শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
লোকসভা নির্বাচন গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে গণতন্ত্র এবং সংবিধান বাঁচানোর লড়াই বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল শুক্রবার লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর এনডিটিভির। এ ইশতেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায় পত্র’। কংগ্রেস তার ইশতেহারে পঞ্চ ন্যায় বা ‘ন্যায়বিচারের পাঁচটি স্তম্ভ’র ওপর জোর দিয়েছে। এগুলো হলো ‘যুব ন্যায়’, ‘নারী ন্যায়’, ‘কিষান ন্যায়’, ‘শ্রমিক ন্যায়’ এবং ‘হিসসেদারি ন্যায়’। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের জন্য তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জনগণকে দেওয়া গ্যারান্টিগুলোর ওপরও জোর দিয়েছে দলটি। ইশতেহারে ভারতের ৩০ লাখ সরকারি শূন্যপদে চাকরি, ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবীমা, নারীদের আর্থিক সহায়তা, জাতগণনা এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এই নির্বাচন গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। একদিকে রয়েছে এনডিএ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি যারা সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে ক্রমাগত ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে রয়েছে ইন্ডিয়া জোট যারা সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত প্রাণপাত করে চলেছে। নির্বাচনে জিতলে জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাহুল বলেন, নির্বাচনের পর জোটের তরফে আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি ঠিক করা হবে। ইন্ডিয়া জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আমরা এই নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছি। নির্বাচনের পর জোট একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে কে হবেন নেতা এবং কে হবেন প্রধানমন্ত্রী।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X