ছেঁড়া নোট না নেওয়ায় ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, বাবা সংকটাপন্ন
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ১০ টাকার ছেঁড়া নোট না নেওয়ায় দোকানি ও তার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলে মো. ইকবাল নিহত হয়েছেন। বাবা মো. সাদেক মুন্সিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাজিয়াল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকবাল ও তার বাবা সাদেক মুন্সি বানিহালা ইউনিয়নের দিঘারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাজিয়াল বাজারের ব্যবসায়ী। তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সাদেক মুন্সি তার ছেলে ইকবালকে নিয়ে সন্ধ্যার পর দোকানে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে দোকানে সিগারেট কিনতে যান একই গ্রামের ফারুক মিয়া। সিগারেট কিনে তিনি একটি ১০ টাকার ছেঁড়া নোট দেন। ইকবাল নোটটি বদলে দিতে বললে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দুজনের বাগবিতণ্ডা হলে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পারভেজ ছুরি দিয়ে ইকবালকে এলোপাথাড়ি  আঘাত করে।  এ সময় ইকবালের বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ইকবাল মারা যান। গুরুতর আহত সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ থেকে রাত ১০টায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, রাত ৮টার দিকে দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বাবা-ছেলেকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত বাবা-ছেলেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইকবাল মারা যায়। সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক মিয়া ও পারভেজ মিয়াকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

খতনা করতে গিয়ে সংকটাপন্ন আরেক শিশু
আয়ান-আহনাফের পর এবার খতনা করাতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ির ৮ বছরের শিশু আলভী ফারাভী। গত ৩০ মার্চ মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকায় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক শিশুর লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটে।   এদিকে ওই শিশুর লিঙ্গ কর্তনের ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুর হক। তিনি জানান, ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ উপজেলার মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকায় আব্দুল কাদেরের পুত্র আলভী ফারাভীকে (৮) ওই গ্রামের পল্লীচিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ খতনা করতে গিয়ে লিঙ্গ কর্তন করেন। পরে শিশুটির রক্ত পড়া বন্ধ না হলে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটি অদ্যাবদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হলে দৃষ্টি গোচর হয় স্বাস্থ্য বিভাগের। অবশেষে এ ঘটনায় মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাক্তার আব্দুল মান্নানকে প্রধান করে মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ) ডাক্তার ফাহিম শাহারিয়া শাওন ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রূপম কান্তি পালকে নিয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডাক্তার আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ওই বিষয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর পুলিশের সহযোগিতার বিষয়টি তদন্ত করেছি। যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে জেএস হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটরে খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদের (১০)। এর আগে গত মাসে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে গত মঙ্গলবার নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সংকটাপন্ন সন্তানকে হাসপাতালে রেখে অন্যের শিশু চুরি!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই নারীকেও আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- ফেনীর পরশুরামের মো. পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার (২৩) এবং নাসিমার মা খারু আকতার (৪২)। পুলিশ জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেয় চুরি যাওয়া শিশুটি। চুরি যাওয়া নবজাতক চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা আবু মোহাম্মদ নোমান ও আসমা উল হুসনা দম্পতির। জন্মের পর প্রসূতি মা ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় গত ১৭ ডিসেম্বর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নবজাতক ৩২নং এনআইসিইউ ওয়ার্ড এবং প্রসূতি মা ৩৩নং প্রসব-পরবর্তী পরিচর্যা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুর কাছে কোনো অভিভাবক থাকতে পারেন না। ১৯ ডিসেম্বর এই সময়ে শিশুর দাদি এবং নানি ওয়ার্ডের বাইরে অবস্থানকালীন এনআইসিইউ থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। পুলিশ আরও জানায়, এরপর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে শিশু অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ফেনীর পরশুরাম থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত খারু আকতার ও তার মেয়ে নাসিমা আকতারকে এ সময় আটক করা হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউ ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে ফেনীর পরশুরাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই মা-মেয়েকে আটক করা হয়েছে। মূলত আটক হওয়া নাসিমা আকতার শিশু কন্যাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে তাদের সংকটাপন্ন অসুস্থ শিশুকে রেখে অপেক্ষাকৃত সুস্থ নোমান-আসমা দম্পতির নবজাতক বাচ্চাকে কৌশলে তারা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নরসিংদী / হামলার শিকার সেই এসআই সংকটাপন্ন
ডিউটিরত অবস্থায় গুপ্ত হামলার শিকার নরসিংদী সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আদনান রহমান গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে নরসিংদী সদর থানার সামনে এ গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগের দিন বুধবার হামলাকারী একই থানায় পুলিশের অপারেটর আবদুল্লাহকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে এই পুলিশ সদস্যের মাথা ফেটে যায়। অদৃশ্য কারণে জেলা ও থানা পুলিশ বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। এমনকি ঘটনার দুদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। আহত পুলিশ সদস্য আদনান ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার বীরখারুয়া গ্রামের এটিএম খলিলুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে। সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, থানার পাশেই এক বাসায় এসআই আদনান তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনি খাবার খেতে বাসায় যান। খাবার খেয়ে বাসা থেকে থানায় আসার পথে ঈদগাহের কোনায় এলে হামলাকারী পেছন থেকে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে আদনানের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। থানার ১০০ গজের মধ্যে নির্জন স্থানে মাঝরাতে কেউ তাকে বাঁচতে আসেনি। পরে রক্তাক্ত মাথা চেপে ধরে নিজেই থানায় গিয়ে পড়ে যান আদনান। পরে তার সহকর্মীরা ছুটে এসে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পথে আহত আদনান কয়েকবার বমি করেন। তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠান। পরে তার সহকর্মীরা রাতেই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিউরো সার্জন আমিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার সকালে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে থাকা সহকর্মী এসআই মাসুদ ও ভগ্নিপতি হানিফ খান। এদিকে একই থানায় পুলিশের ওপর পরপর দুটি হামলার পরও হামলাকারী থানার সামনে থেকে কীভাবে পালিয়ে যায়—তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আহতের স্বজনরা জানান, আদনান মাত্র সাত মাস আগে ফরিদপুরের মেয়ে চৈতিকে বিয়ে করেছেন। স্বামীর এ অবস্থায় চৈতি একেবারে ভেঙে পড়েছেন। ভগ্নিপতি ফারুক আরও জানান, হাসপাতালের সব ব্যয়ভার নরসিংদী জেলা পুলিশ বহন করছে। তার দুই সহকর্মী বলেন, ঘটনার সময় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীকে শনাক্ত করা হলেও তাকে আটক করা যায়নি। হামলাকারীর নাম সাইফুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার আলোকবালি গ্রামে। সে একজন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক-সংক্রান্ত দুটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তারা। নরসিংদী সদর থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছি। কেন এমন ঘটনা ঘটল—এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কাশেম বলেন, বিষয়টি জানার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। হামলাকারী কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কি না বা এটা কোনো নাশকতা কি না; এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হামলাকারীকে আটকের পর তা নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আসলে এক অনিরাপদ শহরের নাম নরসিংদী।
২০ আগস্ট, ২০২৩

হঠাৎ সংকটাপন্ন রফিকুল ইসলাম টিপু
বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম টিপু সিঁড়িতে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এ সংগঠক। বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল জানান, ‘গতকাল সকাল ১১টার দিকে ভারসাম্য হারিয়ে বাসার সিঁড়িতে পড়ে যান রফিকুল ইসলাম টিপু। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এ সংগঠক। দ্রুত তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল রফিকুল ইসলাম টিপুকে।’ সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো আসেনি, রফিকুল ইসলাম টিপুর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে জানা গেছে। আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এ সংগঠককে। রফিকুল ইসলাম টিপু দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মিডিয়া কমিটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন সংগঠক হাসপাতালে ছুটে গেছেন। রফিকুল ইসলাম টিপুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
২৫ জুলাই, ২০২৩
X