যুবলীগ নেতাকে ছাত্রলীগের আল্টিমেটাম
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ছাত্রলীগ এ আল্টিমেটাম দেয়।  এর আগে বুধবার রাতে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে গাজী মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন।  অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভা এলাকার উদ্ভবগঞ্জ শহিদুল্লাহ প্লাজার সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর সাংসদ কায়সারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভোটের বেপারি হইয়েন না, ভোটের বেপারি হয়ে সুবিধা করতে পারবেন না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। সাধারণ জনগণ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাজী মুজিবুর রহমানকে সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার ও সোনারগাঁবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। না হলে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেবেন বলে হুমকি দেন তারা। সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি সোহাগ রনি, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়ুবুর রহমান, সোনারগাঁ পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি, নাসরিন সুলতানা ঝরা, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আলেয়া আক্তার, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে উপজেলা ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান কালবেলাকে জানান, আমি উঠান বৈঠকে সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেইনি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের বেপারী বলেছি। আমার বিরুদ্ধে এটি মিথ্যা অভিযোগ।
৪ ঘণ্টা আগে

যুবলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পাঠান হলো হাসপাতালে
পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত ইউপি সদস্য সুমন উপজেলার বগা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি। তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শাপলাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক ও ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সুমনকে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এর আগে বুধবার রাতে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা রাজনগর এলাকায় আনারস প্রতীকের সমর্থকদের ধাওয়া করে। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, একটি ঘটনার সঙ্গে আরেকটি ঘটনা জড়িত হতে পারে। কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। আগামী ২১ মে বাউফল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার। অন্যদিকে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মোশারফ হোসেন খান।
৪ ঘণ্টা আগে

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ফেনীর যুবলীগ নেতা
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন। গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১১৯ দশমিক ৪০ গুণ। এ সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ। ২০০৯ ও ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এবারের হলফনামা অনুযায়ী, দিদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩০, বীমা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৮, ডিপিএস ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮০, একটি মোটরকার ৩০ লাখ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ ও আসবাবপত্র এক লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তার রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পিস্তল, শর্টগান, কার্তুজ ও বুলেট। ২০০৯ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫১ হাজার ৫৮৮ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল। একই হলফনামায় দিদারুল কবির রতনের ১০ লাখ টাকার ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। ১৫ বছর পর এবারের হলফনামায় স্বর্ণালংকারের পরিমাণ ১০ ভরি কমিয়ে ৩০ ভরির দাম দেখানো হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি। দিদারুল কবির রতন ১৯৯০ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরেই দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দিদার ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন।
১৫ মে, ২০২৪

ইউপি সদস্যকে বেধড়ক পেটালেন যুবলীগ নেতা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রেজাউল করিম নামে এক ইউপি সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ।  বুধবার (১৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে সচিবের রুমে বসে থাকা ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিমকে অতর্কিত হামলা ও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনো গ্রামের মৃত আইন উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। সে উপজেলা যুবলীগের একজন বহিষ্কৃত নেতা। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে একজন মাদকসেবী বলে স্থানীয়রা জানান। পরিষদের সচিব মেহেদী হাসান জানান, আমার অফিসে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বসে কথাবার্তা বলছিলেন। হঠাৎ মামুন এসে মেম্বারকে বাইরে যেতে বলে। মেম্বার বাইরে যেতে না চাইলে তাকে মারধর শুরু করে এবং টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। এদিকে পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ চয়ন জানান, আমরা ওই সময় বাইরে ছিলাম। মারধরের শব্দ শুনে দৌড়ে পরিষদের ভেতরে গিয়ে দেখি মামুন রেজাউল মেম্বারকে মারধর করছে। আহত রেজাউল মেম্বার জানান, মামুনের সঙ্গে আমার কোনো বিবাদ নেই। সে মাদকাসক্ত একজন ছেলে। তার সঙ্গে আমি কথাও বলি না। আজ কেন সে আমাকে অতর্কিত হামলা ও মারধর করল আমি জানি না। তবে নিশ্চয়ই সে কারও নির্দেশনায় করেছে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযুক্ত মামুনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।  ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, মারধরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ মে, ২০২৪

অস্ত্র-ইয়াবা, নারীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে ইয়াবাসহ যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে সাভারের খনিজনগর এলাকা থেকে নারী সহযোগী, ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদকে আটক করে ডিবি। অভিযানে এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত আব্দুল হামিদের এক সহকারীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবি পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই শুভ মণ্ডল ও এসআই মো. আনোয়ার হোসেনের একটি টিম সাভার থানাধীন বিরুলিয়া খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ও মাদকসম্রাজ্ঞী মোসা. পপি আক্তারকে আটক করে। ডিবি পুলিশ জানায়, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে সাভারের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মাদক মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদকসম্রাজ্ঞী পপি আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার বড় মেয়ে আর মো. আব্দুল হামিদ বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের আ. ওহাবের বড় ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ একজন নারী দেহ ব্যবসায়ীকে নিয়ে অবৈধ কাজ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাইরে থেকে নারী ভাড়া করে এনে এলাকায় অনৈতিক কাজ করেন। প্রায়ই মদ ও ইয়াবার আসর বসান। হামিদ প্রভাবশালী হওয়ায় তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আব্দুল হামিদ এর আগেও র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের পরিপন্থি কোনোরকম কার্যক্রম করে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ মে, ২০২৪

নারী, মাদক ও অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা আটক
ঢাকার সাভারে ইয়াবাসহ যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে সাভারের খনিজনগর এলাকা থেকে নারী, ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিরুলিয়া ইউপি যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদকে আটক করে ডিবি। অভিযানের সময় এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের এক সহকারীর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা জেলা (উত্তর) ডিবি পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই শুভ মণ্ডল ও এসআই মো. আনোয়ার হোসেনের একটি টিম সাভার থানাধীন বিরুলিয়া খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ও মাদক সম্রাজ্ঞী মোসা. পপি আক্তারকে আটক করে। ডিবি পুলিশ জানায়, আসামিদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে সাভারের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিক্রি করে। আসামিদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদকসম্রাজ্ঞী পপি আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার বড় মেয়ে আর মো. আব্দুল হামিদ বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের আ. ওহাবের বড় ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ একজন নারী দেহ ব্যবসায়ীকে নিয়ে অবৈধ কাজ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় বাইরে থেকে নারী ভাড়া করে এনে এলাকায় অনৈতিক কাজ করেন। প্রায় সময়ই মদের ও ইয়াবার আসর বসান। হামিদ প্রভাবশালী হওয়ায় তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। আব্দুল হামিদের গ্রেপ্তারে স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। এসময় তারা ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানায়। এ ছাড়াও আব্দুল হামিদ এর আগেও র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে এসে একই রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদের গ্রেপ্তার ও তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস মিজানুর রহমান মিজান কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। বিস্তারিত আমি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাব। সে যদি আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠনের পরিপন্থি কোনোরকম কার্যক্রম করে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আব্দুল হামিদের আগেও এলাকায় বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে স্থানীয়ভাবে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের বদনাম করেছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জি এস মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৪ মে, ২০২৪

আয়নাবাজির সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল কারাগারে
মাদক মামলায় আয়নাবাজির সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মিলন তথ্য নিশ্চিত করেন। নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর ঘটনায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল এদিন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আইনজীবী প্রাণনাথ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রোববার নাজমুল হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
১৪ মে, ২০২৪

অস্ত্র ও মাদকসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার ধুনটে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট (মাদক) ও বার্মিজ ৫ ইঞ্চি চাকুসহ এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১২ মে) রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচাপা গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতার নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে মিলন (৫২)। তিনি ধামাচাপা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচাপা গ্রামের মাহমুদুল হাসান তার বাড়ির ভেতরের আঙিনায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে- এমন খবরে রাতে ইউনিয়নের সোনাহাটা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। পরে রাত ৯টার দিকে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা ২০ পিস গোলাপি রঙের নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ১টি বার্মিজ টিপ চাকু জব্দ করে পুলিশ। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নামক মাদক ও বার্মিজ ৫ ইঞ্চি টিপ চাকুসহ মাহমুদুল হাসান ওরফে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের ২টি ধারায় মামলা করে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতা হত্যায় ফাঁসির পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১, সিপিসি ২। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিলরী এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে মো. খন্দকার মফিজুর রহমান (৫২) ও একই উপজেলার আলকরা এলাকার নজির আহম্মদের ছেলে মো. রেজাউল করিম বাবলু (৪২)। সোমবার (১৩ মে) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এক অভিযানে সোমবার রাতে কুমিল্লা শহরতলীর শাসনগাছা এলাকা থেকে পলায়নরত অবস্থায় জামাল হত্যাকাণ্ডের দুজন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে রাত ৮টায় বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের উপরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গত রোববার (১২ মে) মামলাটি আদালতের বিচারকার্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামিসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ও সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  
১৩ মে, ২০২৪

আয়নাবাজির সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল কারাগারে 
মাদক মামলায় আয়নাবাজির সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মিলন এ তথ্য জানান। এদিন নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর ঘটনায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে রোববার নাজমুল হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কালবেলায় ‘মাদক মামলায় যুবলীগ নেতার আয়নাবাজি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। মাদক মামলায় উত্তরার যুবলীগ নেতা নাজমুলের সাজা হলেও তার পরিবর্তে ভাড়ায় জেল খাটেন মিরাজুল নামে এক ব্যক্তি। সাজা খাটলেও চুক্তিমতো পুরো টাকা পাননি সেই মিরাজুল। টাকা চাইলে তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে ফের জেলে পাঠানো হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। সেদিনই বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এরপর আদালত মামলাটি ফের তদন্তের নির্দেশ দেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলে এক মাসেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এমনকি মামলার অধিকতর তদন্ত-সংক্রান্ত কোনো তথ্যই নেই থানা পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে। গত ২০ মার্চ ফের ‘‘যুবলীগ নেতার ‘আয়নাবাজি’ মামলার তথ্য নেই কারও কাছে” শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা। এরপর গত ২৪ এপ্রিল সেই নাজমুলকে ঢাকার উত্তরা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তবে পরদিন তাকে রহস্যজনকভাবে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হলে সেদিনই আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যান নাজমুল। একই দিন মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের পরিবর্তে অপর এক ব্যক্তির কারাভোগ করার ঘটনায় আসামির প্রকৃত পরিচয় কীভাবে শনাক্ত করা হয়েছিল—এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারককে লিখিতভাবে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আসামিকে কী প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করেছিলেন, এর প্রমাণপত্রসহ হলফনামা আকারে লিখিত জবাবও ওই সময়ের মধ্যে তাকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৩ মে, ২০২৪
X