ক্যাম্পের বাইরে প্রশিক্ষণে গিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা
ক্যাম্প থেকে বের হয়ে একটি সংস্থার আয়োজনে সেমিনার ও প্রশিক্ষণে বের হয়ে আটক হয়েছে ৩২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ।  শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের আদালত পাড়া সংলগ্ন একটি ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।  তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, একটি সংস্থা অনুমতি ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী-পুরুষ নিয়ে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। সংস্থাটি শুক্রবার সকাল থেকে তারা উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের আদালত পাড়া সংলগ্ন একটি ভবনে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। অথচ রোহিঙ্গাদের নিয়ে এমন আয়োজন করতে হলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। ওসি বলেন, অভিযান চালিয়ে ৩২ জন রোহিঙ্গা, ২টি ল্যাপটপ, ১টি প্রজেক্টর, ৩২টি মোবাইল ও সংঠনের বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দ করা করা হয়।  জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওসি মো. শামীম হোসেন।
২১ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য পেলেই অভিযান চালাবে র‍‍্যাব
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে আরসা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‍‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‍‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা। তারা অপহরণ, লুণ্ঠন, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ইতোপূর্বে নানা অভিযানে এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র‍‍্যাবের অব্যাহত নজরদারি ও তৎপরতায় আরসা নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে পাশের দেশের অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনায়, আমাদের দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লাল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এ তৎপরতা নিষ্ক্রিয় করার জন্য স্থানীয় থানাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে, যখনই তথ্য পাচ্ছি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
১৭ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা শিবিরে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪৩) নামে এক হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ইলিয়াস উখিয়ায় ৪ নম্বর এক্সটেনশন সি-৩ ব্লকের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের হেড মাঝি ছিলেন। গতকাল সোমবার ভোরে উখিয়ার-৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনাটি ঘটে বলে উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে ভোররাতে আরসার ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে ইলিয়াসকে বের করে নিয়ে যায়। পরে বসতবাড়িসংলগ্ন একটি অফিসের পেছনে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে আরএসওর সক্রিয় সদস্য ও হেড মাঝি মোহাম্মদ ইলিয়াসের মৃত্যু হয়।
১৪ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি মো. ইলিয়াসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৩ মে) ভোরে উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইলিয়াস রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলম নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
১৩ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে।  রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে এ কথা বলেন তিনি।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রথম দফায় পালিয়ে আসা ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কিছুদিন আগে ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর গত কয়েকদিনে আবারও ১৩৮ জন বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য নতুন করে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। নতুন করে অনুপ্রবেশ করা ১৩৮ জনের মধ্যে একজন কর্নেল এবং ২ জন মেজরও রয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে। অনেক রোহিঙ্গা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিন দিন।  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সবসময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু গত ৭ বছরে একজনকেও নিয়ে যায়নি। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি যাতে মিয়ানমারকে তারা চাপ প্রয়োগ করে। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন পেছাতে নতুন অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে তারা। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এখন এটাকে প্রত্যাবাসনে অজুহাত হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, গত দুই দফায় আমরা সফলভাবে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বিষয়েও আলোচনা চলছে মিয়ানমারের সঙ্গে। আশা করছি, শিগগিরই ফেরত পাঠানো যাবে। 
১২ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলম নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি। টেকনাফ থানার ওসি বলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ আলম নামে এক রোহিঙ্গা যুববকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে শফি গ্রুপের সদস্যরা। সকালে আলম ঘরে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১১ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লুর সফরে গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন। দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়ও অবশ্যই আলোচনার মধ্যে আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বরাবরই চমৎকার এবং দুই দেশ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তবে লুর ঢাকায় আসার দিনক্ষণ জানাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, লু আগামী মঙ্গলবার দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। সফরটি ভবিষ্যতে দুদেশের সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডোনাল্ড লু এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরটি হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের প্রথম সফর। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। আইলিন লাউবাচার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও বিশেষ সহকারী। ওই সফরে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তার নিরিখে ভূরাজনীতির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল। সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষেরই সদিচ্ছা রয়েছে। একসঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’ আইলিন লাউবাচার খুব সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় যে, আমাদের দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে আমাদের একসঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে পেরেছি।’ ডোনাল্ড লুর সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করেছেন। ওই চিঠিতে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর কথা বলেছিলেন। আর অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হিসেবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। লুর ঢাকা সফরে এ বিষয়গুলোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেবে, সে ধারণা পাওয়া যাবে।
০৯ মে, ২০২৪

ডোনাল্ড লু’র সফরে রোহিঙ্গা সংকট গুরুত্ব পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (৮ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় অবশ্যই আলোচনার মধ্যে আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বরাবরই চমৎকার এবং দুই দেশ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এদিকে ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে লু আগামী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবে। সফরটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডোনাল্ড লু এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। আশা করি, এ সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করে আইওএম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সংস্থাটি। এবারই তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান হলো। আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। হাছান মাহমুদ এ সময় আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি। আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়। পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের পাঠানো আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এ আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি। প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে; যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশনপ্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের পর সেখানে পৃথকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে আয়োজিত হলো।  মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ ‘ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪’ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।  হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।  আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়। পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।  প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের পর প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।      
০৭ মে, ২০২৪
X