ২০২৪

বস্তিবাসীর জন্য ৯ ‘কুলিং জোন’ করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র
তীব্র গরমে বস্তিবাসীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নয়টি কুলিং জোন করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় রিকশাচালকদের মধ্যে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মেয়র আতিক বলেন, আমাদের ১১টি বস্তি আছে, চিফ হিট অফিসার আমাকে গতকাল বলেছেন, এই মুহূর্তে বস্তিবাসীদের আরাম দেওয়া দরকার। বস্তিবাসীরা কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ। তারা যদি দিনে-রাতে বিশ্রাম না নিতে পারে তাহলে কর্মক্ষমতা অনেক হারিয়ে ফেলবে এবং তাদের উপার্জনে বিঘ্ন ঘটবে। আমার সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে বলেছি, ৯টি জায়গায় বস্তিবাসীদের জন্য কুলিং জোন করে দিতে। কুলিং জোনে শেড থাকবে, ফ্যান থাকবে। এখানে যদি আমরা মিস্টের বন্দোবস্ত করতে পারি, সেটিও আমরা যেন করে ফেলতে পারি। সেই ডিজাইন রেডি করছি আমরা। গরমে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে করপোরেশনের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট ছড়াচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তিনটি করে রিকশা-ভ্যান দেওয়া হয়েছে; বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছি আমরা। আমাদের ১০টি ব্রাউজার আছে, এই ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা পানি ছিটাচ্ছি। মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন নিবন্ধিত যত রিকশা রয়েছে, সেগুলোর সব চালকের কাছে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে সেটি আধা লিটারের। এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজনে এতে স্যালাইন বানিয়ে চালকরা খেতে পারবেন। এ সময় বিত্তবানদের বাসার সামনে কল স্থাপনের আহ্বান জানান আতিক। তিনি বলেন, কল লাগিয়ে দিলে সবাই কিন্তু পানি খেতে পারে। পাশাপাশি দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের ড্রিংকিং ওয়াটার সরবরাহ করার অনুরোধ জানান মেয়র। নগরীর পার্কগুলোতে আর্টিফিশিয়াল মিস্ট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, ইতোমধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১টি পার্কে মিস্টার দিয়ে একটি কর্নার করে দিচ্ছি, যাতে সবাই এসে বিশ্রাম নিতে পারে। এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান প্রমুখ।
০৩ মে, ২০২৪

মোড়ে মোড়ে পানি পানের ব্যবস্থা মেয়র টিটুর
কাঠফাটা রোদ ও কড়া তাপে চোখ মেলাই যেন এখন দায়। বাইরে বের হলে হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে একটুতেই। ভর করছে ক্লান্তি। মধ্য বৈশাখে বদলে যাওয়া এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষের। শ্রমজীবী এসব মানুষ ও পথচারীদের কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ নগরীর মোড়ে মোড়ে স্যালাইন পানির ব্যবস্থা করেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। গত ছয় দিন ধরে মেয়রের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল থেকে নগরীর চরপাড়া মোড়, টাউন হল, জিরো পয়েন্ট, কাচারিঘাট, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, স্টেশন মোড়, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, জিলা স্কুল মোড়, কাঁচিঝুলি মোড়সহ জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর চরপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও রিকশা-অটোরিকশাচালক ও অন্যান্য শ্রমজীবীদের পানি পান করিয়ে তাদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। মেয়র টিটুর পক্ষে চরপাড়ায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্মআহবায়ক ফাহিম ফেরদৌস ফুয়াদ। তিনি জানান, মেয়রের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন পয়েন্টে তৃষ্ণা মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতদিন এমন দাবদাহ থাকবে ততদিন এটি অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এমন উদ্যোগে মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষজন বলেন, এ গরমে বেশি বেশি তৃষ্ণা পায়। এ ছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই শহরে এসে হাঁপিয়ে যান। অন্তত এখান থেকে পানি পান করে সাধারণ মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে পারছেন এবং একটু স্বস্তি পাচ্ছেন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, তীব্র দাবদাহে বাইরে বের না হতে বলা হলেও খেটে খাওয়া মানুষদের পক্ষে সেটি সম্ভব হয় না। জীবিকার তাগিদেই এই প্রচণ্ড গরমেও বের হয়ে হয়। চলতি পথে তারা যাতে কিছুটা হলেও ক্লান্তি দূর করতে পারেন সেজন্যই স্যালাইন পানি বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছি। যতদিন দাবদাহ থাকবে ততদিনই এটি চলবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

পথচারী ও শিশুদের নিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজলেন মেয়র আতিক
বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ পথচারী ও শিশুদের ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’তে ভিজে আনন্দ করতে দেখা যায়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে গিয়ে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাপ ছেড়ে পানি পান করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে মেয়র নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ছিটানো ওই পানিতে ভিজেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ তাপপ্রবাহ থেকে নাগরিকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএনসিসিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন। সে অনুযায়ী ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়র আতিক বলেন, দুটি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন চার লাখ লিটার পানি আমরা ছিটাব। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি দেওয়া হবে। তবে গাড়িগুলো অলিগলিতে যেতে পারবে না, মেইন রোডে থাকবে। আর সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেক ব্রাউজারে ১৫ হাজার লিটার করে পানি ধরে। আগামী সাত দিনের মধ্যে উত্তর সিটির বিভিন্ন পার্কে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমরা আশা করি, আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম পানির ব্যবস্থা করতে পারব। এ ছাড়া আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বিশুদ্ধ পানির ভ্যান থাকবে। ছোট ছোট ভ্যানগুলো নিয়ে অলিগলিতে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের মানুষ ভ্যান থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন। এগুলোও আমাদের চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে করা হয়েছে। নগরের দোকান এবং শপিংমলগুলোর সামনে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি দোকান বা শপিংমলে পানির ব্যবস্থা রাখুন। যাতে নগরবাসী তৃষ্ণা মেটাতে পারে। গত বছর নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এবার আমরা আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরপরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করব। পাশাপাশি এসব কাজ রক্ষণাবেক্ষণে আমরা বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। যে এলাকায় গাছগুলো লাগানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিকে আমরা যুক্ত করছি।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

হিট অফিসার শুধু পরামর্শ দেন, বাস্তবায়ন করতে হবে আমাদের: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এ কাজগুলো করছি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।   চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। আসলে এটা সঠিক নয়। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও নেই। হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান (অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ দিয়েছে এবং ৭ জনই নারী। পথচারীদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য মেয়র প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যানগুলো পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যাতে শহরের অলি-গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতেও কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির মেয়র। নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসীর প্রতি আমার ৩টি আহ্বান। আমি ডিএনসিসি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করছি- আপনারা প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে পানি খাওয়ার জন্য একটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখবেন। সবাই যেন পানি পান করতে পারে। আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ রোপণ করেছিলাম। এই বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ রোপণ করা হবে। এই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা) প্রমুখ।  
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকার ভবন মালিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র তাপস
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কের (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ  প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা করব। সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জানতে না দেয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / মেয়র থেকে উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছেন এমপিপুত্র
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মকবুল হোসেনের ছেলে। বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন এমপি মকবুল হোসেনের বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন রাসেল। এর পরই তিনি আসন্ন ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, নিজ উপজেলার রাজনীতি নিজেদের কবজায় রাখার জন্য সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন তার বড় ছেলেকে প্রথমে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র এবং পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবার বড় ছেলে রাসেলকে পৌর মেয়র থেকে সরিয়ে করাতে যাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। আর ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করাতে যাচ্ছেন। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে সমর্থন না দিতে ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে এমপি-মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন; কিন্তু এমপি মকবুল হোসেনের সমর্থনেই তার বড় ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এমপিপুত্র ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আর কেউই প্রার্থী হতে সাহস পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে এমপিপুত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুরো উপজেলায় নিজের পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বড় ছেলে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে এবং ছোট ছেলে ইবনুল হাসান শাকিলকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাতে যাচ্ছেন এমপি মকবুল। এ নিয়ে উপজেলার নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. বাকিবিল্লাহ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম; কিন্তু এমপির ছেলে যেখানে প্রার্থী হচ্ছে, সেখানে নির্বাচন কোনোভাবেই প্রভাবমুক্ত হবে না। আমি এ কারণে প্রার্থী হচ্ছি না।’ ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, ‘এসব বলে কী লাভ বলেন। দলের নির্দেশনা খোদ এমপি সাহেব মানেন না। তার ভয়ে কোনো নেতা কিছু বলতে সাহস পান না।’ ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সদ্য পদত্যাগী ও চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, ‘উপজেলার সব নেতাকর্মী এমপি সাহেবের বাড়িতে গিয়ে আমাকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করতে অনুরোধ করেছেন, এভাবেই জনগণের চাপেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আপাতত উপজেলা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত আছি।’ ছোট ভাই শাকিল পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো জনগণ নিয়ে থাকি। জনগণ যদি চায় তাহলে হবে। যদি আমাদের দ্বারা ভালো কিছু পেয়ে থাকে, তাহলে তো জনগণ আমাদের বেছে নেবেই। জনগণ যেটা মেনে নেবে, সেটার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারব না।’ এ বিষয়ে পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ‘উপজেলার সব ইউনিটের নেতাকর্মী আমার বাড়িতে এসে রাসেলকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বলেছি, তোমরা যেহেতু তাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছ তাহলে নাও; কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলতে পারব না। তবে ছোট ছেলে মেয়র পদে নির্বাচন করুক, সেটা আমি চাই না। কারণ দুই ছেলেই যদি জনপ্রতিনিধি হয়, তাহলে সংসার দেখবে কে?’
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
X