দুই বিমানের সংঘর্ষ, প্রাণে বাঁচলেন শতাধিক যাত্রী
যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দরে দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন শতাধিক যাত্রী। রোববার (৭ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে দুই বিমানের পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বিমানে ১২১ যাত্রী ছিলেন। তবে তারা অক্ষত রয়েছেন। আর সংঘর্ষটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় হিথরো বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকালের দিকে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাছে রানওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের একটি বিমান ও ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনসের অপর বিমানের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানটিতে ১২১ জন যাত্রী থাকলেও অপর বিমানে কোনো যাত্রী ছিলেন না।  ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের ইঞ্জিনিয়ার টিম বিমান পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের বিকল্প ফ্লাইটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।  ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনসের এক মুখপাত্র জানান, আমরা যথাযথ তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দল বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছে।  বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, সংঘর্ষে কোনো যাত্রী আহত হননি। এ ঘটনায় ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে। জরুরি সেবাসহ বিভিন্নি বিভাগ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। 
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাত্রা, রক্ষা পেলেন দেড় শতাধিক যাত্রী
সাগরপথে ভাসমান অবস্থায় থাকা মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার স্থানীয় জেলেরা কূলে টেনে নিয়ে আসায় রক্ষা পেয়েছেন দেড় শতাধিক যাত্রী। তাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। উদ্ধারকারী নৌকার মাঝিরা জানিয়েছেন সাগরপথে তারা অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সাগরে তিন দিন কাটানোর পর বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোরে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সৈকতের মহেষখালী পাড়া ঘাটের কাছে ট্রলারটি জেলারা টেনে নিয়ে আসে। এরপর সেখানে থাকা রোহিঙ্গারা কান্নাকাটি করে নেমে পড়েন। এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জহির আহমদ বলেন, সাগরে যাত্রীবাহী একটি মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ভাসমান দেখে জেলারা টেনে কূলে নিয়ে আসেন। ট্রলারে দেড়শ মতো যাত্রী ছিল। এদের অধিকাংশই বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বসবাসকারী। এর মধ্য বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ঘাটে একটি ফিশিং ট্রলার ভাসমান রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফের মহেষখালী পাড়ার মেরিন ড্রাইভে ছোট ছোট শিশুদের কোলে নিয়ে কিছু রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ রাস্তায় বসে কান্নাকাটি করছেন। আবার অনেকে টমটমে করে ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় কথা হয় ট্রলার থেকে নেমে মেরিন ড্রাইভে বসে থাকা হামিদ হোসেনের সঙ্গে। তখন তার আশপাশে সাত শিশুসহ পাঁচ নারী বসে কান্নাকাটি করছিল। তারা সবাই উখিয়া বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। হামিদ হোসেন বলেন, ‌‌‍‍‌‌‘ক্যাম্পের‌‌ পরিস্থিতি খুব খারাপ, প্রতিদিন খুনাখুনি হচ্ছে। সে কারণে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিলাম। আমরা ট্রলারে প্রায় ১৫০ জন ছিলাম। সেখানে আমার শিশু-সন্তানসহ পরিবারের ছয় সদস্য সদস্য আছে।‌’ তার ভাষ্যমতে, জীবন রক্ষার জন্য সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ‌প্রথমে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে দালালদের মাধ্যমে টেকনাফের একটি পাহাড়ে পাঁচ দিন ছিলাম। সেখান থেকে ছোট নৌকা নিয়ে সাগরে থাকা ট্রলারে উঠি। ট্রলারে আমার মতো অনেকে ছিল। এরপর মাঝিরা ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাগরে তিন দিন ঘোরাঘুরি করে। একপর্যায়ে কূলের কাছাকাছি এসে মাঝিমাল্লারা ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছোট দুটি নৌকা আমাদের ট্রলারটি টেনে কূলে নিয়ে আসে। মূলত আমরা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া যাত্রা করেছিলাম। টেকনাফের মহেষখালী ঘাটের নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আলম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে মাছ শিকারে যেতে ঘাটে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ঘাটে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ১৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ সৈকতের কূলে উঠতে দেখা যায়। তখন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা কান্নাকাটি করছিল। ওই ট্রলারে ৪-৫ জন ছাড়া বাকিরা সবাই নারী ও শিশু ছিল। পরে সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়। জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রলার টেকনাফে কূলে ফিরে আসার খবর শুনেছি। তবে বিষয়টি কোস্ট গার্ড দেখছেন। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ কোস্ট গার্ডের স্টেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সোলেমান কবির বলেন, এ ধরনের একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
X