Tue, 21 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
শোরুম ম্যানেজার নেবে যমুনা গ্রুপ, পদ ৩০
১৮ মিনিট আগে
‘উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ’
৫১ মিনিট আগে
ইসির নতুন সচিব শফিউল আজিম
৫১ মিনিট আগে
খাদ্য কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
১ ঘণ্টা আগে
ইসি সচিবকে বদলি
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাবির চেক নিলেন রাবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এম এস দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শাকিনুর রহমানের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চলমান বীমা চুক্তি অনুযায়ী ২ লাখ টাকার চেক দেয় জেনিথ ইসলামী লাইফ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
২০ ঘণ্টা আগে
রাবি শিক্ষার্থীকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখার সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। মারধরের সময় ছাত্রলীগের আরও ৮-১০ জন ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি ওই শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ বিশ্বাস। তিনি বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বুধবার রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। লিখিত অভিযোগ সবুজ উল্লেখ করেন, বুধবার রাত ২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে ৮-১০ জন আমাকে কক্ষ থেকে বের করে হলের ছাদে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেন। আমি প্রাণ রক্ষায় হল ত্যাগ করি। ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, আমি গত কয়েকদিন সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হলেই যেতে পারি না। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তারা বিষয়টি দেখবে। কমিটির রিপোর্টে এটি না এলে তখন আমরা আলাদা করে দেখব। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ ওই শিক্ষার্থী রাজনৈতিকভাবে হলে উঠেছিলেন। এ ছাড়া তিনি এ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না।
১৮ মে, ২০২৪
রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য ও সিট ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বই ছিল প্রধান কারণ। শুধু তাই নয়, স্থানীয় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। এদিকে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এক দিনের ব্যবধানে পর পর দুই দিন সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়ার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যার পর রাবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্র আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় কমিটি গঠন করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তদন্ত ছাড়াই প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংঘর্ষের নেপথ্যের কারণ শনিবার (১১ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারীরা প্রথমে তর্কে জড়ায়। সেই তর্কাতর্কিই একপর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। উভয়পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অন্তত চারজন আহত হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রাপাত হলেও এর পেছনে আধিপত্যের লড়াই ও হলে সিট ভাগবাটোয়ারাই প্রধান কারণ ছিল। নিয়াজ ওই হলের সভাপতি হওয়ায় হলের অধিকাংশ সিট তার দখলে রাখতে মরিয়া। কিন্তু আতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী হওয়ায় সেও হলের সিটের ভাগাভাগি নিজের করায়ত্বে রাখার চেষ্টা চালায়। সম্প্রতি হলের দুটি সিটের বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা ও দ্বন্দ্ব হয়। মূলত এই দ্বন্দ্বের জেরেই শনিবার রাতে উভয় গ্রুপের মধ্যে হলের গেস্ট রুমে কথাকাটাটির একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এ খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারীরা অন্য আবাসিক হলগুলো থেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আতিকের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর উভয় গ্রুপ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, ২৬তম সম্মেলনের মাধ্যমে গত বছরের ২২ অক্টোবর ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট রাবি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগের কমিটির সময় হল সম্মেলনের মাধ্যমে সব আবাসিক হলে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতেই সব আবাসিক হলের নিয়ন্ত্রণ, সিট-বাণিজ্য নিজেদের হাতে নিতে প্রত্যেকটি আবাসিক হলে সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্য থেকে দুই-একজনকে মৌখিকভাবে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নির্বাচন করেন। মূলত এরপর থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই হলে সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে হলের সব নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ রাজশাহীর একজন ‘প্রভাবশালী’ নেতার অনুসারী হওয়ায় ক্যাম্পাস ও হলে নিজের আধিপত্য ধরে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করেন। তবে নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের ক্ষমতা ও আধিপত্য খর্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। এরই সূত্র ধরে গত শনিবার ও সোমবার নিয়াজ মোর্শেদ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়া দেয়। এদিকে সর্বশেষ সম্মেলনে শীর্ষ দুইজন পদ না পাওয়ায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত স্থানীয় কয়েকজন নেতা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে শুরু থেকেই পাঁয়তারা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় শীর্ষ পদবঞ্চিত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনসহ একটি গ্রুপ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, গেস্টরুমে বসা নিয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। একপর্যায়ে সভাপতির অনুসারীরা কয়েকজন এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। বিষয়টি নিয়েই মূলত ঝামেলা বাঁধে। তিনি বলেন, আমি হলের থার্ড ব্লক দেখাশোনা করি। কিন্তু ওই ব্লকের একটি কক্ষে আতিক একজনকে তুলেছিল বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে জানিয়েছিলাম। এ কারণে আতিক ওইদিন (সংঘর্ষের দিন) আমার ওপর রাগ ঝাড়তে পারে। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোাগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, হলের গেস্টরুমে আমার অনুসারীরা সাংগঠনিক কাজ করছিল। তখন ওই হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এসে আমার অনুসারীদের সঙ্গে ঝামালা করে। পরে নিয়াজ বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ইট-পাটকেল ও ককটেলের বিস্ফোরণ করে। আমরা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে কেউ পার পাবে না। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যেই নড়েচরে বসেছে হল প্রশাসন। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন সদস্যের একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হলের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সরাসরি ছাত্রত্ব বাতিল ও গ্রেপ্তারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন। এ ছাড়া বহিরাগত ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরের মধ্যে নেমে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক অনুপম হীরা মণ্ডলকে প্রধান করে তিনি সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন ও তানজিল ভূঞা। তাঁদের দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া হলের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা হলের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আরো বেশি সতর্ক আছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া হলগুলো নিরাপদ রাখতে আমরা হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। হল প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটির রিপোর্ট পেলে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। চার ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার রাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত চার নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ ও আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লিখিত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন বলেন, আমাদের কী দোষ ছিল? কী কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হলো, তা আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য। আরেক বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অপু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে কেন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তা আমি জানি না। সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গেও আমি সম্পৃক্ত না যেটা কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমি মনে করছি এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে। প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মে) রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের তিনজন আহত হয়। এই ঘটনার জেরে সোমবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রত্যেক ছাত্র আবাসিক হল থেকে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হল প্রশাসন হলে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তল্লাশির সময় কোনো অস্ত্র উদ্ধার কিংবা বহিরাগত কাউকে আটক করতে পারেনি।
১৫ মে, ২০২৪
রাবি ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ফের অস্ত্রের মহড়া!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোর পর এবার এক নেতাকে ‘হত্যার’ হুমকির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে ফের অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা রামদা, রড, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে এ মহড়া দেয়। এদিকে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়ার পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন এবং পুলিশ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায়। অভিযান শেষে গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে নিয়াজ মোর্শেদ তার অন্তত ১২ অনুসারীকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করেন। এ সময় হলগেটে ওই হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে নিয়াজের দেখা হয়। একপর্যায়ে নিয়াজ তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন আতিক। তবে হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন নিয়াজ। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে সভাপতি বাবু ও সাধারণ সম্পাদক গালিবের অনুসারীরা জড়ো হতে থাকেন। অন্য হল থেকেও নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ দেন। এ সময় তাদের হাতে রামদা, রড, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ইট-পাটকেল দেখা গেছে। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে, সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সভাপতি-সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী হলে বহিরাগত প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে একটি চক্র ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে রাত সোয়া ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায় হল প্রশাসন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান শেষ হলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, জোহা ও মাদার বখশ হলের ছাদ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ কিছু বহিরাগতকে ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে হলে প্রবেশ করতে দেখেন। বিষয়টি তারা জানতে পেরে প্রক্টর স্যারকে অবহিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় হলে অভিযান চালায়। তাদের এক নেতাকে হত্যার হুমকির খবর পেয়ে সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। তবে তাদের হাতে রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র থাকার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে এড়িয়ে যান। জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, হলগেটে নিয়াজ ও তার অনুসারীদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তবে বহিরাগত প্রবেশ ও হত্যার হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ জানান, সবার সামনে হলের ১০ জন ছোট ভাই নিয়ে তিনি হলে প্রবেশ করেন। সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল। হলগেটে আতিকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল; কিন্তু কোনো কথা হয়নি। হত্যার হুমকির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, হলে বহিরাগত প্রবেশের খবর পেয়ে অভিযান চালাই। এ সময় আমরা একটি চাইনিজ কুড়ালের অংশবিশেষ পেয়েছি। এ ছাড়া কিছু সন্দেহজনক কক্ষে অভিযান চালিয়েছি। সেখানে কিছু অনাবাসিক শিক্ষার্থী দেখতে পাই; কিন্তু কোনো বহিরাগতকে হলে পাওয়া যায়নি। হলের বাইরে এক পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে রামদা, রড ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন দৃশ্য দেখিনি। উল্লেখ্য, গত শনিবার অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
১৫ মে, ২০২৪
কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে গেছে রাবি
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে। কবি নজরুল মনোমুগ্ধকর চরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় গ্রীষ্মের এই কৃষ্ণচূড়ার মহিমা। আবার, কৃষ্ণচূড়ার মর্ম বোঝাতে তাই তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেয়েছেন, ‘গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে, তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি’। ৭৫৩ একর মতিহার সবুজ চত্বরে সাজানো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে বিভিন্ন উদ্ভিদের সমাগমে লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়াই যেন ক্যাম্পাসকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রকৃতিতে নীল আকাশের ক্যানভাসে জ্বলছে গাঢ় রক্তিম রং, এ যেন লাল রঙের এক মায়াবী ক্যানভাস। ক্যাম্পাসে লক্ষ করে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, পশ্চিমপাড়া এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হল, পরিবহন মার্কেট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মতিহার হল, স্টেশন বাজার, পূর্বপাড়া মসজিদের সামনের রাস্তার ধারে, বধ্যভূমি এলাকার পুকুরপাড়ে এবং চারুকলা চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রং ছড়াচ্ছে চোখ জুড়ানো কৃষ্ণচূড়ার সুরের মায়ায় সুরের জাদুতে। উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১২ মে, ২০২৪
রাবি লিগ্যাল সেলের নতুন প্রশাসক অধ্যাপক সাদিকুল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লিগ্যাল সেলের নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর। রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৭ মে) তিনি এ পদে যোগদান করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষকরা। সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষক, রাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বডি সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
০৭ মে, ২০২৪
রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাহ মখদুম আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ফেসবুকে এ অভিযোগ করে পোস্ট দেন। অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ও শাহ মখদুম হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মিঠু। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি পারিবারিক কারণে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। তাকে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহীতে এলে তার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অভিযোগ অস্বীকার করে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অপূর্বকে কোনো ধরনের হুমকি দিইনি। তার সঙ্গে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টা একটু আগে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ মে, ২০২৪
রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের ৩৪১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনায় ঘটে। ভুক্তভোগী জয়দেব দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কিছু দিন থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপে যেতে পারেনি। বৃহস্পতিবার তার ছোটভাই তাকে নিয়ে যেতে নোয়াখালী থেকে এসেছেন। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে আশেপাশের অনেকেই দৌড়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, তিনি পেট এবং বুকে ছুরিকাঘাত করছেন। আহত অবস্থায় তিনি তার ছোট ভাইকে অভিযোগ করছিলেন ‘তুই মেরেছিস’ এবং ছোট বলছিল না 'তুই নিজেকে আঘাত করেছিস'। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ২৫২ নম্বর রুম থেকে চিৎকার শুনে উপরে এসে দেখি তার বুকে ছুরি আটকে আছে। পরে এহসান আকাশ এবং আরো কয়েকজনের সহায়তায় আটকানো ছুরি খোলা হয় এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন হলে আসেন। এরপর পৌনে বারোটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব এবং মতিহার থানায় ওসি মো. মোবারক পারভেজ কক্ষ পরিদর্শনে আসেন। জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, তার রুম মেট এবং আশেপাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারলাম সে মানসিকভাবে অসুস্থ। সেজন্য তার ছোট ভাই বাড়ি থেকে এসেছে তাকে নিতে। পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কক্ষ মতিহার থানার ওসি এসে কক্ষ পরিদর্শন করেছে। ছুরিসহ কিছু আলামাত নিয়ে গেছে। হল প্রশাসন থেকেও ঘটনা খতিয়ে দেখবো।
২৩ মার্চ, ২০২৪
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কানিজ ফাতেমার সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জনস্বার্থে পিএসসির সদস্য নিয়োগ করেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সেসময় পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রদীপ কুমার পান্ডে বর্তমানে রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
২০ মার্চ, ২০২৪
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কানিজ ফাতেমার সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জনস্বার্থে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ প্রদান করলেন। এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া- এর মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন। অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্বরত। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪
আরও
X