বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ এএম
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ০৭:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিনা টিকিটে ১২ বছর রেল ভ্রমণ, অতঃপর...

বগুড়া রেলওয়ের স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে বকেয়া টিকিটের মূল্য পরিশোধ করেন বেলাল উদ্দিন। ছবি : কালবেলা
বগুড়া রেলওয়ের স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে বকেয়া টিকিটের মূল্য পরিশোধ করেন বেলাল উদ্দিন। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার সোনাতলা থেকে বগুড়া শহরে ১২ বছর ধরে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করেছেন এলজিইডির সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী বেলাল উদ্দিন (৬৪)। প্রায় ৫৪ বছর পর জীবনের শেষ বয়সে এসে অনুশোচনা থেকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করেছেন এই কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে বগুড়া রেলওয়ের স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সাজেদুর রহমান সাজুর কাছে গিয়ে এ বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেন তিনি। বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের কাছে টিকিটের মূল্য বাবদ বকেয়া সাত হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন এই বৃদ্ধ।

বেলাল উদ্দিনের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সুজায়েত পাড়া গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি বগুড়া শহরের জহুরুলনগরে বসতবাড়ি করেছেন। বেলাল উদ্দিন বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেছেন। সর্বশেষ তিনি কাহালু উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে ২০২০ সালে অবসরগ্রহণ করেন।

১০ বছর বয়সে সোনাতলা উপজেলা থেকে ট্রেনে চড়ে বগুড়া শহরে যান বেলাল উদ্দিন। এরপর থেকে বহু দিন ট্রেন ভ্রমণ করেছেন এই পথে। বগুড়া শহরে পড়ালেখা ও আত্মীয়স্বজনের বাড়ি হওয়ায় করতে হয়েছে ট্রেনে যাতায়াত। এই ভ্রমণগুলোর অধিকাংশ ছিল বিনা টিকিটে। যার সঠিক সংখ্যাও মনে নেই বেলাল উদ্দিনের। ওই সময় এটাকে স্বাভাবিক হিসেবেই মনে করতেন তিনি।

তবে বেলাল উদ্দিন বলেন, ডিপ্লোমা শেষে ১৯৮৩ সালে চাকরি শুরু করি। এর আগের ওই ১২ বছরে যদি সপ্তাহে দুবার যাতায়াত করে থাকি, সেই হিসেবে ৫২ সপ্তাহকে ১২ দিয়ে গুণ করেছি। আবার সেটাকে ২ দিয়ে গুণ করায় যা আসে সেটাকে ওই সময়ের ট্রেনের টিকিট মূল্য ৫ টাকা দিয়ে গুণ করে ৬ হাজার টাকার কিছু বেশি পরিমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি সব মিলিয়ে ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।

তিনি বলেন, একজন মুমিন বান্দা হিসেবে আমি বিবেকের কাছে দংশিত হই। মূলত আখিরাতের ভয় থেকেই আমি এই টাকাটা পরিশোধ করেছি। কারণ মৃত্যুর পর অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। টাকা জমা দিতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আর এ কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমার স্ত্রী।

এ বিষয়ে বগুড়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, বিষয়টি ভালো লাগার। তার জমা দেওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। ট্রেন আমাদের জাতীয় সম্পদ। অনেকেই বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকেন। এটা কোনোভাবেই উচিত না। মাঝেমধ্যে অনেকে বিবেকের তাড়নায় এ রকম টাকা পরিশোধ করে যান। এর সংখ্যা অবশ্য কম। এর আগে এক ভদ্রমহিলা ১০ টাকা জমা করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভয়াবহ আগুনে তুলার মিল পুড়ে ছাই

২১ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৩

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২১ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

৪ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাড়ল বাস ভাড়া

পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে ক্লিন সিটি : চসিক মেয়র

জুলাই সনদে মিত্রদের ‘কাছাকাছি মতামত’ দেওয়ার পরামর্শ বিএনপির

১০

সন্তানকে বাঁচিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা

১১

সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

১২

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

১৩

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

১৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

১৫

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

১৬

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

১৭

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

১৮

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

১৯

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

২০
X