হজ পালনে সৌদি গেলেন ৩২ হাজার ৭১৯ যাত্রী
হজ পালন করতে কয়েক দিন ধরেই সৌদি আরবে যাচ্ছে যাত্রীরা। এখন পর্যন্ত সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩২ হাজার ৭১৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।  সোমবার (২০ মে) রাত ২টার মধ্যে ৮২ ফ্লাইটে এসব যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছান। সৌদিতে যাওয়া এসব যাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৮ হাজার ৯৭২ জন রয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) হেল্পডেস্ক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া ৮২ ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৬৫৫টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দুজন বাংলাদেশি মারা গেছেন।  গতকাল ১৮ মে মো. মোস্তফা নামের এক হজযাত্রী মক্কায় মারা যান। এর আগে গত ১৫ মে চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা যান। এর আগে ৯ মে থেকে হজের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।
৪ ঘণ্টা আগে

২০৩০ সালে সাড়ে ৫২ লাখ যাত্রী বহন করবে মেট্রোরেল  
মেট্রোরেল চালু হওয়ার আগে রাজধানীর রাস্তায় ঘণ্টায় যানবাহনের গতি ছিল চার দশমিক আট কিলোমিটার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কিলোমিটারে। কমেছে নগরীর কার্বন নিঃসরণ। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৪০ কিলোমিটার পথ আসবে ছয়টি মেট্রো রেলের আওতায়। তখন দৈনিক প্রায় ৫২ লক্ষ ৪০ হাজার যাত্রী দ্রুত, নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রেতে যাতায়াত করতে পারবে।  এদিকে মেট্রো-৬ প্রকল্পটি উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার বর্ধিত করা হয়েছে। এতে স্টেশন থাকবে পাঁচটি। পুরো কাজ শেষ হলে মেট্রো-৬ তে নতুন আরো চারলাখ যাত্রী যোগ হবে। বর্তমানে মেট্রো রেলে তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।  রোববার (১৯ মে) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং সেমিনার অন ঢাকা মেট্রোরেল’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছি।  পৃথিবীর কোন দেশে মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের মেট্রোরেলেও ভ্যাট নেই। তাহলে আমরা কেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাব?’ মেট্রো রেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত ভুল।  তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে ছয়টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে।  রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর গরিব চেহারা দেখে লজ্জা লাগে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এত গরিব গরিব চেহারা আমাদের বাসের! আফ্রিকার দেশের রাজধানী শহরেও এর চেয়ে ভালো বাস চলে। এই শহরে এত দামি গাড়ি চলে, কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন! বারবার কথাবার্তা বলেও সমাধান করা যায়নি। এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। আমাদের মালিক সাহেবরা কি বিদেশ যান না, দেখেন না! বাসের অবস্থা দেখলে লজ্জা লাগে।  ব্র্যান্ডিং সেমিনারে অতিথিদের আমন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বেশির ভাগই আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। কিন্তু যাঁদের কাছে ব্র্যান্ডিংয়ের দরকার, তাঁরা নেই। তিন লাখ যাত্রী প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিল আসছেন। মতিঝিল থেকে উত্তরা যাচ্ছেন। এখানে তাঁদের কাউকে রাখা দরকার ছিল। তিনি বলেন, ইকনোমিস্টের সমীক্ষা অনুযায়ী বাসযোগ্য নগরীর তালিকায় ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে বসবাসযোগ্য সিটির অবস্থা মিলে না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য নগরীর তকমা থেকে মুক্তি পেতে হবে। বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলি নদীর অবস্থা খুবই খারাপ। এই শহর ও মানুষকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।  স্বাগত বক্তব্যে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম, এ, এন, ছিদ্দিক বলেন, বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মেট্রো রেলের মতো প্রকল্পে শত টাকা বিণিয়োগ করলে ৩০০টাকা লাভ করা সম্ভব। তিনি বলেন, অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের কাছে এক হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম। পুরো অর্থ পেলে সবকিছু ভালোভাবে চলবে। তিন কিস্তিতে মেট্রো রেলের জন্য আনা ঋণের ৭৫ কোটি টাকা পরিশোধের কথাও জানান তিনি।  তিনি বলেন, সম্প্রতি কয়েকদফা বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। মেট্রোর টিকিটে এক জুলাই থেকে ১৫ ভাগ ভ্যাট যুক্ত করার কথা বলছে এনবিআর। বিদ্যুৎ ও ভ্যাটের কারণে বাড়তি ব্যয় যাত্রীদের থেকে আদায় না হলে মেট্রো রেলের স্বাভাবিক গতির ছন্দপতন ঘটবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রো রেল এখন বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশে^ ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। অযথা হর্ন না বাজানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে শিশু সহ জনস্বার্থের ক্ষতি হচ্ছে। হর্ন না বাজিয়ে গাড়ি চালিয়েও আমরা দুনিয়াজুড়ে নতুন করে পরিচিত হতে চাই। সকল পরিবহনের জন্য একটি স্মার্ট কার্ড তৈরির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা দরকার। পার্কটি আমাদের ফিরিয়ে দিন। সবুজায়ন করব। যেন শিশুরা খেলতে পারে।  সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে, এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো: আফতাবউদ্দিন প্রমুখ।
১৯ মে, ২০২৪

থামছেই না টোলের নামে যাত্রী হয়রানি
নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকারের নানা সংস্থার উদ্যোগেও বন্ধ হচ্ছে না সদরঘাটে টোলের নামে যাত্রী হয়রানি। সদরঘাটে নৌযান ঘাট শ্রমিকদের (কুলি ও ইজারাদার) দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। যাত্রীদের মালপত্র বা পণ্য পরিবহনে ইচ্ছামতো টোল আদায় করতে গিয়ে নিয়মিতই হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, সদরঘাটের প্রবেশপথে ইজারাদারের লোকেরা টোল আদায় করেন। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয় না। ইচ্ছামতো টোল আদায় করেন তারা। অন্যদিকে মালপত্র পৌঁছে দেওয়ার পর অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন কুলিরা। তাদের দাবি না মানলে দুর্ব্যবহারসহ গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি সদরঘাটে গিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেল। বৃদ্ধ কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক দেখিয়ে লঞ্চে করে শরীয়তপুরে নিজ বাড়ি ফিরবেন। সঙ্গে তার স্ত্রী। গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেট থেকে কেনা দুটি সিলিং ফ্যান সঙ্গে থাকায় কুলির প্রয়োজন পড়ে তাদের। কুলির সদরদারের মাধ্যমে একজন কুলিও পেয়ে যান। দরদাম করতে গেলে সরদার বলেন সবাই যা দেয় তাই দিয়েন। কিন্তু বিপত্তি বাধে কুলিকে টাকা দিতে গিয়ে। কামাল কুলিকে ২০০ টাকা দেন। কিন্তু ঘাট চার্জ বাবদ কুলি চেয়ে বসেন আরও ৫০০ টাকা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কামালকে লঞ্চ থেকে এক রকম জোর করে নিয়ে আসেন লালকুটি ঘাটের প্রবেশ মুখে লেবার সরদার মহসিনের কাছে। এরপর নানা দেনদরবার শেষে কামাল হোসেন ৩০০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান। শুধু শরীয়তপুরের কামালের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটছে না। প্রতিদিনই শত শত যাত্রী এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত শুক্রবার সকালে ভোলা থেকে আসা একটি লঞ্চে করে মহিষের দুধের ১০ ঘরা দই পাঠিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া দেলোয়ার হোসেনের বন্ধু। তিনি একাই লঞ্চ থেকে মাথায় করে নামালেন দইয়ের ঘরাগুলো। কিন্তু বিপত্তি বাধে পন্টুনে আসতেই। তাকে ঘাটের চাঁদা দিতে হবে ১০০ টাকা। না হলে দই নিয়ে বের হতে দেবেন না ঘাটের লেবার ও সরদাররা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে দেলোয়ার ৫০ টাকা দিতে বাধ্য হলেন। যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তার পরও কিছু ঘটনা ঘটছে, কিন্তু ভুক্তভোগীরা অভিযোগ না করায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে আগের চেয়ে অনেক কমেছে সদরঘাটে যাত্রী হয়রানি।’ বিআইডব্লিউটিএর রেট চার্ট অনুযায়ী, টার্মিনালে নোঙর করা লঞ্চ, স্টিমার, ভেসেল বা নৌযান থেকে ঘাটের লেবার দিয়ে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের একটি ব্যাগেজ বা মালামাল রাস্তায় থাকা যানবাহনে বা রাস্তা থেকে নৌযানে তুলে দেওয়ার জন্য ১২ টাকা; ২০ কেজির জন্য ২৩ টাকা; ৩০ কেজির জন্য ৩৫ টাকা; ৪০ কেজি ওজনের দুটি লাগেজ ৪৬ টাকা; ৬০ কেজি ওজনের দুটি লাগেজ ৫৮ টাকা; কাঠ বা স্টিলের (১০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের) একটি খাট ১১৫ টাকা; কাঠ বা স্টিলের চেয়ার বা একটি টেবিল ২৩ টাকা; একটি ফ্রিজ বা টেলিভিশন ৫৮ টাকা; কম্পিউটার ৩৫ টাকা; মোটরসাইকেল নৌযানে ওঠানো বা নামানোর জন্য ২৯ টাকা; বাইসাইকেল ২৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে। তবে নিজেরা কোনো মালামাল পরিবহন করলে সে জন্য কোনো চার্জ দিতে হবে না। বিষয়টি নিয়ে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সদরঘাট এলাকায় নজরদারি রাখছি, যাতে কোনো যাত্রী হয়রানির শিকার না হন। ফলে যাত্রী হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। তার পরও কেউ হয়রানির শিকার হয়ে আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয় একাধিকবার সদরঘাটের ইজারাদার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত রেট চার্টের বাইরে অনিয়ন্ত্রিত টোল আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
১২ মে, ২০২৪

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন উড়োজাহাজের ২০০ যাত্রী
অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে দুবাই থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরেই হাইড্রোলিক বিকল হয়ে রানওয়েতে আটকা পড়ে উড়োজাহাজটি। পরে কর্তৃপক্ষ উড়োহাজাটির সরিয়ে নেয়। উড়োজাহাজটিতে প্রায় ২০০ যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্রে জানাযায়, সকালে শারজাহ থেকে ১৯১ জন যাত্রী নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে উড়োজাহাজটি। বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামার সময় হাইড্রোলিক প্রেশার সিস্টেম এ সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিমানবন্দরের রানওয়েতে নিরাপদে অবতরণ করে। পরবর্তীতে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে পুশ কার ট্রেলার দিয়ে টেনে আনা হয়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম  আহমেদ বলেন, শা‘রজাহ থেকে আসা একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে অবতরণের সময় হাইড্রোলিক পড়ে যায়। পরে বিমানটির পাইলট সতর্কতার সঙ্গে রানওয়েতে অবতরণ করে। বিমানে ১৯১ জন যাত্রী ও সাত জন ক্রু ছিলেন। সবাই নিরাপদে আছেন। যাত্রীদের কেউ এ বিষয়ে টের পাননি। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি।    
১০ মে, ২০২৪

অটোরিকশায় যাত্রী তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৪
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ডে যাত্রী তোলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১১ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল কাদির, তার নিকটাত্মীয় সিরাজ মিয়া, আনু মিয়া ও লিলু মিয়া। স্থানীয়রা জানান, আগুয়া গ্রামের ওই স্ট্যান্ড থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশাগুলো চলাচল করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বদরুল আলমের (অটোরিকশা স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক) আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেলের চাচাতো ভাই অটোরিকশাচালক কাদির মিয়ার সঙ্গে যাত্রী ওঠানো নিয়ে বদরুলের কথা কাটাকাটি হয়। গ্রামে ওই খবর পৌঁছালে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা, বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে মারামারিতে জড়ান। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় আরও দুজনের। সংঘর্ষের পর নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালান। ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে কাদির ও সিরাজ তার চাচাতো ভাই। আর লিলু মিয়া সম্পর্কে তার মামা হন। অটোরিকশা স্ট্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক বদরুল আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বানিয়াচং সার্কেল ও সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
১০ মে, ২০২৪

নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষীপুর-নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহতরা হলেন, লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনা সদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো.আলাউদ্দিন (৪৫)। এ ছাড়া অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা লক্ষীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাক ও অটোরিকশাটি সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে খালে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হন।  ওসি আরও বলেন, এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মরদেহ এখনো খালে রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
০৪ মে, ২০২৪

‘বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেলে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত’ 
আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেলে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ভাড়া না বাড়িয়ে প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম-দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করে, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি নানামুখী লাভজনক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রেলকে ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব বলে দাবি করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব বলেন, রেলের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ না করে ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে রেলের লোকসান কমানো সম্ভব নয়। এমন সিদ্ধান্ত আকাশ কুসুম কল্পনা বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এর আগেও কয়েক দফা ভাড়া বাড়িয়ে লোকসান লাঘব করতে ব্যর্থ হয়েছে। রেল বড় বড় প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, যাত্রীসেবার দিকে তাদের কোনো মনোযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে দূরপাল্লার যাত্রাপথে রেলের ভাড়া বাসের ভাড়ার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেলপথকে অতীতের মতো নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রাখারও দাবি জানায় সংগঠনটি। যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, রেলখাতকে লাভজনক করার ঘোষণা দিয়ে ২০১২ সালে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ভাড়া বৃদ্ধির সময় ট্রেনের ওই সময়ে বিদ্যমান সেকশনাল রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরেও রেল লাভবান হয়নি, উল্টো ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রেলের লোকসান ছিল ১২২৬ কোটি টাকা। সমিতির দাবি, বর্তমানে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে যে হারে রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, এতে যাত্রীরা রেল বিমুখ হবে, রেলে টিকিটবিহীন যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা বাড়বে, রাজস্ব আয় কমবে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লুটপাটের সুযোগ আরও বাড়বে। রেলের আয়বর্ধক খাত যেমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রেন থেকে আয় বাড়ানো দিকে না ঝুঁকে রেলওয়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে আয় বাড়ানোর যে আকাশকুসুম পরিকল্পনা করছে সেটি কার্যত ব্যর্থ বলে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাধারণ মানুষকে রেলমুখী করে নামমাত্র মূল্যে টিকিট বিক্রি করে রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ভারতের শিয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে আজমীর জংশন পর্যন্ত এক হাজার ৬৪২ কিলোমিটার দূরত্বে একটি প্রথম শ্রেণির বার্থ সিটের ভাড়া মাত্র ৬৯০ রুপি, সেখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৩৪৬ কিলোমিটারের (প্রকৃত দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটারেরও কম) একটি নন এসি বার্থ সিটের ভাড়া ৮১০ টাকা। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁও ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে লোকাল ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ রুপি। আর বাংলাদেশে একটি টিকিট কাটতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজডটকম’কে কমিশন দিতে হয় ২০ টাকা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

যাত্রী কল্যাণের মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা
সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। সোমবার সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন। সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলি আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বাদী অভিযোগ করেন, জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি মিথ্যাচার করেছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা
সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন। সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।  বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রিত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।  এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।  বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানি করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে আগুন, নামতে গিয়ে আহত ১০ যাত্রী
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর রেল সংযোগ সড়কে মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিংয়ের জন্য ওই স্থানে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থামানো হয়। ‘ট’ বগির কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমে হাইড্রোলিক ব্রেকের স্থানে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে স্টেশন ও ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মহেড়া রেলস্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানান, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানোর সময় গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগে। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নামতে গিয়ে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার কারণে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা বিলম্বে ছাড়ে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
X