দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, হলগুলোকে কুক্ষিগত করেছে। সেখানে ছাত্রদল বা অন্যদলের শিক্ষার্থীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগ কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে হেলমেট বাহিনী হয়ে কীভাবে হাতুড়িপেটা করেছে তা সবাই দেখেছে। ক্যাম্পাসে আপনাদের তারা অবাধে ক্লাস করতে দেয় না, হলে থাকতে দেওয়া হয় না, পরীক্ষা থাকলে বাধা দেওয়া হয়। তারপরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থেমে থাকেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বীর ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের স্বার্থ একটি তা হলো আপনারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন। যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে সেদিন আপনারা বীর পুরুষ হিসেবে সম্মান পাবেন। খুব দ্রুতই সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, হল শাখা ও অন্যান্য কমিটির অনুমোদন দিব এবং এর তদারকি করব।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সব আন্দোলন ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাবিতে গত কয়েক বছর ধরে শাখা ছাত্রলীগ যেভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে তা আপনারা সবাই জানেন। তারা ২১ সালে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে এমনকি শিবির ট্যাগও দিয়েছে। তারা হলের খাবার চুরি করেছে। শিক্ষক আবু বকরকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তাদের দ্বারা। যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের এই কাজকে সমর্থন করছে তাদের নাম ইতিহাসে ঘৃণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধের রাজনীতি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চায়। আমরা আশা করছি রাবি শাখা ছাত্রদল আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে বীজ বপনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বপন করেছি। আমি জানি কোন গাছের ফল ভালো। সুতরাং প্রতিটি বিভাগ, হল, থেকে শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পাতায়-পাতায় যেন ছাত্রদল স্থান পায় সে জন্য কারা কাজ করে যেতে পারবে তা আমি ভালো বলতে পারব। আমরা খুব শিগগিরই রাবি ক্যাম্পাসে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত করতে চাই। আমরা একটি শক্তিশালী কমিটির অনুমোদন দিয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন