ডাকঘরকে কর্মসংস্থানের হাবে রূপান্তর করার কাজ চলছে : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বহুমাত্রিক সেবা বৃদ্ধি এবং পিপিপির আওতায় স্মার্ট সার্ভিস সেবার মাধ্যমে ডাকঘরকে তরুণ-তরুণীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাব-এ রূপান্তর করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা হয়েছে এবং এ মাসে আরও চারটি এবং আগামী মাসে আরও ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। শুক্রবার (২২ মার্চ) স্মার্ট প্লাটফর্মে বরিশালে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জিপিও ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ব্ক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষে মানুষে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদপ্তর করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতিটি মানুষকে চেনে। জি-টু-জি ডাক সেবা এবং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব প্রদানের পাশপাশি স্মার্ট সক্ষমতা তৈরির জন্য মানসিকতা ও বিদ্যমান ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ২০২১ সালে তা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক একটি স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তরের ভূমিকা অপরিসীম বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেবা থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেবায় রূপান্তর করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এ সময় তিনি বরিশালে রাত্রিকালীন ডাকঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বরিশাল এর জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম বক্তৃতা করেন। 
২২ মার্চ, ২০২৪

পোশাক খাতের ডিজিটাল রূপান্তর চায় বিজিএমইএ
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে এবার বিশ্বের ডিজিটাল বাজারের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় বিজিএমইএ। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক ই-কমার্স গ্রুপ আলিবাবার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। বিজিএমইএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পোশাক খাতের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সংগঠনের চলমান প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে আলিবাবা প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে এসেছেন। এ সময় আরও ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, ট্রেডেশির চেয়ারম্যান রাজীব হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি শাদাব এম পারভেজ প্রমুখ। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা এবং নতুন সুযোগগুলোকে পুঁজি করে বাজারের প্রবণতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন। ফারুক হাসান বলেন, আলিবাবার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা অনলাইন ব্যবসার পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

বইমেলায় আলী কাওসারের ‘অন্তরের রূপান্তর’
খন্দকার আলী কাওসারের উপন্যাস ‘অন্তরের রূপান্তর’ প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়। বাংলার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইটি মূলত ৯০ দশকে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত পরিবারের এক কিশোরের জীবনকে নিয়ে এগিয়েছে। এসেছে প্রেম আর তার সঙ্গে টানাপড়েন। আছে ব্যর্থতার গল্প। সেটাকে অতিক্রম করে জীবন বিনির্মাণের গল্পও আছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ঘটনা বিস্তার লাভ করেছে বিদেশে। সময়ের পরিক্রমায় নতুন শতাব্দীতে প্রবেশ করেছে উপন্যাসটি। দুই সময়ের এক বর্ণনামূলক তুলনা উপন্যাসটিতে একটি ভিন্ন আমেজ এনে দিয়েছে। সাফল্যের একপর্যায়ে গেলে আগে ছেড়ে চলে যাওয়া অনেকেই ফিরে আসে। তখন কি করা উচিত? এসবের উত্তর দিতে গিয়েই এক দারুণ সামাজিক বার্তা দেওয়া হয়েছে উপন্যাসটিতে।  লেখকের বর্ণনাশৈলী আর ঘটনার গতিময়তা পাঠককে ধরে রাখবে বলেই আশা করা যায়। বইটি ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ হওয়া বইটি পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ২০৭-২০৮ নাম্বার স্টলে। লেখক দেশে সার্জারি ও নিউরোসার্জারিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের ডান্ডিতে নিউরোসার্জারিতে চাকরি শুরু করেন।  এডিনবরায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন নিউরোসার্জারি ও মেজর ট্রমা কনসালটেন্ট হিসেবে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘মেধা-পরিশ্রম দিয়ে শিক্ষার্থীদের পৃথিবীর সম্পদে রূপান্তর হতে হবে’
এখনকার শিক্ষার্থীরা নিঃসন্দেহে অনেক মেধাবী। তারা নিজেদের বড় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে হবে। তাদের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে পৃথিবীর সম্পদে রূপান্তর হতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক হওয়ার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের একযুগপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুকী স্যার তার নিজ নামে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। তার স্বপ্ন ছিল এখানকার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এখানকার শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক সম্পদ নয়, পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে রূপান্তরিত হবে। এ অজপাড়া গাঁয়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম করতে হবে। কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান ডা. কাজী মো. নুর-উল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, বিইউবিটির উপউপাচার্য ড. মো. আলী নুর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, জহিরুল গ্রুপের সিইও লায়ন জহিরুল ইসলাম, রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নুরুল আমিন প্রমুখ।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে : শেখ হাসিনা 
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সম্ভাবনার হাতছানি দেওয়া দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দুরন্ত বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটেছে। আজকের বাংলাদেশ দারিদ্র্যক্লিষ্ট, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর বাংলাদেশ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।  তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সব রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি।  শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই- এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা ধান ও দানাদার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রবর্তন এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান করি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং নানা চক্রান্তের ফসল হিসেবে বিএনপি-জামায়াত-জোট ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। এরপরেই দেশে বিপর্যয় নেমে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৫০০’র বেশি মানুষকে আহত করে।  আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ১১টি বিষয়। এর মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াযাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। দৃশ্যমান অবকাঠামো বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেবে সরকার। ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ, সর্বজনীন পেনশন, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ইশতেহারে। গুরুত্ব পাবে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে।  প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। আর ২০২৪ সালে দলটির নির্বাচনী স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। 
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

জ্ঞানের এই ঝরনাতলায় / ‘ঈশপের গল্প ও পঞ্চতন্ত্রে’র একবিংশ রূপান্তর
  এক ছেলে তার বাবাকে রাতের খাবারের জন্য এক নাম করা রেস্তোঁরায় নিয়ে গেল। সেটা ছিল শহরের এক অভিজাত এলাকায়। তারা তাদের রিজার্ভ করা স্থানে বসে কিছু অর্ডার দিল উপস্থিত ওয়েটার-কে। ওর্ডার দেওয়া বেশিরভাগ আইটেম-ই তার বাবার খুব প্রিয় । মনে পড়ল, অনেক দিন আগের কথা, বাসার সবাই মিলে একটা হোটেলে গিয়েছিল একবার। তখনো ও স্কুলে-ই পড়ে। বাবা খেতে বসে বলেছিলেন, কারো চরিত্র বুঝতে হলে, লক্ষ্য করবে, সে ওয়েটারের সাথে কিম্বা ব্যক্তিগত গাড়িচালকের বা গৃহকর্মীদের সাথে কেমন আচরন করে! জীবনে সে যখন যেখানে গিয়েছে, এই কথাটা আর ভুলেনি কোনো দিন। বাবা সব সময় বলতেন, কাউকে ভালবাসলে, তাকে দুটো জিনিস দিতে হয় ; সময় আর সম্মান। মনে হয় আরও একটু বেশি সময় দেয়া উচিত ছিল বাবাকে। কেন জানি বারবার এসব মনে হচ্ছিল আজ। দূর থেকে খাবার নিয়ে আসতে দেখে, বুক-পকেট থেকে ছোট্ট ওষুধ-বাক্সটা বের করে সে। বাবা-কে তিনটে  ছোট ছোট ট্যাবলেট দেয় খাবার জন্যে। সেগুলো খেতে গিয়ে এক ছিলকে পানি গড়িয়ে পরে ওনার মুখের কোনা বেয়ে। তার বাবা হটাৎই অনেক দুর্বল হয়ে গেছেন। বয়েসের চেয়েও বেশি বৃদ্ধ মনে হয়। বাবাকে শখ করে খেতে দেখে ওর খুব ভাল লাগে। খাওয়ার সময় তার ধবধবে সাদা চেক শার্টে ও ট্রাউজারে  খাবার মাখামাখি হয়ে যাচ্ছিল। পুরো রেস্তোরাঁ তখন ধনাঢ্য আর সৌখিন লোকে ভরা। বৃদ্ধ বাবা খেতে গিয়ে বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন। মুখের খাওয়া হাত থেকে, মুখ থেকে পড়ে যাচ্ছিল। আশপাশের সবাই তখন বিরক্তি নিয়ে তাদের দিকে তাকাচ্ছে। ছেলেটি কিন্তু শান্তভাবে খেতে খেতে বাবার সাথে কথা বলতে থাকে। সে মোটেও বিব্রত বোধ করে না। বাবার খাওয়ার শেষে ছেলে তাকে ধির-স্থিরে ‘ওয়াশ রুমে’ নিয়ে গেল। তারপর কাপড়ে লেগে যাওয়া খাবারগুলো মুছে দিল পরম যত্নে। দাগ তুলে দিল চামড়ার পাম-শু জোড়া থেকে, চুল আঁচড়ে দিল এবং তার কালো চশমাটা ভালোভাবে মুছে, আবার পরিয়ে দেয়। যখন তারা ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসল, পুরো রেস্তোরাঁয় পিনপতন নীরবতা। সবাই তাদের দুজনকে দেখছিল। আধুনিক সংস্কৃতিতে বুঝতে পারছিল না কীভাবে একজন মানুষ নিজেকে জনসম্মুখে এভাবে বিব্রত করতে পারে। ছেলেটি বিল পরিশোধ করে দিয়ে, তার বাবাকে নিয়ে তখন হেঁটে বের হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় রেস্তোরার অতিথিদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ কিন্তু শক্ত গড়নের মানুষ চেঁচিয়ে ওঠে ছেলেটিকে বললেন, তুমি কি কোনো কিছু রেখে গেছ বাবা? হটাৎই এমন স্নেহমাখা কথা শুনে ছেলেটি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেল। প্রত্যুত্তরে বলল, না-তো স্যার। তখন বৃদ্ধ মানুষটি দৃঢ় ভাষায় বলল, অবশ্যই তুমি কিছু রেখে গেছ! তুমি সব পুত্র, কন্যা ও আশা করি সব বাবা-মার জন্য আজ এখানে একটা বিশাল শিক্ষা রেখে গেলে। মুহূতেই পুরো রেস্তোরাঁয় এক ঝটকা লিলুয়া বাতাস বয়ে গেল। আরো নীরব হয়ে গেল পুর পরিবেশ আহঙ্কার আর লজ্জার এক যুগল মিশ্রণে। নির্যাস : একজন সুন্দর মানুষের বৈশিষ্ট্য হলো সে সব সময় অন্যের মধ্যে সৌন্দর্য দেখতে পায়। ডা. রুবায়ুল মোরশেদ : চিকিৎসক, গবেষক, কাইন্ডনেস এবং হ্যাপিনেস
১৯ অক্টোবর, ২০২৩

জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে
জনশক্তি রপ্তানি আমাদের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। বর্তমান সময়ে দক্ষতার বিকল্প নেই। দক্ষ জনশক্তির রপ্তানি বাড়াতে পারলে রেমিট্যান্সও বাড়বে, তাতে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাতটি আরও শক্তিশালী হবে। অর্থনীতিতে ও সমাজে রেমিট্যান্স ভালো ভূমিকা রাখে। দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার কিছু কাজও করছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বাস্তবতায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা তুলনামূলকভাবে অদক্ষ। অনেক পেশায় আমাদের কর্মীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। তাই ভালো ও বেশি আয়ের পেশায় বাংলাদেশিদের নিয়োগ কম। দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সঠিক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সেদিকে লক্ষ রেখেই বিভিন্ন জেলায় ৩০টি টিটিসি নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। ২০১০ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালে। কিন্তু দুই দফা সংশোধনী প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০১৯ সালে শেষ হয় প্রকল্পটি। প্রকল্প শেষ হওয়ার চার বছরের মাথায় এসে সরকারের প্রকল্প মনিটরিংয়ের প্রতিষ্ঠান আইএমইডি বলছে, প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো আন্তর্জাতিক চাহিদা মেটাতে পারছে না। প্রশিক্ষকের অভাব, আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ না হওয়ায় দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারছে না তারা। আইএমইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে টিটিসিগুলোর কিছু অনিয়মও। কারিগরি শিক্ষা গুরুত্ব পায় যখন সরকার আলাদাভাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড গঠন করে এবং এ শিক্ষার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক থেকে এ শিক্ষা বিশেষ গুরুত্ব পায় এবং ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলে। মেয়েদের কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত ও আকৃষ্ট করতে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। জেলা ও উপজেলায় ক্রমান্বয়ে স্থাপন করা হয় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যেখানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক যুগের চাহিদা ও প্রয়োজন সামনে রেখে প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়া হয়। এ সময় থেকে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে। এগুলোর কাজ এগিয়ে চলছে। এখানকার চাহিদা মেটানোর জন্যও কারিগরি শিক্ষা ও প্রাথমিক পর্যায়ে কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। যুগোপযোগী শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় সম্পদ ও স্থানীয় মানবসম্পদ ব্যবহারের এক সুযোগ তৈরি হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা কাছাকাছি কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করতে পারবে। বিদেশে শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারবে। আঞ্চলিক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার ধরনের মধ্যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। দেশের বাইরের চাহিদার প্রতিও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের বিশাল জনশক্তি বাইরের বাজার ধরতে না পারলে আমাদের পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। কাজেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে টিটিসিগুলোর প্রশিক্ষণ আধুনিক করা হোক। প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। চাকরি থেকে ব্যবসার ক্ষেত্র—সব জায়গায় রোবটিকসের মতো প্রযুক্তি জায়গা করে নিচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পে এ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে দ্রুতগতিতে। তৈরি পোশাক শিল্প বৃহৎভাবে স্বয়ংক্রিয়করণের দিকে ধাবিত হলে এর ব্যাপক প্রভাব দেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই দেখা যাবে। প্রথম সম্ভাব্য প্রভাব হলো চাকরি হারানো। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের একটি বড় উৎস এবং অটোমেশনের দিকে এর স্থানান্তর হলে বর্তমান শিল্পে নিযুক্ত বিশালসংখ্যক শ্রমিকের উল্লেখযোগ্য চাকরি হারাতে পারেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাবে চাকরি হারাবেন ২৫ লাখ তৈরি পোশাককর্মী। এটি দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি স্বতন্ত্র শ্রমিকদের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চাকরি হারানো কর্মীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এ কথা সত্য, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটের ব্যবহারের দিকে পরিবর্তন তৈরি পোশাক খাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে; যার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। জ্ঞানভিত্তিক এ শিল্পবিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষ চাকরি হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নতুন ধারার নানা কর্মক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বাংলাদেশের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, আগামী দুই দশকের মধ্যে মানবজাতির ৪৭ শতাংশ কাজ স্বয়ংক্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে শ্রমনির্ভর এবং অপেক্ষাকৃত কম দক্ষতানির্ভর চাকরি বিলুপ্ত হলেও উচ্চ দক্ষতানির্ভর যে নতুন কর্মবাজার সৃষ্টি হবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করে তোলার এখনই সেরা সময়। দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হলে জনমিতিক লভ্যাংশকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশ থেকে বেশি উপযুক্ত। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে আজকের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান শুধু মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ও সার্বিক জীবনমানের উত্তরণ ঘটিয়েছে। জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদ অত্যন্ত নগণ্য এবং আবাদযোগ্য কৃষিজমির পরিমাণ মাত্র ১৫ শতাংশ। জাপান তার সব প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছে জনসংখ্যাকে সুদক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার মাধ্যমে। জাপানের এ উদাহরণ আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। সুবিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষেও উন্নত অর্থনীতির একটি দেশে পরিণত হওয়া অসম্ভব নয়। লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা
২৩ আগস্ট, ২০২৩

পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতে হচ্ছে নতুন সংস্থা
পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত এবং নাগরিকদের জন্য সেবা আরও কার্যকর ও টেকসই করতে একটি নতুন সংস্থা করা হচ্ছে। সংস্থাটির নাম এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) প্রস্তাব করে এজেন্সি টু ইনোভেট বিল-২০২৩ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। মূলত বর্তমান ‘এসপায়ার টু ইনোভেটের’ প্রতিস্থাপক হিসেবে স্থায়ী কাঠামো হবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’। বিলে বলা হয়েছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থায় ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি। পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত এবং নাগরিকদের জন্য সেবা আরও কার্যকর ও টেকসই করতে এসপায়ার টু ইনোভেটের প্রতিস্থাপক রূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
০৮ জুন, ২০২৩
X