ভিন্নদেশি ক্যাম্পাস / ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষাবৃত্তি
ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ। ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতি বছর ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের আবেদন আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে দারমাশিশওয়া ও কেএনবি ইন্দোনেশিয়ান সরকারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি। দারমাশিশওয়া এক বছরের, কেএনবি শিক্ষাবৃত্তি তিন বছরের। দুটো শিক্ষাবৃত্তিতে ইন্দোনেশিয়ান ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক। দারমাশিশওয়া শিক্ষাবৃত্তি সাধারণত ইন্দোনেশিয়ান ভাষা, সংস্কৃতি, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও চারুকলার ওপর দেওয়া হয়। কেএনবি ইন্দোনেশিয়ান সরকারের তিন বছরের শিক্ষাবৃত্তি, যা মোটামুটি প্রচলিত সব বিষয়ের ওপরই দেওয়া হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে তিনজন এ শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকেন। বৃত্তির কাভারেজ হিসেবে প্রতি মাসের হাতখরচ বাবদ ৬০০ থেকে ১০০০ ইউএস ডলার দেওয়া হয়। সুযোগ-সুবিধা: প্রতি মাসের শিক্ষাবৃত্তির অর্থ, বই ও অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী কেনার অর্থ, যাতায়াতের জন্য বিমান টিকিট, ডরমেটরি। শিক্ষা ব্যবস্থা: ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আনন্দের সঙ্গে পাঠদান। এ ছাড়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ ও ইন্দোনেশিয়ান সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। সাগর ও পাহাড়বেষ্টিত এ দেশে বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের নেওয়া ব্যবস্থাও প্রশংসনীয়। খরচ বাংলাদেশের মতোই। শর্ত: শিক্ষার্থীদের স্নাতক পাস হতে হবে, সিজিপিএতে ৩.৫ থাকলে ভালো। সময়সূচি: অনলাইন নিবন্ধন—১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল। দূতাবাস/কনস্যুলেটে ইন্টারভিউ: ৮ থেকে ২১ এপ্রিল। বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা নির্বাচন: ২২ এপ্রিল থেকে ৫ মে। ঘোষণা: ২০ মে। উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ: ২০ মে থেকে ৯ জুন। চূড়ান্ত ঘোষণা: ১০ জুন। ভিসার ব্যবস্থা: জুন ২০২৪ পর্যন্ত। ফ্লাইট ভ্রমণপথ নিশ্চিতকরণ: ৯ জুন থেকে ৯ আগস্ট। ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসে প্রি-ডিপারচার ব্রিফিং: আগস্ট ২০২৪। মৌলিক ইন্দোনেশিয়ান ভাষা কোর্স (অনলাইন): ১ থেকে ৯ আগস্ট। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়ায় ওরিয়েন্টেশন: ২৯-৩০ আগস্ট। যোগ্যতা: মাধ্যমিক শিক্ষা, বয়স ১৮-৩২ বছর, ইংরেজিতে যোগাযোগের দক্ষতা (ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রশংসাপত্র বা TOEFL/TOEIC/IELTS বা অন্য সার্টিফিকেট থাকতে হবে), মেডিকেল সার্টিফিকেট, দারমাশিশওয়ার প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে নিবন্ধিত নয়, KNB-এর প্রাক্তন ছাত্র হওয়া যাবে না, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় পড়াশোনা বা কাজ করা যাবে না। অনলাইন আবেদন: ফরম পূরণ করে যে ফাইলগুলো আপলোড করতে হবে—কারিকুলাম ভিটা (দারমাশিশওয়া ওয়েবসাইটে দেওয়া টেমপ্লেটে), মেডিকেল সার্টিফিকেট (ইংরেজিতে), পাসপোর্ট (আবেদনের সময় থেকে কমপক্ষে ১৮ মাস মেয়াদ আছে এমন), অফিসিয়াল লেটারহেড এবং স্বাক্ষরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পেশাদার প্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্র (ইংরেজিতে), সর্বশেষ একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সনদ (ইংরেজিতে), ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট এবং ছবি। এর সঙ্গে আবেদনকারীর অধ্যয়নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রবন্ধ লিখতে হবে (ইংরেজি বা ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় সর্বোচ্চ ৫০০ শব্দ)। সেইসঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও দিতে হবে। এতে আবেদনকারীকে প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য অনুপ্রেরণার বিষয়ে বলতে হবে। স্নাতক হওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতির দূত হিসেবে তিনি কী অবদান রাখবেন সেটাও ব্যাখ্যা করতে হবে। ভিডিওটি দুই মিনিটের বেশি হবে না। এটি বলতে হবে ইংরেজি বা ইন্দোনেশিয়ান ভাষায়। বিস্তারিত ও যোগাযোগ: https://apply.darmasiswa.kemdikbud.go.id গ্রন্থনা: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
২১ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশিদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে পাকিস্তান
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করে থাকে। যা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগী হিসেবে কাজ করে। সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়।  এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়ালেখার সুযোগ দিচ্ছে পাকিস্তানের কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার টিউশন ফি ছাড়াই স্নাতকোত্তর ও পিএইচএডি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।  বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশসহ ডি-৮ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ বৃত্তির জন্য। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বিভাগে পড়ালেখা করতে পারবেন কমস্যাটস বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর মধ্যে রয়েছে গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, আবহাওয়াবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এ স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন পাবেন, কোনো টিউশন ফি লাগবে না, আবাসন ও পরিবহন সুবিধা এবং স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাবেন। স্নাতকোত্তরের মেয়াদ হচ্ছে দুই বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ ৩ বছর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবেন বৃত্তির জন্য।  শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তরে আবেদন করতে স্নাতকে ন্যূনতম ২ দশমিক ৫ গ্রেড, পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৩ গ্রেড পেতে হবে। ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম ৫ স্কোর অথবা টোয়েফল আইবিটিতে ৭০ স্কোর থাকতে হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিক্ষাবৃত্তি দিল রুদ্রপাল সমিতি
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ রুদ্রপাল সমিতির প্রতিষ্ঠাতা অর্ধেন্দু বিকাশ রুদ্র স্যার স্মৃতিচারণ, স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এ অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বারুপাস ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বারুপাস মহাসচিব মিলন কান্তি রুদ্র।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেনু কুমার দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক  মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ধর্মীয় বক্তা প্রফেসর স্বদেশ চক্রবর্তী, বিশেষ বক্তব্য দেন অনুপম কুমার দে। আরও বক্তব্য দেন বারুপাস  উপদেষ্টা সুনিল চন্দ্র পাল, ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র পাল, অডিটর নারায়ন পাল, যুগ্ম মহাসচিব সাধন বিকাশ পাল, সহমহাসচিব দয়াল রুদ্র, ললিত রুদ্র, অর্থসচিব স্বপন রুদ্র, শিক্ষা সচিব ইঞ্জিনিয়ার অমল রুদ্র, সাংগঠনিক সচিব আশিষ কুমার রুদ্র, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব অধ্যাপক কমলেন্দু বিকাশ রুদ্র, দপ্তর সচিব ডা. শিমুল রুদ্র, সাংস্কৃতিক সচিব সমীরন রুদ্র, সহপ্রচার সম্পাদক স্বপন রুদ্র, সহদপ্তর সচিব পরান কৃষ্ণ রুদ্র, সহদপ্তর সচিব সাধন বিকাশ রুদ্র, ঢাকা জেলা সভাপতি মানস পাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি প্রিয়নাথ রুদ্র, ফেনী জেলা সভাপতি পরিমন পাল, কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি তাপস রুদ্র, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক গোপাল রুদ্র, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নিবারন রুদ্র, দপ্তর সম্পাদক রনজিৎ রুদ্র, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুশান্ত রুদ্র, কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক সম্পাদক সত্যযোতি রুদ্র প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রফেসর অর্ধেন্দু বিকাশ রুদ্র, প্রফেসর মিলন বিকাশ পাল, শশাঙ্ক মোহন রুদ্র, হিমাংশু বিমল রুদ্র এবং কনোজ রুদ্রের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করে স্মৃতিচারণ করা হয়। সংগঠন ও স্বজাতির জন্য তাদের ত্যাগ ও অবদানের কথা উঠে আসে বিভিন্ন বক্তার কথায়। সেই সঙ্গে বারুপাসের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও প্রসারের লক্ষ্যে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ বছর ৮২ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে বিশেষ সম্মাননা ও বৃত্তি দেওয়া হয়।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

৫ জন চ্যাম্পিয়ন, প্রত্যেকে পেল ২০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি
যেন জীবন্ত ক্যালকুলেটর। খাতা-কলম কিংবা ক্যালকুলেটর ছাড়াই বড় বড় হিসাব সেকেন্ডেই করে ফেলছে ওরা। আর এটা সম্ভব হচ্ছে অ্যাবাকাস শেখার মাধ্যমে।  শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মজারু’ আয়োজিত ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে মজারুর অ্যাবাকাস কোর্সের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৫১ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। কল্পনা করেই কত দ্রুত হিসাব করা যায় সেই দক্ষতার প্রমাণ দেয় তারা।  প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে এক লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি জিতে নেয় মজারুর শিক্ষার্থী খন্দকার সিদরাতুল মুনতাহা। এ ছাড়া ৫ জন চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেকে পেয়েছে ২০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাউল আসিফ সিদ্দিকী, শিশু অতিথি জাফির হাসান, মজারুর চেয়ারম্যান কামালুদ্দীন, সিইও আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স, চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাইমিনুল ইসলাম শিবলী, হেড অব একাডেমিক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আসাদ জোবায়ের, হেড অব এইচআর পরীক্ষিত দে প্রমুখ।  শিশুদের মেধাবিকাশ এবং আগামী দিনের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলার কাজ করছে অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম ‘মজারু’। বর্তমান বিশ্বে শিশুদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে অ্যাবাকাসের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে মূলত শিশুরা কোনো ক্যালকুলেটর বা খাতা-কলম ছাড়াই কল্পনা করে বড় বড় হিসাব করে ফেলতে পারে, যা ওদের ব্রেইনকে আরো সক্রিয় করে তোলে।  মজারু তার নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শিশুকে অ্যাবাকাস শেখাচ্ছে। এই শিশুদের নিয়েই আয়োজন করা হয় ‘অ্যাবাকাস স্পিড মাস্টার ২০২৩’ প্রতিযোগিতা। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু অংশ নেয়।
০১ অক্টোবর, ২০২৩
X