রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বই ছিল প্রধান কারণ। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। এদিকে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এক দিনের ব্যবধানে পর পর দুই দিন সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়ার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার পর রাবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্র আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় কমিটি গঠন করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত ছাড়াই প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংঘর্ষের নেপথ্যের কারণ শনিবার (১১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারীরা প্রথমে তর্কে জড়ায়। সেই তর্কাতর্কিই একপর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। উভয়পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অন্তত চারজন আহত হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রাপাত হলেও এর পেছনে আধিপত্যের লড়াই ও হলে সিট ভাগবাটোয়ারাই প্রধান কারণ ছিল। নিয়াজ ওই হলের সভাপতি হওয়ায় হলের অধিকাংশ সিট তার দখলে রাখতে মরিয়া। কিন্তু আতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হওয়ায় সেও হলের সিটের ভাগাভাগি নিজের করায়ত্বে রাখার চেষ্টা চালায়। সম্প্রতি হলের দুটি সিটের বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা ও দ্বন্দ্ব হয়। মূলত এই দ্বন্দ্বের জেরেই শনিবার রাতে উভয় গ্রুপের মধ্যে হলের গেস্ট রুমে কথাকাটাটির একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এ খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারীরা অন্য আবাসিক হলগুলো থেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আতিকের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর উভয় গ্রুপ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, ২৬তম সম্মেলনের মাধ্যমে গত বছরের ২২ অক্টোবর ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট রাবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগের কমিটির সময় হল সম্মেলনের মাধ্যমে সব আবাসিক হলে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতেই সব আবাসিক হলের নিয়ন্ত্রণ, সিট-বাণিজ্য নিজেদের হাতে নিতে প্রত্যেকটি আবাসিক হলে সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্য থেকে দুই-একজনকে মৌখিকভাবে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্বাচন করেন। মূলত এরপর থেকেই  দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই হলে সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে হলের সব নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজশাহীর একজন ‘প্রভাবশালী’ নেতার অনুসারী হওয়ায় ক্যাম্পাস ও হলে নিজের আধিপত্য ধরে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করেন। তবে নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের ক্ষমতা ও আধিপত্য খর্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। এরই সূত্র ধরে গত শনিবার ও সোমবার নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়া দেয়। এদিকে সর্বশেষ সম্মেলনে শীর্ষ দুইজন পদ না পাওয়ায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত স্থানীয় কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে শুরু থেকেই পাঁয়তারা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় শীর্ষ পদবঞ্চিত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনসহ একটি গ্রুপ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, গেস্টরুমে বসা নিয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। একপর্যায়ে সভাপতির অনুসারীরা কয়েকজন এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। বিষয়টি নিয়েই মূলত ঝামেলা বাঁধে। তিনি বলেন, আমি হলের থার্ড ব্লক দেখাশোনা করি। কিন্তু ওই ব্লকের একটি কক্ষে আতিক একজনকে তুলেছিল বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে জানিয়েছিলাম। এ কারণে আতিক ওইদিন (সংঘর্ষের দিন) আমার ওপর রাগ ঝাড়তে পারে। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোাগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, হলের গেস্টরুমে আমার অনুসারীরা সাংগঠনিক কাজ করছিল। তখন ওই হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এসে আমার অনুসারীদের সঙ্গে ঝামালা করে। পরে নিয়াজ বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ইট-পাটকেল ও ককটেলের বিস্ফোরণ করে। আমরা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যেই নড়েচরে বসেছে হল প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন সদস্যের একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হলের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সরাসরি ছাত্রত্ব বাতিল ও গ্রেপ্তারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন। এ ছাড়া বহিরাগত ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরের মধ্যে নেমে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক অনুপম হীরা মণ্ডলকে প্রধান করে তিনি সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন ও তানজিল ভূঞা। তাঁদের দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া হলের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা হলের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আরো বেশি সতর্ক আছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া হলগুলো নিরাপদ রাখতে আমরা হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। হল প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটির রিপোর্ট পেলে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। চার ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, আমাদের কী দোষ ছিল?  কী কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো, তা আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য। আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা আমি জানি না। সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে। প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মে) রাত ১১টা থেকে  আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের তিনজন আহত হয়। এই ঘটনার জেরে সোমবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রত্যেক ছাত্র আবাসিক হল থেকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হল প্রশাসন হলে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তল্লাশির সময় কোনো অস্ত্র উদ্ধার কিংবা বহিরাগত কাউকে আটক করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে

এসএসসি পাসে রাজশাহী কাস্টমসে চাকরি, পদসংখ্যা ১১৩
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজশাহীর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১১ পদে মোট ১১৩ জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২ জুন পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, রাজশাহী পদ ও জনবল : ১১টি ও ১১৩ জন চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) কর্মস্থল : রাজশাহী আবেদন শুরুর তারিখ : ১৩ মে, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২ জুন, ২০২৪ ১. পদের নাম : সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ২টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি মাসিক বেতন : ১১০০০- ২৬৫৯০ টাকা ২. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি মাসিক বেতন : ১০২০০- ২৪৬৮০ টাকা ৩. পদের নাম : উচ্চমান সহকারী পদসংখ্যা : ১৩টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি মাসিক বেতন : ১০২০০- ২৪৬৮০ টাকা ৪. পদের নাম : ক্যাশিয়ার পদসংখ্যা : ৪টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি মাসিক বেতন : ১০২০০- ২৪৬৮০ টাকা ৫. পদের নাম : ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদসংখ্যা : ৩টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৯৩০০- ২২৪৯০ টাকা ৬. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা : ৩টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৯৩০০- ২২৪৯০ টাকা ৭. পদের নাম : গাড়িচালক পদসংখ্যা : ১৫টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৯৩০০- ২২৪৯০ টাকা ৮. পদের নাম : সিপাই পদসংখ্যা : ৬২টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট মাসিক বেতন : ৯০০০- ২১৮০০ টাকা ৯. পদের নাম : ফটোকপি অপারেটর পদসংখ্যা : ২টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৮৮০০-২১৩১০ টাকা ১০. পদের নাম : অফিস সহায়ক পদসংখ্যা : ৯টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৮২৫০- ২০০১০ টাকা ১১. পদের নাম : নিরাপত্তা প্রহরী (নৈশপ্রহরী) পদসংখ্যা : ১টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাসিক বেতন : ৮২৫০-২০০১০ টাকা আবেদনের বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩০ বছর। তবে ১, ২, ৩, ৬, ৯, ১০ নম্বর পদের জন্য বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। আবেদন ফি : টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১-৭ নম্বর পদের জন্য ২২৩ টাকা, ৮-১১ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
১১ মে, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে : ছাত্রদল সভাপতি
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, হলগুলোকে কুক্ষিগত করেছে। সেখানে ছাত্রদল বা অন্যদলের শিক্ষার্থীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে হেলমেট বাহিনী হয়ে কীভাবে হাতুড়িপেটা করেছে তা সবাই দেখেছে। ক্যাম্পাসে আপনাদের তারা অবাধে ক্লাস করতে দেয় না, হলে থাকতে দেওয়া হয় না, পরীক্ষা থাকলে বাধা দেওয়া হয়। তারপরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থেমে থাকেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বীর ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের স্বার্থ একটি তা হলো আপনারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন। যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে সেদিন আপনারা বীর পুরুষ হিসেবে সম্মান পাবেন। খুব দ্রুতই সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, হল শাখা ও অন্যান্য কমিটির অনুমোদন দিব এবং এর তদারকি করব। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সব আন্দোলন ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাবিতে গত কয়েক বছর ধরে শাখা ছাত্রলীগ যেভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে তা আপনারা সবাই জানেন। তারা ২১ সালে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে এমনকি  শিবির ট্যাগও দিয়েছে। তারা হলের খাবার চুরি করেছে। শিক্ষক আবু বকরকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তাদের দ্বারা। যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের এই কাজকে সমর্থন করছে তাদের নাম ইতিহাসে ঘৃণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধের রাজনীতি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চায়‌। আমরা আশা করছি রাবি শাখা ছাত্রদল আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে বীজ বপনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বপন করেছি। আমি জানি কোন গাছের ফল ভালো। সুতরাং প্রতিটি বিভাগ, হল, থেকে শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পাতায়-পাতায় যেন ছাত্রদল স্থান পায় সে জন্য কারা কাজ করে যেতে পারবে তা আমি ভালো বলতে পারব। আমরা খুব শিগগিরই রাবি ক্যাম্পাসে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত করতে চাই। আমরা একটি শক্তিশালী কমিটির অনুমোদন দিয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালু প্রমুখ।
০৯ মে, ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে।  এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার বন্ধুকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতারা।  সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখশ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান। এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে ওই দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার বন্ধু ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। ক্যাম্পাস ঘুরে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে দাঁড়ালে ছাত্রদল নেতা বুঝতে পারেন ছাত্রলীগের তিনজন নেতা তাদের অনুসরণ করছেন। পরিস্থিতি বুঝে মোটরসাইকেলে করে রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পথরোধ করেন এবং জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সেই কক্ষে যান গালিব ও অভিযুক্ত অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা। কক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে স্বীকার করেন নাফিউল ইসলাম। এরপরই তাকেসহ তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর শুরু করেন গালিব। একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে নাফিউলকে নানারকম হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত ১টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। গালিবের কাছে থাকা একটি পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি নানারকম হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ইউনুস খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন, ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা।
০৭ মে, ২০২৪

পশ্চিমাঞ্চল রেলে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় ছিল সকাল ৭টা ৪০ মিনিট। সেই ট্রেন শনিবার (৪ মে) ছেড়ে গেছে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পর ট্রেনটি নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে কেবল আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসই নয়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনই দুই থেকে সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলাচল করছে। গাজীপুরে শুক্রবার (৩ মে) দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর ভেঙে পড়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল। শুক্রবার (৩ মে) দুর্ঘটনার পর খুব বড় একটা প্রভাব না পড়লেও শনিবার (৪ মে) ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এমনিতে প্রায় এক মাস থেকে ধীরগতিতে চলছিল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন ট্রেন। এতে প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারছিল না এবং পৌঁছাতেও পারছিল না। এর ওপর শুক্রবার গাজীপুরের দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর উদ্ধার কাজ চলার কারণে আরও বিলম্বে চলাচল করছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন। তাই আজ আগের ঘোষণা ছাড়াই সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছয় ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন ট্রেনের যাত্রীরা। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে স্ত্রীকে ট্রেনে তুলে দিতে আসা শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালে যাত্রা শুরুর মাত্র কয়েক মিনিট আগেই তাদের জানানো হয় যে, ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি কিছুটা বিলম্বে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৭টা ৪০ মিনিটের ট্রেন ছয় ঘণ্টা বিলম্বে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ এমন বিলম্বিত ট্রেনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন তাদের মতো অনেক যাত্রী। বিশেষ করে যারা জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছেন তারা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও রোগী ও শিশু ভ্রমণকারীরাও এই তীব্র গরমে কষ্ট শিকার করেই ট্রেনে রওনা হচ্ছেন বলেও জানান। সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রেললাইন বেঁকে যাচ্ছিল অনেক স্থানেই। তাই এতদিন এমনিতেই দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে বিলম্বে চলছিল এই রুটের সব ট্রেন। আর গাজীপুরের দুই ট্রেনের দুর্ঘটনার পর বিলম্বিত ট্রেনের পরিধি আরও বেড়েছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, ট্রেনের টাইম শিডিউল নিয়ে তারা এখন খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। গাজীপুরের দুর্ঘটনার কারণেই মূলত শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। শনিবার ৭টা ৪০ মিনিটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১টা ৪০ মিনিটে ছেড়েছে। তিনি বলেন, এ ছাড়াও বনলতা এক্সপ্রেস পৌনে দুই ঘণ্টা বিলম্বে রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে, আর পদ্মা এক্সপ্রেসও ৩-৪ ঘণ্টা বিলম্ব হতে পারে। এ ছাড়া আজ রাতের ঢাকামুখী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের কথা তো এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না, পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা। এই শিডিউল বিপর্যয় কাটতে রোববার (৫ মে) পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলেও জানান। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গাজীপুরের দুর্ঘটনায় তাদের ট্রেন সিডিউল এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন ট্রেনগুলোর ডে-অফ না আসলে এই শিডিউল বিপর্যয় কাটানো সম্ভব হচ্ছে না। আর বঙ্গবন্ধু সেতুর কারণেও অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। যেখানে আগে তিনটা ট্রেন রাখতে পারতেন সেখানে এখন একটা রাখতে পারেন। আরেকটা লাইন দিয়ে একটা ট্রেন ছাড়তে হয়। তবে ২-৩ মাসের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে। সংকট তৈরি হওয়ায় তিনি আজকে আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করতে চেয়েছিলেন। এক হাজার টিকিটের মধ্যে ৪০০-৫০০ রিফান্ডও করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা থেকে ফিরতি টিকিট কেউ রিফান্ড করেননি, আর সেজন্য ট্রেন শেষ পর্যন্ত বিলম্ব হলেও চালাতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মহাব্যবস্থাপক।
০৪ মে, ২০২৪

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প
দেশের উত্তরাঞ্চলে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা কম বা ভূকম্পন মৃদু অনুভূত হওয়ায় এ অঞ্চলে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের বিষয়ে রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক গাওসুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের এখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। দ্বিতীয়ত, রাজশাহীতে ভূমিকম্প পরিমাপের যে যন্ত্রটি রয়েছে, তা নষ্ট।’ কতদিন থেকে নষ্ট, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারব না। কারণ, আমি বাইরের স্টেশনে ছিলাম। সম্প্রতি রাজশাহী অফিসে যোগদান করেছি।’ গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু করল রাকাব
ডেটা ছাড়াই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক মিলনায়তনে প্রধান অতিথি থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাকাবের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (এটুআই প্রোগ্রাম) মোল্লা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাকাব এর অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। আশা করেন যে, বিশেষায়িত ব্যাংকটি তার মানসম্পন্ন, সম্ভাবনাময় ও কল্যাণমুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে অতি শিগগিরই সফলতা অর্জন করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার‌ম্যান রইছউল আলম মন্ডল বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম ekpay এর মাধ্যমে রাকাবের সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি- ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রমের সংযোজনের মধ্য দিয়ে অনগ্রসর এলাকায় আধুনিক ব্যাংকিং সেবাদানে রাকাব আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলে গ্রাহকগণ নিরবচ্ছিন্ন ই-ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কৃষি ও গ্রমীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পল্লী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাকাব বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় অনলাইন ব্যাংকিং ও স্মার্ট মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানে রাকাব অঙ্গীকারবদ্ধ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণত রাকাব মোবাইল অ্যাপসহ সকল অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ বা ডেটা প্যাক না থাকলে অ্যাপ ব্যবহার করা যায় না। তবে রাকাবের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ডেটা ছাড়াই ব্যাংকটি শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করল। এখন থেকে রাকাবের গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা ডেটা ছাড়াই রাকাব মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। এই সুবিধা পেতে গ্রাহককে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন চালু রাখতে হবে। ডেটা ছাড়া ফ্রি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রাকাব মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও রাকাব লেন্স এর সকল সেবা পাওয়া যাবে। এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবার মধ্য দিয়ে রাকাব ই-ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, রাকাবের ৩৮৩টি শাখার আওতায় প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহককে সুষ্ঠুভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকটি দীর্ঘদিনের লোকসান কাটিয়ে গত জুন ২০২৩ এ ৭২.৬৭ কোটি এবং অর্থবার্ষিক সমাপনী ডিসেম্বর ২০২৩ এ ৬৯.২৪ কোটি টাকা শাখা পর্যায়ে পরিচালনা মুনাফা অর্জন করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী
বাংলা নববর্ষের শুরুতেই তীব্র তাপপ্রবাহে তেঁতে উঠেছে রাজশাহী। প্রতিদিনই যেন বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য বছর আবহাওয়ার কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা গেলেও এবার এপ্রিলের শুরু থেকেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী। গরম বাতাস যেন শরীরে বিঁধছে আগুনে হল্কার মতো। এতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শ্রমজীবী মানুষ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র  তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই চলতি মৌসুমে বুধবার থেকে রাজশাহীতে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহে মানুষসহ প্রাণিকূলে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা দিয়েছে। এদিকে তীব্র রোদ ও তাপপ্রবাহের কারণে দুপুরের পর প্রধান প্রধান সড়ক ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অনেক মানুষকে ক্লান্ত শরীরে গাছের ছায়ায় বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকে আবার চোখেমুখে ঠান্ডা পানি দিতে দেখা যায়। তবে রিকশাচালকদের তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই রিকশা চালাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া অন্য পেশার মানুষেরাও। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের  সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সোমবার ৩৯ দশমিক, রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীতে যে তীব্র গরম ও কাঠফাটা রোদ বিরাজ করছে তা আরও কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৩-৪ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

রাবির জনসংযোগ দপ্তরের নতুন প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের নতুন প্রশাসক হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে। আগামী ৩ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন৷ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বর্তমান প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় এবং তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডেকে আগামী ১৭ এপ্রিল হতে তিন বছরের জন্য জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা মাত্র হারে সম্মানী পাবেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ফারুক হোসেন নামের এক বহিরাগত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি এলাকার হরিজন পল্লি সংলগ্ন এলাকার মেহগনি বাগান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফারুক হোসেন রাজশাহীর চারঘাট থানার নন্দনগাছি উত্তর ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ফারুকের ছেলে আমিন বলেন, আব্বা এটা করতে পারে না। আপুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এমন কিছু কেন ঘটল বুঝতে পারছি না। লক্ষ্মীপুর বাজারে বাদাম বিক্রি করতেন তিনি। এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি এস এম মোবারক পারভেজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। পরে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য সিআইডির একটি দল আসে, তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X