গবেষণা-প্রকাশনায় সহস্রাধিক সাইটেশন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আজমের
গবেষণা ও প্রকাশনায় সহস্রাধিক সাইটেশন অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। গুগল স্কলারের তথ্যের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করেছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, ড. শাহ্ আজমের গুগল স্কলার অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘কিউ ওয়ান’ ক্যাটাগরির জার্নালে অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে নিবন্ধ উপস্থাপনের পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক অনেক কনফারেন্সের মডারেটর ও চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. আজম।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ধ্রুপদী সংগীত কনফারেন্স
শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্স। আগামীকাল ৩-৪ মার্চ পর্যন্ত দুদিনব্যাপী এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ মিট দ্য প্রেস শিরোনামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্সের আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ।  সাংবাদিক সম্মেলনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, মহান স্বাধীনতার মাসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার নেতৃত্বে আমরা যেমন স্বাধীন ভুখণ্ড পেয়েছি তেমনি সাংস্কৃতিক পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যে আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক সম্মেলন করতে যাচ্ছি তার পশ্চাতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা। রবীন্দ্র উপাচার্য শাহ্ আজম আরও বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে জাতির মানসে চির অম্লান রাখার মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে আগামী ৩ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত। কনফারেন্সকে সামনে রেখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।  প্রফেসর শাহ্ আজম জানান, আগামীকাল সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন। প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী চয়ন ইসলাম। কনফারেন্স বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে রয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। পরবর্তীতে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে বাংলা গানের পূর্বাপর প্রসঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।  কনফারেন্সে প্রাবন্ধিক হিসেবে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায়। সন্ধ্যায় দেশ-বিদেশের সংগীত বিশেষজ্ঞদের শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিবেশনায় থাকবে ধ্রুপদ (রাগ ভূপালী), খেয়াল (রাগ মুলতানি), তবলা লহড়া, বীণা বাদন এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত। প্রখ্যাত বীণাশিল্পী পণ্ডিত বিশখ শীলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে কনফারেন্সের প্রথম দিনের কর্মসূচি।  দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০টায় প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হবে কন্ঠসংগীত ও তবলা বাদন কর্মশালার মধ্যদিয়ে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে থাকবেন পণ্ডিত শ্যামসুন্দর গোস্বামী (কলকাতা, ভারত), শুভ্রাংশু চক্রবর্তী (কলকাতা, ভারত)। বিকাল ৫টায় কনফারেন্সের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন কনফারেন্স কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. তানভীর আহমেদ। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুইদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক ক্লাসিকাল মিউজিক কনফারেন্স। মিট দ্য প্রেসের মতবিনিময় সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স প্রস্তুত কমিটির সদস্য এবং শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
০২ মার্চ, ২০২৪

ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন হয়েছে বসন্তবরণ উৎসব। ফাল্গুনের প্রথম দিনের সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দমুখর পরিবেশে একাডেমিক ভবন-১ থেকে শোভাযাত্রাসহ একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছে। বসন্তবরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা।  শোভাযাত্রা শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নানামাত্রিক সৃষ্টিকর্মে উদ্দীপিত-উৎসাহিত করেছে। তিনি বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গান-কবিতা। তার অমর সৃষ্টি-‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়'। মনে পড়ছে 'ফাল্গুনী', 'বসন্ত' নাটকের কথা। ঋতুরাজ বসন্তকে  রবীন্দ্রনাথ দেখেছেন নতুন প্রাণের বার্তাবাহক হিসেবে। জীবনে নতুনের আহ্বানের উদ্বোধক হিসেবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তাই বসন্তকে আবাহন করে কবিগুরুর বসন্ত উদযাপনার অনুসরণে। আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তকে আবাহনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়া বাংলার সবুজ প্রান্তরকে নতুন করে বরণ করি।  রবি উপাচার্য আরও বলেন, জরাজীর্ণ শীতের পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। বসন্ত অনন্ত সম্ভাবনার ঋতু; প্রেম, বিরহ, মিলন, দ্রোহ-সংগ্রাম, বিজয় অর্জনের স্মৃতিময় সময়খণ্ডের অনন্য নাম বসন্ত। উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত মানে নতুন করে জেগে ওঠা, নতুন আনন্দে-আশায় রঙিন হয়ে ওঠার সময়। এই শুভক্ষণে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- ক্ষুদ্রতা, পুরাতনকে পরিহার করে,  বিভেদ-ব্যর্থতা ভুলে, নতুন প্রত্যয়ে, নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার।  ড. শাহ্ আজম বলেন, ১৯৫২ সালের ৮ ফাল্গুন ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, সফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকে। সে আত্মত্যাগ আজ বিশ্বস্বীকৃত। বারবার ফিরে আসুক ফাল্গুন, আসুক বসন্ত, শোক নয়, দুর্বিনীত সাহস আর অপরিমেয় শক্তি হয়ে। ট্রেজারার ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক রূপ-রসে, কোকিলের কুহুতান, আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মৌতাতে বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে শহরে। বসন্তের রঙিনদোলা, উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে বাঙালি। বাংলার প্রকৃতিতে আজ ফাগুনের ছোঁয়া, আগুনরাঙা বসন্তের মোহময় সুর। হিম-কুয়াশায় ঢাকা শীতের পর রুক্ষ মৃতপ্রায় নিসর্গে উষ্ণতার স্পর্শ দিয়ে জীবনের স্পন্দন ফিরিয়ে এনেছে বসন্ত। আলোচনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বসন্ত শুধু অশোক-পলাশ-শিমুলেই উচ্ছ্বাসের রং ছড়ায় না, আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্তের উপরও রং ছড়ায়। এই বসন্তেই রয়েছে  বাঙালির দ্রোহ প্রেম, দেশ আর মাতৃভাষাপ্রীতির অনন্য নজির । কেননা আমাদের ভাষা- স্বাধীনতা সংগ্রাম এই বসন্তে শুরু হয়েছিল। তাই এই বসন্তে বাঙালি হৃদয় কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে পারে  না। যেমন থাকতে পারেনি- বাহান্ন ও একাত্তরে। যেকোনো সংকটে বাঙালিকে জেগে উঠতে এই বসন্ত সাহস জুগিয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্ব দরবারে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা হয়ে থাকুক বসন্ত। আলোচনাসভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাদের্থীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণ ।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের শিক্ষা সফর
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ শিক্ষা সফর হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা স্মৃতি চত্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার চত্বর, কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সমাধি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বধ্যভূমিতে রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সিনেট ভবনে এক মতবিনিময় সভা হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তরুণ প্রজন্মকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে : রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
ভাষা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল আয়োজনে পাবনায় শুরু হলো মাসব্যাপী বইমেলা ও সপ্তাহব্যাপী পুস্তক প্রদর্শনী।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন পাঠাগার অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ আজম।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের প্রাচীনতম এই অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরিটি শতবর্ষব্যাপী জ্ঞানের আলো বিতরণ করে চলেছে।  তিনি বলেন, যদি আমাদের একটি সমৃদ্ধ জাতি তৈরি করতে হয় তাহলে আমাদের একটি সক্ষম প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। আর এই সক্ষম প্রজন্মকে জ্ঞানে, রুচিতে ও অভিজ্ঞতায় আলোকিত করে গড়ে তুলতে তাদের লাইব্রেরি মুখী করতে হবে।  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, বইয়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ থাকে জ্ঞানের নির্যাস, সভ্যতার সারকথা। বিদ্যার সঙ্গে গ্রন্থের সম্পর্ক সুপ্রাচীন কাল থেকে বহমান। এককালের জ্ঞান অন্য কালের মানুষের হাতে পৌঁছে বইয়ের মাধ্যমে। জ্ঞানের ধারক বাহক বই আমাদের নিকট তাই অতীতের সম্পদ, বর্তমানের আনন্দ ভুবন, ভবিষ্যতের উজ্জ্বল দিশারী।  অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পাবনার প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক প্রফেসর কামরুজ্জামান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান এবং বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতীন খান।  এ সময় বক্তারা বইপড়া ও লাইব্রেরির গুরুত্ব তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে বই কেনা ও পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এর আগে, অতিথিরা ১৩৪ বর্ষী অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরিতে সাতশ বছরের পুরোনো তালপাতায় লেখা পুঁথি ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের মতবিনিময়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। গতকাল ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়কালে রবীন্দ্র উপাচার্য উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রীকে অবগত করেন। এ সময় উপাচার্য শাহ্ আজম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা ‘গৌরবের বাংলাদেশ: শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটি মন্ত্রীকে উপহার দেন। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে অবগত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুভকামনা জ্ঞাপন করেন।  রবীন্দ্র উপাচার্য ড. শাহ্ আজম শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের আমন্ত্রণ জানালে তিনি আসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।   
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নৌকার প্রার্থী ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে শোকজ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলাম ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শিক্ষকদের ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নৌকার পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড (নির্বাচনী প্রচারকার্য) পরিচালনা করায় প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে। এ কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ-৬-এর (নির্বাচনী এলাকা-৬৭) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ও উপস্থিত শিক্ষকদের ব্যবহার করে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের নৌকার প্রার্থী চয়ন ইসলাম ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্আজম। যার ভিডিও ফুটেজ পরদিন ৪ জানুয়ারি ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়েছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা, ২০০৮-এর ৪(১)নং এবং ১৪(২)নং বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে না, সেই মর্মে শনিবার বিকেলের মধ্যে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নৌকার প্রার্থী ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে শোকজ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলাম ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শিক্ষকদের ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নৌকার পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড (নির্বাচনী প্রচারকার্য) পরিচালনা করায় প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে। এ কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জ-৬-এর (নির্বাচনী এলাকা-৬৭) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ও উপস্থিত শিক্ষকদের ব্যবহার করে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের নৌকার প্রার্থী চয়ন ইসলাম ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্আজম। যার ভিডিও ফুটেজ পরদিন ৪ জানুয়ারি ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়েছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা, ২০০৮-এর ৪(১)নং এবং ১৪(২)নং বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে না, সেই মর্মে শনিবার বিকেলের মধ্যে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনার অনন্য অবদান
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অবদান বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. শাহ আজম। গতকাল বুধবার শাহজাদপুরের ক্যাম্পাসে শিক্ষক সমিতির মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশে বিশ্বকবির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছর পর শেখ হাসিনার কল্যাণে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ ও দায়বদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মো. শাহ আজম।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

হরতাল-অবরোধেও স্বাভাবিক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
গত নভেম্বর থেকে চলা হরতাল-অবরোধে বাধাগ্রস্ত হয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। তবে কোনো বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমই বন্ধ ছিল না। নভেম্বর ও চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১ বছর সেশনজটে পড়েছি। চলমান পরিস্থিতিতে যদি পরীক্ষা পিছিয়ে যেত, তবে আরেকটা ধাক্কা সামলাতে হতো। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এখন নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা পরিবেশ অব্যাহত রাখতে চাই। সেশনজট কমাতে সম্প্রতি শীতকালীন ছুটিও কাটছাঁট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X